সংবাদ দর্পণ

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডে বড়াম ব্লকে বড়াম গ্রামে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী জিতেন মণ্ডলের জামাতার নবনির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টাব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত ও আচার্য পূর্ণানন্দ অবধূত৷ এখানে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ কে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷                                                                          

অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১০ ও ১১ই ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডের বহড়াগোড়া ব্লকের ভাণ্ডারশোল গ্রামে ২৪ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷  এখানে একটি স্থায়ী কীর্ত্তন মণ্ডপ তৈরী করা হয়৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত৷

নামকরণ ও অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩রা ও ৪ঠা ফেব্রুয়ারী,২৪ ঝাড়খণ্ডের নিমডি ব্লকের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সুনীল মাহাতোর বাসগৃহে ২৪ঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী কীর্ত্তন শেষে শ্রী অমিত মাহাতো ও শ্রী নির্মলা মাহাতোর নবজাত কন্যার শুভ অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান পালিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন টাটানগর ডায়োসিসের মহিলা কল্যাণ বিভাগের ডায়োসিস সচিব৷ এছাড়া অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র ও কীর্ত্তন মাহাত্মের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত (ডি.এস-টাটানগর)৷ নামকরণ অনুষ্ঠানে শিশুকন্যার নাম রাখা হয় প্রত্যাশা৷

টাটানগরে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩,২৪ ও ২৫শে ফেব্রুয়ারী’২৪ টাটানগরে, ইন্দ্রপুরে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ টাটা নগর ডায়োসিসের বিভিন্ন ইয়ূনিট থেকে মার্গীভাইবোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সেমিনার সংঘটিত করেন ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত, ভুক্তিপ্রধান সুশীল মাহাত প্রমুখ৷ দ্বিতীয় দিন অপরাহ্ণে একটি কীর্ত্তন শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন প্রবীন আনন্দমার্গী আচার্য আশীষ দেব৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে রেখা মাহাত৷

 

আনন্দনগরে ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারী’২৪ আনন্দনগরে তিন দিবসীয় ফার্ষ্ট ডায়োসিস লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দনগর ডায়োসিসের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গ্রাম ও পঞ্চায়েত প্রমুখগণ উপস্থিত ছিলেন৷ আচার্য মোহনানন্দ অবধূত --- ‘‘আদর্শ মানুষের জীবনচর্যা কেমন হওয়া উচিত’’ ও ‘‘বুদ্ধির মুক্তি’’ আর আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত ‘‘প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি’’ ও ‘‘পাপস্য কারণত্রয়ম্‌ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন৷ তাছাড়া তিনদিন মিলিত ধর্মচক্র, কীর্তন, আধ্যাত্মিক সঙ্গীত (প্রভাত সঙ্গীত), প্রভাতফেরী, ধবজবন্দনা ও ভক্তিমূলক আলোচনা চর্চা করা হয়৷

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মর্যাদা দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

জলপাইগুড়ি আমরা বাঙালী জেলা কমিটির তরফ থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মর্যাদা দিবস পালন করা হয় দুপুরে ময়নাগুড়ি রোড চৌপথী মোড়ে৷পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নিরদ চন্দ্র অধিকারী,খুশী রঞ্জন মন্ডল, ঈশ্বর বাড়ৈ, বিনয় সরকার, হরেন্দ্র নাথ সরকার,শামসুন্দর মজুমদার,প্রদীপ রায় আরও অনেকে৷পরে এখানে মাতৃভাষার কেন দরকার, মাতৃভাষা ধবংস হলে একটি জাতি কিভাবে শোষিত হয়, তার উপর ভাষন দেন নিরদ চন্দ্র অধিকারীএবং খুশী রঞ্জন মন্ডল৷সকালে ময়নাগুড়ি ব্লক কমিটির তরফ থেকে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয় উত্তর ভোটপাট্টী গোডাউন মোড়ে৷

বারাসাতে রাওয়া আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গতকাল ‘রাওয়া’ বারাসাত শাখা আয়োজিত সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হ’ল প্রভাত সঙ্গীত ও এর উপরে ভিত্তি করে নৃত্যানুষ্ঠান৷ এর মাঝে মাঝে প্রভাত সঙ্গীত সম্পর্কে ছোট ছোট বত্তৃণতা৷ বক্তব্য রাখেন ড: পুষ্প বৈরাগ্য, শ্রী শচীন্দ্রনাথ পাল, আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এই অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত দাদা৷ সকলেই তাঁদের মূল্যবান বক্তব্যের মধ্যে প্রভাত সঙ্গীতের ভূয়ষী প্রশংসা করেন৷ এ সঙ্গীত মানুষের মনুষত্বের উত্তরণ ঘটিয়ে তাকে দেবত্বে প্রতিষ্ঠা করে--- মুক্তির পথকে প্রশস্ত করে৷

সভাপতির ভাষণে আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত দাদা বলেন যাঁরা সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন করেছেন তাঁরা খুব-ই সুন্দর করেছেন ও যাঁরা বক্তব্য রেখেছেন তাঁরা তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছেন৷ তিনি আরও বলেন যে আনন্দমূর্ত্তিজী একজন ধর্মগুরু হয়েও তিনি দিয়েছেন শিক্ষা-সাহিত্য-সঙ্গীত-নব্যমানবতাবাদ৷ মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূর্তির জন্য প্রাউট৷ সকল জীবের জন্যে তিনি সব কিছুই দিয়েছেন৷ অথচ আনন্দমূর্ত্তিজী জীবনে কখনও গান শেখেন নি, কোন সুরের-ই চর্চা করেন নি৷ তিনি যত বই লিখেছেন, সঙ্গীত রচনা করেছেন তার কোন কিছুই নিজে হাতে লেখেন নি৷ তিনি মুখে বলে গেছেন ফল্গুধারার মত৷ তাই মাত্র আট বছর এক মাস সাত দিনের মধ্যে আটটি ভাষায় ৫,০১৮ টি সঙ্গীত তিনি মানব কল্যাণে দিয়েছেন৷ প্রতিটি গানের সুরও তিনি দিয়েছেন৷ এর মধ্যে প্রতিটি সুর, রাগ-রাগিনী সহ লুপ্ত হয়ে যাওয়া সুর, প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সকল সুর-ই বিদ্যমান৷ তিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতির ভাষণ শেষ করেন৷ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী তপোময় বিশ্বাস ও শ্রীমতি পারমিতা মজুমদার৷ বারাসাত রাওয়া শাখার প্রতিটি সদস্য-সদস্যা সহ শ্রী স্বপন কুমার দাস ও শ্রীমতি মিতা দাস মহাশয়াকে এ রকম একটি মনোজ্ঞ প্রভাত সঙ্গীত সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্যে আমাদের ভুক্তির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷

টাটানগরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে (টাটানগরে) আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে সাড়ম্বরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়৷ সাকচি নেতাজী সুভাষ ময়দান (আমবাগান) থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে প্রথম পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে আসে ও সেখানে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে দাবী সনদ সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ তারপর আবার পরবর্তী পর্যায় সেই শোভাযাত্রা বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সাকচি গোল চকে এসে উপস্থিত হয় ও সেখানে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় দুই শতাধিক আমরা বাঙালী সদস্য সদস্যাগণ এই পথসভায় অংশগ্রহণ করেন৷ এই শোভাযাত্রার পুরোভাগে রাঢ়বঙ্গের নিজস্ব সংস্কৃতি ছৌঁনৃত্যের কলাকুশলীরা তাঁদের শিল্পকলার নিদর্শন প্রদর্শন করেন৷ এই ছৌনৃত্যের পরিচালনায় ছিলেন শ্রী জয়মোহন সিং সর্দার৷ তিনি রাঢ়ের ঝুমুর সঙ্গীতও পরিবেশন করেন৷ এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা, সাংস্কৃতিক সচিব শ্রীমোহনলাল অধিকারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সর্বশ্রী অঙ্গদ মাহাত, সুনীল মাহাত, নাগেশ্বর মাহাত, সুধীর মাহাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷ পথসভার শুরুতে শহীদ বেদীতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়৷ তারপর স্পান্দনিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা বাঙলা ও বাঙালীর ওপর রচিত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ ঝাড়খণ্ডের আমরা বাঙালী নেতৃবৃন্দ শ্রীমতী রেখা মাহাত, আশিষ নাগ চৌধুরী, কালীচরণ মাহাত, নারায়ণ সেন সহ অন্যান্য নেতানেত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ও পরিচালনায় ছিলেন শ্রী সুশীল মাহাত, অঙ্গদ মাহাত ও নারায়ণ সেন৷ ঝাড়খণ্ডের বাঙালীদের সমস্যা, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভাষা বাংলা ভাষাকে প্রধান ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান, বাংলা ভাষার পঠন পাঠনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি দাবীগুলি উত্থাপন করে ও বাঙালীদের মাতৃভাষা বাংলাকে অবদমন করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তাগণ তাদের বক্তব্য রাখেন৷

বাংলাভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদার দাবী আমরা বাঙালীর

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়া,বাংলা সঙ্গীতকে বিকৃত না করা,ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট মান্যতা দিয়ে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করা, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার মাধ্যমে পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা কথা,রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারী ও বেসরকারী নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা বাংলা ভাষায়ও করা প্রভৃতি বিভিন্ন দাবীতে আমরা বাঙালীর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এক স্মারকলিপি দেওয়া হয়৷ স্মারকলিপি পেশে নেতৃত্ব দেন রণজিৎ ঘোষ৷

ত্রিপুরা ঃ উঃ ত্রিপুরায় অসম সীমান্তে চড়ৈবাড়িতে বাহান্নের ভাষা শহীদ স্মরণে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভার শুরুতে শহীদদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত নেতৃবৃন্দ৷ এরপর ভাষা শহীদদের স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন গোপালকৃষ্ণ দেব, কেশব মজুমদার, তপন দেবনাথ, বিভাস দাস, সত্যরঞ্জন দাস, অভিজিৎ দেব প্রমুখ৷ সভাপতি ছিলেন শ্রী দীপক বড়ুয়া৷

আগরতলায় ভাষা-শহীদ স্মরণসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২শে ফেব্রুয়ারী রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ২নং হলে বাহান্নের বাংলা ভাষা শহীদদের স্মরণে স্পান্দনিক শিল্পীগোষ্ঠী ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে এক মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত সে দেশের দ্বিতীয় স্তরের সর্র্বেচ্চ সম্মান একুশে পদকজয়ী সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার ও বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক জনাব মিনার মনসুর, মঙ্গলদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন আই সি এ আর ত্রিপুরা সেন্টারের মৎস্য বিজ্ঞানী ডঃ কৌবেরী নাথ, সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রীরাখাল রাজ দত্ত৷ স্বাগতিক বক্তব্য পেশ করেন স্পান্দনিকের উপদেষ্টা নাট্টভূষন শ্রীমনোরঞ্জন গোপ৷

অনুষ্ঠানে যে দুই জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তারা হলেন বাংলা একাডেমি ত্রিপুরার সাধারণ সচিব কবি ও সাহিত্যিক শ্রী কৃষ্ণকুসুমপাল ও সংগীত---নৃত্য সোসাইটি৷

ত্রিপুরার সম্পাদিকা শ্রীমতি কমলিকা ভট্টাচার্য, প্রধান অতিথির ভাষণে জনাব মিনার মনসুর বলেন বাহান্নের ভাষা আন্দোলনে শুধু বাংলা ভাষারই মর্যাদা রক্ষা করেননি ,পরিনামে বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, নতুন চেতনার সৃষ্টি করেছে এই ভাষা চেতনায় পরবর্তীকালে ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের ভাষা চেতনায় দোলা দিয়েছে৷ ইউনেস্কোর মাধ্যমে ২১ শে ফেব্রুয়ারী দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ব স্বীকৃতি লাভ করেছে৷তাই তাঁর অভিমত হল মাতৃভাষার মর‌্যাদা রক্ষার জন্য যেমন আমাদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে তেমনি বিশ্বের সব ভাষাভাষী মানুষের মাতৃভাষার মর‌্যাদা রক্ষায়ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে৷ স্বাগতিক বক্তা, উদ্বোধক, সম্মাননা প্রাপক ও সভাপতি মহোদয়ের বক্তব্যের নির্যাস---মাতৃভাষা বিপন্ন হলে সংশ্লিষ্ট জাতি যেমন শিক্ষা সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়ে তেমনি মানস আর্থিক শোষণের যাঁতাকলে পরে জাতিসত্তা ধবংস হয়ে যায়৷ এ অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল শিক্ষার মাধ্যম, সংস্কৃতি চর্চা,সরকারি বেসরকারি সব কাজে মাতৃভাষার প্রতিষ্ঠা৷ এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ৬১ সালের ১৯ মে শিলচরে হয়েছিল বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন যাতে ১১ জন বাঙালী নিহত হয়৷ এভাবে বাহান্নোর ভাষা আন্দোলন ত্রিপুরা, অসম তথা ভারতের বিভিন্ন ভাষা প্রেমী মানুষকে নিজ ভাষার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে বারবার উদ্বুদ্ধ করেছে৷ এখন আবার সময় এসেছে ভারতের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তর পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে স্থান করে দেবার জন্য এই লক্ষ্য পূরণে যেকোনো আত্মত্যাগের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য তারা আহ্বান জানান৷ একমাত্র এভাবেই ভাষা শহীদদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জানানো সার্থক বলে তারা মনে করেন৷ সংগীত, নৃত্য পরিবেশন করেন উল্লেখিত স্পান্দনিক শিল্পী গোষ্ঠীর ত্রিপুরা রাজ্য সচিব শ্রীমতি ঝুমুর রায় সহ অন্যান্য শিল্পী বৃন্দ৷