প্রবন্ধ

পরম পুরুষের আকর্ষণ

(গত ২৬শে সন্ধ্যায় আনন্দনগর ধর্মমহাসম্মেলনে রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্র্স্যলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আচার্য কিংশুকরঞ্জনজীর ভাষণ ঃ আচার্য মোহনানন্দ অবধূত কর্তৃক  অনুলিখিত ও সংক্ষেপিত)

ধার্মিক ব্যাষ্টির বৈশিষ্ট্য হল , সে সংশ্লেষণের  পথ ধরে এগিয়ে  যাবে৷  নিজে কেবল  ধার্মিক ব্যষ্টি হলে যথেষ্ট নয়, তাঁর আচরণ  যেন ধর্মসম্মত  হয় তা দেখতে হবে ৷ নেতারা  বিশ্লেষণের  পথ নিয়ে চলে  আর  তা চলে  স্বার্থপূর্ত্তির উদ্দেশ্যে৷ কিন্তু ধার্মিক ব্যষ্টি  বা সাধক  চলবে সেবা-মানসিকতা নিয়ে৷ এতে  মানসিক শক্তির  প্রচুর  বিকাশ ঘটবে৷

ভাবজড়তার মায়া জাল

জিজ্ঞাসু

কুসংস্কার, অন্ধকারে শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে অন্ধবিশ্বাস, বহুদিনের  পুরাতন  কুভ্যাসের মানসিকতার অন্য নাম ‘‘ভাবজড়তা’’ বা ডগমা৷ একটা অজগর সাপ  অনেকগুলি  প্যাঁচে  একজন  মানুষকে  জড়িয়ে  ধরেছে, মাথাটা সবে মাত্র সাপের  মুখে ঢুকেছে৷ মানুষটি নামে মাত্র বেঁচে আছে৷ এবার কল্পনা করুন যাবতীয় যুক্তি বুদ্ধিহীন অন্ধবিশ্বাসই  ওই অজগর সাপ৷ ভাবজড়তাই যেন অজগরের মত বুদ্ধিকে গিলে নেয়, মানুষের তখন বেঁচে থাকা না থাকা সমান৷ সে অসহায়, আশাহীন, হতাশ৷ এমন সাপের  (ভাবজড়তার) বিষয়ে সজাগ করতেই এই লেখার অবতারণা৷

মহান ভারতবর্ষের কয়েকটি খণ্ডচিত্র

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

‘‘নিঃস্বার্থ প্রেষণায় হৃদয়ে মিলিলে হৃদয়

ধুলার ধরনী সততঃ হয় মধুময়৷’’

সুপ্রাচীনকাল থেকে আধ্যাত্মিকতার  নিগড়ে বাঁধা হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের মিলন, প্রেম-প্রীতি,  ত্যাগ-তিতিক্ষার আদর্শই ভারতবর্ষের  সনাতন    ঐতিহ্য৷ এই ঐতিহ্যের জন্যেই সুদীর্ঘকাল ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  মানুষ ছুটে  এসেছে এই দেশে, আপন  করে নিয়েছে এই দেশের  মাটি, মানুষ ও সংস্কৃতিকে আর  এদেশের মানুষও অতিথিদের  নারায়ণ জ্ঞানে  সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে৷ এই  দেয়া-নেয়ার মধ্য দিয়েই গড়ে  উঠেছে সুমহান ভারতবর্ষের  মৈত্রী, শান্তি ও মহামিলনের পরম্পরা৷ তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘‘ভারততীর্থ’’   কবিতায় বলেছেন---

অর্থনৈতিক মন্দায় কাজ হারানোর ফলে চীনদেশের শ্রমিকরা জঙ্গি আন্দোলনের পথে

মিহির কুমার দত্ত

অনেকদিন আগেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিকদের  পিছনে ছুরি মারা শুরু করেছে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে তারা নিজেদের  শ্রমিকশ্রেণীর  প্রতিনিধি হিসাবেই জাহির করে এসেছে৷ সেই চীনেই এবছরের প্রথম দশ সপ্তাহের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী শ্রমিকদের  আন্দোলন ও হরতালের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে৷ প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, চীনা সরকার কড়া  হাতে  সেই শ্রমিক আন্দোলন দমন করেছে ও সেই  আন্দোলনের সকল শ্রমিক নেতাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

দাদাঠাকুরের চিঠি - শৃঙ্খলা

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, সুক্লে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ঢ নোংরা করবে না৷

পরিবেশ ও আমরা

প্রবীর সরকার

পরিবেশ ভাবনা আজ  বিশ্বজুড়ে৷ পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য  নয়৷ আকাশ ,মাটি, সাগর নদী বন জঙ্গল, জলজ ও স্থলজ উদ্ভিদ , পশু-পক্ষী, কীট পতঙ্গ, সবার আছে এ বিশ্বে সমান অধিকার৷ কাউকে  বাদ দিয়ে চলার উপায় নেই৷  কাউকে  ধবংস করে চলার  চেষ্টা মানেই  প্রাকৃতিক  অবস্থার  ভারসাম্য  হারানো৷ যেহেতু  মানুষ সৃষ্টির সবচেয়ে উন্নত জীব তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার  দায়িত্ব রয়েছে তার বেশী৷

সমাজ বিপ্লবের রণকৌশল

মোহন সরকার

একটি ফুল  অথবা  একটি ফুলের মালা৷ কোনটি অধিক নয়নাভিরাম? সকলেই বলবেন মালাটি৷  কেননা মালাটি বহুফুলের বৈচিত্র্যের  সমাহার৷ তবে এর পাশাপাশি আর  একটি তথ্য মনে রাখতে হয়, মালাটির সৌন্দর্য ও চমৎকারিত্ব পরিপূর্ণভাবে প্রতিটি ফুলের সৌন্দর্য্যেকে আশ্রয় করেই৷

সমাজের ‘ভাগাড়ায়ন’---উত্তরণ কোন পথে ?

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

কিছুদিন ধরে ভাগাড় থেকে মৃত পশুর পচা মাংস কলকাতাসহ শহরতলির  হোটেল-রেস্তোরাগুলিতে  সরবরাহের খবরে  রাজ্য-রাজনীতি সরগরম৷ দক্ষিণ ২৪পরগণায় বজবজেব ভাগাড় থেকে  মৃত পশুর পচামাংস  পাচারের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে৷ পাচারের সাথে যুক্ত  স্থানীয় এক ব্যষ্টি ধরা পড়ে৷ প্রথমে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে অনেকের মনে হলেও পরে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে৷ পুলিশের তৎপরতা ও তল্লাশির ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক ভাগাড় থেকে মৃত পশুর  পচামাংস  হোটেল-রেস্তঁোরায় সরবরাহের ঘটনার কথা  আসে৷ জানা যায়, পুলিশের ধারণা এর পিছনে আছে এক বিরাট চক্র৷  এই চক্রের মূল পান্ডা বিশু ধরা পড়ে৷ পুলিশি জেরায় তার কাছ থেকে জানা যায় যে, গত ১০ বছর ধরে সে

মানব জন্ম এক বিস্ময়

জিজ্ঞাসু

মানুষের জন্ম যেখানেই  হোক, তার একটা বিশেষ  স্বভাব বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে সে বেড়ে ওঠে৷  এই পৃথিবীর  সব দেশের সব ভাষার মানুষের  মধ্যেই  একটা বিশাল মিল আছে৷ অন্য প্রাণী থেকে  তার অনেক অমিল৷ মানুষেরও প্রাণ আছে  সে অর্থে  প্রাণী হলেও, অন্য প্রাণীর  তুলনায়  মনের জগতে, প্রশ্ণের  জগতে, যুক্তি বুদ্ধির জগতে, জটিল মনস্তত্ত্বের  জগতে, সূক্ষ্ম অনুভব বা মানবিকতার জগতে  মানুষ অনেক এগিয়ে৷ অন্য প্রাণী এ বিষয়ে  অসহায়৷ আহার, নিদ্রা,  ভয়, সংখ্যাবৃদ্ধি+ অস্তিত্বের  জন্য আক্রমণ ও হত্যা  কিংবা  মৃত্যুবরণ  এতেই  সীমাবদ্ধ প্রাণী জীবন৷ ওই  হল সাধারণভাবে  প্রাণী জীবন৷ ওই হল সাধারণভাবে  প্রাণীধর্ম বা প্রাণধর্ম৷

৫ই জুন পরিবেশ দিবস - পরিবেশ রক্ষা ও নব্যমানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

আমাদের চারপাশের জলবায়ু, গাছপালা, মাটি,  অন্যান্য প্রাণী, মানুষ, জৈব ও অজৈব সমস্ত কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ৷ পৃথিবীর পরিবেশ জীব বিকাশের  পক্ষে অনুকূল বলেই এই পৃথিবীতে মানুষের বাস৷  অথচ সৌরজগতের আর কোথাও বা বিশ্বব্রহ্মান্ডের  কোথাও এখন মানুষ জীবের সন্ধান পাচ্ছে না৷ হয়তো বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও না কোথাও জীব আছে৷ হয়তো, দূরবর্তী কোনো নক্ষত্রের সংসারে৷ যেমন এ সূর্যের  সংসারে পৃথিবী--- এমনি কোনো পৃথিবী আছে সেখানে হয়তো মানুষ আছে, কিন্তু এখনো আমাদের  বিজ্ঞানীদের জানার বাহিরে৷  তাই এখন আমরা বলতে পারি, এ সুবিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে একমাত্র পৃথিবীর পরিবেশ মনুষ্য বসবাসপোযোগী৷ এর বাইরে মানুষের  বাঁচবার বেড়ে