বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রহসন নয় জনগণের হাতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে হবে

প্রভাত খাঁ

নিরাপত্তার বেষ্টনি ভেদ করে সংসদে হামলা ও বিরোধীদের সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবী ও প্রধানমন্ত্রীর মৌনতাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতিতে ১৪১জন বিরোধী সাংসদ সাসপেণ্ড৷ এর আগে রাজীব গান্ধীর সরকার ৬৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেণ্ড করেছিল৷

পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক গণতন্ত্রের এটাই পরিণতি৷ শাসক বিরোধী এই রাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট জনগণ, আর এই সুযোগে দেশের সম্পদ লুঠছে পুঁজিপতিরা৷

মহান দার্শনিক পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার অনেক আগেই বলে গেছেন–‘‘রাজনৈতিক গণতন্ত্রের দিন  সমাগত প্রায়৷’’ প্রাউটিষ্টদের দাবী– অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷

আর্থিক মুক্তির পথ প্রাউট

পথিক বর

দীর্ঘ ৭৬ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

বিবেক ও মাইক্রোবাইটা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আজকের প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় হ’ল অনাহত চক্রস্থিত বৃত্তি---‘বিবেক’-এর সহিত মাইক্রোবাইটার সম্পর্ক৷ এখন বিবেক কাকে বলে? বিবেক সম্পর্কে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বিবেক হচ্ছে ভাল-মন্দ, শুভ-অশুভ, শ্রেয়-প্রেয় বিচার করার এক বিশেষ শক্তি৷ দুই বা তার বেশী ভাবের মধ্যে একটি ভাব গ্রহণ করার যে প্রচেষ্টা  সেই প্রচেষ্টার নামই হ’ল বিচার৷ আর এই ভাব গ্রহণ করাটাকেই বলা হয়ে ‘সিদ্ধান্ত’৷

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চল বিশ্বৈকতাবাদের ভিত

প্রভাত খাঁ

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে (ব্দপ্সন্তুন্প্স–ন্দ্বন্ত্ ব্ভুন্ব্ধ) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (হ্মপ্সব্ধন্দ্বুব্ধন্ত্র)

আদর্শ শিক্ষক মা

পত্রিকা প্রতিনিধি

বছর ৭-৮ বয়সের ছোট্ট ছেলেটি সুকল থেকে বাড়িতে এসে মাকে বলল, মা, প্রিন্সিপাল আমাকে অনেক ক্যান্ডি দিয়েছেন, আর তোমাকে একটা চিঠি দিয়েছেন৷ চিঠিটি পড়তে পড়তে মায়ের চোছ ভিজে উঠল৷ ছোট্ট ছেলেটি মাকে বলল মা তুমি কাঁদছ কেন?

ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আশ্রিত  গণতন্ত্র জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ

প্রভাত খাঁ

বর্তমান ভারতে কি সত্যই কেন্দ্র ও সকল রাজ্যে গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায় সেটা কি  আছে৷ এটি ভারতের অধিকাংশ নাগরিকের বিশেষ করে যাঁরা কোন রাজনৈতিক দলেরই সদস্য নন তাঁদের প্রশ্ণ৷ ভারতীয় সংবিধান দেশের সাধারণ মানুষকে কতকগুলি মৌলিক অধিকার দিয়েছে৷ সেসব অধিকার সম্বন্ধে জনগণ যেমন সজাগ নয়, তেমনি দেশের দেশের অধিকাংশ নেতানেত্রীও এ বিষয়ে খুব একটা সজাগ বলে মনে হয় না৷ যে দেশের জনগণ স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজনটুকুও যোগাড় করতে সক্ষম নয়, তাদের আবার মৌলিক অধিকার এই  পরিস্থিতিতে একবার ক্ষমতায় আসীন হতে পারলে এরপর অসচেতন জনগণকে বোকা বানিয়ে গণতন্ত্রে ছিদ্র পথে আশ্রয় নিয়ে যেন তেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে

আর কত সহ্য করবে বাঙালী

মনোজ দে

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট মধ্যরাত থেকে আজ পর্যন্ত নেহেরু থেকে নরেন্দ্র মোদি বাঙলার প্রতিবঞ্চনা অবহেলা সমানে চলছে৷ সরকারের রং পাল্টেছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙলার প্রতি আচরণের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ আজ বাঙালীকে আবার বিদেশী বানানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ কিন্তু বাঙালীর এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই৷

ধর্ম ও ধর্মমত

পথিক বর

পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত রক্তপাত ঘটেছে ও ঘটছে তার অধিকাংশই ধর্মমতের লড়াই, সম্প্রতি প্যালেস্টাইন-ইজরায়েলের যে সংঘাত তার মূলেও আছে ধর্মমত৷ আমাদের দেশেও ধর্মমত সমাজের ভেদ বিদ্বেষের একটা অন্যতম কারণ৷ দেশটা ভাগও হয়েছে এই ধর্মমতকে কেন্দ্র করেই৷ কিন্তু মানুষের ধর্ম ও ধর্মমত ঠিক এক নয়৷ 

প্রকৃতপক্ষে এই রিলিজিয়ন বা ধর্মমত নিয়ে বর্তমানে  মানবসমাজে চরম অশান্তি চলছে৷ আমাদের দেশে এ তো এখন একটা প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে৷ আর এ নিয়ে যত সমস্যা৷ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী লড়াই ও রক্তপাত হয়েছে এই রিলিজিয়নের  সেন্টিমেন্টকে কেন্দ্র করে৷

হে মানুষ! সৎ মানুষ হবে কবে

প্রফুল্ল কুমার মাহাতো

স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, অমৃতের পুত্রকন্যা মানুষ৷ সব দিক দিয়ে স্রষ্টা, যথা---বিদ্যা,বুদ্ধি, বোধি, বিবেক, চেতনা উন্নত মস্তিষ্ক, বিচার ক্ষমতা যথা, ভাল-মন্দ, সৎ---অসৎ, সু-কু করণীয় অবকরণীয়, চর্য-অচর্য, পাপ---প্রত্যরায়---প্রভৃতি বিষয়ে মানুষকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন৷ এক কথায়, ইতিবাচক প্রতিসঞ্চর ধারায় মানুষ মুক্তি মোক্ষের দোর গড়ায় উপনীত হয়েছে৷ এর পিছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে - মানুষের  অভিষ্ট লাভ, ঈশ্বর সম্প্রাপ্তি৷ জন্ম-মৃত্যুর ঘুর্ণাবর্ত থেকে উদ্ধার করে মানুষকে মুক্তি-মোক্ষ প্রদান৷ এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষকে সর্বপ্রকারে সাহায্য করার জন্য, সাত হাজার বছর পূর্বে সদাশিব, সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে  শ্রীকৃষ্