August 2024

আচার্যের তাৎপর্য

সমাজে প্রধান ব্যষ্টি যেমন আচরণ করেন, জনসাধারণ তেমনই অনুকরণ ও অনুসরণ করে৷ মানব সমাজে যে দুর্গতি এসেছে তার কারণ অনেক নয়, মাত্র একটাই৷ আর সেটা সমাজে নেতাদের দুর্নীতি৷

নেতাদের বিচারশীলতা কম হলেও জনসাধারণ তাঁদের চিন্তা-ভাবনাকে চোখ বুঁজে মেনে নেয়৷ তাদের বত্তৃণতা বা অভিনয় লাখ লাখ ব্যষ্টিকে সম্মোহিত করে রাখে৷ তাই কোন দেশে বা সমাজে ৰেশী ক্লেশ ও দারিদ্র্য দেখলে ৰুঝতে হৰে সেই দেশে বা সমাজে নেতার পাপে এমন হয়েছে৷

শিক্ষা ও নব্য-মানবতাবাদ

তোমরা জান যে সকল প্রাণীন সত্তারই অন্তর্নিহিত স্বভাব হল নিজেকে ভৌতিক ক্ষেত্রে বিস্তারিত করে দেওয়া, আর এই উদ্দেশ্যেই তাদের মৌলিক গুণের জন্যেই--উপরি-উক্ত বৈশিষ্ট্যকে মৌলিক গুণছাড়া আর কীই বা ৰলা যেতে পারে--তারা অন্যের স্বার্থের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে, অপরাপর জীবেদের শোষণ করে৷ এই মাত্র ৰললুম যে মানুষই হোক বা অনুন্নত জীবজন্তুই হোক সকলেরই অন্তর্নিহিত ধর্ম হল এটাই মানুষের ক্ষেত্রে রয়েছে আরেকটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যাকে সহজাত বৈশিষ্ট্যও ৰলতে পারি--আর সেটা হল এই যে, সে স্বভাবগত ভাবেই তার মানস জগতের পরিধিকে বাড়িয়ে তুলতে চায়৷ তাই মানুষ তার ভৌতিক ক্ষুধাকে আধ্যাত্মিক ভাবনার দিকে-আধ্যাত্মিক এষণার দিকে পরিচালিত

দুর্নীতি-অপরাধ ও জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে সেদিনের বিরোধী নেত্রী স্লোগান দিয়েছিলেন ‘‘বদলা নয় বদল চাই’’৷ পশ্চিমবঙ্গবাসী সেই বদলের আশাতেই ৩৪ বছরের হার্র্মদ রাজের অবসান ঘটিয়ে বিরোধী নেত্রীর হাতে রাজ্যের শাসনভার তুলে দেয়৷ গত ১২ বছরে বদল যে হয়নি তাতো নয়! যার সুফল গরীব মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে পৌঁছেও যাচ্ছে৷ তবু বহু আশার দুর্নীতির রাহুমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ হতে পারলো কই!

দিশাহীন জনবিরোধী বাজেটে কর্মসংস্থানের পথ দেখাতে পারেনি

প্রভাত খাঁ

আলোচনার প্রারম্ভে বলি একটি কথা তাহল অর্থই আদান প্রদানের মাধ্যম৷ সেই অর্থের মানটাই তলানিতে নেমে গেছে৷ তাই দেশ, শুধু দেশ কেন সারা পৃথিবী মুদ্রাস্ফীতিতে আক্রান্ত৷ আজ টাকার মূল্যই যেন কিছুই নেই৷ গত দশকের শেষ দিকে সোনার ভরি যা ছিল বর্তমানে সেটা আকাশ ছোঁয়া৷ তাই কাগজের নোটের ছড়াছড়ি৷ বর্তমানে ভারতের সরকার ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্রীতদাস৷ তাই জনসাধারণের কল্যাণ ভুলে শাসকদল পুঁজিবাদের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে৷ আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর নির্মমভাবে কর চাপিয়ে দরিদ্র নাগরিকদের শোষন করে চলেছে৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গর্বের সঙ্গে লোকসভায় ঘোষনা করেছেন শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভারতের অর্থ

দেশের কল্যাণে আজ দরকার সৎ নীতিবাদী দেশ সেবক

প্রবীর সরকার

আজ চরম সংকটে মনে পড়ে সেই বিপ্লবী, মানবতাবাদী কবি নজরুলকে---যিনি বলেছেন--- ‘‘হিন্দু না ওরা মুসলীম ঐ জিঙ্গাসে কোন জন?৷ কাণ্ডারী বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার!’’ তাঁর সেই কথা দলীয় স্বার্থন্ধরা মানে নি! তারা সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্রয় দিয়ে ইংরেজের টোপ গিলে দেশ ভাগ করে চরম সর্বনাশ করে মেকী স্বাধীনতা নিয়ে এলো৷ যার কুফল আজও দেশ ভোগ করছে৷ মেকী ধর্মমতের আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ বাধিয়ে! এটাই দীর্ঘ বছর ধরে উষ্কানী পাচ্ছে ধর্র্মন্ধ ও চরম সুবিধাবাদী নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকে!

কম্বোডিয়াতে সাইবার প্রতারকদের কবলে পাঁচ হাজার ভারতীয়

১৪ জন ভারতীয় ‘সাইবার ক্রীতদাস’কে প্রতারকদের কবল থেকে উদ্ধার করছে কম্বোডিয়া পুলিশ৷ যদিও এখনও দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা৷ ভারতে ফেরার জন্য সে দেশের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন করেছেন৷ সবুজ সঙ্কেত মিললেই তাঁরা চলে আসবেন ভারতে৷ মাস কয়েক ধরেই খবরের শিরোনামে কম্বোডিয়াতে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয়৷ সম্প্রতি ১৪ জন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷

এই ১৪ জনের মধ্যে বেশির ভাগই উত্তরপ্রদেশে ও বিহারের বাসিন্দা৷ কম্বোডিয়ার স্থানীয় পুলিশ তাঁদের প্রতারকদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে৷ বর্তমানে তাঁরা রয়েছেন একটি এনজিওতে৷

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন আইন বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ র প্রতিবাদ অব্যাহত৷ গোর্খা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দিন অর্থাৎ ১৮ই জুলাইকে কালা দিবস চিহ্ণিত করে, ঐ দিনটিতে শিলিগুড়ি ও কলকাতায় বড় আকারের বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয় ‘আমরা বাঙালী’ র তরফে৷ এদিন ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে জিটিএ আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে হাসমি চক, এয়ার ভিউ সহ বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে বিধান মার্কেট অটো স্ট্যান্ডে পৌঁছে সেখানে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেনউক্ত সভায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তথা সমাজ সেবী নীতিশ বসু, ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবি

শিলচরে শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের জন্মদিন পালন করলো আমরা বাঙালী

গত ১১ই জুলাই শিলচরে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের জন্মদিন পালন করা হয়৷

প্রযুক্তিগত সমস্যায় গ্রাহকের কাছে গেল ৪কোটি টাকার ইলেকট্রিক বিল

কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, কোনও অফিসও নয়৷ সাধারণ বসত বাড়ি৷ সেই বাড়িতেই নাকি গত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে চার কোটি টাকার উপরে! সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা বসন্ত শর্মা৷ উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম থেকে তাঁর মোবাইলে মেসেজ গিয়েছে৷ সেখানে তিন মাসের বিল দেখাচ্ছে, ৪ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪১ টাকা!