January 2019

বর্ধমান আনন্দমার্গ আশ্রমে নবনির্মিত জাগৃতি ভবনের উদ্বোধন

বর্ধমান ঃ গত ৫ থেকে  ৬ই জানুয়ারী বর্ধমান (বোরহাট) আনন্দমার্গ আশ্রমের জাগৃতির (ধ্যানমন্দির) উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নবনির্মিত জাগৃতিতে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনে আনন্দমার্গের প্রায় ৪০ সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী ও শতাধিক বিশিষ্ট আনন্দমার্গীও উপস্থিত ছিলেন৷ তাছাড়া বহু ভক্ত জনসাধারণ এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য সুদত্তানন্দ অবধূত, আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ সংশুদ্ধা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ নিত্যনবীনা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ মহাব্রতা আচার্যা প্রমুখ৷

মেদিনীপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন ও বস্ত্র বিতরণ

মেদিনীপুর ঃ গত ৪, ৫ জানুয়ারী মেদিনীপুরের কেরাণীটোলা আনন্দমার্গ আশ্রমে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড বাবানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দমার্গের মেদিনীপুরের ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য নিত্যতীর্থানন্দের পরিচালনায় এই অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনান্তে মিলিত সাধনার পর ভক্তি ও কীর্ত্তন মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত ও সেবা ধর্ম মিশনের ভুক্তিপ্রধান শ্রীরমেন্দ্র মাইতি

৫ই জানুয়ারী আনন্দমার্গের স্থানীয় ইয়ূনিটের পক্ষ থেকে পানপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রাদের মধ্যে বই, খাতা, পেন্সিল প্রভৃতি বিতরণ করা হয়৷

৩১শে ডিসেম্বর (২০১৮) আনন্দনগরে পুরোধা প্রমুখের প্রবচনের সারাংশ

পরম চৈতন্য সত্তা  তথা  ব্রহ্ম  থেকে এই সৃষ্টি  হয়েছে৷ প্রকৃতি শক্তির  সত্ত্ব,রজঃ ও তমঃগুণের প্রভাবে  এই সৃষ্টি রচনা হয়েছে,  এই সৃষ্টিতে প্রাণী  ও অপ্রাণী রয়েছে৷ আমরা  যাদের  অপ্রাণী বলে মনে  করি  তারাই  তো চেতনারই রূপান্তরিত যত রূপ৷ প্রতিসঞ্চর  ধারায়  এই জড়  থেকে  চেতনার  বিকাশ  হয়েছে, জড় ধীরে ধীরে  এককোষী প্রাণী হয়ে তা  বিকশিত হয়ে  উদ্ভিদ, কীটপতঙ্গ, পশুপাখী ও মানব হয়েছে৷ এই মানব শরীর পাওয়ার পেছনে  কারণ পরম চৈতন্যের  তথা  ব্রহ্মের  বিকাশ  ঘটেছে এই মানব  শরীরের  মধ্যে৷ মানুষের কর্মৈষণার  পিছনে  রয়েছে  তার  মধ্যে অনেক  বৃত্তি, বৃত্তিগুলিকে  বলা হয় মনের পেশা৷  এই বৃত্তিগুলির  মধ্যে  কিছু বৃত্ত

আনন্দনগরে নোতুন ড্যামের উদ্বোধন

আনন্দ নগরে ডিমডহা ও ঘাগড়া গ্রামদ্বয়ের মধ্যবর্ত্তী স্থানে গুয়াই নামে পাহাড়ী নদী আছে৷ ১৯৯০ সালে এই নদীতে একটি জলবন্ধ তৈরী করা শুরু হয়৷ কিছু অংশ তৈরী হবার পর তৎকালীন সিপিএম বাঁধা দেওয়ার ফলে আর নির্র্মন করা সম্ভব হয় নি৷ তারপর দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১৯১৮ সালে এই পুরানো কাঠামোর ওপরই এই জলবন্ধ বা Dam cum Bridge তৈরী করা হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে৷ ন্যাশানাল ইন্স্যুর্যান্স কেম্পানী ও আনন্দ মার্গ প্রচারক সঙ্ঘের যৌথ আর্থিক সহযোতিায় তৈরী এই জলবন্ধ ও ব্রীজ নিকটবর্ত্তী ডিমডিহা, ঘাগড়া ও ছটকা -তিনটি গ্রামের প্রায় ৩০০০ অধিবাসী উপকৃত হবেন৷ কারণ ভূমিস্তরের নীচে জল না থাকায় এই অঞ্চলে বছরে কেবল বর্ষার সময় একটি চাষই

আনন্দমার্গের  ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার

আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭শে জানুয়ারী আনন্দমার্গের ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার (মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও মুরি ডায়োসিস) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঁকুড়ায়৷ এরপর ১, ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারী কলকাতাতেই (আনন্দমার্গ আশ্রম, ভি.আই.পি বাজার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে কলকাতা, ব্যারাকপুর ও কৃষ্ণনগর ডায়োসিসের ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার৷ আগামী ৮, ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারী দুমকাতে অনুষ্ঠিত হবে বর্ধমান, দুমকা ও হুগলী ডায়োসিসের ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার৷ এরপর আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারী জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও রায়গঞ্জ ডায়োসিসের  ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আলিপুর দুয়ারে৷ এগুলি হ’ল কলকাতা সার্কেলের সেমিনার৷

নদীয়ার বরণবেড়িয়ায় আনন্দ নবদ্বীপ চক্রনেমীর বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ

নদীয়া জেলার অন্তর্গত দত্তপুলিয়ার সন্নিকটে বরণবেড়িয়া গ্রামে ১১ বিঘা জমির ওপর দীর্ঘদিন ধরে ‘‘আনন্দ নবদ্বীপ চক্রণেমী’’ নামে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের একটি মাষ্টার ইয়ূনিট সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে৷ সেখানে খোলা আকাশের নীচে আনন্দমার্গের গুরুকুল পরিচালিত একটি ইংলিশ মিডিয়াম প্রাইমারী স্কুলও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ স্থানীয় অধিবাসীরা আনন্দমার্গের শিক্ষাপদ্ধতিতে অণুপ্রাণিত হয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন৷

কীর্ত্তন

গত ৬ই জানুয়ারী টাটানগর ডায়োসিসের ইষ্ট সিংভূম ভুক্তির অন্তর্গত পটমদা ব্লকের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী পূর্ণচন্দ্র মাহাতর নিজ বাসভবনে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে বহু মার্গী ভাইবোন ছাড়াও বহু মানুষ অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন টাটানগরের ডি.এস.  আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে সকলে মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷

একজিমা

লক্ষণ ঃ ক্ষত থেকে রসস্রবণ, চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও দপদপানির ভাব, প্রতি বৎসরই রোগের পুনরুদয়, রোগজনিত শারীরিক দুর্বলতা ও মধ্যে মধ্যে জ্বর, সময় সময় রোগের অতি প্রকোপের ফলে দেহের অস্থি পর্যন্ত বেরিয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ৷

ধূমপান অতি বিপজ্জনক

যোগাচার্য্য

ধূমপান করা যে কত বিপজ্জনক তা শুনে ধূমপায়ীরা আঁতকে উঠবেন৷ ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব্ ফিজিসিয়ান্স্(Britain's Royal College of Physicians) ধূমপানের কুফল সম্বন্ধে যে সকল সত্য উদ্ঘাটিত করেছেন তা সত্যিই উদ্বেগজনক৷

ধূমপানের বহু মারাত্মক রোগের বহুল প্রমাণ এইসব রিপোর্টে দেখান হয়েছে৷ যেমন ঃ  ফুসফুসে ক্যানসাব, হৃদরো, ব্রঙ্কাইটিস্(Bronchitis) অর্থাৎ শ্বাসনালীর ঝিল্লীর প্রদাহজনিত রোগ বা কফ্ রোগ, পরিপাক যন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ (যেমন ঃ পরিপাকযন্ত্রে ঘা(Peptic ulcer) ইত্যাদি৷

দালমালিপি–একটি নোতুন আবিষ্কার

সম্প্রতি সিংভূম জেলার পটমদা থানার ভূলা–পাবনপুর গ্রামে ও তার পাশেই কমলপুর থানার বাঙ্গুরদা গ্রামে ও তার দক্ষিণ–পশ্চিম দিকে চাণ্ডিল থানার জায়দা গ্রামে জৈন যুগের বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে৷ তার সঙ্গে পাওয়া গেছে সেই যুগের বেশ কিছু বাংলা লিপি৷ এই লিপি অবশ্যই ১৭০০ বছর বা তার চেয়েও কিছু অধিক পুরোনো কারণ ওই সময়টাতেই রাঢ়ে শৈবাশ্রয়ী জৈনধর্মের স্বর্ণযুগ গেছে৷ ভগ্ণ মূর্তিগুলিও সমস্তই দিগম্বর জৈন দেবতাদের৷ যে লিপিমালা পাওয়া গেছে তা শুশুনিয়া লিপির চেয়ে পুরোনো তো বটেই, হর্ষবর্দ্ধনের শীলমোহরে প্রাপ্ত শ্রীহর্ষ লিপির চেয়েও পুরোনো হতে পারে৷ এই লিপি শ্রীহর্ষ লিপির স্বগোত্রীয় কিন্তু শ্রীহর্ষের চেয়েও বেশ পুরোনো৷