সম্পাদকীয়

দার্জিলিং  জিটিএ পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা৷

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়ে সুভাষ ঘিসিং এর উদয়৷ তাকে শান্ত করতে তৈরী হয় গোর্খা হিল কাউন্সিল৷ কয়েক বছর চলার পর নূতন করে উদয় হলো বিমলগুরুং৷ তাকে ঠাণ্ডা করতে জিটিএ অতপরঃ! গোর্র্খদের আন্দোলন দেশদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন৷ ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের  অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দার্জিলিং৷ আর গোর্র্খরা বিদেশী--- নেপালের লোক৷ রুজি রোজগারের ধান্দায় দার্জিলিং এসেছে৷ এতো বিদেশীদের আগ্রাসী আন্দোলন যা কোন মতেই সহ্য করা যায় না ৷ ওরা নেপালের লোক৷ নেপালে গিয়ে গোর্খাল্যান্ড করুক৷

একের আধিপত্য মানুষ মেনে নেবে না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বৈচিত্র্যং প্রাকৃত ধর্মঃ সমানং ন ভবিষ্যতি৷’’ বৈচিত্রই প্রকৃতির ধর্ম৷ সৃষ্ট জগতের কোনও দুটি বস্তু হুবহু এক নয়৷ দু’টি মন এক নয়, দুটি অণু বা পরমাণুও এক নয়৷ এই বৈচিত্র্যই প্রকৃতির স্বভাব৷ যদি কেউ সবকিছুকে সমান করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রাকৃত ধর্মের বিরোধিতা করায় অবশ্যই ব্যর্থ হবে৷ সব কিছু সমান কেবল প্রকৃতির অব্যক্ত অবস্থায়৷ তাই যারা সব কিছুকে সমান করার কথা ভাবে, তারা সব কিছুকেই ধবংস করার কথা ভাবে৷ .....সবাইকে যেমন এক ছাঁচে ঢালা যাবে না, তেমনি বৈচিত্র্যের ধূয়ো তুলে কেউ যাতে শোষণ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ বৈচিত্র্য স

মানবধর্মের সাধনাই বিশ্বৈকতাবাদ প্রতিষ্ঠা করবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে আঁতুড় ঘর থেকে শশ্মানঘাট পর্যন্ত শোষনের জাল বোনা হয়েছে৷ অপ্রয়োজনীয় সামাজিক আচরণের বোঝাকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

ত্রিস্তরীয় উন্নতি চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷  বাড়ী, গাড়ী, রাস্তা-ঘাট, পোষাক-পরিচ্ছদ, নানান্‌ সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়া এসবের জাঁকজমকের পাশাপাশি দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারী, মানবিকতার অভাব, শোষণ, খুন-জখম এসবও যে মহামারীর মত ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে

আত্মনির্ভরতা---জনগণের সঙ্গে প্রতারণা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশের বয়স্ক মহিলাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আর্থিক স্ব-নির্ভরতার অভাবে সংসারে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়৷ দেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে আত্মনির্ভরতার বুলি জনগণ শুনে আসছে৷ কিন্তু পুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রিত অর্থনৈতিক কাঠামোময় মানুষের পক্ষে আর্থিক স্বনির্ভর হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়৷ কারণ দেশের অর্থনীতি পুঁজিবাদী ধনকুবেররাই নিয়ন্ত্রণ করে৷ তাই শুধু মহিলারাই নয়, সমগ্র দেশবাসীই ধনকুবেরদের শোষণে জর্জরিত৷

আদর্শ নেতৃত্বের অভাবে দেশ ডুবছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন শুধু মোদি সরকারের আমলেই বা বলি কেন স্বাধীনতার পর থেকে অর্র্থৎ সেই গান্ধী নেহেরুর আমল থেকে বর্তমানে মোদির আমল পর্যন্ত এই ৭৬ বছর ধরে দেশীয় শাসনে ভারতের ২৭ কোটি মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায় নি---এখন তারা ক্ষুধার শিকার৷ তারা প্রত্যহ রাতে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমোতে যায়--- ক্ষুধা নিয়ে জাগে৷

অথচ মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনকুবের দেশে সিংহভাগ সম্পদ দখল করে আছে৷

দেশের বিশাল এক অংশ আজ চরম দারিদ্রের শিকার৷ দেশের অধিকাংশ ছাত্র-যুবা বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরছে৷ জীবনকে সুন্দর করে বিকাশের কথা ভাববার অবসর নেই তাদের৷  ---অন্নচিন্তা চমৎকারা !

সামাজিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের তিন কারণ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মূল কারণ–পুঁজিবাদ, জড়বাদ ও মৌলবাদ৷ নৈতিক অধঃপতনের কারণও তাই৷ পুঁজিবাদ মূলতঃ আত্মস্বার্থের কথা বলে৷ আমার সুখটাই বড় কথা, অন্যের হোক বা না হোক৷ আমার লাভটাই বড় কথা, গরীব মানুষের দুর্দশা যতই হোক৷ ওঁদের তাত্ত্বিকরা তথা পুঁজিবাদের সমর্থক অর্থনীতিবিদরা ‘ট্রিকল ডাউন’ তত্ত্বের কথা বলেন৷ বলেন, ধনিক শ্রেণীর অর্থনৈতিক উন্নতি হলে তা চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়বে ও তাতে দরিদ্র মানুষেরও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে৷ প্রণববাবু যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে’ গেছেন৷ কিন্তু তিনি যখন রাষ্ট্রপতি হলেন, তখন তিনিই তাঁর ভাষণে বলেন, এই ‘ট্রিকল ডাউন’ তত্ত্বের দ্বারা গরীব মানু

মধ্যে ঐক্য ভারতের সংহতির মন্ত্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বৈচিত্র্যং প্রাকৃত ধর্মঃ সমানং ন ভবিষ্যতি৷’’ বৈচিত্রই প্রকৃতির ধর্ম৷ সৃষ্ট জগতের কোনও দুটি বস্তু হুবহু এক নয়৷ দু’টি মন এক নয়, দুটি অণু বা পরমাণুও এক নয়৷ এই বৈচিত্র্যই প্রকৃতির স্বভাব৷ যদি কেউ সবকিছুকে সমান করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রাকৃত ধর্মের বিরোধিতা করায় অবশ্যই ব্যর্থ হবে৷ সব কিছু সমান কেবল প্রকৃতির অব্যক্ত অবস্থায়৷ তাই যারা সব কিছুকে সমান করার কথা ভাবে, তারা সব কিছুকেই ধবংস করার কথা ভাবে৷ .....সবাইকে যেমন এক ছাঁচে ঢালা যাবে না, তেমনি বৈচিত্র্যের ধূয়ো তুলে কেউ যাতে শোষণ করতে না পারে সেদিকেও লক

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা  চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানান পাঁয়তারা কষছেন, নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র্য মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প৷  প্রাউটের অর্থনীতির গোড়ার কথা হ’ল, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নূ্যনতম চাহিদা পূরণকে সুনিশ্চিত করা ও উত্তরোত্তর তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা৷ যাতে করে দেশ–কাল–পাত্রের পরিবর্ত্তনের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ হয় তার

ভারতের সংবিধান ঃ  নীতিও প্রয়োগের বিরোধ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত ব্রিটিশের  কবল থেকে মুক্ত হয়৷ এরপর ভারতের রাষ্ট্রনীতি কী হবে, কীভাবে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থা চলবে তা নির্ধারণের জন্যে ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে এক কমিটি তৈরী করা হয়, তার ওপর ভারতের সংবিধান  লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ সংবিধান হল সেই নির্দেশক পুস্তক যাতে রাষ্টের আচরণ বিধি, আইন ও আদর্শ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ যথারীতি ওই কমিটি তাদের লিখিত সংবিধান তৈরী করে ও ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়৷