প্রবন্ধ

জঙ্গল মহল আজও পরিবর্তন চায়

হরনাথ মাহাত

পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলো৷  জঙ্গলমহল এবার  তৃণমূল  দল থেকে  বিজেপি  দলকে বেশী পছন্দ করেছে৷ কেন? কী তার জবাব?  উত্তর কারোর জানা  নেই৷ প্রথমে  কংগ্রেস, সিপিএম  তারপর  মাওবাদী এর পর তৃণমূল এখন বিজেপি  দলকে সামনে এনে মুখের স্বাদ পরিবর্ত্তন  করার একটা  প্রবনতা স্থানীয়  নেতাদের  ইচ্ছা জাগে  আর সাধারণ  মানুষ ভেড়ার  পালের  মত তাঁদের  পিছনে  দৌড়ায়৷ (আমি ইচ্ছা করে রাঢ়ের  বা জঙ্গলমহলের  মানুষকে  ভেড়া  বলিনি৷  আমার গুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী খুবই শ্রদ্ধা করতেন আমিও করি৷ পরিস্থিতি বলতে বাধ্য করেছে)

অধ্যাপক ভাস্কর পুরকায়স্থ স্মরণে

আচার্য রবীশানন্দ অবধূত
Bhaskar Babu

অধ্যাপক ভাস্কর পুরকায়স্থের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১১ সাল থেকে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির বিভাগীয় প্রধান  ডঃ দিলীপ হালদার আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ভাস্কর পুরকায়স্থের সঙ্গে৷ ২০১১ সালের জুন মাসে আনন্দ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে  একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল মৌলালী যুবকেন্দ্রে৷ সেই সভায়  অধ্যাপক পুরকায়স্থ বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন৷ তিনি প্রাউটের  সমবায় পদ্ধতির অভিনবত্ব ও সদবিপ্রতন্ত্র সম্পর্ক

আধ্যাত্মিকতাই  জীবনের পরশমণি

বাদল মজুমদার

 ধর্মের নামে ভণ্ডামির  বিরোধিতা করতে   গিয়ে  অনেকেই  ধর্ম নামক বিষয়টাকেও দোষারোপ করছেন৷  ওই সব ‘যুক্তিবাদী’,  সমালোচকদের বোঝা উচিত, মানব সমাজে  ভণ্ডামির  মাধ্যম শুধু  ধর্ম নয়৷  রাজনীতি ক্ষেত্রে কি ভণ্ডামি নেই? ধর্মের  নামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়৷ রাজনীতির নামে কি দাঙ্গা হয় না?  বর্তমান যুগে  ধর্মের ভেকধারী দুবৃর্ত্তদের চেয়ে রাজনৈতিক মুখোশ পরা শয়তানদের  সংখ্যা অনেক বেশী৷ তাবলে  কি রাজনীতি নামক বিষয়টাই  খারাপ?

দেশভাগ, সাম্প্রদায়িকতা ও কেন্দ্রের প্রশাসনিক ব্যর্থতায় ও ৭১ বছরেরর দুর্বল শাসনে গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস

প্রভাত খাঁ

আমরা অখন্ড ভারতবর্ষকে খন্ড খন্ড করে  রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাই ১৯৪৭ সালের  ১৫ই আগষ্ট৷ ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারীর দিনটিকে আমরা সাধারণতন্ত্র  দিবস হিসেবে ঘোষণা করি৷

তাই আজ  ৭১ বছর  হলো  আমরা গণতান্ত্রিক  রাষ্ট্রে বাস করছি৷ পা পা করে  অনেক বছর হলো ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ  স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে  পাশাপাশি  রয়েছে৷ স্মরণে থাকে  যে পূর্ব-পাকিস্তান অর্থাৎ  পূর্ব বাংলাই বাংলাদেশ হয়  পরবর্ত্তীকালে  বাংলাভাষা আন্দোলনের  মাধ্যমে৷

জাগৃতি

জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহের (ওই মহামানব  আসে) লেখাটি পড়ে কারো কারো মনে এমন প্রশ্ণ জেগেছে, মানুষ যদি বিজ্ঞানীর ল্যাবেই  অতি মানব বানিয়ে  নিতে পারেন, তবে  ব্যষ্টিগত বা সামুহিক জীবনে আধ্যাত্মিক  অনুশীলনের তো প্রয়োজনই নেই৷ গতবারের লেখা কে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি৷ দুঃখিত ৷ আজ সমগ্র পৃথিবীটা অনিশ্চয়তা ভয় ও দুঃখের সাগরে ভাসছে৷ বিজ্ঞানের  বেশ খানিক অগ্রগতির পরও দারিদ্র্য শোষণ অসুখ সন্দেহ লেগেই  আছে৷ কারণ? মানুষ যুক্তি-বুদ্ধির অখন্ডচেতনার বোধের মিলন ঘটাতে  পারেননি৷ তাতে কি হল?

ক্ষমতা লাভের  লালসাতে মত্ত হয়ে মিথ্যা স্তোক বাক্য শুণিয়ে মানুষের  প্রকৃত কল্যাণ করা যায় না

কৃষ্ণমোহন দেব

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সিপিএমের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভের  জন্যে জনগণ মমতার  নেতৃত্বে সিপি এমের  ৩৪ বছরের কুশাসনের অবসান ঘটিয়ে মমতাকে  ক্ষমতায়  এনেছে৷ তাই বলছিলাম সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কেউই শান্তির পায়রা নয়৷

কন্যাশিশু ও নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন প্রসঙ্গে

ফরিদা নার্গিস

 আজ থেকে পনেরোশো বছর আগে  আরব দেশে এমনি এক জাহেলিয়া যুগ এসেছিল৷ যেখানে নারী ও শিশুরা চরম  নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল৷ বিশেষ করে কন্যাসন্তান হত্যা ও নারীকে পাশবিক নির্যতন এক চরম  মাত্রা অতিক্রম  করেছিল৷ সমাজপতি ও রাষ্ট্রনেতাদের উদাসীন্যতায় সেই বর্বরতা মানুষের  মনে ব্যাপক  ক্ষোভের  সৃষ্টি করেছিল৷ কিন্তু সে অবস্থারও অবসান ঘটেছিল হজরত মোহাম্মদ নামক এক মহামানবের আবির্ভাবে৷নির্যাতিতা

ক্ষমতা লাভের  লালসাতে  মত্ত হয়ে মিথ্যা স্তোক বাক্য শুণিয়ে মানুষের  প্রকৃত কল্যাণ করা যায় না

কৃষ্ণমোহন দেব

সন্ত্রাসের রাজনীতি করে সি.পি.এম পার্টি দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতাকে  কুক্ষিগত করেছিল  আর চিরাচরিত পুঁজিবাদীদের বিরুদ্ধাচরণ করে’ সি.পি.এমের  কমরেডদের  নব্যপুঁজিবাদী হয়ে উঠেছিল৷ বাংলার  মানুষ তথা ভারতের বুদ্ধিজীবীমাত্রই  ভালভাবে জানেন৷ আবার অন্যদিকে জাত-পাতের  রাজনীতি করে’ সাংসদ  ও বিধায়ক হতে সক্ষম হয় ও সেই সঙ্গে নানাভাবে  ঘোটালা করে সাংসদ ও  বিধায়কগণ কোটি কোটি  টাকার মালিক হয়ে গেছেন, ভারতের মানুষ এও জানে৷ দেশ গড়ার ও মানুষের কল্যাণ করার আদর্শ বা নীতি এঁদের কারুরই নেই৷ বর্ত্তমানে কেন্দ্রে মোদী তথা বিজেপি সরকার রয়েছে৷ এদের ক্ষমতালাভের পেছনে  আছে ২০১৪ সালের  লোকসভা ভোটের আগের মিথ্যা স্তোকবাক্যগুলি৷

‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’ নামকরণের তাৎপর্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার তাঁর নোতুন সামাজিক-অর্থনৈতিক তত্ত্বের নামকরণ করেছেন ‘Progressive Utilization Theory’’ ( এরই সংক্ষিপ্ত রূপ (PROUT) প্রাউট৷ এর  বাংলা হল প্রগতিশীল  উপযোগ তত্ত্ব৷ প্রশ্ণ জাগতে পারে প্রাক্তন প্রবক্তা তাঁর  তত্ত্বের  নাম এরূপ রাখলেন কেন?

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

সুকুমার সরকার

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

                ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

                বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

                নির্বাসিতা তুমি

                সুন্দরী শ্রীভূমি–’’