February 2022

বর্তমান বিজেপি শাসনে ভারতবাস

হরিগোপাল দেবনাথ

আমরা সাধারণতঃ সৌজন্যমূলক সাক্ষ্যাৎকারে কথোপকথনে শুরু থাকি---‘নমস্কার৷ কেমন আছেন?’ এইরূপ বলে৷ যদি ফোনালাপে কথা করতে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বোধ করি, অনুরূপভাবেই শুরুটার শুরু করতে হয়৷ আর সাক্ষাৎ পর্বেই হোক কিংবা ফোনলাপে ‘উত্তরটাও’ খুব সম্ভবতঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে---‘ভাল আছি’ বা ‘ভাল’ কিংবা একটু আম্‌তা আম্‌তা করে, ‘আর আছি, ঠাকুর/ ঈশ্বর যেমন রেখেছেন’---এই গোছের কথা বলেই শেষ করতে হয়৷ আমিও তাই করে চলেছি৷ কিন্তু, হঠাৎ করেই মনে হল, ‘সদা সত্য বলিবে, কদাপি মিথ্যা বলিও না’--- এই ধরনের উপদেশ বাক্য আমরা সর্বদা ছোটদের প্রতি বর্ষন করে  চলতে অভ্যস্ত হয়েছি সত্ত্বেও আমরা কিন্তু এক ধরনের  প্রতারকের মতই আচ

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙালী

একর্ষি

ছ) শৈব ভাবাদর্শগত দিক থেকে বাঙলা কর্ম্ম সংস্কৃতির দেশ৷ ‘কর্ম’ বিষয়ে কী উচ্চ ধারণা, কী অপরিসীম শ্রদ্ধা--- ‘কর্মই ব্রহ্ম’!

রবীন্দ্র সরোবর-দূষণ রুখতে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

ছট্‌পূজায় যাতে রবীন্দ্র সরোবরের জল দূষিত না হয়, তার জন্য গত বছরই হাইকোর্ট থেকে রবীন্দ্র সরোবরে ছট্‌পূজায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷  তা সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক লোক রবীন্দ্র সরোবরের গেটের তালা ভেঙে ছট্‌পূজা করেছিল৷ এ বছর রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ রুখতে ‘আমরা বাঙালী’ কয়েকজন কর্মী কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব জয়ন্ত দাশের নেতৃত্বে ছট্‌পূজার আগের দিন  রবীন্দ্র সরোবরের মূল গেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ও বিভিন্ন দাবী দাওয়া সম্বলিত পোষ্টার সরোবরের চারিদিকে  লাগিয়ে দেন৷

পরলোকে আচার্য সত্যপরানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের সর্বত্যাগী কর্মী আচার্য সত্যপরানন্দ অবধূত গত ৮ই নভেম্বর দ্বিপ্রহর ১২-৩০ মিনিটে কলিকাতায় তিলজলা আশ্রমে পার্থিব জীবনের কর্ম সমাধা করে পরলোকে গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর৷ বেশকিছুদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন৷  তিনি মার্গের একজন আদর্শনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ মার্গের ও সন্ন্যাস জীবনে নিয়ম কানুন নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে  চলতেন৷ তাঁর সংঘ জীবনে দীর্ঘ সময় বহির্ভারতে কর্মরত ছিলেন৷ ভারতে ও ভারতের বাইরে বহুদেশে মার্গের আদর্শ প্রচার করেন৷ লৌকিক জীবনে তিনি অসমের বাসিন্দা ছিলেন৷ ছাত্র জীবনে কলকাতায় এসে তিনি আনন্দমার্গের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন৷

স্বাস্থ্য শিবির

গত ৭ই নভেম্বর আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের মহিলা বিভাগ কলিকাতার নোনা ডাঙ্গায় একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে৷ শিবিরে প্রায় শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা করা হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়৷ শিবিরটি পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা, তাঁকে সাহায্য করেন স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাই-বোনেরা৷

মার্গীয়বিধিতে নামকরণ

ওড়িশার বালেশ্বরের বিশিষ্ট মার্গী প্রমোদ বেহেরা ও শুভ্রা বেহেরার পুত্রের নামকরণ আনন্দমার্গে চর্যাচর্য  বিধিতে অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ই নভেম্বর৷ পুত্রের নাম রাখা হয় তরুণ জ্যোতি৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ এই উপলক্ষ্যে ছয় ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় শ্রী বেহেরার বাসগৃহে৷

বিজয়া সম্মিলনী

গত ১০ই নভেম্বর ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২নম্বর বল্লভ স্ট্রীটে শারদ উৎসব উপলক্ষ্যে বিজয়াসম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানের সূচনায় সম্মিলিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন উপস্থিত নেতা ও কর্মীগণ৷ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন৷ হিতাংশু ব্যানার্জী রবীঠাকুরের সুপ্রভাত কবিতা ও একটি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন৷ এরপর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাস, মোহন অধিকারী, অরূপ মজুমদার, গোপাল রায়  চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ বক্তারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ‘আমরা বাঙালী দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে কর্মীদের সচেতন করেন৷ আগামী দিনে আম

পালং শাক, টমেটো, কাঁটাল, কলা

পালং শাক

শাক বা পত্রশাকেদের মধ্যে পালং একটি উত্তম মানের শাক৷ অতি মাত্রায় ভক্ষণ করলে শ্লেষ্মাৰৃদ্ধি ঘটে৷ অন্যথায় এই শাক গুণেরই আকর৷ শাকটি খেতে মিষ্টি মিষ্টি, সুস্বাদু, শরীরের পক্ষে হিতকর প্রভাব–সম্পন্ন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হূদ্রোগের ঔষধ (পালং শাকের ক্কাথ), শ্বাসরোগের ঔষধ (পালং শাকের রস), লিবারের ক্ষতের ঔষধ ও বিষক্রিয়া–নাশক৷ বিটামিনে পরিপূর্ণ এই শাকটি গুণের তুলনায় খুবই সস্তা৷ ভাজা না করে ঘন্ট বা চচ্চড়িতে ব্যবহার করাই বেশী ভাল৷ ভাজা খেতে গেলে কম তেলে ভাজতে হবে৷

শিবোক্তি

জীবজগৎ যেমন মুখ্যতঃ দুই বিভাজনে বিভক্ত–যুথবদ্ধ ও এককজীবী, ঠিক তেমনি ঘর–সংসারের ব্যাপারেও জীবজগৎ দুই ভাগে বিভক্ত৷ এক ঃ ঘরকন্না করা সংসারী (যেমন হাতী, সিংহ, পায়রা প্রভৃতি) দুই ৪ স্বৈরী বা স্বীৈরিণী (যেমন বাঘ, কুকুর, ছাগল, বেহাল প্রভৃতি)৷

আলোর পথে - শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মশতবর্ষ স্মরণে---

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

তখন বড়ই অন্ধকার---

মানুষের মনে, জীবনে, সমাজে নিকস অন্ধকার

ধর্মের গ্লাণি, মানবতার ভূলুন্ঠন, আর্তের হাহাকার

জড়বাদ-পুঁজিবাদের শোষণ, দুর্নীতি-অবিচার,

মদগর্বীর উল্লাস

সত্য-ন্যায়, প্রেম-প্রীতি, মায়া-মমতা যেন বিচিত্র পরিহাস

জল-স্থল-অন্তরীক্ষে যুদ্ধাস্ত্র ও বারুদের উৎকট গন্ধ

পৃথিবীব্যাপী মারণ-যজ্ঞ, হিংসা-লোভ-দ্বন্দ্ব৷

‘‘অজানা পথিক’’ বেশে এলে তুমি---

পূর্বদিগন্তের রক্তিমরাগে ছড়ালে ‘অরুণ’-আলো ‘‘প্রভাতরঞ্জনের প্রকাশে অপসৃয়মান যুগসঞ্চিত কালো৷

মহামন্ত্রপাতে দূর হ’ল কোটিজনমের অন্ধতমসা৷