July 2020

জগৎ কল্যাণে আধ্যাত্মিক সাধনার বিশেষ গুরুত্ব আছে

প্রভাত খাঁ

জন্মের প্রথম থেকেই সবাই শুনে আসছি যে সংগ্রামই জীবন৷ তাই এই সংগ্রাম হলো ঘরে বাহিরে৷ শরীরের মধ্য দিয়ে দৈহীক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিনটি ক্ষেত্রেই মানুষকে  সচেতন হতে হবে৷ শুধু তাই নয় আমরা যে স্থানে বাস করছি তার পরিবেশকেও এমনভাবে পরিষ্কার  ও পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে যাতে আমরা  নানা রোগের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হই৷ তাই  সংগ্রামই জীবন এই মহাবাক্য হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শরীরের মধ্যদিয়েই আমরা আমাদের সার্বিক বিকাশ ঘটাই তাই শরীরের মাধ্যমে সবকিছু  জাগতিক কাজ করার জন্য বলা হয় ‘‘শরীর মাধ্যমদ্বৈত মন্দির সাধনম্ স্থান, আহার, শুদ্ধ অর্থাৎ খাদ্যগ্রহণ করতে হয়৷ তা না হলে শরীর নষ্ট হয়ে যাবে৷ বর্ত

এই চাপ সৃষ্টির মধ্যেই রয়ে গেছে পুঁজিবাদী শোষণের কৌশল

শ্রী শঙ্কর দাশ

পুঁজিবাদী কৌশল বোঝা খুবই কঠিন৷ অর্থের ব্যাপারে বৈশ্য বুদ্ধির কাছে বিপ্রের তীক্ষ্ন বুদ্ধিও নস্যি মাত্র৷ আমি বরাবরই বলে থাকি, যুদ্ধ আর কিছুই নয়, পুঁজিপতিদের শোষণ করার এক সূক্ষ্ম ও শৌখিন কৌশল মাত্র৷ ভারত বর্ডারে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, সৈনিকরূপে মাত্র সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা, দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া, এরই সুযোগে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া, মুনাফার  নামে পুজিবাদী লুটতরাজ শুরু করা--এসবই পুঁুজিবাদী কৌশলমাত্র৷ ভারত-চীন যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়ার মধ্যে আমাদের দেশের শ্লোগান ওঠেছে, ‘‘বয়কট চায়না’’

প্রাউটের অর্থনীতি নিয়ে কিছু কথা

এইচ. এন. মাহাতো

একটি দেশের নাগরিকদের জন্য সাচ্ছন্দ্য আনতে হলে সেই দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও কর্ষকদের মনোন্নয়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই  অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরাম্বিত করতে শিল্পের বিকাশ খুবই প্রয়োজন৷ কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব৷ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার শিল্পনীতি সম্পর্কে বলেছেন--- যে কোন অবস্থায় কেন্দ্রীভূত শিল্প স্থানীয় শ্রমিকদের করে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বেশী ঘটায়৷ এরফলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে, বহিরাগত শ্রমিকদের ওপর রাজনৈতিক  নেতাদের দাদাগিরি বৃদ্ধি পায়৷ এরজন্যে কলকারখানায় নানা ভাবে শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়৷ তাই প্রাউট প্রবক্তা বলেছেন শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার৷ প্রথমেই তি

ভাল আছে কলকাতা

কেন্দ্রীয় শাসক দলের নেতা নেত্রীরা যতই বাঙলা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বদনাম করুক, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সমীক্ষা বাঙলার প্রশংসাই করে৷ সম্প্রতি লকডাউন চলাকালীন গত ২৩শে মার্চ থেকে দেশের ১৬টি শহরে অনুসন্ধান চালায় ব্র্যাণ্ড অ্যানালিটিক্স সংস্থা৷  সংস্থার সমীক্ষায় জানা যায় ওই সময়ে মানুষের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল৷ সমীক্ষায় ধরা পড়ে দিল্লী ও গুয়াহাটীর মানুষ সবথেকে বেশী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত৷ চেন্নাই ও কোচিন খুব ভাল অবস্থায় নেই৷ মানসিক সমীক্ষার সূচকে তুলনামূলকভাবে ভালো আছে হায়দ্রাবাদ, চন্ডীগড়ের মানুষ৷ তবে সবথেকে  কম দুশ্চিন্তায়  আছে কলকাতার মানুষ৷ তাই দেশের অন্যান্য শহরের তুলন

করোনা---সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার হার স্বস্তি দিচ্ছে

করোনার রাশ টেনে ধরা এখনও সম্ভব হয়নি৷ প্রতিদিনই সংক্রমণ বৃদ্ধি রেকর্ড করছে৷ চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও কোনো আশার কথা শোনাতে পারছে না৷ তবে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ ভারতে করোনা ভ্যাকসিন আবিস্কারও হয়েছে, তবে তার এখনও অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা বাকী আছে৷

বাংলা বানান সংস্কার

জাদুগর

‘গর’ প্রত্যয়যুক্ত ফারসী শব্দ ‘সওদাগর’ অর্থাৎ যিনি সওদা বোঝেন৷ ‘জাদুগর’ অর্থে যিনি জাদু জানেন, বোঝেন৷ এখানে বলে রাখা ভাল যে কেউ কেউ ‘জাদুগর’ বানানের পরিবর্ত্তে ‘যাদুকর’ এইরকম বানান লেখেন৷ তাঁরা শব্দটিকে ‘যাদু’ শব্দের উত্তর কৃ  অল্ করে দেখাতে চান৷ কিন্তু তা ঠিক নয়৷ ‘জাদু’ ফারসী শব্দ৷ ‘জাদু’ জানেন, বোঝেন এই অর্থে ফারসী প্রত্যয় ‘গর’ যুক্ত হয়ে হয়েছে ‘জাদুগর’৷ তাই ‘যাদুকর’ বানানের টিকি থেকে ন্যাজের ডগা পর্যন্ত ভুল৷ ‘জাদুগর’ শব্দের সংসৃক্ত প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘বাজিকর’৷ ‘কর’ সংসৃক্ত প্রত্যয়৷ ফারসীতে ‘কর’ প্রত্যয় নেই৷ ‘কার’ বলে যে শব্দটি রয়েছে তা প্রত্যয় নয়৷ ‘কার’ মানে ফারসীতে ‘কাজ’৷ ‘জাদু’ শব্দের সংসৃক

অসার কলহ

বিশ্বদেব  মুখোপাধ্যায়

টিভির বিভিন্ন বাংলা নিউজ চ্যানেলে রাত ৮টা বাজলেই শুরু হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত তিন-চারটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও এক বা দুজন রাজনৈতিক বিশ্লেষককে  নিয়ে আলোচনা বিভিন্ন নাম দিয়ে৷ যখন টিভিতে প্রথম এ ধরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল, তখন খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাম৷ এখন আর ভালো লাগে না৷ ৮টা বাজলে হয় টিভি বন্ধ করে দিই নতুবা অন্য চ্যানেলে ঘুরিয়ে দিই৷ এ কেবল আমার কথা নয়, পরিচিত অনেকের সাথেই  কথা বলে দেখেছি তাদের ও একই মত, তারাও বিরক্ত৷ গঠনমূলক কোনো আলোচনা নেই, শুধু কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি৷ আসলে যাঁদের আনা হয় অনেক সময় মনে হয়েছে এঁরা বুঝি সবজান্তা৷ অথচ কোনো বিষয়েরই সুষ্ঠু সমাধান এঁদের কাছ থেকে পাওয়া যায় নি৷ এছাড়া  যাঁর

শাসক দলের আভ্যন্তরীণ বিবাদে বেসামাল অবস্থা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

একসময় গ্রীণ জোনের তকমা পাচ্ছিল ত্রিপুরা৷ তবে এখন দিন দিন  করোনার প্রকোপ বাড়ছে৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাসকদলের আভ্যন্তরীণ বিবাদ ও অসন্তোষ৷ দলের বিক্ষুদ্ধ এক বিধায়কের কথায় করোনাই এখন মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষাকবচ৷ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলাবলে কিছু নেই৷ সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম নারী  নির্যাতন, দলের  অভ্যন্তরে , দ্বন্দ্ব, শরীকি সংঘাত ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে৷ ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের৷  বাংলাকে বঞ্চিত করে হিন্দীর বাড়-বাড়ন্ত, রিয়াং অনুপ্রবেশকারীদের পুনর্বাসন ভূমিপুত্রদের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে একদিকে আভ্যন্তরীণ সংঘাত ও শরীকি বিবাদ ভূমিপুত্রদের  ক্ষোভে বেসামাল বিপ্লববাবুর  সরকার৷ মণিপুর নাগাল্যাণ্ডেও শর

সদ্বিপ্রের নেতৃত্ব

সংকলন ঃ জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

(প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচনা সম্ভার থেকে সংগৃহীত)

প্রতিটি চলমান সত্ত্বাকে নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে প্রয়োজন সার্থক নেতৃত্ব৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নৌকার জন্যে একজন কাণ্ডারী, ট্রেন-বাসের জন্যে ড্রাইভার যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই মানব সমাজের প্রগতির জন্যেও প্রয়োজন প্রকৃত নেতৃত্বের যাঁরা সমগ্র সমাজকে নির্ভুল দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷ সমাজ সম্পর্কে আলোচনায় প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে  (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (potentiality)।