May 2022

রবীন্দ্রনাথের রসিকতা

প্রণবকান্তি  দাশগুপ্ত

প্রখ্যাত নট শিশির ভাদুড়ি এসেছেন শান্তিনিকেতনে৷ উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথের ‘গোড়ায় গলদ’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ নিয়ে যাওয়া৷ ‘গোড়ায় গলদে’র নাট্যরূপ লেখাই ছিল রবীন্দ্রনাথ সেটা পড়ে শোণালেন৷ কিন্তু পছন্দ হলো না শিশির  ভাদুড়ির৷ রবীন্দ্রনাথ তখন নাটকটির পাণ্ডুলিপি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেললেন৷ অবাক হলেন শিশির কুমার৷ যে রবীন্দ্রনাথের নিজের  লেখার প্রতি এত মায়া তিনি কিনা নিজের লেখা নিজের হাতে ছিঁড়ে ফেললেন৷

সেদিনই রবীন্দ্রনাথ সারারাত ধরে নাটকটি ফের নতুন করে পুরোটা লিখলেন৷ পড়ে শোনালেন শিশির ভাদুড়িকে৷ শিশির ভাদুড়ি নাটক শুণে খুশি হলেন৷

শোল-ঘাপটি

গাত্রূসম্কুচূঘঞূণিনি’গাত্রসংকোচিন্’৷ ভাবারূঢ়ার্থে গাত্রসংকোচিন্ মানে যে শরীরকে সংকুচিত করে, যোগারূঢ়ার্থে যে পরিবেশগত ও মানসিক কারণে শরীরকে ছোট করে দেয়, ঘাপ্পি বা ঘাপটি মেরে বসে পড়ে৷ এই ঘাপ্পি বা ঘাপটি মারা আবার তিন ধরনের হয়৷

১) শোয়া-ঘাপটি ঃ যেমন হাত-পা কুঁঁকড়ে হাঁটু দু’টো ৰুকের কাছাকাছি এনে চিৎ হয়ে ৰা পাশ ফিরে শুয়ে থাকা৷ এতে শীত একটু কম লাগে৷ শীতের দিনে বিড়াল, কুকুর ও অন্যান্য অনেক জীৰকে এই ভাবে শোয়া অবস্থায় দেখতে পাৰে৷ 

আনন্দনগরে আনন্দমার্গ স্পোর্টস একাডেমি

আনন্দমার্গ স্পোর্টস একাডেমি, আনন্দনগর থেকে এই প্রথম অনুর্ধ ১৫ বছরের ২২জনের একটি এস.এস.এ.সি (স্পিরিচ্যুয়ালিষ্টস’ স্পোর্টস এণ্ড এডভেঞ্চারস’ ক্লাব) ফুটবল টীম সহ ২৭ জন ২২-২৪ এপ্রিল ২০২২ আরও উন্নত ট্রেনিং ও অভিজ্ঞতার জন্যে কলকাতা আনা হয়৷

দৃষ্টিকোন থেকে বাঙলায় শোষণের স্বরূপ

‘‘সাম্রাজ্যবাদী শোষকরা তাদের শোষণকে যুক্তি ও তথ্যের  ওপর দাঁড় করানোর জন্যে প্রথমেই তারা জাতীয় সমর্থন আদায় করতে সচেষ্ট হয়৷ এর জন্য তারা একটা তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করে৷ সেই তত্ত্ব হলো জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব৷ জাতীয়তাবাদের সেন্টিমেন্ট দিয়ে তারা তাদের শোষণকে যুক্তিসিদ্ধ ও নিয়মতান্ত্রিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷’’

মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০১তম শুভজন্মতিথি উৎসব পালিত হচ্ছে মহাসমারোহে

আগামী ১৬ই মে বৈশাখী পূর্ণিমা৷ সারা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ আনন্দমার্গীর কাছে এই পুণ্য তিথি আনন্দ পূর্ণমা রূপে পরিচিত৷ কারণ আজ থেকে ১০৩ বছর আগে ১৯২১ সালের এই বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬–৭ মিনিটে মার্গগুরুর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন৷ তাই এই তিথিটিতে সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা মহাসমারোহে মার্গগুরুর শুভ ১০১তম জন্ম জয়ন্তী উৎসব করছেন৷ বর্তমানে বিশ্বের ১৮২ টি দেশে ও দ্বীপপুঞ্জে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের শাখা রয়েছে৷

দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের দিল্লী সেক্টরের সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন---বর্তমানে কুটিল দলীয় রাজনীতির মূল লক্ষ্যটা হ’ল কি করে শাসন ক্ষমতা কব্জা করা যায়৷ আজকের যুগে বৈশ্য শ্রেণীর কবলে পতিত এক ভয়ংকর অবক্ষয়জনিত পরিস্থিতিতে মানব সভ্যতা  ক্লিষ্ট৷ সব কিছু বৈশ্য শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণে৷ সারা পৃথিবীর প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণে তারাই সর্বেসর্বা, শাসককুল তাদের অঙ্গুলিহেলনে কাঠের পুতুলের মতই নিয়ন্ত্রিত৷ শাসককুল তাই ধনীশ্রেণীর কৃপালাভে ধন্য ও কৃতার্থ৷ পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলি রাজনৈতিক  দলের ব’কলমে পুঁজিপতি শোষকদের  নিয়ন্ত্রণে৷ আর ওই ভোগসর্বস্ব পুঁজিপতি নর দানবদের শোষণ বিদ্যমান সারা পৃথিবীতে৷

আর্থিক সংস্থাগুলির পূর্বাভাসে অনিশ্চিত অর্থনীতির বার্র্ত

ঝড় জলে প্রকৃতির দাবদাহ অনেকটাই কমেছে৷ কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আগুন নেভানোর  কোন পথ পাচ্ছে না সরকার৷ তাই বর্ষপূর্তির  উৎসবেই জনমন  জয়ের উপায় খুঁজেছে মোদি সরকার৷ জি.ডি.পি নির্ভর অর্থনীতি নিয়ে আর্থিক সংস্থাগুলির পূর্বভাস মোদি সরকারের কাছে আশাব্যঞ্জক নয়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কও অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছে জিডিপির হার কমবে৷ টাকার বিনিময় মূল্য সর্বকালীন অবনতি হয়েছে৷ বেকারত্বের হারও সর্বকালীন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে৷ নূতন কর্ম সংস্থানের কোন পথ সরকার দেখাতে পারছে না৷

সভ্যতার সঙ্কট-উত্তরণে তারকব্রহ্ম

গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল

বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানব প্রগতির বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, আজকের সমাজ  জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, বিদ্যায় ও বৈদগ্দ্যে উন্নতির এক চরম শিখরে প্রতিষ্ঠিত হলেও ব্যষ্টিগত জীবনে আমরা অনেকেই লক্ষ্যভ্রষ্ট ও দিশাহীন৷ আবার বর্তমান ধনতান্ত্রিক কাঠামোয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই অভাবনীয় উন্নতির ফলেই একদিকে যেমন মানুষ এখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি জমাচ্ছে কম্পিউটার, রোবট জাতীয় যন্ত্র আবিষ্কারের কারণে মানুষের দৈহিক শ্রম লাঘবের পাশাপাশি জাগতিক কাজকর্মে এসেছে অসম্ভব দ্রুতি, এর ঠিক বিপরীতে গোটা বিশ্ব জুড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মানুষের কর্মহীনতা বা বেকারত্ব, যার সমাধানের চাবিকাঠি এখন আর কার

ভুমি সংস্কার

জমিদারী প্রথার বেশ কয়েকটি ত্রুটিই এই প্রথার অত্যধিক সমালোচিত হওয়ার  কারণ৷ প্রথমতঃ, চাষীরা যে জমি চাষ করতো সেই জমির ওপর তার কোন অধিকার ছিল না, ছিল কেবল চাষ করার অধিকার৷ দ্বিতীয়তঃ, জমিদাররা বিশাল পরিমাণ জমি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে রেখে দিত৷ তৃতীয়তঃ, জমিদাররা যে খাজনা আদায় করতো তার অনেক কম সরকারের কাছে জমা করতো৷

আনন্দপূর্ণিমার পুণ্য তিথি স্মরণে শোষণমুক্ত নোতুন পৃথিবী গড়ার ব্রত নিন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৬ই মে, বৈশাখী পূর্ণিমা প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০১তম আবির্ভাব তিথি সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০১তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে৷