August 2021

সারা ভারতের সমাজগুলিকে বাঁচাতে বিকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক আন্দোলন জরুরী

প্রভাত খাঁ

প্রথমেই বলি সংবিধানের নির্দ্দেশ মতাবেক ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে৷ কিন্তু এখানকার কেন্দ্রীয় শাসকগণ দেখা গেছে যে সেটাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে ছলবল কৌশলে৷ কেন্দ্রের শাসক রাজ্যের সরকারকে ভেঙ্গে দিয়ে নিজেদের অধীনে এনে শাসন ক্ষমতা কায়েম করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পদদলিত করে৷ পূর্বতন কংগ্রেস সরকার এর নজির রেখে গেছে৷ কংগ্রেসের দেখানো পথেই বর্তমান সরকার হাঁটছে৷ তাই এই শাসন ব্যবস্থায়ও দেশবাসী সন্তুষ্ট নয়৷ এদের আর্থিক সংস্কার নীতিও জনগণকে পথে বসিয়েছে৷ তাছাড়া বিদেশী তাড়ানোর নামে যা কান্ড করছে সেটা মানবতাকে ও গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করে সাম্প্রদায়িকতাকে সামনে রেখে৷ ধর্ম নিরপ

বাংলা ভাষা আন্দোলনে মানভূম-জননী-লাবণ্যপ্রভা

মনোতোষ কুমার মণ্ডল

স্বাধীনোত্তর ভারত৷ ১৯৫৬ সাল৷ ২০শে এপ্রিল পুরুলিয়া জেলার পুঞ্ঝা থানান্তর্গত পাকবিড়রা গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল ৩০০কিলোমিটার ব্যাপী এক বিশাল শোভাযাত্রা৷ এতে যোগ দিয়েছিলেন ১০ মহিলাসহ ১০০৫ জন পদযাত্রী৷  নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লোকসেবক সংঘের সভাপতি শ্রী অতুল চন্দ্র ঘোষ৷ ১০ মহিলাকে উৎসাহিত করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অতুলচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের সহধর্মীণী ‘শ্রীমতী লাবণ্যপ্রভা ঘোষ’৷ মানভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনে লাবণ্যপ্রভার অতুলনীয় যোগদান অবিস্মরণীয়৷ মানভূমের সহজ সরল মানুষ শ্রদ্ধা সহকারে  লাবণ্যপ্রভা দেবীকে মা বলে ডাকতেন৷  তাঁর মাতৃসুলভ ব্যবহার মানভূমের মানুষকে আপন করে নিয়েছিল৷ মানভূমের মানুষের সুখে দুঃখে তিনি ছিলে

নিপীড়িত মানবতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে ছাত্রযুবদের

তপোময় বিশ্বাসআই

আই এফ এল ওয়েলথ হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিষ্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর অতিমারি করোনায় লকডাউনের পরে ঘন্টা কোটি কোটি টাকার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু নামী কোম্পানিগুলির৷ এই সময়কালে ভারতের  বড় বড় পুঁজিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েই চলেছে৷

বাঙালী আর কত কাল ঘুমিয়ে থাকবে?

এইচ.এন.মাহাতো

ত্রিপুরার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বিশ্বের জাঠ ও পঞ্জাবিদের জাতীয়তা বোধ দেখে আমি ব্যষ্টিগতভাবে গর্ববোধ করছি৷ এর পিছনে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ধারণাটি হলো ভারতের  স্বাধীনতায় বাঙালীর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি পঞ্জাবিদের অবদানও কম নয়, অন্যদিকে ভারতের স্বাধীনতায় রাজনৈতিকভাবে বিভাজন হয়েছিল এই দুটি রাজ্য৷ ভারত ভাগের  বলি হওয়া পঞ্জাবিদের পূর্নবাসন হয়েছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা উত্তরখণ্ডের একটি লাগোয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে৷ এরফলে তাদের  ভাষা সংস্কৃতি ও জাত্যভিমান রক্ষা করতে অন্যের ওপর নির্ভরশীল  হতে হয়নি৷ অন্যদিকে অর্থনৈতিক পূর্ণবাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কোন খামতি ছি

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ৪ঠা অগাষ্ট ২০২১ বারাসতে নিজ বাসভবনে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী গীতা বিশ্বাসের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল৷

পৌরহিত্য করেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা৷ কীর্তন পরিবেশন করেন--- অবধূতিকা নীতিশুধা আচার্যা, আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ স্মৃতিচারণ করেন স্থানীয় বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী স্বপন দাশ, মোহন অধিকারী, আচার্য রবীশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা ও শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে তপোময় বিশ্বাস৷ সমস্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাস৷

মার্গীয়বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ২৮শে জুলাই অসম রাজ্যের নগাও জেলার আমবাগান নিবাসী শান্তি দত্ত ও শ্রীমতি শিলা দত্তের পুত্র চন্দন দত্তের সহিত কার্বিয়ালং জেলার ভিকু নিবাসী পদ্ম রায় ও দীপিকা রায়ের কন্যা সুপ্রিয়ার শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত  হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি মতে৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২রা জুলাই আনন্দনগর জেলাডি গ্রামে ছয় ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে নারী জাতির আধ্যাত্মিক অনুশীলনে  গুরুত্ব বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন অবধূতিকা আনন্দ অতিশা আচার্যা

পরিবেশ রক্ষায় বন সৃজন

গত ১লা আগষ্ট আনন্দনগর ফার্ম ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে আনন্দনগর সংলগ্ণ কাশীডি ও বাঁশগড়ের নিকটবর্তী গ্রামের ১৮৫টি পরিবারকে  আম, পেয়ারা ও কাঁঠালের উচ্চ ফলনশীল চারাগাছ বিতরণ করা হয়৷

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য রবিশানন্দ অবধূতের প্রচেষ্টায় আনন্দনগর সংলগ্ণ ডামরুঘুটুতে আদর্শ গ্রাম উন্নয়ণের কাজ চলছে৷ সেই উপলক্ষ্যে গত ২৭ শে জুলাই বন সৃজনের  জন্যে গ্রামবাসীদের হাতে আম,জাম, কাঁটাল ইত্যাদি ফলের চারাগাছ তুলে দেন আচার্য রবিশানন্দ অবধূত৷