December 2024

শোক সংবাদ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী

টাটুয়াড়া গ্রাম নিবাসী দীর্ঘদিনের পুরনো মার্গী স্বর্গীয় মুরুলী কুমার গত ৩রা অক্টোবর’২৪ পাঞ্চ ভৌতিক শরীর ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন৷ তাঁর ইচ্ছানুসারে মধ্য আনন্দনগর ‘বেলাবলয়’ শ্মশানে আনন্দমার্গ চর্যচর্য বিধানুসারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিষ্পন্ন হয়৷

আনন্দনগর ভ্রমণ

১২-১৫ অক্টোবর’২৪ নরওয়ের দুই জন ও পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর মগরা থেকে পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দনগর ভ্রমণে আসেন৷ আনন্দনগরের প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, তন্ত্রপীঠ, শিক্ষা, সেবা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখেন৷

 নরওয়ে থেকে আসা মার্গীভাইরা মূলতঃ আনন্দনগরের তন্ত্রপীঠগুলিতে আধ্যাত্মিক অনুশীলন তথা গভীর সাধনা করতে আন্তরিকভাবে খুবই আগ্রহী৷ আনন্দনগরের বিভিন্ন তন্ত্রপীঠগুলিতে সাধনা করে আধ্যাত্মিক তরঙ্গ উপলব্ধি করেন৷

বেলামুতে স্কুল নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে

১৬ই অক্টোবর’২৪ স্থানীয় মার্গীভাইদের সহায়তায় বেলামু পাহাড়ের দক্ষিণে তলদেশে বেলামু মৌজায় আনন্দমার্গ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্যে মাটি সমান করার কাজ চলছে৷

পাশেই রয়েছে স্বপ্ণেশ্বর বন্দোপাধ্যায় ত্রিকোণ সেঞ্চুয়ারীর জন্যে নির্দিষ্ট জমি৷ এই সেঞ্চুয়ারী লজ্জাবতী সরণি, চৌধুরী সরণি ও আস্তিক সরণি দ্বারা বেষ্টিত থাকবে৷ মৃতপ্রায় পাখিদের আশ্রয়স্থল, বিলুপ্তির পথে যেসব পাখি, জীবজন্তু ও জলজ প্রাণী তাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্যে হবে৷

অসাধু উদ্দেশ্যে পূর্ব আনন্দনগরে পাখি শিকার

গত ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪-এর সকালে পূর্ব আনন্দনগরের সিংঘাঘরা মৌজায়LFT ট্রেনিং সেন্টারের নিকটবর্তী এলাকায়, সম্ভবত নীচু বাগলতা গ্রামের কিছু ব্যষ্টি জাল পেতে পাখি শিকার করছে৷ উদ্দেশ্য, পাখির মাংস ভক্ষণ ও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়৷ গতকালও তারা একইভাবে শিকার করেছিল৷ আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সতর্ক করা হয়েছিল ও অনুরোধ করা হয়েছিল শিকার বন্ধ করতে, কিন্তু তারা কোনও কর্ণপাত করেনি৷ ঘটনাটি সম্পর্কে সরকারি কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছিল৷ তারা জানিয়েছিলেন যে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে শিকার বন্ধ করার জন্য৷ তবে বাস্তবে এর কোনও ফল দেখা যাচ্ছে না, কারণ গত ১৫ই অক্টোবরের সকালে, তারা পূর্বের মতোই একই স্থানে জাল পেতে পাখি

মহাপ্রয়াণ দিবস পালন

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবক্তা ও প্রবর্তক, ধর্মগুরু ও সমাজ গুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৯০ সালের ২১ অক্টোবর তাঁর পার্থিব শরীর ত্যাগ করে সকল ভক্ত হৃদয়ে বিরাজমান৷ প্রতি বৎসরের ন্যায় ২১শে অক্টোবর’২৪ আনন্দনগর ‘বাবা স্মৃতি শৌধে’ তিন ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের মাধ্যমে পালন করা হয়৷

আনন্দনগরে সবুজায়ন

সারা বিশ্ব আজ উষ্ণায়নের আতঙ্কে কাঁপছে৷ পৃথিবীর জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে৷ কোথাও খরা, বৃষ্টিহীনতা, জলের জন্য হাহাকার আবার কোথাও অতিবৃষ্টি, কোথাও অনিয়মিত বৃষ্টি৷

আনন্দনগরে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ প্রকল্প

বিশ্বব্যাপী জলসংকটের ভয়াবহ পরিণতি উপলব্ধি করে, গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বহু পূর্বেই বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়ো -জনীয়তা নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন ছোট ছোট বাঁধ, পুকুর ও সায়র খননের মাধ্যমে বৃষ্টির জল ধরে রাখার ও তা কার্যকরভাবে ব্যবহারের৷ জলসংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে, আশির দশকের গোড়া থেকেই তিনি বনসৃজন ও জল সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন৷ আনন্দনগরের প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে একটি সায়র সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি৷ সায়রের জল ধারণ ক্ষমতার (গ্যালন) ওপর ভিত্তি করে সেখানে নানা ধরনের গাছ ও জলজ উদ্ভিদ রোপণের নির্দেশ দেন৷ যেমন, সায়রের জলে লোমা Loma) অথবা ওয়াপা Wapa) প

আনন্দনগরের মাধুর্যে মনোমুগ্দ

গত ২১-২২ অক্টোবর ২০২৪, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস, কলোরাডো ও নিউইয়র্ক থেকে আগত মার্গীবোনেরা এই প্রথম ভারতবর্ষের পবিত্র ভূমি আনন্দনগর দর্শন করতে আসেন৷ আনন্দনগরের কীর্ত্তন আর তন্ত্রপীঠে সাধনার ফলে তাঁদের অন্তর পরিপূর্ণ ও উদ্বেলিত হয়ে ওঠে৷ তাঁরা অস্থিপাহাড়ের ডাইনোসরের জীবাস্ম, অস্থি সায়রের দৃশ্যপট (অস্থিড্যাম), মাল্টা ও মোসাম্বির সুপরিকল্পিত চাষাবাদ, উমানিবাস গার্লস চিল্ড্রেন্স হোম, গার্লস প্রাউটিষ্ট ভবন, বাবা স্মৃতিসৌধ, বাবা স্মৃতিসৌধ জলাধার, নবচক্র গুহা, মৃত আগ্ণেয়গিরি সাথে অন্যান্য সেবামূলক প্রকল্প ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে মুগ্দ হন৷

কামুখাপে শারদোৎসব উদযাপন

১০-১১ অক্টোবর’২৪ আনন্দনগর ডায়োসিসের ব্লক কার্যালয় জয়পুরের সন্নিকটে কামুখাপে স্থানীয় চিকিৎসক শ্রী বিজয় মাহাতোর পরিচালনায় ৭ম তম মহাষ্টমী শারদোৎসব উপলক্ষ্যে ২৪ঘণ্টা অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন ‘বাবা নাম কেবলম’, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা, নিঃশুল্ক চিকিৎসা শিবির, দুঃস্থদের কম্বল বিতরণ, নারায়ণ সেবা, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়৷ আধ্যাত্মিক ও সেবামূলক কাজে দুই সহস্রাধিক মানুষ উপকৃত হন৷ কীর্ত্তনের আধ্যাত্মিক তরঙ্গে উপস্থিত সকলকে উদ্বেলিত করে দেয়৷

দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ

১০-১১ই অক্টোবর’২৪ শারদীয় উৎসব উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ গার্ল হাইস্কুলের পক্ষ থেকে ২০ জন দুঃস্থ মহিলাকে ও চিৎমু ডোমপাড়ায় দুঃস্থ শিশু ও কিশোরীদের ‘ওরাও আনন্দ করুক’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় পঞ্চাশ জনকে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়৷