December 2023

অসমে দুইদিনব্যাপী ধর্মমহাসম্মেলন

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ কর্ত্তৃক নগাঁও (অসম)-এর আমবাগানে গত ১৮ই ও ১৯শে নভেম্বর আনন্দমার্গ ধর্মমহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রভাত সঙ্গীত (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কর্ত্তৃক সুর করা), ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও সম্মিলিত ধ্যানের মাধ্যমে৷ এই উপলক্ষে ৪৮ ঘন্টা ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত, মার্গগুরু প্রতিনিধি আধ্যাত্মিকতা ও মানব জীবনের লক্ষ্য নিয়ে বত্তৃণতা দেন৷ তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য অর্জনের  জন্য  মনই প্রধান উপাদান৷ মন যদি ইতিবাচকতার দিকে অগ্রসর হয় তবে আমরা অবশ্যই আমাদের লক্ষ্যে  পৌঁছাতে পারি৷ আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত বলেছেন যে ধ্যান

মার্গীয় বিধিতে বিবাহ

গত ২৭শে নভেম্বর অসমের  বঙ্গাইগাঁও-এর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী নকুল সাহা ও শ্রীমতি শুকতারা সাহার কনিষ্ঠাকন্যা অনামিকা সাহার সহিত জামসেদপুর (টাটানগর) নিবাসী নৃপেনচন্দ্র আশ ও শ্রীমতি বিজয়া আশের একমাত্র পুত্র সিদ্ধার্থের বৈপ্লবিক বিবাহ আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে সম্পন্ন হয় নদীয়া জেলার কল্যাণীর ঢাকেশ্বরী ভবনে৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

নদীয়া, কৃষ্ণনগরের পালপাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীপ্রশান্ত দত্তের মাতৃদেবী গত ৩০শে অক্টোবর সজ্ঞানে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর  বয়স হয়েছিল ১০৪ বৎসর৷ গত ৮ই নভেম্বর আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয় কৃষ্ণনগর পালপাড়া বাসভবনে৷ এই উপলক্ষ্যে শোকার্ত আত্মীয়-স্বজন ও মার্গী ভাইবোনেরা তাঁর বাসভবনে সমবেত হন৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ নিত্যনবীনা আচার্যা, এরপর মিলিত সাধনা ও গুরপূজার পর স্বাধ্যায় করেন আচার্য দেবাত্মানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্র ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বেশ্ব

বনগাঁয় সেমিনার

গত ২৭শে নভেম্বর উঃ ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মহকুমার জোকা গ্রামে স্থানীয় আনন্দমার্গ ইয়ূনিটের ব্যবস্থাপনায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারের আয়োজন করেছিলেন মহাদেব বিশ্বাস, আচার্য গোপেশানন্দ অবধূত ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গীভাইবোনেরা৷

আলোচনায় আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বনগাঁ ডিট.এস আচার্য কৃষ্ণপ্রাণানন্দ অবধূত, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত,অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী অসীম বিশ্বাস৷ বহু স্থানীয় মানুষ আগ্রহের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন৷

 

আনন্দনগরে ভ্রমণ

গত ২৫-২৬শে নভেম্বর উঃ২৪ পরগণার বনগাঁ ও বারাসাত থেকে নিজেদের দুইটি গাড়ি করে পরিবারের লোকজন নিয়ে আনন্দনগর বেড়াতে আসেন কিছু পর্যটক৷ তাঁরা অস্থি পাহাড়, মালটা মোসাম্বি বাগান, বেলামু পাহাড়, নবচক্র গুহা, মৃত আগ্ণেয়গিরি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য স্থান ঘুরে দেখেন৷

 

হাওড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৯শে নভেম্বর হাওড়া জেলার আমতা থানার কাঁদুয়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দিবাকর মাকালের নিজ বাসভবনে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অষ্টাক্ষরী মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পর কীর্ত্তন বিষয়ে আলোচনা হয়৷

কোণা ঃ কোণা রবীন্দ্রপল্লীতে বিশ্বজিৎ গোস্বামীর বাসগৃহে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ অষ্টাক্ষরী মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পর কীর্ত্তন বিষয়ে আলোচনা হয়৷ এই দিন ছিল বিশ্বজিৎ গোস্বামীর মাতার প্রয়াণ দিবস৷

কাঁথিতে অখণ্ড কীর্ত্তন ও স্মরণসভা

গত ২৬শে নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথি দীঘা বাইপাসে আনন্দমার্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনঘন্টাব্যাপী অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ সিদ্ধমন্ত্র কীর্ত্তন পরিবেশিত হয় ও প্রয়াত প্রাক্তন সভাপতি অর্ধেন্দু শেখর মহাপাত্রের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী মৌ নাথ ও অশোক নাথ৷ কীর্ত্তন পরিবেশনায় ছিলেন কাঁথি ডিট সেক্রেটারী আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত, দীপ্তেন্দু জানা, ভজহরি বর্মন, বিদ্যাসাগর মাহাত, কাকলী জানা, অনিমা বর্মন, সোমশুভ্রা ঘোষ, সোমা সিন্‌হা প্রমুখ৷

শিলচরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২৬শে নভেম্বর অসমে বরাক উপত্যকার শিলচর শহরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীবাপ্পাদিত্য দে কানুনগোর বাসভবনে তিনঘন্টা অখণ্ড ৰাৰানাম কেবলম্‌ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ বরাক উপত্যকার প্রতিটি জেলার মার্গী-ভাই বোনেরা এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর স্বাধ্যায় করেন ভুক্তিপ্রধান শ্রী পান্না রায়৷ এরপর আনন্দমার্গ দর্শন ও কীর্ত্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধুতী আচার্যা৷

 

মার্গীয়বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ২৬শে নভেম্বর চাণ্ডিলের রাউতাড়া গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রঘুনাথ মাহাতোর  নবনির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’ বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ৬ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷

 

নয়াবসানের কথা

কোন জায়গায় নোতুন প্রজা বন্দোবস্ত হলে অর্থাৎ নোতুনভাবে প্রজা বসানো হলে সেই জায়গাগুলোর নামের শেষে ‘বসান’ যুক্ত হয়৷ যেমন–রাজাবসান, নবাববসান, মুকুন্দবসান, নুয়াবসান (অনেকে ভুল করে ‘নয়াবসান’ বলে থাকেন–সেটা ঠিক নয়৷ দক্ষিণী রাঢ়ী ও উত্তরী ওড়িয়ায় নোতুনকে ‘নুয়া’ বা ‘নোয়া’ বলা হয়৷ ‘নয়া’ হচ্ছে হিন্দী শব্দ৷ বিহারের ভাষায় ‘নয়া’র পর্যায়বাচক শব্দ হচ্ছে ‘নয়্কা’ বা ‘নব্কা’৷ মেদিনীপুর জেলার নোয়াগ্রাম শহরটিকে আজকাল অনেকে ভুল করে নয়াগ্রাম বলে থাকে)৷