সংবাদ দর্পণ

ইংল্যান্ডের সমস্ত স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক৷ একটি ভিডিয়োয় এই ঘোষণা করেন তিনি৷ মোবাইলের উপরে বিধিনিষেধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্কুলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ফোন৷ ব্যাহত হয় পঠনপাঠন৷ সরকারি নির্দেশিকায় বিষয়টিতে নজরদারির জন্য প্রধানশিক্ষকের উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷

এ ক্ষেত্রে নানা উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে৷ পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে ফোন না নিয়ে আসে তা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে৷ আবার কেউ ফোন আনলে তা যাতে লকারে সুরক্ষিত ভাবে রাখা যায়, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে, ক্লাস চলাকালীন যেন কেউ যাতে ফোন ব্যবহার না করে কিংবা ফোনের আওয়াজে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়৷ শিক্ষামন্ত্রী স্কুলে পড়াশোনার ধারাবাহিকতার উপরে জোর দিয়েছেন৷

মোবাইল ফোন কী ভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটায়, তা বোঝাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সুনক৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি যখনই কিছু বলতে যাচ্ছেন, বার বার বেজে উঠছে ফোন৷ সুনক বলেছেন, ‘‘প্রায় এক তৃতীয়াংশ পড়ুয়া জানিয়েছে, ফোনের জন্য কী ভাবে তাদের পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটে৷ অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই ফোনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷ যার ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনার পরিবেশের উন্নতি ঘটেছে৷ এ বার নতুন করে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হল৷ যাতে সব স্কুলই এই বিষয়টি মেনে চলে৷ ছাত্রছাত্রীদের যে শিক্ষা প্রয়োজন, তা যেন সকলে পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই আমরা৷’’

তবে সুনকের এই ভিডিয়োর সমালোচনা করেছেন অনেকেই৷ কারও কারও মন্তব্য, ‘‘খুবই দুর্বল অভিনয় দক্ষতা৷’’ বিরোধী লেবার পার্টিও ওই ভিডিয়োকে ব্যঙ্গ করে একই ধরনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনক কিছু বলতে যাচ্ছেন কিন্তু বার বার ফোনে নোটিফিকেশন আসছে৷ কখনও ব্রিটেনে আর্থিক মন্দার খবর আবার কখনও অভিবাসন কিংবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা সংক্রান্ত বার্তাও আসছে ফোনে৷

আধার রাজনীতি---রাজ্যের চাপে পিছু হটলো আধার অথরিটি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আধার কার্ড বাতিলের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন৷ এই নিয়ে ১৯শে ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠিও লেখেন৷ কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্যের আধার কার্ড বাতিল হওয়া বেশ কিছু ব্যষ্টির কাছে বার্র্ত আসে আধার আপডেট হওয়ার৷ ৭২ ঘন্টার পরeaadhar.uidai.gov in থেকে আধার ডাউনলোড করা যাবে৷

কোন কারণ না দেখিয়ে আধার বাতিলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর মনভাবে বিজেপির রাজ্য নেতারা দিশেহারা হয়ে এক একজন একরকম মন্তব্য করতে থাকেন৷ সামনে লোকসভা নির্বাচন৷ বিপদ বুঝে পিছু হটলো কেন্দ্রীয় সরকার৷ আধার নিয়ে এই হঠকারিতার কোন কারণ কারো কাছেই বোধগম্য নয়৷ আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় বা সক্রিয় করতে হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন৷ প্রয়োজনীয় পরিচয় পত্র বা তথ্য না থাকলে তবেই আধার বাতিল করা যায়৷ কিন্তু এক্ষেত্রে তথ্য যাচাই না করেই আধার বাতিল করা সক্রিয় করা হয়েছে৷ সমগ্র প্রক্রিয়াটাই আধারের ব্যাঙ্গালোরের ডেটাবেস থেকে করা হয়েছে৷ বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দাবী ও অসার৷ তাঁর দাবী ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের পর যারা এদেশে এসেছে তাদের আধার বাতিল হচ্ছে৷ কিন্তু আধার যাদের বাতিল হয়েছে তারা ২০০০ সালের অনেক আগেই এদেশের বাসিন্দা হয়ে জন্মেছে

‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান মঞ্চে শহীদ বেদীতে ভাষা শহীদদের উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন আমরা বাঙালীর উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সদস্য-সদস্যাবৃন্দ৷ অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷ এরপর স্পান্দনিক গোষ্ঠীর সদস্য সদস্যাগণ ভাষা সম্পর্কিত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ পথ সভায় নেতৃবৃন্দ ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷

শিলিগুড়ি ও গুয়াহাটিতে আনন্দমার্গের সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬,১৭ ও ১৮ই ফেব্রুয়ারী,২০২৪ দার্জিলিং জেলার আনন্দমার্গ আশ্রমে ও গুয়াহাটির আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই আলোচনা সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল --- আদর্শ মানুষের জীবনচর্চা কেমন হওয়া উচিত, বুদ্ধির মুক্তি, প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি, পাপস্য কারণত্রয়ম্‌৷ শিলিগুড়ির আলোচনা সভায় মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত ও গুয়াহাটির আলোচনা সভায় মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত৷

তিনদিনের এই সেমিনারের উভয় স্থানেই ৯ই ফেব্রুয়ারী সকালে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর প্রত্যহ দার্শনিক তত্ত্ব আলোচনার পাশাপাশি কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, আসন অভ্যাস, কীর্ত্তন পরিক্রমা, শোভাযাত্রা সহকারে পথ পরিক্রমার মাধ্যমে আনন্দমার্গের আদর্শ বাহিরে সমাজে পৌঁছে দেওয়া হয়৷

ভ্রম সংশোধন---গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় সেমিনার সংক্রান্ত সংবাদে ভূলক্রমে শিলচর সেমিনারে লেখা হয়েছে৷ এখানে শিলচরের পরিবর্তে হোজাই হবে৷

২১শের ভাষা শহীদ স্মরণে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বাঙালীস্তান জুড়ে জেলায় জেলায় আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ‘‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’’ পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, উত্তর চবিবশ পরগণা, দক্ষিণ চবিবশ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, ঝাড়খণ্ডের টাটানগর, বোকারো, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়৷ ‘‘আমরা বাঙালী’’ কেন্দ্রীয় কমিটির’’ পক্ষ থেকে মূল অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতার বাগবাজার বাটার মোড়ে৷ এই দিন সকালে উত্তর চবিবশ পরগণার জেলার বারাসাত ও কাকিনাড়ায় ‘আমরা বাঙালী’র স্থানীয় শাখার পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ভাষা শহীদ দিবস পালন করা হয়৷ বারাসাতের অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন যুবনেতা তপোময় বিশ্বাস ও স্থানীয় শাখার কর্মীবৃন্দ৷ বারাসাত স্টেশনের সামনে একুশের শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত সকলে৷ কাকিনাড়ার অনুষ্ঠানে নেতৃত্বে ছিলেন জয়ন্ত দাশ অরূপ মজুমদার, গৌতম মণ্ডল, সাগরিকা পাল প্রমুখ৷ এছাড়া নৈহাটি ব্যারাকপুর প্রভৃতি স্থানেও আমরা বাঙালী কর্মীরা ভাষা দিবস পালন করে যথাচিত মর্যাদার সঙ্গে৷ কেন্দ্রীয় নেতা জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা ও মোহন অধিকারী ঝাড়খণ্ডের টাটানগরে ভাষা শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

এই দিন অপরাহ্ণে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী জেলার আমরা বাঙালী সংঘটনের কর্মীরা কলকাতা, বাগবাজার বাটার মোড়ে সমবেত হয় শোভাযাত্রা সহকারে, এখানে উপস্থিত ছিলেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ৷

দক্ষিণ কোরিয়ায় সন্তান জন্মালেই পুরস্কার ৬২ লাখ টাকা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সন্তান জন্মালেই ৬২ লক্ষ! দক্ষিণ কোরিয়ায় কেন এমন ঘোষণা করল সংস্থা?

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থা ঘোষণা করেছে, কর্মীরা কেউ সন্তানের জন্ম দিলে ১ কোটি কোরিয়ান ওয়ান উপহার হিসাবে পাবেন৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৬২ লক্ষ টাকা৷

সন্তান জন্মালেই কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবে সংস্থা৷ এমনই ঘোষণা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে৷ কর্মীদের সন্তান পালনে উৎসাহ দিতেই এমন ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার নামী নির্মাণ সংস্থা বুয়ং গ্রুপ৷ সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে তারা ঘোষণা করেছে, ওই সংস্থায় কর্মরত যে কোনও কর্মী সন্তানের জন্ম দিলে পাবেন ১ কোটি কোরিয়ান ওয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় যা সাড়ে ৬২ লক্ষ টাকার সমান৷ কোনও কর্মী যদি একাধিক সন্তানের জন্ম দেন, তবে প্রতি বারই তিনি ওই পরিমাণ টাকা সংস্থার কাছ থেকে উপহার হিসাবে পাবেন৷ পুরুষ বা মহিলা, যে কোনও কর্মীর ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে৷

সংস্থার ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ওই সংস্থার কর্মীদের সন্তানের সংখ্যা একত্রে ৭০ হলে তাঁদের মধ্যে ৭ কোটি কোরিয়ান ওয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা) সমান ভাগে বিলিয়ে দেওয়া হবে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা কমছে৷ তা বৃদ্ধি করতেই কর্মীদের সন্তান ধারণে উৎসাহ দিচ্ছে ওই সংস্থাটি৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার চোখে পড়ার মতো কমে গিয়েছে৷ এই মুহূর্তে দেশটির জন্মহার মাত্র ০.৭৮ শতাংশ৷ বিশ্বের আর কোনও দেশে জন্মহার এত কম নয়৷ পরিসংখ্যান আরও বলছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ০.৬৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার কমে আসার নেপথ্যে অন্যতম কারণ অর্থনীতি৷ দেশের জনগণ সঞ্চয়ী হয়ে উঠেছে৷ সন্তান পালন করার দায়িত্ব কেউ নিতে চাইছেন না৷ সেই কারণেই জনসংখ্যা কমে এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা৷ উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়া৷ তার পাশেই চিন৷ চিনের অর্থনীতিতেও কিন্তু একই রকমের সঙ্কট দেখা দিয়েছে৷ জন্মহার কমেছে চিনেও৷ সেখানে জনগণের মধ্যে বিয়ে করে সংসার পাতার প্রবণতাই কমে এসেছে৷ সন্তানের জন্মও দিতে চাইছেন না অনেকে৷ সরকারের তরফে এ বিষয়ে জনগণকে নানা ভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে৷

 

‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে গবেষণায় সফল রানিগঞ্জের বঙ্গসন্তান তন্ময়

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

কৃষ্ণ গহ্বর বা ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে গবেষণায় সফল হয়েছেন রানিগঞ্জের ভূমিপুত্র৷ কৃষ্ণ গহ্বর সিগনাস এক্স-১-এর পোলারাইজেশন মাপায় সাফল্য পেয়েছেন তন্ময় চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বিজ্ঞানী ও তাঁর দল৷ আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তন্ময় জানান, গত প্রায় ৪০ বছর ধরে চেষ্টা হলেও এই কাজ এর আগে করা যায়নি৷ তাঁদের এই সাফল্যে কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে গবেষণা আরও এগোবে৷

রানিগঞ্জ স্কুলপাড়ার বাসিন্দা তন্ময় পড়াশোনা করেছেন রানিগঞ্জ বয়েজ হাই স্কুলে৷ তার পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা৷ ২০১১ সাল থেকে কাজ করেছেন ভারতের অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস টেলিস্কোপ অ্যাস্ট্রোস্যাট-এর উপরে৷ বর্তমানে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বিভাগের বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত৷ সেখানে নাসার ‘ফিউচার ্যস্ট্রোনমিক্যাল স্পেস টেলিস্কোপ মিশন’-এ কাজ করছেন৷

তন্ময় জানান, অ্যাস্ট্রোস্যাটের সিজেডটিআই যন্ত্র দিয়ে কৃষ্ণ গহ্বরের পোলারাইজেশন মাপা খুব কঠিন কাজ৷ এক্স-রে বা গামা রশ্মিতে পোলারাইজেশন মাপা বেশ শক্ত৷ এই কাজের পদ্ধতি তৈরি ও তার উন্নয়ন নিয়ে গত প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি৷ এই প্রথম তাঁরা এই কৃষ্ণ গহ্বরের পোলারাইজেশন বিশদে মাপতে সক্ষম হয়েছেন৷ তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে অ্যাস্ট্রোস্যাট উৎক্ষেপণের পরে ওই কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে তথ্য আসছে৷ গত পাঁচ বছর ধরে সে তথ্য বিশ্লেষণ করেই ফল মিলেছে৷ ভবিষ্যতে এই ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে কৃষ্ণ গহ্বরের জেট কী ভাবে তৈরি হয় এবং তাতে কী কী প্রক্রিয়া চলে, সে সব নিয়ে গবেষণায় সাফল্য মিলবে বলে আশাবাদী তন্ময়৷ তন্ময়দের এই গবেষণার কথা আমেরিকার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত পত্রিকায় ছাপা হয়েছে৷ তাঁর কাজের জন্য ২০১৮ সালে তন্ময় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া থেকেও পুরস্কৃত হয়েছিলেন৷ তাঁর মা বনানি চট্টোপাধ্যায় এখন আসানসোলে থাকেন৷ ছুটিতে মাঝে মধ্যে মায়ের কাছে আসেন তন্ময়৷ এলাকার ছেলের এমন কৃতিত্বে খুশি তাঁদের পড়শিরা৷

 

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে শুকিয়ে গেছে আরল সাগর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে৷ উষ্ণায়নের কুফল নিয়ে বিজ্ঞানী-পরিবেশবিদদের নানাবিধ পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ নতুন নয়৷ বিশাল আয়তন জুড়ে থাকার কারণে আরল হ্রদকে সমুদ্রের সঙ্গেও তুলনা করা হত৷ বলা হত আরল সাগর৷ কিন্তু কাজাখস্তান এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে থাকা সেই বদ্ধ হ্রদের জল শুকিয়ে গিয়েছে ২০১০ সাল নাগাদ৷ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় দেড় ডিগ্রি বেশি৷ কিন্তু উষ্ণায়নের এই ধরনের প্রতিকূল প্রভাব স্পষ্ট হওয়ার এক দশকেরও বেশি আগে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে আরল৷ বিশাল আয়তন জুড়ে থাকার কারণে আরল হ্রদকে সমুদ্রের সঙ্গেও তুলনা করা হত৷ বলা হত আরল সাগর৷ কিন্তু কাজাখস্তান এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে থাকা সেই বদ্ধ হ্রদের জল শুকিয়ে গিয়েছে ২০১০ সাল নাগাদ৷ এখন সেখানে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে ধূ ধূ প্রান্ত৷ গাছপালাও বিশেষ নেই৷ ৬৮,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল আরল সাগর৷ শুধু তাই নয়, এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম বদ্ধ জলাশয় ছিল৷ আরল সাগর উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৪৩৫ কিলোমিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ২৯০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত ছিল৷ কিন্তু ষাটের দশক থেকে ধীরে ধীরে আরল সাগর সঙ্কুচিত হতে শুরু করে৷ আরল ‘অন্তর্ধান’ রহস্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল আমেরিকার গবেষণা সংস্থা নাসা-ও৷ বিজ্ঞানীদের দাবি, যে নদীগুলি থেকে এই হ্রদে জল আসত, সেগুলির মুখ সাবেক সোভিয়েত রাশিয়া (তখনও উজবেকিস্তান তৈরি হয়নি) সেচ প্রকল্পের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার পর প্রথম সঙ্কট দেখা যায় আরল সাগরে৷ কৃষিজমি তৈরির জন্য সির দারিয়া এবং আমু দারিয়া নামের ওই নদীগুলোর মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার পর জলের প্রবাহ কমে যায়৷ অবৈজ্ঞানিক ভাবে খাল কাটার কারণে আরল সাগরের জলরাশির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি বিজ্ঞানীদের৷ অন্য দিকে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবও পড়ে আরল সাগরে৷ দুই কারণে কয়েক দশকেই বাষ্পীভূত হয়ে যায় আরল সাগরের জল৷ হ্রদটির কিছু অংশ বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে কাজাখস্তান আরল সাগরের উত্তর এবং দক্ষিণ অংশের মধ্যে একটি বাঁধ তৈরি করেছে৷ বর্তমানে হ্রদের সামান্য অংশই অবশিষ্ট রয়েছে৷ আগল সাগর শুকিয়ে যাওয়ায় কারণে সমস্যার মুখে পড়েছেন উজবেকিস্তানের বাসিন্দারা৷ একসময় রাশিয়া এবং কাজাখস্তানের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল আরল৷ এ ছাড়াও হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড জলকষ্ট দেখা গিয়েছে সেই ভূখণ্ডে৷ মানুষের শরীরে বাসা বেঁধেছে রোগ৷ মৎস্যজীবীরাও পুরনো পেশা ছেড়ে নতুন কাজের চেষ্টা করে চলেছেন বিগত এক দশক ধরে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে আরল সাগর শুকিয়ে যাওয়া ২১ শতকের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷ বর্তমানে আরল সাগরের যে টুকু অংশ অবশিষ্ট রয়েছে, তা সংরক্ষিত করে উজবেকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী৷ তবে এই হ্রদকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এখন প্রায় অসম্ভব বলেই মত বিজ্ঞানী মহলের একাংশের৷

শৈলেন রায় ও শৈলেন সরকারের স্মরণসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের দুই উৎসর্গিত প্রাণ, সংঘটনের সর্বক্ষণের কর্মী পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শালিখা (সালকিয়া) নিবাসী শ্রীশৈলেন সরকার ও ত্রিপুরার খোয়াই নিবাসী শ্রী শৈলেন রায়ের স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়৷ শ্রী শৈলেন সরকার দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ শ্রী শৈলেন রায় সংঘটনের একনিষ্ঠ কর্মী থেকে এক সময়ে ত্রিপুরার রাজ্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন৷ এবছরের ২৯শে জানুয়ারি শৈলেন সরকার ও ২রা ফেব্রুয়ারী শৈলেন রায় দেহত্যাগ করেন৷ এঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২নং বল্লভ স্ট্রীটে পালন করা হয়৷ স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস, যুগ্মসচিব অর্ণব কুন্ডু চৌধুরী, মোহন অধিকারী, সুশীল জানা সহ নেতৃবৃন্দ৷

আমরা বাঙালী কার্যালয়ে নীলকন্ঠ দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী ‘‘নীলকন্ঠ দিবস’’ স্মরণ করা হল ২নং বল্লভ স্ট্রীটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে৷ মহানপুরুষ নীলকন্ঠ প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে স্মরণ সভার সূচনা হয়৷ পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব মোহন অধিকারী প্রভাত সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলতে থাকে৷ এদিন নীলকন্ঠ দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের নেতৃবৃন্দ৷

স্মরণ সভায় তপোময় বিশ্বাস বলেন---‘বিশ্বের বিষরাশি কন্ঠে নিয়ে অমর হয়েছ গুণে আপনার’---১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী মানব ইতিহাসে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন৷ এই দিনেই তৎকালীন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধীর ভারত সরকার মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত করে পটনার বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ওপর তীব্র বিষ প্রয়োগ করে৷ শ্রীসরকার তাঁর দৈববলে, ঐশ্বরিক ক্ষমতায় সেই বিষ কন্ঠে ধারন করে নীলকন্ঠী হয়ে ভূলুণ্ঠিত মানবতার রক্ষা করেন৷

কেন এই বর্বরতা? শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক তত্ত্ব ‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ সংক্ষেপে প্রাউট ... এই দর্শনের অভ্যুত্থান স্বৈরাচারী শোষণবাদী কর্র্পেরেট ও তাদের সাগরেদ শাসক ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সঞ্চার করে৷ এই অবস্থায় তারা চায় প্রাউট ও তার প্রবক্তাকে পৃথিবীর বুক থেকে চিরবিদায় করতে৷

এই ১২ই ফেব্রুয়ারী প্রাউটের উপর আধারিত ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলকন্ঠ দিবস স্মরণ করা হয়৷

অর্থমন্ত্রীর দাবী অসার---বলছে আর বি আই এর তথ্য

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

লোকসভার বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী দাবী করেছিলেন--- তাঁর সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন৷ এ কৃতিত্ত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বড় গলায় বলেছিলেন দেশে এখন মূল্যবৃদ্ধি নেই৷

কিন্তু অর্থমন্ত্রীর দাবী যে কতটা অসার ভোটের দিকে তাকিয়ে তা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস৷ গত ৮ই ফেব্রুয়ারী শক্তিকান্ত দাস জানান রেপোরেট কমবে না৷ এই নিয়ে টানা ছয়বার রেপোরেট থাকছে ৬.৫ শতাংশ৷ এর কম সাধারণ মানুষের ঘাড়েই পড়বে৷ একদিকে মূল্য বৃদ্ধি আবার ব্যাঙ্ক ঋণের চড়া মাসিক কিস্তি---মধ্যবিত্তের দুরাবস্থা দূর হচ্ছে না৷ অর্থমন্ত্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের দাবীর বিপরীতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর বলেন--- মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা কমলেও এখনও স্বাভাবিক নয়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেবে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে নামলে স্বাভাবিক বিবেচনা করা যায়৷ কিন্তু এখনও ৪.৫ শতাংশে আসতে অনেক দেরী৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে চলতি অর্থবর্ষে মূল্য বৃদ্ধির হার সাড়ে পাঁচ শতাংশ থাকবে৷ সেই কারণেই রেপোরেট কমছে না৷ মূল্যবৃদ্ধির হার স্বাভাবিক হলেই রেপোরেট কমবে৷ অর্থমন্ত্রীর জিডিপি বৃদ্ধি হারের দাবীকেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নস্যাৎ করলো৷ অর্থমন্ত্রীর দাবী আগামী বছর জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭.৩ শতাংশ৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি ৭ শতাংশ পার হবে না৷

শুধু রিজার্ভ ব্যাঙ্কই নয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরম্‌ গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী দিল্লী স্কুল অব ইকোনমিকসে্‌ আর্থিক বিষয়ে আলোচনা সভায় বলেন মূল্যবৃদ্ধির অবসান হয়নি৷ লড়াই এখনো চলবে৷ তিনি বলেন মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম সমস্যা হল খাদ্যপণ্যের চাহিদার সঙ্গে যোগান পাল্লা দিতে পারছে না৷ চাহিদার তুলনায় যোগান কম৷ মূল্যবৃদ্ধির এটা অন্যতম কারণ৷ আর্থিক নীতি নির্র্ধরকদের  উৎপাদন বৃদ্ধির কথা ভাবতে হবে৷ মূল্যবৃদ্ধি আপাতত আমাদের নিয়তি৷ এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ব্যবস্থা করতে হবে৷

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অর্থমন্ত্রী এই সামাজিক সমস্যার বিষয়ের কথা কিন্তু একবারও বলেননি৷ ভারত সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা সেই সমস্যাটাই সামনে আনলেন৷ আর্থিক উপদেষ্টার কথায় চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার অবস্থা ভারতের নেই৷ কারণ দুই দেশের আর্থিক নীতির চরিত্র ও অগ্রগতি পৃথক৷

আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও ভারত সরকারের আর্থিক উপদেষ্টার বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিরোধীরা প্রচারে নামবে৷ অর্থমন্ত্রী মূল্যবৃদ্ধির দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু সরকারেরই আর্থিক নীতির নিয়ন্ত্রকরা ভিন্ন সুরে কথা বলায় সরকার কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বেই৷