প্রভাতী

কৌশিক খাটুয়ার কবিতা

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

মেঘলা সকাল

বৃষ্টি অকাল

ভারি মজার দেশ,

নাই উত্তাপ

রোদের প্রতাপ

নাই ক্লান্তি ক্লেশ৷

রবির ছুটি

নাই ভ্রুকুটি

শীতল পরিবেশ!

ঝঞ্ঝা ক্ষুদ্ধ

অদ্য প্রভাতে

নাই রবি সাথে

জানিনা কি কাজে মত্ত,

এলোমেলো হাওয়া

কালো মেঘ ছাওয়া

তুফানের ঔদ্ধত্য!

মোসাহেৰ

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

কথায় বলা হয়, খোসামদে পাহাড়ও গলে মাখন হয়ে যায়৷ খোসামদে দুর্বাসা মুনিও গলে যান৷ সেই খোসামদের জন্যে ‘কাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ ‘খোসামদ’ শব্দটি এসেছে ফার্সী ‘খুসামদ’ থেকে৷ অনেকে ‘খুসামদ’–কে মার্জিত রূপ দেবার জন্যে ‘তোষামোদ’ ৰলে থাকেন৷ না, ‘তোষামোদ’ ৰলে কোনো শব্দ নেই৷ শাস্ত্রে ৰলেছে, খোসামদকারী প্রতি মুহূর্তেই প্রতি পদবিক্ষেপেই অধোগতি হয়, কারণ সে প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদবিক্ষেপে কেবল স্বার্থচেতনায় অস্বাভাবিক কাজ করে থাকে৷ আগেকার দিনে রাজাদের বা অবস্থাপন্ন লোকেদের বেতনভুক খোসামদকারী থাকত৷ তাদের ৰলা হত মোসাহেৰ–যারা সৰ সময় নিজেদের কর্ত্তাকে ‘সাহেৰ’, ‘সাহেৰ’ ৰলে তুষ্ট রাখবার চেষ্টা করে৷ আরৰী ব্যাকরণ অনুযায়ী ওই ‘সাহিৰ’ শব্দটির আদিতে ‘মু’ সংযুক্ত করে তাদের ৰলা হয় মুসাহিৰ বা মোসাহেৰ৷ এইভাবে বিভিন্ন গুণের সঙ্গে ব্যষ্টির সংযোগ সাধন করে ক্রিয়া বা বিশেষ্যের আদিতে ‘মু’ যোগ করে আরৰীতে বিভিন্ন শব্দ সৃষ্ট হয়ে থাকে৷ যেমন মুয়াল্লিন, মুয়াজ্জিন (যিনি আজান দেন), মুজাহিদ (যিনি জেহাদ বা ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করেন), মুহাজির (যিনি অন্য দেশ থেকে এসে হাজির হয়েছেন অর্থাৎ রেফিউজী), মুসাফির (যিনি সফর বা ভ্রমণ করে চলেছেন) প্রভৃতি৷ সেই যে মোসাহেৰের একটা গল্প আছে না!

রাজামশায়ের একজন মোসাহেৰ চাই৷ তিনি খৰরের কাগজে যথাৰিধি কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিলেন৷ জানিয়েও দিলেন, ‘‘আবেদনকারীকে দরখাস্তের সঙ্গে ৫০০ টাকার ক্রশ চেক দিতে হৰে যা প্রত্যর্পণযোগ্য নহে৷ হাজারে হাজারে দরখাস্ত এল৷ লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা চলছে৷ রাজামশায় বসে রয়েছেন৷ তাঁর সিংহাসনের বাঁ হাতলটা ধরে ঘাড় বেঁকিয়ে মন্ত্রীমশায় একটু কেতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ এক একজন কর্মপ্রার্থী আসছেন ইন্টারভিউ (সংজ্ঞ–প্রতীতি) দিতে৷

রাজামশায় প্রথম জনকে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘তুমি কি মোসাহেৰের কাজ পারৰে’’

সে ৰললে–‘‘নিশ্চয় পারব, জাঁহাপনা৷’’

রাজামশায় তার নাম খারিজ করে দিলেন৷ দ্বিতীয় কর্মপ্রার্থী এলেন–একজন চালাক–চতুর যুবক.......চোখে মুখে খই ফুটছে৷

রাজামশায় তাকে ৰললেন–‘‘মোসাহেৰের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরু দায়িত্ব! তুমি কি এ কাজ পারৰে’’

কর্মপ্রার্থী ৰললে–‘‘একবার চান্স দিয়ে দেখুন শাহানশাহ্, আমি নিশ্চয় পারৰ৷’’ রাজা তাকেও না–পসীন্দ*(*শব্দটা ফার্সী৷ তাই ‘না–পছন্দ’ না ৰলে ‘না–পসীন্দ’ ৰলাই ৰেশী ভাল৷ তবে এর ৰাংলা রূপ হিসেৰে ‘না–পছন্দ’ও চলতে পারে’৷) করলেন৷ ৰলা বাহুল্য, এরও চাকরী হ’ল না৷

পরের কর্মপ্রার্থীটি খুৰই শিক্ষিত কিন্তু ইন্টারভিউ কেমন হৰে তাই ভেৰে সে পৌষের শীতেও ঘেমে গেছল........রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে সে রাজার সামনে এসে দাঁড়াল৷

রাজামশায় তাকে শুধোলেন–‘‘মোসাহেৰের এই মহান কর্ত্তব্যে তুমি কি সমর্থ’’

উৎসাহের অগ্ণিতে প্রদীপ্ত হয়ে কর্মপ্রার্থীটি ৰললে–‘‘নিশ্চয়ই পারৰ৷ একশ’ বার পারৰ, স্যার......কথা দিচ্ছি স্যার....কেবল একবার একটা চান্স দিন স্যার....ন্দব্ভব্দব্ধ ন্তুড়্ত্রুন্তুন্দ্ব হ্মপ্তন্দ্ব্ত্রব্দন্দ্ব৷’’

রাজামশায় তাকেও বাতিল করে দিলেন৷ এবার যে ছেলেটি এল তার চোখে–মুখে বুদ্ধির ঝলক ছিল কিন্তু প্রজ্ঞার গভীরতা ছিল না৷

রাজামশায় তাকে শুধোলেন–‘‘খোসামদের কাজটা তুমি কি পারৰে’’

সে বললে–‘‘সত্যিই রাজাসাহেৰ, খোসামদের কাজটা আমি কি পারৰ!’’

রাজামশায় ৰললেন–‘‘হ্যাঁ, তবে চেষ্টা করে দেখতে পারো৷’’

সে ৰললে–‘‘হঁ্যাঁ, তবে চেষ্টা করে দেখতে পারি৷’’

রাজামশায় আড়চোখে মন্ত্রীর দিকে চাইলেন৷ মন্ত্রী ৰললেন–‘‘মহারাজ, ইনিই সর্ৰগুণান্বিত, এঁকেই ৰহাল করুন৷ আজকের দিনে ইনিই বিশ্বমানবতার প্রতিভূ......জয়মাল্য পাবার ইনিই অধিকারী৷’’

রাজামশায় প্রার্থীকে ৰললেন–‘‘ৰুঝলে হে, আজ থেকে তোমার চাকরী হ’ল৷’’

তাহলে ৰুঝলে ‘কাণ্ড’ ৰলতে এই খোসামদকে ৰোঝায়৷ সংস্কৃতে কিন্তু মোসাহেৰকে ৰলা হয় ‘বিদূষক’৷ ‘মোসাহেৰ’ অর্থে সীমিত ক্ষেত্রে সংস্কৃতে ‘ভাণ্ড’ শব্দটিও চলত যার থেকে ৰাংলার ‘ভাঁড়’ শব্দটি এসেছে (যেমন–গোপাল ভাঁড়)৷ তবে ‘ভাঁড়’ ৰলতে ক্লাউনকেও ৰোঝায়৷ ‘‘আর ‘ভাঁড়ামি’ করতে হবে না’’–এমন কথা যখন আমরা বলে থাকি তখন কিন্তু সেটা ‘ভাণ্ড’ বা ‘ভাঁড়’ থেকে আসছে না, আসছে ‘ভণ্ড’ থেকে অর্থাৎ ভণ্ডামি অর্থে ‘ভাঁড়ামি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে৷

স্বাধীনতার কালে বাঙালী আগুন জ্বালে

লেখক
শিবরাম চক্রবর্ত্তী

বীর বাঙালী বাঘাযতীন,

প্রফুল্ল, বাদল, দীনেশ, বিনয়

মাতঙ্গিনীর মতো বহু

বীরঙ্গনা নারী বাঙলায় জন্মায়৷

এরা সবাই বাঙালীয়ানায়

বড়ো হয়ে শেষ কালে

ভারতস্বাধীন করার লাগি

লড়াই করেন সমানতালে৷

মারের মুখে কেউ বা পড়েন

কেউ বা নারীর সতীত্ব খুইয়ে,

বন্দেমাতরম্‌ ধবনি তুলে

ভারতমাতায় যায় জয় গেয়ে৷

এরা বাঙালীর ঘরে ঘরে

পেয়ে নারীর খুব মর্যাদা

চিরদিনের জপমালায়

বাঙালীর ভাবে থাকবে বাধা৷

১৭

মিলন মেলা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বিশালতা ভরে মন

কি বা রণন...

তাপস বসি সদা

ভাবে সারাক্ষণ

তপোবন, তপোবন৷

কিবা ধ্যানে যোগীগণ

মাধুরীতে ভরি মন

কার সনে কহে কথা

জাগি অনুক্ষণ

তপোবন, তপোবন!

সুর লয়ে তুলি তান

করি কার অভিধ্যান

পথ বেয়ে চলে ওই

যত গোপীগণ

তপোবন, তপোবন!

ভুলি সব দিনক্ষণ

করি সব একপ্রাণ

প্রীতি উৎসবে মাতে

মার্মিক জীবন

তপোবন, তপোবন!

তোমার কৃপাধারা

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

যন্ত্রণা বহন করে চলা, আরেক যন্ত্রণা,

সে যন্ত্রণা গোপন করা,দ্বিগুণ যন্ত্রণা৷

তবু যন্ত্রণা কাতর হাসি হতাশারই প্রকাশ,

যন্ত্রণা লাঘব করার এক বিফল প্রয়াস৷

 

মহামূল্য এ যাতনা ভরা থাক মনে,

না প্রকাশিয়া সর্বজনে, রাখি সঙ্গোপনে৷

অভাগার শেষ সম্বল, দুফোঁটা অশ্রুজল,

হলে নিঃশেষ তাও, চিত্ত হয় দূর্বল৷

 

চাপা যন্ত্রণা সযতনে রাখা স্রষ্টার তরে,

নিভৃতে শ্রীচরণে অভিমানে ফেটে পড়ে!

সে যাতনা অনুভব করি তারিয়ে তারিয়ে,

অন্তরে জাগত পিতা দুহাত বাড়িয়ে৷

যন্ত্রণা সহিবার হেথা চরম সার্থকতা,

গভীর আনন্দ রূপ দিলেন বিধাতা৷

 

সমব্যাথি দয়া করে থাকো তুমি দূরে,

প্রেম-ডালি নিয়ে বিধি জাগত অন্তঃপুরে৷

যাতনা-সৃষ্ট আনন্দ, আনে জীবনের ছন্দ,

অভিমানে বিস্ফোরণ, সেতো মহানন্দ!

এখনো রয়েছে হাসি, তাই জাগ্রত আশা,

শিরে বরাভয়ের কৃপা হস্ত,

আছে ভালোবাসা৷

যন্ত্রণা আসে যায়, ভরা ভূবনে,

যন্ত্রণা তাঁর লীলা, যেন থাকে মনে৷

 

যবে একে একে প্রিয়জন দূরে যায় চলে,

হৃদাকাশ ভারাক্রান্ত জমাট বাদলে৷

তবু ছিন্ন সূত্রের পরেও অচ্ছেদ্য বন্ধনে,

আবদ্ধ দ্বৈত সত্তা----------

আত্মা ও পরমাত্মা৷

মোসাহেৰ

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

কথায় বলা হয়, খোসামদে পাহাড়ও গলে মাখন হয়ে যায়৷ খোসামদে দুর্বাসা মুনিও গলে যান৷ সেই খোসামদের জন্যে ‘কাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ ‘খোসামদ’ শব্দটি এসেছে ফার্সী ‘খুসামদ’ থেকে৷ অনেকে ‘খুসামদ’–কে মার্জিত রূপ দেবার জন্যে ‘তোষামোদ’ ৰলে থাকেন৷ না, ‘তোষামোদ’ ৰলে কোনো শব্দ নেই৷ শাস্ত্রে ৰলেছে, খোসামদকারী প্রতি মুহূর্তেই প্রতি পদবিক্ষেপেই অধোগতি হয়, কারণ সে প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদবিক্ষেপে কেবল স্বার্থচেতনায় অস্বাভাবিক কাজ করে থাকে৷ আগেকার দিনে রাজাদের বা অবস্থাপন্ন লোকেদের বেতনভুক খোসামদকারী থাকত৷ তাদের ৰলা হত মোসাহেৰ–যারা সৰ সময় নিজেদের কর্ত্তাকে ‘সাহেৰ’, ‘সাহেৰ’ ৰলে তুষ্ট রাখবার চেষ্টা করে৷ আরৰী ব্যাকরণ অনুযায়ী ওই ‘সাহিৰ’ শব্দটির আদিতে ‘মু’ সংযুক্ত করে তাদের ৰলা হয় মুসাহিৰ বা মোসাহেৰ৷ এইভাবে বিভিন্ন গুণের সঙ্গে ব্যষ্টির সংযোগ সাধন করে ক্রিয়া বা বিশেষ্যের আদিতে ‘মু’ যোগ করে আরৰীতে বিভিন্ন শব্দ সৃষ্ট হয়ে থাকে৷ যেমন মুয়াল্লিন, মুয়াজ্জিন (যিনি আজান দেন), মুজাহিদ (যিনি জেহাদ বা ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করেন), মুহাজির (যিনি অন্য দেশ থেকে এসে হাজির হয়েছেন অর্থাৎ রেফিউজী), মুসাফির (যিনি সফর বা ভ্রমণ করে চলেছেন) প্রভৃতি৷ সেই যে মোসাহেৰের একটা গল্প আছে না!

রাজামশায়ের একজন মোসাহেৰ চাই৷ তিনি খৰরের কাগজে যথাৰিধি কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিলেন৷ জানিয়েও দিলেন, ‘‘আবেদনকারীকে দরখাস্তের সঙ্গে ৫০০ টাকার ক্রশ চেক দিতে হৰে যা প্রত্যর্পণযোগ্য নহে৷ হাজারে হাজারে দরখাস্ত এল৷ লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা চলছে৷ রাজামশায় বসে রয়েছেন৷ তাঁর সিংহাসনের বাঁ হাতলটা ধরে ঘাড় বেঁকিয়ে মন্ত্রীমশায় একটু কেতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ এক একজন কর্মপ্রার্থী আসছেন ইন্টারভিউ (সংজ্ঞ–প্রতীতি) দিতে৷

রাজামশায় প্রথম জনকে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘তুমি কি মোসাহেৰের কাজ পারৰে’’

সে ৰললে–‘‘নিশ্চয় পারব, জাঁহাপনা৷’’

রাজামশায় তার নাম খারিজ করে দিলেন৷ দ্বিতীয় কর্মপ্রার্থী এলেন–একজন চালাক–চতুর যুবক.......চোখে মুখে খই ফুটছে৷

রাজামশায় তাকে ৰললেন–‘‘মোসাহেৰের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরু দায়িত্ব! তুমি কি এ কাজ পারৰে’’

কর্মপ্রার্থী ৰললে–‘‘একবার চান্স দিয়ে দেখুন শাহানশাহ্, আমি নিশ্চয় পারৰ৷’’ রাজা তাকেও না–পসীন্দ*(*শব্দটা ফার্সী৷ তাই ‘না–পছন্দ’ না ৰলে ‘না–পসীন্দ’ ৰলাই ৰেশী ভাল৷ তবে এর ৰাংলা রূপ হিসেৰে ‘না–পছন্দ’ও চলতে পারে’৷) করলেন৷ ৰলা বাহুল্য, এরও চাকরী হ’ল না৷

পরের কর্মপ্রার্থীটি খুৰই শিক্ষিত কিন্তু ইন্টারভিউ কেমন হৰে তাই ভেৰে সে পৌষের শীতেও ঘেমে গেছল........রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে সে রাজার সামনে এসে দাঁড়াল৷

রাজামশায় তাকে শুধোলেন–‘‘মোসাহেৰের এই মহান কর্ত্তব্যে তুমি কি সমর্থ’’

উৎসাহের অগ্ণিতে প্রদীপ্ত হয়ে কর্মপ্রার্থীটি ৰললে–‘‘নিশ্চয়ই পারৰ৷ একশ’ বার পারৰ, স্যার......কথা দিচ্ছি স্যার....কেবল একবার একটা চান্স দিন স্যার....ন্দব্ভব্দব্ধ ন্তুড়্ত্রুন্তুন্দ্ব হ্মপ্তন্দ্ব্ত্রব্দন্দ্ব৷’’

রাজামশায় তাকেও বাতিল করে দিলেন৷ এবার যে ছেলেটি এল তার চোখে–মুখে বুদ্ধির ঝলক ছিল কিন্তু প্রজ্ঞার গভীরতা ছিল না৷

রাজামশায় তাকে শুধোলেন–‘‘খোসামদের কাজটা তুমি কি পারৰে’’

সে বললে–‘‘সত্যিই রাজাসাহেৰ, খোসামদের কাজটা আমি কি পারৰ!’’

রাজামশায় ৰললেন–‘‘হ্যাঁ, তবে চেষ্টা করে দেখতে পারো৷’’

সে ৰললে–‘‘হঁ্যাঁ, তবে চেষ্টা করে দেখতে পারি৷’’

রাজামশায় আড়চোখে মন্ত্রীর দিকে চাইলেন৷ মন্ত্রী ৰললেন–‘‘মহারাজ, ইনিই সর্ৰগুণান্বিত, এঁকেই ৰহাল করুন৷ আজকের দিনে ইনিই বিশ্বমানবতার প্রতিভূ......জয়মাল্য পাবার ইনিই অধিকারী৷’’

রাজামশায় প্রার্থীকে ৰললেন–‘‘ৰুঝলে হে, আজ থেকে তোমার চাকরী হ’ল৷’’

তাহলে ৰুঝলে ‘কাণ্ড’ ৰলতে এই খোসামদকে ৰোঝায়৷ সংস্কৃতে কিন্তু মোসাহেৰকে ৰলা হয় ‘বিদূষক’৷ ‘মোসাহেৰ’ অর্থে সীমিত ক্ষেত্রে সংস্কৃতে ‘ভাণ্ড’ শব্দটিও চলত যার থেকে ৰাংলার ‘ভাঁড়’ শব্দটি এসেছে (যেমন–গোপাল ভাঁড়)৷ তবে ‘ভাঁড়’ ৰলতে ক্লাউনকেও ৰোঝায়৷ ‘‘আর ‘ভাঁড়ামি’ করতে হবে না’’–এমন কথা যখন আমরা বলে থাকি তখন কিন্তু সেটা ‘ভাণ্ড’ বা ‘ভাঁড়’ থেকে আসছে না, আসছে ‘ভণ্ড’ থেকে অর্থাৎ ভণ্ডামি অর্থে ‘ভাঁড়ামি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে৷

মিলন মেলা

লেখক
আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বিশালতা ভরে মন

কি বা রণন...

তাপস বসি সদা

ভাবে সারাক্ষণ

তপোবন, তপোবন৷

কিবা ধ্যানে যোগীগণ

মাধুরীতে ভরি মন

কার সনে কহে কথা

জাগি অনুক্ষণ

তপোবন, তপোবন!

সুর লয়ে তুলি তান

করি কার অভিধ্যান

পথ বেয়ে চলে ওই

যত গোপীগণ

তপোবন, তপোবন!

ভুলি সব দিনক্ষণ

করি সব একপ্রাণ

প্রীতি উৎসবে মাতে

মার্মিক জীবন

তপোবন, তপোবন!

স্বাধীনতার কালে বাঙালী আগুন জ্বালে

লেখক
শিবরাম চক্রবর্ত্তী

বীর বাঙালী বাঘাযতীন,

প্রফুল্ল, বাদল, দীনেশ, বিনয়

মাতঙ্গিনীর মতো বহু

বীরঙ্গনা নারী বাঙলায় জন্মায়৷

এরা সবাই বাঙালীয়ানায়

বড়ো হয়ে শেষ কালে

ভারতস্বাধীন করার লাগি

লড়াই করেন সমানতালে৷

মারের মুখে কেউ বা পড়েন

কেউ বা নারীর সতীত্ব খুইয়ে,

বন্দেমাতরম্‌ ধবনি তুলে

ভারতমাতায় যায় জয় গেয়ে৷

এরা বাঙালীর ঘরে ঘরে

পেয়ে নারীর খুব মর্যাদা

চিরদিনের জপমালায়

বাঙালীর ভাবে থাকবে বাধা৷

তোমার কৃপাধারা

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

যন্ত্রণা বহন করে চলা, আরেক যন্ত্রণা,

সে যন্ত্রণা গোপন করা,দ্বিগুণ যন্ত্রণা৷

তবু যন্ত্রণা কাতর হাসি হতাশারই প্রকাশ,

যন্ত্রণা লাঘব করার এক বিফল প্রয়াস৷

 

মহামূল্য এ যাতনা ভরা থাক মনে,

না প্রকাশিয়া সর্বজনে, রাখি সঙ্গোপনে৷

অভাগার শেষ সম্বল, দুফোঁটা অশ্রুজল,

হলে নিঃশেষ তাও, চিত্ত হয় দূর্বল৷

 

চাপা যন্ত্রণা সযতনে রাখা স্রষ্টার তরে,

নিভৃতে শ্রীচরণে অভিমানে ফেটে পড়ে!

সে যাতনা অনুভব করি তারিয়ে তারিয়ে,

অন্তরে জাগত পিতা দুহাত বাড়িয়ে৷

যন্ত্রণা সহিবার হেথা চরম সার্থকতা,

গভীর আনন্দ রূপ দিলেন বিধাতা৷

 

সমব্যাথি দয়া করে থাকো তুমি দূরে,

প্রেম-ডালি নিয়ে বিধি জাগত অন্তঃপুরে৷

যাতনা-সৃষ্ট আনন্দ, আনে জীবনের ছন্দ,

অভিমানে বিস্ফোরণ, সেতো মহানন্দ!

এখনো রয়েছে হাসি, তাই জাগ্রত আশা,

শিরে বরাভয়ের কৃপা হস্ত,

আছে ভালোবাসা৷

যন্ত্রণা আসে যায়, ভরা ভূবনে,

যন্ত্রণা তাঁর লীলা, যেন থাকে মনে৷

 

যবে একে একে প্রিয়জন দূরে যায় চলে,

হৃদাকাশ ভারাক্রান্ত জমাট বাদলে৷

তবু ছিন্ন সূত্রের পরেও অচ্ছেদ্য বন্ধনে,

আবদ্ধ দ্বৈত সত্তা----------

আত্মা ও পরমাত্মা৷

‘কাঁচা বেঁশো হ্যাংলামি

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

‘ক্রুড্’ ধাতুর একটি অর্থ ‘হ্যাংলামি করা’ বা ‘ন্যালা খ্যাপামি করা’ –কাঁচা বাঁশের মত হ্যাংলামি বা ন্যালা খ্যাপামি যা শুণলেই বোঝা যায়, দেখলেই ধরা যায় অথবা এমনও কেউ কেউ থাকে যারা ধরা পড়বার জন্যেই এই রকম হ্যাংলামি বা ন্যালাখ্যাপামি করে থাকে৷ যেমন নেম্তন্ন বাড়ীতে তোমার আরও কয়েকটা রসগোল্লা খাবার ইচ্ছে হল৷ তুমি পাশের ভদ্রলোকটির পাত দেখিয়ে বললে......ও দাদা, এদিকে, এদিকে, এঁর পাতে কয়েকটা রসগোল্লা দিন৷

রসগোল্লা পরিবেশনকারী কাছে এলে তাকে বললে–আমায় আর দেওয়া কেন! আমার পাতে পরে দেবেন (আসলে পরিবেশনকারী তাকে দিতে আসেন নি, এসেছিলেন পাশের লোকটিকে দিতে)৷ পরিবেশনকারী দিতে গেলে বললে–না, আমার আর চাই না, পেট ভরে গেছে৷ আবার হ্যাংলামি করে বললে–তা দেবেন যখন অন্ততঃ চারটে দিন৷ একগণ্ডার কমে কি ভাল দেখায়! এতে পরিবেশনকারী বুঝে নিলেন, যিনি পরিবেশনকারীকে ডেকেছিলেন তাঁরই রসগোল্লা দরকার......আর চারটে দরকার৷ এই ধরণের হ্যাংলামির জন্যে ক্রুড/ক্রুড়, শব্দটি চলবে৷ চলবে ক্রুূযৎ ঞ্চ ক্রড্য শব্দটিও (ক্রুড়া হয় না)৷ একবার দেখেছিলুম জনৈকা মহিলা–তিনি ছিলেন একজন মস্তবড় অফিসারের মাতাঠাকুরাণী–একজন মধ্যবিত্তের বাড়ীতে গিয়ে তার লক্লকে লাউগাছটি দেখে বলেছিলেন–লাউ–এর ডগাগুলো ভারী সুন্দর দেখাচ্ছে তো৷ পোস্ত–বাটার সঙ্গে লাউডগা সেদ্ধ খেতে খুব ভাল লাগে৷ চাকরটাকে রোজই বাজারে পাঠাই৷ এসে বলে বাজারে আজকাল লাউডগা পাওয়া যাচ্ছে না৷ লাউডগা–পোস্ত সেই যে কোন মান্ধাতার আমলে খেয়েছিলুম, আজও যেন জিবে লেগে আছে৷ লাউ–ডগার মালিক কি আর করেন! মহিলার সঙ্গে কিছু লাউডগা পাঠিয়ে দিলেন৷ যাই হোক, এই কাঁচাবেঁশো হ্যাংলামি ভালভাবেই বুঝলে৷ সুতরাং ওই হ্যাংলা মহিলা হচ্ছেন ‘ক্রুড্যা’৷

আমার পরিচিত ভোলা মোড়লের ভাল রকমের বেগুনের চাষ ছিল৷ বর্ষার শেষে একদিন সে তার বেগুনবাড়ী থেকে বছরের প্রথম ফসলটি তুলে নিয়ে বাড়ীর দিকে যাচ্ছিল৷ আশা করেছিল, বর্ধমানের বাজারে নতুন মুক্তকেশী বেগুনের ভালই দর পাবে........তার একটু টেনেটুনে সংসার চলত৷ রাস্তায় সে পড়ে গেল হরু ভটচাজের খপ্পরে৷ হরু ভট্চাজ্ বললে–কি রে ভোলা, আজকাল তোর দেমাগে যে মাটিতে পা–ই পড়ে না৷ বামুন–বোষ্টমের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি হারালে ফল কি ভাল হয় জানিস তো মাথার ওপর নারায়ণ রয়েছেন৷ তিনি আমাকেও দেখছেন, তোকেও দেখছেন, বেগুনগুলোকেও দেখছেন৷ যাই হোক, বেগুনগুলো বেশ তেল কুচকুচে৷ কম আঁাঁচে পোড়াতে গেলে গায়ে তেলও মাখাতে হবে না৷ তা তু’ এক কাজ কর গা৷ আমাকে বেগুনগুলো দিতে হবে না৷ তু’ ওগুলো পুড়িয়ে যেন আমার প্রসাদ খাচ্ছিস ভেবে নিজেই খা গা যা৷ ভোলা মোড়ল আর কি করে! তার বুকের পাঁজর–ভাঙ্গা আট–দশটা বেগুন হরু ভটচাজকে দিয়ে দিলে৷ এই হরু ভটচাজ ছিল একটি নির্ভেজাল ‘ক্রুডা’৷

কোন একটা বিয়ে বাড়ীতে ভিয়েন বসেছে৷ অনিমন্ত্রিত পুণ্ডরীকাক্ষ ভট্টাচার্য্য হঠাৎ সেখানে পৌঁছে গেলেন৷ পুণ্ডু ভট্চাজ্ ছিলেন আমাদেরই বর্ধমান জেলার পুতুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দে৷ মস্ত বড় ভিয়েন, কলকাতা থেকে বাছাইকরা হালুইকারেরা এসেছে৷

পুণ্ডু ভটচাজ্ বললেন–খাওয়াদাওয়ায় আমার তেমন আগ্রহ নেই৷ কিন্তু রান্নাবান্না দেখতে বড্ড ভালবাসি.....সেই ছোটবেলাকার স্বভাব৷

সবাই বললে–এসো, এসো, বসো, বসো৷ দেখো, কেমন খাবার তৈরী হচ্ছে৷

দেখে বোঝা গেল হালুইকারেরা খুব উন্নত মানের চমচম (সংস্কৃতে ‘চম্’ ধাতু হ’ল গোগ্রাসে গিলে খাওয়া৷ একপক্ষের সৈন্য অন্য পক্ষের দেশে গিয়ে সব কিছুকে গোগ্রাসে গিলে খায়৷ এই অর্থে চম্ ধাতুূউস্ প্রত্যয় করে ‘চম্’ শব্দটি পাচ্ছি৷ ‘চমু’ মানে সৈন্যবাহিনী৷ ‘চমূড্ণ্’ করে ‘চম্’ শব্দটি পাচ্ছি, অর্থাৎ যা দেখে গোগ্রাসে গিলে খেতে লোকের ইচ্ছে হয়৷) তৈরী করছে৷ পুণ্ডু ভট্চাজ্ আর নোলা সামলাতে পারছে না৷ প্রাণে আকুতি জেগেছে, চমচম একেবারে খোলা থেকে নোলায় চলে আসুক৷ সে তখন স্বগতভাবে বললে, (বললে এমন ভাবে যাতে আর পাঁচটা লোকের বধির কর্ণেও তা প্রবেশ করে)–এককালে চমচম খেতে খুবই ভালবাসতুম৷ কবে সেই খেয়েছিলুম.......বাহাৰপুরের ঘোষেদের বাড়ীতে৷ এখনও যেন ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারছি না৷ মন বারে বারে সেই চমচমে ফিরে যেতে চায়৷ এখন দু’চারটে চাখতে পারতুম কিন্তু সন্ধ্যে হয় হয়৷ সন্ধ্যে আহ্ণিক না করে খাই বা কি করে– তিন কাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে–সে কথাও ভুলি কি করে৷

হালুইকারেরা বললে–সন্ধ্যে হতে এখনও একটু দেরী আছে৷

পুণ্ডু ভটচায্ আকাশের দিকে তাকিয়ে বললে–হ্যাঁ মনে হয় আধঘন্টাটাক সময় আছে৷

হালুইকারেরা বললে–তৰে দুটো সন্দেশ চেখেই দেখুন৷ আমার মনে হয় গণ্ডাখানেক চেখে নিয়ে হাত মুখ ধুয়ে ফেলাও সম্ভব৷

হালুইকারেরা কি আর করে! পুণ্ডু ভট্চাজ্কে একটা শাল পাতায় মুড়ে চারটে চমচম দিলে৷ এও সেই কাঁচা বেঁশো হ্যাংলামি৷ পুণ্ডুরীকাক্ষ ভট্টাচার্য হলেন একটি ডাকসাইটে ‘ক্রুড্ড’৷ যাই হোক, তোমরা ‘ক্রুড্’ ধাতুর রকমারি ব্যবহার দেখলে তো৷    (শব্দ চয়নিকা)

নামের উৎপত্তি হালিশহর

লেখক
প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

অনেকের ধারণা, হালিশহরের আগের নাম ছিল হাবেলি শহর৷ ‘হাবেলিশহর’ নাম মুসলমান যুগের৷ ‘হাবেলিশহর’ নামের অপভ্রংশ হালিশহর৷ উর্দূভাষায় হাবেলী অর্থে দালান, অট্টালিকা বা প্রাসাদ বোঝায়৷ অট্টালিকা বহুল নগরী ছিল বলে ‘হালিশহর’ নাম৷

শ্রীচৈতন্য গয়াতে ঈশ্বরপুরীর কাছে মন্ত্র দীক্ষা নিয়ে ছিলেন৷ এই ঈশ্বরপুরীর জন্মস্থান হালিশহর৷ হালিশহরে ঈশ্বর পুরীর বাস্তুভিটাই ‘চৈতন্য ডোবা’ নামে খ্যাত৷ এই হালিশহরে শ্রীবাস পণ্ডিতও বসবাস করতেন৷ পদাবলী রচয়িতা বাসুদেব ঘোষ, কীর্ত্তনীয়া মাধব ও গোবিন্দনন্দও থাকতেন হালিশহরে৷ চৈতণ্যের সময় থেকেই হালিশহরে বৈষ্ণবধর্ম বিস্তার লাভ করে৷ ঈশ্বরপুরীর স্মৃতিমন্দির, ‘চৈতন্য ডোবা’, শ্রীবাসের আবাস, চৌধুরী পাড়ার শ্যাম রায়, ঠাকুর পাড়ার রাধাগোবিন্দ, মল্লিক বাড়ির মদনমোহন ইত্যাদি বৈষ্ণব দেবদেবী বৈষ্ণব ধর্ম চর্চার নিদর্শন৷ তার আগে এখানে জঙ্গলের মধ্যে ও শ্মশানে বামাচারী তন্ত্র সাধক কাপালিক ও নামপন্থী শৈব যোগীদের শক্তি সাধনার আস্থানা ছিল৷ পরবর্ত্তী অনেক শাক্তধর্মী, বৈষ্ণবধর্ম গ্রহণ করেছিলেন৷

হালিশহরে যে এককালে শাক্তধর্ম প্রসার লাভ করেছিল জীর্ণ শিব মন্দিরগুলি আজো তার নির্দশনরূপে বিদ্যামান৷ অনেক মন্দিরে শিবলিঙ্গও প্রতিষ্ঠিত আছে৷ শিব ছাড়াও আরো অনেক শক্তি দেবীর পূজা হতো৷ যেমন, বালিঘাটার সিদ্ধেশ্বরী দেবী, অকিঞ্চন ব্রহ্মাচারী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত খাস বাটীর শ্যামা সুন্দরী, শ্মশান ঘাটের শ্মশানকালী ইত্যাদি৷ কার্ত্তিক গণেশের পূজাও এখানে হতো৷

এছাড়া লৌকিক দেবদেবীদের পূজার প্রচলনও ছিল৷ ঝাঁপান, চড়কপূজা, ব্রহ্মপূজা, শীতলাপূজা, পবন দেবের পূজা ইত্যাদি লৌকিক ধর্মানুষ্ঠান, মুসলমানযুগের আগে থেকেই শুরু হয়েছে৷ শাক্তধর্মের ঢেউ এসেছে তারপরে৷ তার ওপরে এসেছে বৈষ্ণবধর্মের বন্যা৷

১৯৫০ সালের আগে সাবর্ণ চৌধুরীদের আদিপুরুষ ‘পাঁচুশক্তি খান’ হাবেলি শহর পরগণার কর্তৃত্ব লাভ করেন৷ তিনি বিক্রমপুর থেকে বৈদ্যপরিবার, কোন্নগরের কায়স্থ পরিবার ইত্যাদি এনে ‘হালিশহর সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন৷ তারপর থেকে অনেক পণ্ডিত বংশ এখানে বসবাস করতে শুরু করেন৷ আইন-ই আকবরীতে সরকার সাতগাঁ-র অন্তর্গত পরগণার মধ্যে ‘হাবেলীশহরের নাম পাওয়া যায়৷ যাইহোক, বহু প্রাচীন শহর এই হালিশহর৷ একাধারে শাক্তধর্মের পীঠস্থান ও বহু স্মৃতিবিজড়িত এই শহরে৷