August 2023

নব্যমানবতাবাদের ৩ সোপান

মানুষ চলতে শুরু করেছে যখন, নিজের কথাটা যতটা ভেবেছে, অন্যের কথাটা ততটা ভাবেনি৷ অন্য মানুষের কথাও ভাবেনি, আর মনুষ্যেতর জীব জন্তুর কথাও ভাবেনি,গাছপালার কথাও ভাবেনি৷ অথচ একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে দেখা যাবে যে, নিজের কাছে নিজের অস্তিত্ব যতটা প্রিয়, প্রত্যেকের কাছে তাদের নিজের নিজের অস্তিত্ব ততটাই প্রিয়৷ আর সব জীবের এই নিজ অস্তিত্বপ্রিয়তাকে যথাযোগ্য মূল্য না দিলে সামগ্রিক ভাবে মানবিকতার বিকাশ অসম্ভব৷ মানুষ যদি ব্যষ্টি বা পরিবার,জাত বা গোষ্ঠীর কথা ভাবলো, সামগ্রিক ভাবে মানুষের কথা না ভাবলো–সেটা অবশ্যই ক্ষতিকর৷ কিন্তু মানুষ যদি সামগ্রিকভাবে জীবজগৎ, উদ্ভিদ জগতের কথা না ভাবলো সেটা কি ক্ষতিকর নয় মানবিকতা

দায় কার!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি মনিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরান ও উত্তরপ্রদেশে যুবকের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া, দুই বালককে বোতলে প্রস্রাব ভোরে জোর করে খাওয়ানো--- এ সমাজ কোথায় চলেছে! মনুষ্য নামধারী দ্বিপদ জীবের এ কেমন আচরণ! মানব আধারে এই পাশবিকতার দায় কার? সমাজ কোন পথে চলেছে৷ এ থেকে পরিত্রাণের পথ কি?

গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরছে দলতন্ত্র

পত্রিকা প্রতিনিধি

বর্তমানে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের চরম দুর্দ্দশা দেখে সেই বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিকের কথা মনে পড়ে তিনিMischife of Party Spirit প্রবন্ধে বলে গেছেনIt is pernicious to the last degree অর্র্থৎ দলীয় প্রবণতা হলো শেষ পর্য্যন্ত অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷ কারণ দলীয় মতামতটা অন্য দল সহ্য করতে পারে না৷ তাই ইংল্যাণ্ডে ‘‘ন্যাড়া মাথার’’ দলের সমর্থকগণ পোপের দলের সমর্থকদের ঘৃণার চোখে দেখতো আর তাদের পোপের কুকুর অর্থাৎ ‘‘পপীশ্‌ক্যার’’ আর পোপের সমর্থকগণ ন্যাড়া মাথার দলের লোকদের বলতো দেশীয় কুকুর অর্থাৎ সংগ্রেল ডগ্‌’৷

আনন্দমার্গের সেমিনার

কলকাতা ঃ গত ৫ ও ৬ই আগষ্ট,২৩ তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে কলকাতা ডায়োসিস স্তরে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ দু’দিন ব্যাপী সেমিনারে আনন্দমার্গ  দর্শনে আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীমতি সুনন্দা সাহা৷ তাঁকে সহযোগিতা করেন ডায়োসিস সচিব আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷

শ্যামনগরে মার্গগুরুদেবের পদার্পণ দিবস পালন

গত ২০শে জুলাই উঃ২৪পরগণা জেলার শ্যামনগর আনন্দমার্গস্কুলে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৫৪তম পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৬৯ সালে ২০শে জুলাই পরমশ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ধর্মমহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে এসেছিলেন৷ সেখানে ২০-২২শে জুলাই পর্যন্ত ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হয়৷ এই তিনদিন তিনি শ্যামনগরে অবস্থান করেছিলেন৷

লামডিং-এ পদার্পণ দিবস

গত ২৯শে জুলাই লামডিং-এর কালীবাড়ি পুকুর পাড় কলোনীর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশেষ চক্রবর্তীর বাসভবনে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণ দিবস উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর কীর্ত্তন মহিমার ও আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাবুল দেব ও রত্না দে৷ এই উপলক্ষ্যে শতাধিক মার্গী ভাইবোন উপস্থিত ছিলেন৷

 

মান্যতা পেল আমরা বাঙালীর দীর্ঘদিনের দাবী

তপোময় বিশ্বাস

 ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের সব বোর্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলা ভাষার পঠনপাঠন বাধ্যতামূলক করা হলো বলে দাবী করছেন সংঘটনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস৷ গত ৭ই আগষ্ট,২৩ পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভায় বাঙলার সমস্ত বিদ্যালয়ে, ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয়েও বাংলা ভাষার পঠনপাঠন বাধ্যতামূলক ভাবে পড়ানোর আইন পাশ হয়৷ দীর্ঘ বছর যাবৎ আমরা বাঙালী দলকে বাঙলার সমস্ত বিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো আবশ্যিকতার দাবীতে লড়াই করতে দেখা গেছে৷ সরকার তাদের দাবী মেনে নেওয়াতে খুশি সংঘটনের কর্মী-সমর্থকরা৷ কলকাতা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তপোময় বিশ্বাস বলেন---স্বাধীনতা পরবর্তী বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের

বন্যার কবলে বাংলাদেশ

কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে৷ বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন রকমের  ত্রাণ, ওষুধ ও জরুরি জিনিসপত্র বিলির কাজে অংশ নেয়৷ বিলির কাজে অংশ নেবে সেনা৷ সেনার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসছে, ততক্ষণ মোতায়েন থাকবে সেনা৷ চট্টগ্রাম ও বান্দরবান ছাড়া অন্য এলাকাতেও বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে সেনাবাহিনী৷

আমরা বাঙালীর পূর্বমেদিনীপুর জেলা সম্মেলন

গত ৬ই আগষ্ট,২৩ আমরা বাঙালীর পূর্বমেদিনীপুর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কোলাঘাট পাওয়ার হাউসের সন্নিকটে রাক্সাচকে৷ সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে৷

বিজ্ঞানের দুই গবেষকের অমরত্ব প্রত্যাশা

স্পানিশ ভবিষ্যচিন্তক হোসে লুইস কর্দেরো ও ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ ডেভিড উড বছর পাঁচেক আগে ‘দ্য ডেথ অব ডেথ’ নামে একটি  বই লিখেছিলেন৷  অতিমারি পার করে গত মাসেই প্রকাশিত হয়েছে সেটির আন্তর্জাতিক সংস্করণ৷ আর নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা৷ বিশ্বজুড়ে গবেষণাক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষণার ঝোঁক বিচার করে কর্দেরো ও উডের পর্যবেক্ষণ, জরাকে রোগ হিসাবে বিবেচনা করা শুরু হয়েছে৷ তবে সেই বালাই কাটিয়ে ফেলা সময়ের অপেক্ষা৷ তাঁদের মতে, ন্যানো টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন করে কলা কোষ তৈরীর পদ্ধতি, স্টেম সেল চিকিৎসা, অর্গ্যান প্রিন্টিং, ঠাণ্ডায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের প্রযুক্তি আর জেনেটিক থেরাপির অগ্রগতি ২০৪৫ সালের মধ্যেই  সভ্যতা