December 2024

আগ কঁহা লগী

গদ্গদ  বচ  ঘঞ ঞ্চ গদ্গদবাচ৷ তোমরা অনেক নেতার জ্বালাময়ী বত্তৃণতা প্রাক্–স্বাধীনতাকালে হয়তো শুণেছ৷ তাঁরা ভাষণে আগুন ছুটিয়ে দিতেন, যদিও বক্তব্যে বড় একটা কিছু থাকত না৷ শ্রোতার তলিয়ে ভাবার অবকাশ থাকে না৷ এই ধরণের অভ্যন্তরীণ মূল্যহীন যে ভাষণ তা’ ‘গদ্গদবাচ’৷

একবার বিহারে কোন এক জনসভায় জনৈক নেতা এলেন নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা পরে৷ শ্রোতারা অধীর আগ্রহে কখনো রোদে মুখ পুড়িয়ে, কখনো বা জলে জামা ভিজিয়ে অপেক্ষা করে আছে৷ নেতার আসতে দেরী হ’ল কারণ তিনি একটি দূরবর্ত্তী স্থানের সুলভ শৌচালয়ের ফিতে কাটতে গেছলেন৷

(১) ‘ঘন্‌’ ধাতু+ ‘ড’ প্রত্যয় করে আমরা ‘ঘ’ শব্দ পাই৷ নানান্‌ অর্থে ‘ঘন্‌’ ধাতু ব্যবহৃত হয়-‘আঘাত হানা’, ‘থুড়ে থুড়ে কাটা’ n), ‘হত্যা করা’, ‘টুংটুং মধুর শব্দ করা’, ‘ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেওয়া’, ‘আবরণ দেওয়া’, ‘পুরু করে বিছিয়ে দেওয়া’ প্রভৃতি৷ তাই ‘ঘ’ মানে ‘যে হত্যা করে’ ‘যে আঘাত হানে’, ‘যে থুড়ে থুড়ে কাটে’, ‘ছোট ঘণ্টা’ (ঘণ্টি), ‘হাতে এক সঙ্গে ব্যবহৃত হয়’ ‘এই রকম সরু আকারের চুড়ি’, ‘প্রাচীনকালের মেয়েদের কোমরে ব্যবহৃত চন্দ্রহার’,‘যে কোন কিছুকে ছাড়িয়ে-ছিটিয়ে দেয়’, ‘যে কোন কিছুকে ঢেকে দেয়’ (যেমন-‘মেঘ’), যা পুরু হয়ে বিছিয়ে থাকে (যেমন ‘দুধের সর’)৷

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই ৰাংলায় ব্যবহার করি৷ যার মানে–any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ ৰাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে drinking water বললে তার জন্যে ৰাংলা হবে পানীয় জল বা পানী৷ মনে রাখবে, যে কোন জল

বাঙালী মহিলা সমাজের সম্মেলন

গত ১৭ই ও ১৮ই নভেম্বর উত্তর ২৪পরগণা জেলার বিরাটী মধুমালঞ্চ ভবনে বাঙালী মহিলা সমাজের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে বাঙালীস্তানের ১৫০ জন মহিলা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন৷

১৭ই নভেম্বর সম্মেলনের সূচনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বাঙালী মহিলা সমাজের ভূমিকা ও সংঘটনকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের সভাপতি বীথিকা বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সচিব কল্পনা গিরি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব সাগরিকা পাল ও প্রণতি পাল৷ সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা দুইদিনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন৷

আই.এল.পি নিয়ে আমরা বাঙালীর আবেদনে মনিপুর সরকারকে শীর্ষ আদালতের নোটিশ

মনিপুরে ইনার লাইন পারমিট চালু করা নিয়ে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়৷ সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০শে নভেম্বর শীর্ষ আদালত ইনার লাইন পারমিট বলবৎ নিয়ে মনিপুর সরকারের অবস্থান জানতে চাইল৷ এর আগে ২০২২ সালের ৩রা জানুয়ারী শীর্ষ আদালত নোটিশ জারি করে কেন্দ্র ও মনিপুর সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিল৷ ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও এস.ভি. এন. ভাট্টিকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ মনিপুর সরকারকে আগামী দুমাসের মধ্যে ইনার লাইন পারমিট বলবৎ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিল৷

বাঙালী মহিলা সমাজের সম্মেলন

গত ১৭ই ও ১৮ই নভেম্বর উত্তর ২৪পরগণা জেলার বিরাটী মধুমালঞ্চ ভবনে বাঙালী মহিলা সমাজের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে বাঙালীস্তানের ১৫০ জন মহিলা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন৷

১৭ই নভেম্বর সম্মেলনের সূচনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বাঙালী মহিলা সমাজের ভূমিকা ও সংঘটনকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের সভাপতি বীথিকা বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সচিব কল্পনা গিরি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব সাগরিকা পাল ও প্রণতি পাল৷ সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা দুইদিনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন৷

বনগাঁয় মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ১৭ই নভেম্বর উঃ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মহকুমার নড়াদা গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সুভাষ বৈরাগীর নবনির্মিত ভবনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ সকালে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূতের উপস্থিতিতে সুভাষ বৈরাগীর পরিবার আত্মীয়স্বজন ও উপস্থিত মার্গী ভাইবোনদের নিয়ে নবনির্মিত ভবনে প্রবেশ করেন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান করেন৷

অশান্ত মনিপুর, উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবী আমরা বাঙালীর

গত দেড় বছরের বেশী সময় ধরে মনিপুরে হিংসার আগুন জ্বলছে৷ জাতিদাঙ্গায় পুড়ছে ঘর-বাড়ী পুড়ছে, মরছে মানুষ৷ মনিপুরে ডবল ইঞ্জিন সরকারের শাসন৷ তাই কেন্দ্র নীরব অথচ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সামান্য কারণেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর রিপোর্ট চায়, রাষ্ট্রপতি শাসনের হুমকি দেয়৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বিচারিতা যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বিচারিতা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে৷ আমরা বাঙালী সংগঠনের অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন---দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পার্শবর্তী মণিপুর রাজ্যে যে জাতি দাঙ্গা, গৃহে অগ্ণিসংযোগ,ধর্ষণ, হত্যা ইত্যাদি সংঘটিত হচ্ছে তাতে ‘আমরা বাঙালী’ দল গভীরভাবে

মণিপুর ভাই ভাইকে মারছে

বাংলায় প্রবাদ আছে‘ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে’৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃহত্তম জনগোষ্ঠী বাঙালী ছাড়াও আরও বহু জনজাতি আছে৷ স্বাধীনতার পর থেকেই এই জনজাতিগুলির মধ্যে বাঙালী বিদ্বেষের বিষ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মুনাফা ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠতে কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশীয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷

রামচন্দ্রপুর আনন্দতীর্থে আনন্দমার্গস্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ১৭ই নভেম্বর সন্ধ্যায় মেদিনীপুর ডায়োসিসের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর আনন্দতীর্থে আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জাঁকজমক সহকারে সুসম্পন্ন হল৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সচিব শ্রদ্ধেয় আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন সমাজ সেবী জনপ্রিয় চিকিৎসক ডাঃ অরুণ গিরি মহাশয়৷ সম্মানীয় অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় সমিতির সদস্য প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, কলকাতা থেকে আগত আদর্শপিতা শ্রীনিরঞ্জন দত্ত মহাশয় ও রসায়ন বিজ্ঞানের আদর্শ শিক্ষিকা শ্রীমতী কৃষ্ণা দত্ত মহাশয়া৷ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রাদের পরিবেশিত আনন্দবাণী, বেদমন্