প্রবন্ধ

যোগ- মানুষের বৈয়ষ্টিক ও সামূহিক জীবনের কল্যাণের চাবিকাঠি

আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

সারা পৃথিবীতে ‘যোগ’ এখন একটি বিশেষ জনপ্রিয় নাম৷ যদিও ‘যোগ’ শব্দটা হয়ে গেছে ‘যোগা’৷ এর উৎপত্তিস্থল প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষি তথা যোগীদের আশ্রম৷ কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে ‘যোগ’ থেকে জাত ‘যোগা’ শব্দটির দ্বারা আমরা যা বুঝি কেবলমাত্র বিশেষ রকমের শারীরিক কসরৎ অর্থাৎ exercise  অর্থাৎ মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার কেবলমাত্র ‘আসন’৷ না, এই আসন মানে যোগ নয়৷ আবার যদি আসনটিও দেহের জন্য ঠিকভাবে দৈনিক করতে হয় তাহলেও তা ঠিক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে হয়---যাঁর শরীর বিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যা সম্বন্ধে জ্ঞান আছে৷ যদি তা না করা হয় তবে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকবে৷ উদাহরণ স্বরূপ---শীর্ষাসন৷ শীর্ষাসন সবা

ভারতের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ধনীর তোষণ আর গরিব শোষণেই সদাব্যস্ত!

প্রভাত খাঁ

আজ ভারতের চিন্তাশীল সকল নিরপেক্ষ নাগরিককে ভাবতে হচ্ছে দেশ কোন পথে এগুচ্ছে৷ দেশের ভবিষ্যৎ-ই বা কী? এদেশের স্বাধীনতা লাভের মধ্যেই ছিল বিরাট পরিহাস! বিদেশী শাসকদের শোষণের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় যাঁরা আত্মত্যাগ করেন তাঁদের মধ্যে কেউই চিন্তা করেন নি যে লক্ষ লক্ষ নিরীহ নরনারী, শিশুর সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অকাল মৃত্যুর বিনিময়ে জন্মভূমিকে বিভক্ত করে এক অশুভ রাজনৈতিক স্বাধীনতা দেশের জনগণ লাভ করবে!

আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা প্রাউটের ভিত্তি হ’ল নব্যমানবতাবাদ৷ বিশ্বের সমস্ত মানুষ, শুধু মানুষই নয়, পশুপক্ষী, তরুলতা সকলের কল্যাণই নব্যমানবতাবাদের মূল কথা৷

এই পৃথিবীর রুক্ষ মাটিতে এর বাস্তবায়ন হবে কিভাবে? তাও প্রাউট-প্রবক্তা তাঁর সমাজ দর্শনে উল্লেখ করেছেন৷ এই পথ হ’ল প্রাউটের ‘সমাজ আন্দোলনে’র পথ৷ এখানে এই ‘সমাজ’ কথাটি একটি বিশেষ অর্থ বহন করে৷ এখানে ‘সমাজ’ বলতে বোঝানো হয়েছে এক-একটি স্বনির্ভর হওয়ার সম্ভাবনাপূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলের জনগোষ্ঠী (সোসিও-ইকনমিক- ইয়ূনিট)৷

রাজনৈতিক দলগুলি  সংযত হোক ঃ এ রাজ্যের  জনগণকে আরও সজাগ হতে হবে

প্রভাত খাঁ

 এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এদেশে ২০১৩-২০১৪ অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির যে হার  ছিল ২০১৭তে  সেই উন্নতির  হার অনেক কমেছে৷ সেই কারণে  কর্ষকদের  মধ্যে মৃত্যুহার ও হাহাকার  বাড়ছে৷ তাঁরা অনেকেই  আত্মহত্যা করছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের লেবার ব্যুরোর প্রাপ্ত  সংবাদে জানা যায় ১লা এপ্রিল থেকে  জুলাই  ২০১৭তে ৪৭ হাজার চাকরীর অবলুপ্তি হয়েছে৷ ছোট ব্যবসায়ী যারা  ধান বিক্রি করে ৯ শতাংশ লাভ করেছিল৷ সেই পরিমাণ কমে ৫ শতাংশ হয়েছে৷

আন্তর্জাতিক যোগদিবস ও আমরা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত কয়েক বছর যাবৎ জুন মাসের ২১ তারিখ দিনটিকে ‘‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’’রূপে পালন করা হচ্ছে ও সেই দিবসে সংবাদপত্র, দূরদর্শন তথা অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়া যেমন-ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে যোগচর্র্চর সুফল সম্বন্ধে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়৷ গণমাধ্যম গুলিতে দেখা যায় মন্ত্রী সান্ত্রী, ষড়যন্ত্রী, কূটতন্ত্রী, লুটতন্ত্রী সকলেই যে যার মতো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন, পেট ফোলানো কমানো, নাকটিপে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্ষেপন, বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বিশাল প্যান্ডেলে বহু মানুষজন একসাথে যোগব্যায়াম প্রদর্শন-প্রশিক্ষণ কর্মে ব্যস্ত৷ খুবই আনন্দের বিষয় যে, এইভাবে যোগদিব

নব্যমানবতা চাই

জিজ্ঞাসু

সভ্যতার পনেরো হাজার বছর পার হবার পরেও, পৃথিবীতে এত দুঃখ, অসুখ, যন্ত্রণা, অবিচার, নিষ্ঠুরতা কেন? এত হতাশা, ভয়, যুদ্ধ কেন? কারণ মনে-প্রাণে ইচ্ছা-এষণাতে আমরা যে একটাই, প্রাণ, বস্তু, শক্তি, চেতনা মিলিয়ে আমরা যে এক, অনন্ত অখণ্ড এক সেই শিক্ষাই আমাদের নেই৷ এই অদ্বৈত জ্ঞান যতক্ষণ না আসছে, বুদ্ধির মুক্তি যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা অন্ধ হয়েই থাকব৷

যুদ্ধ ও শান্তি - প্রতিরক্ষার আড়ালে বহুজাতিক মুনাফা

মিহির কুমার দত্ত

ভারতবর্ষ কি আজ খুব বিপদে? তার চারিদিকে কি শত্রুরা আক্রমন শাণাবে বলে সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যুদ্ধের সাজসরঞ্জাম নিয়ে হাজির? তাহলে আমরা প্রত্যেক ভারতবাসী চরম নিরাপত্তার সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি! ভাবার বিষয় বটে৷

আমরা ভারতবাসী হিসেবে আমাদের চারিদিকে যে সকল প্রতিবেশী দেশ যেমন বাংলাদেশ -নেপাল-ভূটান-চীন-শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে পাই৷ ভারতের কাছে এই মুহুর্তে বিশেষ প্রতিবেশীর জায়গা হিসেবে চীন ও পাকিস্তান সবার আগে৷ কারণ এই বিশেষ প্রতিবেশী দেশ আবার আমাদের বিশেষ চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে সময় সময়৷ চিন্তাটা আক্রমনের , চিন্তাটা দেশের সার্বভৌমত্বের, চিন্তাটা অধিকার হরণের মতো বিষয়ের সঙ্গে জড়িত৷

‘সামাজিক বোঝা’

জিজ্ঞাসু

মানুষের দেহ পেলেই তাকে মানুষ বলা যাচ্ছে না৷ যুক্তি বুদ্ধির মুক্তি যেখানে নেই, নিজের সামর্থ্যকে চেতনায় বিস্তারিত করার এষণা যার নেই, বিশালকে দেখে বা অতি ক্ষুদ্র জিনিসে লুকোনো সুন্দরকে দেখে যদি সে বিস্মিত হতে না জানে, দুর্গম অজানাকে জানার অনন্ত জিজ্ঞাসা যার নেই, পরিশ্রম নেই তেমন স্বার্থপর মানুষ হ’ল অসহায় পোকার মত৷ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এদেরকেই বলেছেন ‘লোক না পোক’৷ এরা থাকা না থাকা সমান৷ মানুষ হিসেবে এরা ‘সামাজিক বোঝা’৷ এদের মধ্যে অনেকের তথাকথিত ডিগ্রি আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের, চাকরী বা ব্যবসা আছে, ভালো পোষাক আছে গায়ে, দুনিয়ার খোঁজ-খবরও রাখে আর তাই নিয়ে তর্ক করে৷ জীবনে কোনদিন ফুটবলে পা লাগায়নি এমন মান

অবহেলিত  বীরভূম সম্বন্ধে   দু’চারকথা

প্রভাত খাঁ

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার  তাঁর ‘বাংলা  ও বাঙালী’ গ্রন্থের  প্রথম  খন্ডে  ‘সভ্যতার  আদিবিন্দু রাঢে’  বীরভূম সম্বন্ধে  বলেছেন---‘‘অষ্ট্রিক ভাষায় ‘বীর’ মানে অরণ্য৷ সাঁওতাল  পরগণা জেলার  রাজমহল ও পাকুড় মহকুমা, বর্তমান বীরভূম  জেলার  রামপুরহাট  মহকুমা, মুর্শিদাবাদ জেলার  কান্দি মহকুমা ও রাঢ় অংশে (ভাগীরথীর পশ্চিম তীরবর্ত্তী অঞ্চলে)  বীরভূমের সিংহ  পদবীধারী কায়স্থ  রাজারা রাজত্ব করতেন৷ এঁরা বহুকাল  বৌদ্ধধর্মকে  ঠেকিয়ে  রেখেছিলেন৷’’