চিলড্রেন্স হোমে বস্ত্র বিতরণ
গত ২৫শে নভেম্বর, ২৩ সাপ্তাহিক ধর্মচক্রের শেষে আনন্দমার্গ চিলড্রেন্স হোমের ছেলেদের রেক্টর মাষ্টার আনন্দনগরের পক্ষ থেকে শার্ট বিতরণ করা হয়৷
গত ২৫শে নভেম্বর, ২৩ সাপ্তাহিক ধর্মচক্রের শেষে আনন্দমার্গ চিলড্রেন্স হোমের ছেলেদের রেক্টর মাষ্টার আনন্দনগরের পক্ষ থেকে শার্ট বিতরণ করা হয়৷
গত ১২ই নভেম্বর, ২৩ আমরা, ডামরা ও বাগলতা গ্রামের ৫৫ জন শিশু ও দুঃস্থ মানুষদেরকে গার্লস ভলান্টিয়ার্সের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হয়৷
আনন্দমার্গ মিশনে বিভিন্ন প্রকারের আনন্দানুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে৷ এইসব অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে আনন্দ-আহরণকারীরা প্রকারান্তরে নিজেদের শারীরিক, মানসিক তথা আধ্যাত্মিক উন্নতি বিধানের সুযোগ পায়৷ সামাজিক উৎসবের মধ্যে ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব’ কার্ত্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়বার পালিত হয়ে থাকে৷
ভ্রাতা জ্যেষ্ঠা ভগিনীর আশীর্বাদ, মঙ্গলতিলক ও কনিষ্ঠা ভগিনীর প্রণাম, চন্দন-মাল্যগ্রহণ করে আহার্য গ্রহণ করে থাকে৷ জ্যেষ্ঠা ও কনিষ্ঠা ভগিনীর আশীর্বাদ, মঙ্গল তিলক, চন্দন মাল্য দেওয়ার সময় বলেন ‘‘ভ্রাতা মে চিরায়ুর্ভবতু৷’’ (মন্ত্র তিনবার)
গত ৮ই নভেম্বর,২৩ নিউ ব্যারাকপুর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক শান্তনু রায় ও এমএসসি মাইক্রোবায়োলজির পাঁচ ছাত্র-ছাত্রার (সুস্মিতার চ্যাটার্জী, অঙ্কিত কুমার ঘোষ, দিব্যেন্দু কুণ্ডু, শ্রীকান্ত মণ্ডল, অংশুমান ঘোষ) সহায়তায় ও তত্ত্ববধানে আনন্দমার্গ বয়েজ হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী ছাত্রদের উন্নতমানের দূরবীক্ষণের যন্ত্রের মাধ্যমে দিনের আলোয় সূর্যের পর্যবেক্ষণ দেখানো হয়েছে৷ রাত্রিতে গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি কেমন দেখায় তার ছবিগুলো পাঠানো হলো৷
আমাদের শরীরে রক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এটি শরীরের অন্যান্য সমস্ত কাজের জন্য দায়ী যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে৷ কিছু পরিস্থিতিতে আমাদের শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয় ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যখন এটি শরীরে স্থানান্তরিত করা না হয়, তখন মানুষ তার জীবন হারাতে পারে৷ রক্ত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না৷ শুধুমাত্র একজন মানুষই পারে আরেকজন মানুষকে বাঁচাতে৷
গত ১৩ই নভেম্বর,২৩ দীপাবলী উপলক্ষ্যে সকালে শিশুসদনের ছেলেরা নগর কীর্ত্তন করে আনন্দরেখা ভবনে পাঞ্চজন্যে অংশগ্রহণ করে৷ পাঞ্চজন্য শেষে ৬ ঘন্টার অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন, সকাল ৬টায় শুভারম্ভ হয়৷ ১২টায় কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় ও দীপাবলীর তাৎপর্য সম্বন্ধে আলোচনা হয়৷ শেষে সামুহিক প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷
১লা নভেম্বর,২৩ থেকে শুরু হয়ে আনন্দনগরে একমাসের আন্তর্জাতিক চরম গভীরতাপূর্ণ ঐকান্তিক আধ্যাত্মিক সাধনা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ শিবিরে বিভিন্ন দেশের আধ্যাত্ম পিপাসু আনন্দমার্গীগণ ব্যষ্টিগত চরম আধ্যাত্মিক উন্নতি ও উপলব্ধির উদ্দেশ্য মিলিত হয়েছেন৷ আনন্দনগরের আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ব্যষ্টিগত নিত্য গুরুসকাস, আধ্যাত্মিক অনুশীলন, আসন ছাড়াও মিলিত প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, পাঞ্চজন্য, ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়, সাত্ত্বিক প্রমিতাহার, তন্ত্রপীঠে সাধনা, সৎসঙ্গ ও সাধনা সংক্রান্ত আলোচনায় প্রত্যেকেই আপ্লুত৷
গত ৬ই নভেম্বর,২৩ পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষা শ্রীমতি নীলাঞ্জনা পট্টনায়ক চ্যাটার্জী, অর্জুন মাহাত সহ কয়েকজন হঠাৎ করে আনন্দনগর বয়েজ হোমের ছেলেদের জন্যে খাদ্যবস্তু নিয়ে উপস্থিত হন ও তাদের বিতরণ করেন৷ গত ৪-৫ নভেম্বর,২৩ আনন্দমার্গ বয়েজ চিলড্রেন্স হোমের ছেলেদের সমুদ্র দেখা ও তৎসম্বন্ধিয় শিক্ষার উদ্দেশ্য দীঘা ভ্রমণ করা হয়৷
গত ৫ই-৯ই নভেম্বর, কলকাতা থেকে নয়জনের একটি টীম অর্থাৎ নিউ ব্যারাকপুর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক শান্তুনু রায় ও এমএসসি মাইক্রোবায়োলজির পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রা ও বিধাননগর কলেজের অধ্যাপিকা রিনি রায়, সর্বজিৎ পাইন, অধ্যাপকদ্বয়ের পুত্র দিব্যজ্যোতি আনন্দনগরের রাতের আকাশ দেখা ও দিনে সূর্যের পর্যবেক্ষণ তৎসহ আনন্দনগরের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে আসেন৷
কেন্দ্রীয় ত্রাণ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত এক বার্র্তয় জানান---আনন্দমার্গ ইয়ূনূিবার্র্সল রিলিফ টিম আনন্দনগর সংলগ্ণ গ্রামগুলিতে খাদ্যদব্য ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে৷ ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল,ডাল, আলু, লবণ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এই রিলিফ টীমের পরিচালনায় ছিলেন আচার্য শুভপ্রসনানন্দ অবধূত৷
অবধূতিকা আনন্দ সেবাব্রতা আচার্যা ও ব্রহ্মচারিনী অমলিনা আচার্যার পরিচালনায় রিলিফ টিমের মহিলা শাখা দরিদ্র গ্রামবাসীদের কাছে ২০০টি কম্বল বিতরণ করে৷