August 2018

দেশভাগের বিনিময়ে  স্বাধীনতাপ্রাপ্তি নামক  বিষবৃক্ষের একটি বিষাক্ত ফল এন.আর.সি.

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতের স্বাধীনতা লাভের সাতদশক পরেও  সুপ্রাচীন বাঙালী জনগোষ্ঠীর ভাগ্যাকাশে নোতুন ক’রে কালো মেঘের ঘনঘটা,  আবার একবার  উদ্বাস্তু হওয়ার অশনি সংকেত--- যার প্রেক্ষাপট রচনা করেছে অসমের ‘‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জী’’ বা এন.আর.সি৷ ভারতের স্বাধীনতার ৭১তম  বর্ষপূর্ত্তির প্রাক্কালে ৩০শে জুলাই ২০১৮  প্রকাশিত হল অসমের  চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জী  বা এন.আর.সি-র খসড়া যেখানে বাদ পড়েছে ৪০,০৭,৭০৭ জনের নাম  যার বৃহদংশই বাঙালী৷  সরকারী আমলা শ্রীযুক্ত প্রতীক  হাজেলার নেতৃত্বাধীন  এন.আর.সি কর্তৃপক্ষের  বয়ান অনুযায়ী---পূর্র্ণঙ্গ নাগরিকপঞ্জী আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে  প্রকাশিত হবে ও  তার আগে বাদ যাওয়া নামগুলি অন্তর্ভূক্ত

পশুপতি, বীরেশ্বর ও মহাদেব

আজকাল কিছু কিছু দ্ধিজীবী জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রগতি সম্পর্কে আলোচনায় মুখর৷ প্রথমতঃ, প্রগতি জিনিসটা সরলরেখায় চলে না৷ প্রগতি ব্যাপারটা হ’ল সংকোচ বিকাশী ও ছন্দায়িত৷ দ্বিতীয়তঃ, মনে রাখতে হবে যে প্রগতির গতি স্থানবিশেষে ও ক্ষেত্র অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়৷ কোন্ ক্ষেত্রে প্রগতি ঘটছে, তদনুযায়ী প্রগতির গতি  পরিবর্তিত হয়৷

কৃষি বিপ্লব

কোন দেশের অর্থনীতির বিকাশ নির্ভর করে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের সামবায়িক শ্রমদানের ওপর৷ এই কারণেই প্রাচীন গৃহস্থালী অর্থনীতি থেকে ধীরে ধীরে শ্রমবিভাজন অবস্থার উদ্ভব হয়৷ শ্রমিক, কর্ষক, ছুতোর, কামার, স্বর্ণকার, কুমার, বৈদ্য, কেরাণী প্রভৃতি প্রতেক্যের কার্যের মূল্যই অর্থনীতির সামূহিক বিকাশে সমান৷ প্রাচীন ভারতের অর্থনীতিতে সামবায়িক প্রচেষ্ট-ভিত্তিক ব্যবস্থার জন্যে এক স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি বিদ্যমান ছিল৷ বৈদিক যুগে ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বর্ণাশ্রমের ওপর ভিত্তি গড়ে উঠেছিল ও এই চতুবর্ণ নিজ নিজ কর্ম সুষ্ঠু ভাবে করে যেত৷ একটি বিশেষ শাখা কৃষিকাজ করতে, বাকীরা করতো অন্য কাজ ৷ সাই মিলে আজকার মতো কৃষিক্ষেত্

স্বাধীনতার ভাবনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আগামী ১৫ই আগষ্ট আমরা ভারতবর্ষের ৭২-তম  স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চলেছি৷ আজ আমাদের আত্মসমীক্ষা করতে হবে৷ আমরা কী এই স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা রাখতে পেরেছি? বা প্রকৃত অর্থে আমাদের দেশবাসী কতখানি স্বাধীনতা উপভোগ করতে পেরেছে৷

অসমে বাঙালী বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন

সত্যসন্ধ দেব

গত ৩০শে জুলাই অসমে নাগরিকপঞ্জীর (এন.আর.সি) চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হল৷ তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়েছে৷ আবার আবেদন নিবেদনের জটিল প্রক্রিয়ায় সুযোগের কথা বলা  হলেও তারপরেও যে লক্ষ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়বে তাতে কারুর কোনো সন্দেহ নেই অর্থাৎ এককথায় তারা সরাসরি বিদেশী বলে চিহ্ণিত হবে৷  তাদের এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই! বাঙলাদেশও তাদের নিতে অস্বীকার করেছে৷ অগত্যা ডিটেনশন ক্যাম্প নামক নরকের যন্ত্রণা তাদের ভোগ করতে হবে৷ অসমের  জেলা-কারাগারগুলির এগুলি হলো বর্ধিত অংশ৷

শব্দ দূষণের ক্ষমতা

জিজ্ঞাসু

শহুরে জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্য---যান্ত্রিক জীবন, দেহ-মানসিক অজ্ঞতা, মনোযোগ আকর্ষণ করার অহংমন্যতা, জেদাজেদির প্রতিযোগিতা, অন্যকে আচমকা ভয় দেখিয়ে হীরো হবার প্রবণতা৷ আর, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুভ্যাসগ্রস্ত মানুষেরা মানসিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগেন৷ এজন্য সমাজের বিরুদ্ধে একটা গোপন ঘৃণা ও প্রতিহিংসার ইচ্ছা তাদের মনের গভীরে থাকেই৷ রাত দিনের যে কোনো সময় খেলা বা পূজো বা যে কোনো ধর্মীয় উৎসবের বাহানা দেখিয়ে প্রচণ্ড আওয়াজের ডি জে সাউন্ড সিস্টেম অথবা মধ্যরাতে ঢাকের বাজনা বা ভয়ংকর শব্দ বাজী ফাটিয়ে ওরা সেই প্রতিশোধ ন্যায়৷ আর ওই কাজের সাথে যুক্ত থাকা মানুষগুলি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে ওই বিশেষ সময়ে কম বা বেশি , শব্

অখণ্ড কীর্ত্তন

রামচন্দ্রপুর ঃ ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত  রামচন্দ্রপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে গত ৪ঠা আগষ্ট দুপুর  আড়াইটা  থেকে ৫ই আগষ্ট আড়াইটা পর্যন্ত  ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখণ্ডকীর্ত্তন  অনুষ্ঠিত হয়৷  একই সঙ্গে  বিনামূল্যে দন্ত চিকিৎসা শিবির ও বৃক্ষরোপণ  অনুষ্ঠানের  আয়োজন  করা হয়৷ মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে  বহু আনন্দমার্গী  ও অন্যান্য ভক্তবৃন্দ এই অখণ্ড কীর্ত্তনে  যোগদান করেন৷  কীর্ত্তন, সমবেত  ধ্যান, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের  পর আনন্দমার্গের  আদর্শ ও ভক্তিতত্ত্ব নিয়ে  বক্তব্য রাখেন  আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত  ও অবধূতিকা  আনন্দমধুপর্র্ণ আচার্যা৷  সবশেষে  সদাব্রত  অনুষ্ঠানে  পাঁচ  শত

আনন্দমার্গ  স্কুলের  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ৪ই অগাষ্ট বাঁকুড়ার প্রতাপবাগান আনন্দমার্গ স্কুলের  বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷  উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমের প্রবীণ  সন্ন্যাসী আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  ছিলেন পঙ্কজ সরকার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রী সাধন ঘোষ৷ এই অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা  কবিতা, ছড়া ,আবৃত্তি, প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্যানুষ্ঠান  করে ও সবশেষে ‘ধর্মের জয়’ নাটকটি পরিবেশন করে৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন  আনন্দমার্গ স্কুলের প্রিন্সিপাল আচার্য শুদ্ধানন্দ অবধূত৷

শিউড়িতে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ৩,৪ ও ৫ই আগষ্ট আনন্দমার্গের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ ৩রা আগষ্ট তিনঘন্টাব্যাপী অখন্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তনের মধ্যে দিয়ে সেমিনারের শুভ সূচনা করা হয়৷ সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী  শ্রী অনিল কুমার পাত্র, বীরভূম জেলার এস.ডি.এম-এর ভুক্তিপ্রধান শ্রী মানবেন্দ্রনাথ ঘোষাল ও সেমিনারের মুখ্য প্রশিক্ষক আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত৷ সেমিনারের প্রথম দিন আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধূত ‘সংগ্রামে বৈপরীত্যং’ ও ‘ব্রহ্মসদ্ভাব’ বিষয়ের উপর  সংক্ষেপে আলোকপাত করেন৷ আচার্য  পরবিদ্যানন্দ অবধূত  আনন্দমার্গের সাংঘটনিক বিষয়ের উপর বিশদভাবে আলোচনা করেন৷ অবধূতিকা আনন্দ চিতিসুধ