May 2022

চাকদহে ব্লক লেবেলসেমিনার

গত ২৩শে এপ্রিল  সকাল ১০টা থেকে ৮০ জনের অধিক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে নদীয়া জেলার শিমুরালী আনন্দমার্গ স্কুলে ‘‘চাকদহ ব্লক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়৷

শুরুতেই বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক ও সঙ্গীতগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত সুরারোপিত প্রভাতসঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন ব্রহ্মচারিনী শুদ্ধা আচার্যা, শ্রীমতী কাজল সরকার, অবধূতিকা আনন্দ অভীধ্যানা প্রমুখ৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পরে সেমিনার শুরু হয়৷

নবরায়নগরে অখণ্ড কীর্তন, গৃহ প্রবেশ, মেডিকেল ক্যাম্প,বৃক্ষরোপন

নবনারায়নগরে এ বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমতি শিপ্রা সরকারের বাসভবনে সকাল ৭-৩০মি. থেকে বেলা ১-৩০ মি. পর্যন্ত ছয়ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম’ অখণ্ড কীর্ত্তনানুষ্ঠান, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় এর মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়৷

মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে অখণ্ড কীর্ত্তন

মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার মিলনস্থল লোকপাড়া গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী মনোজ মণ্ডলের বাসগৃহে ১০ই এপ্রিল ২২ রবিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনানুষ্ঠানে আচার্য বিশ্বত্বরানন্দ অবধূত, আচার্য সুচিরানন্দ অবধূত, আচার্য বানীব্রত

কান্দিতে সেমিনার

মুর্শীদাবাদ জেলার কান্দি আনন্দমার্গ স্কুলে গত ২৩ ও ২৪শে এপ্রিল কান্দি ডিটস্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ দুইদিনব্যাপী এই সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশুভানন্দ অবধূত৷ ২৩শে এপ্রিল অপরাহ্ণে আলোচনার বিষয় ছিল সাধনা, অভিধ্যান ও কীর্ত্তন৷ আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, ২৪শে এপ্রিল-প্রকৃত গুরু কে?

বীরভূমের ইমাদপুরে ২৪ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন

বীরভূম জেলার ইমাদপুরে গত ৯ই,১০ই এপ্রিল ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনানুষ্ঠানে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  আনন্দমার্গী ভক্তবৃন্দ যোগদান করেন৷ ১০ই এপ্রিল কীর্ত্তন শেষে সমবেত ধ্যান, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায় পাঠ করা হয়৷ কীর্ত্তন শেষে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর দর্শন, সাধনা ও কীর্ত্তন মহিমা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য কর্মেশানন্দ অবধূত৷

মানসিক রোগ

মনের রোগের ফলস্বরূপ যে সব শারীরিক ব্যাধির সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে কয়েকটি বিশেষ ধরনের রোগ, তারা হ’ল কর্কট রোগ (cancer), অজীর্ণ, গেঁটে বাত৷ মনের রোগের ফলে উৎপন্ন রোগের সংখ্যা খুব বেশী না হলেও খুব কমও নয়৷ আমরা অনেক সময় দেখে থাকি, খিট্খিটে মেজাজের মানুষেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বদহজমে ভুগে থাকেন৷ আজকাল অবশ্য মনের রোগ তথা উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনার শিকার হয়ে অনেকেই হূদরোগ, রক্তচাপ রোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের কবলে পড়ছেন৷ এটাই হ’ল আজকের সভ্যতার অন্ধকারময় দিক৷

হিস্টিরিয়া ও মৃগীরোগ ঃ

চশমা কেন প্রয়োজন

ডাঃ আলমগির

কোন কারণে দৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে যদি কম হয়, কিন্তু দৃশ্যমান কোনও গঠনগত পরিবর্তন বা কোনও রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব৷ তখন একে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়৷ এটি সাধারণত চার ধরনের হয়৷

হবে হবে জয়

বিভাংশু মাইতি

তরুণ অরুণ তখনও ওঠেনি, সেই বিহানে

অনেকে তখনও বিছানা ছাড়েনি ছিল বিজনে৷

হঠাৎ স্তব্ধ ভৈরবী রাগ, পাখীর কূজন

পথের পথিক দাঁড়ায় থমকে , ছন্দ পতন৷

কী হল, কী হল, কেন বা বেহাল হল মহাকাল

কী বা অঘটন ঘটে গেল সেই অশুভ সকাল৷

নীরবতা ভেঙে শোণা যায় রব ‘‘ধরো আর মারো’’৷

জ্বালাও পোড়াও ছাই করে দাও, নিঃশেষ করো৷

‘‘বাঁচাও বাঁচাও চোর নই মোরা সাধু-সন্ন্যাসী

মানব সেবায় সঁপেছি জীবন শোণো ধরাবাসী৷

কে শোণে কাহারে উল্লাসে ভাসে নর রাক্ষস

কম্যুনিষ্টের পালিত পশু নেশায় বেহোঁশ৷

হিংস্র করাল ভয়াল নখর বিকট দন্ত

শ্রদ্ধার্পণ ও শপথ

আঃ প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

হে সপ্তদশ দধিচীগণ লহ প্রণাম, লহ প্রণাম৷

চির নমস্য তোমরা করিলে আত্ম বলিদান৷

১৯৮২র৩০শে এপ্রিলে কলিকাতায় দিবালোকে,

নৃশংসভাবে হত্যা করিল তোমাদের তাজা প্রাণকে

কম্যুনিষ্ট সরকারের জল্লাদী হার্মাদ বাহিনী

ছিনিয়ে নিল তোমাদের প্রাণ,

বিজন সেতু ও বন্ডেল গেট এলাকায় লিখে দিলে

চির দধীচীর মৃত্যুঞ্জয়ী অবদান৷

সাক্ষী রইলো কলিকাতা বাসী,

আজও কেন স্তব্ধ ও নীরব মানবতা?

বিবেকহীন নেতা নেত্রীরা

আর কত দিন রবে দীর্ঘ বিচারহীনতা?

কত আর্তনাদ, দিন রাত বাড়ে, শোষণের শেষ কবে?

গদীর লোভ সামলানো ও মিথ্যা

৩০শে এপ্রিল

সুজাতা দত্ত

কলকাতার বুকে দিনের বেলায় হিংস্র পশুদের বর্বরচিত

আচরণে অন্ধকার নেমে এসেছিলো

লজ্জায় সূর্যও মুখ লুকিয়েছিলো,

জ্যান্ত মানুষের পোড়ার গন্ধে বাতাস ভরে উঠেছিলো৷

মানুষের প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হলেও

প্রতিবাদ করার ভাষা ছিলো না৷

অনাথ শিশুদের জন্য সর্বহারা মানুষের জন্য

যারা বলীয়ান, প্রাউটের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে

কত শত প্রাণ আজ উৎসর্গকৃত

দমন করবে কি করে?

ভেবেছিলে কমিউনিজমের কাছে

প্রাউটের হবে পরাজয়

হয়তো হয়নি বিচার তোমাদের

এই আইনি বিচার শালায়,

ভগবানের বিচারশালায় হয়েছে বিচার,