June 2020

ইন্ডিয়া বাদ - নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের পাশাপাশি ইন্ডিয়া নামেও পরিচিত ভারতবর্ষ৷ কিন্তু ইন্ডিয়া নামটি পছন্দ না হওয়ায় দিল্লীর এক বাসিন্দা সুপ্রিমকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করে ইন্ডিয়া নামটি বাদ দেবার আবেদন  করেন৷

৩রা জুন ওই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন সুপ্রিম কোর্ট এ কাজ করতে পারে না৷ সংবিধানেই দেশকে ইন্ডিয়া ও ভারত দু-নামেই ডাকার কথা বলা হয়েছে৷

সাদা কালোর দ্বন্দ্ব - ভদ্র বেশী বর্বরতার নগ্নরূপ

জর্জ ফ্লুয়েড এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক৷ এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে  নির্মমভাবে খুন হয়৷ প্রায়  দশমিনিট ধরে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে ঘাড় চেপে ধরে হত্যা করে৷ এরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে আমেরিকা৷ দোকান, বাজার, পুলিশের গাড়ী, গীর্জা পুড়ছে বিক্ষোভের আগুনে৷ হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভের ঝাঁঝ দেখে বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ ধনী ও সভ্যজাতের বড়াই আমেরিকার কম নয়৷ এমনিতে করোনার কোপে কাহিল আমেরিকা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা সাদাকালোর  দ্বন্দ্ব তার সভ্যতার নগ্নরূপ প্রকাশ করে দিয়েছে৷

 

মানুষ বিশ্বৈকতাবাদী হবে

  গত রাতে আমি এই পরিদৃশ্যমান জগতে বিভিন্ন সম্ভাবনাপূর্ণ অস্তিত্ব,যেমন—অণুমানসত্বা ও চিতিসত্তা সম্পর্কে বলেছিলুম ।পরম চিতিশক্তির যে অন্তর্মুখী গতি (বহির্মুখী গতিতে পঞ্চভৌতিক জগতের উৎপত্তি) তারই এক স্তরে    মানুষের সৃষ্টি ।এইঅন্তর্মুখী গতি পরম চিতিশক্তিতে ফিরে আসার জন্যে ।                                                                                                                     **এখন আমরা জানি শক্তির ঘনীভূত রূপ হচ্ছে জড় বস্তু । আবার এই জড়তত্ত্ব চূর্ণীভূত হলে (সুক্ষ্মক্ত্বের পথে চলতে থাকলে) মনের উৎপত্তি হয় । ধর তোমাকে খুব কষ্টকর শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে হচ্ছে । এতে স্বাভাবিক ভাবে তু

জাতি, ভাষা, ধর্মমত ও সংস্কৃতিতে বিশ্বজনীনতা

আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হ’ল ‘‘জাতি(race)ভাষা প্রভৃতিতে বিশ্বজনীনতা’’ যদিও মানুষের ভাষা, বর্ণ ইত্যাদিতে কিছু কিছু আপাত বৈষম্য রয়েছে, তথাপি মানুষের এই সকল অপরিহার্য বিষয়গুলি কিন্তু এসেছে একই উৎস থেকে, এইসব এসেছে সেই একক সত্তা পরমপুরুরুষ থেকে । ভাষাগত বৈষম্য,  বর্ণগত বৈসম্, জাতিগত বৈষম্য আছে ঠিকই, কিন্তু এই সবই বাহ্য ও আপাতদৃষ্ট । মুখের ভাষা নয়, আসলে হৃদয়ের ভাষা, সেন্টিমেন্টের ভাষাই শুণতে হবে ।

কস্তুরী মৃগ

শীতপ্রধান দেশে বসবাসকারী কস্তুরীমৃগ, যার নাভিদেশে সঞ্চিত থাকে সুগন্ধিবিশেষ, দেখতে অত্যন্ত কদাকার । কিন্তু এদের দেহগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোন (গ্রন্থি-রস) নাভিতে ক্রমশঃ একত্রিত হতে থাকে ও তার জলীয় অংশ কমে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তা কাঠিন্যপ্রাপ্ত হয় । কঠিনতা যত বাড়তে থাকে সুগন্ধি তত বেশী উৎসারিত হতে থাকে । এই সুগন্ধের ফলে হরিণ (হরিণীর এই সুগন্ধ হয় না) পাগলের মত ঐ সুগন্ধের খোঁজে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটোছুটি করে বেড়ায় । সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না তার এই সুগন্ধের উৎস হ’ল তার নিজেরই নাভিকুণ্ডলী ।

“গন্ধে মাতি কস্তুরী ফিরে অন্বেষণ করি’

জানে না সে নাভি সুবাসে মাতায় 

বাঘ ও ব্যাঘ্রভূম

মার্জার জাতীয় পশুর ঘ্রাণশক্তি বেশী । মাছ বা দুধ ভালোভাবে ঢাকা দেওয়া থাকলেও বিড়াল তার আশে-পাশে ঘুরঘুর করে । এই বস্তুটিকে সে দেখতে পায়নি কিন্তু গন্ধ পেয়েছে । বাঘ অনুকূল হাওয়া পেলে কয়েক মাইল দূরের গন্ধও পেয়ে যায়; সে বুঝতে পারে সেখানে কোন্ প্রাণী রয়েছে – মানুষ না বুনো-শোর, মোষ না কাঁকর হরিণ । মানুষের গন্ধগ্রহণ পরিভূর চেয়ে মার্জার বর্গীয় জীবের বিশেষ করে বাঘের গন্ধগ্রহণ পরিভূ বেশী । তাই ব্যাঘ্র শব্দটি আসছে বি-আ-ঘ্রা+ড প্রত্যয় করে, যার মানে হচ্ছে যার বিশেষ রূপ আঘ্রাণ শক্তি রয়েছে । ব্যাঘ্র > বাঘ্‌ঘ > বাগ্‌ঘ > বাগ/বাঘ ।

আম/আঁব

ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে । কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল । কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না । অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট ।

জাম

ফলের মধ্যে জম্বুফল বা জাম সর্বগুণাধার । কিছুটা কষ থাকায় তা মধুমেহ রোগের প্রতিষেধক । মধুমেহের প্রতিষেধক রয়েছে জামের অস্থির (আঁটির) অন্তর্গত সারবত্তাতে (সার অংশে) । জামের (ফলের) ভিতরের অংশও (pulp) মধুমেহের ঔষধ । জামফলের ক্ষীজ ভেঙ্গে তার ভেতরের শাঁস এক আনা পরিমাণ (সিকি চামচ) মধু সহ লেহন করে খেলে মধুমেহ রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।

 

তাল

মোটামুটি বিচারে তাল একটি পুষ্টিকর খাদ্য । পাকা তালের রস ঙ্মআঁশযুক্ত আঁটি ঘসে ঘসে রস বের করে তা দিয়ে ক্ষড়া, ক্ষীর ইত্যাদি নানা ভোজ্য তৈরী করা হয়ক্ষ খুবই পুষ্টিকর, কিন্তু উদরাময়ের পক্ষে খারাপ । কাঁচা অবস্থায় তালশাঁস স্নায়ুর পক্ষে ভাল হলেও আমাশয় রোগীর অভক্ষ্য । পাকা তালের আঁটির ভেতরকার শাঁস লঘুপাচ্য পুষ্টিকর জিনিস । আঁটির ভেতরের সংলগ্ণ কিছুটা কঠিন শাঁস ঙ্মস্নেহ পদার্থযুক্ত অর্থাৎ তার থেকে তেল তৈরী হতে পারে । ওই তেল রন্ধন কার্যে ও সাবান শিল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে । দক্ষিণাপথের তাল রসে অল্প জ্বাল দিয়ে ‘নীরা’ নামে যে বস্তুটি তৈরী হয় তারও পুষ্টিগত মূল্য রয়েছে । তালরস (গাছ চেঁছে) থেকে যে গুড় তৈরী