March 2021

ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির

ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার শ্রী সূর্যবিকাশ চক্রবর্তী ও ডায়নামিক ইয়ূথ ডেভলপমেন্ট ফুটবল এ্যাকাডেমির সদস্যরা আনন্দনগরে আসেন গত ২০শে ফেব্রুয়ারী৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী আনন্দনগর প্রাইমারী স্কুলমাঠে আনন্দনগর সংলগ্ণ গ্রাম ও স্কুল ছাত্রদের নিয়ে ফুটবল প্রশিক্ষা দেওয়া হয়৷ তারা আনন্দনগর সংলগ্ণ এলাকায় ফুটবলের উন্নতির জন্যে কিছু পরিকল্পনা করছেন৷

জাতীয় ফুটবল শিবিরে ডাক পেল প্রবীর

প্রায় ১৬ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভাগ নেবে ভারত৷ খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে৷ প্রতিযোগিতার দু’সপ্তাহ আগে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শিবির করবেন ইগব- স্তিমাচ৷ আগামী ২৫শে মার্চ থেকে ওমানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত৷ আগামী ২৯শে মার্চ আয়জকদের বিরুদ্ধে খেলবে  সুনীল বাহিনী৷ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাই ম্যাচের আগেই জাতীয় শিবিরে ডাক পেল ৩৫ জন ভারতীয় খেলোয়াড় ও তাদের মধ্যে একজন বাঙালীও আছেন৷ চলতি আই এস এলে ভাল খেলেছেন এই সমস্ত ফুটবলাররা৷ যেমন  আশুতোষ মেহেতা , আকাশ মিশ্রা, রাহল কেপি ঈশান পণ্ডিত প্রমুখ৷

নাসায় কৃতিত্ব দুই বঙ্গ সন্তানের

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী রাত্রি ২টা ২৫ মিনিটে মঙ্গল গ্রহের লাল মাটি স্পর্শ করলো নাসার তৈরী রোভার পার্সিভিয়ারেন্স৷ নাসার এই কৃতিত্বের অংশীদার দুই বঙ্গসন্তান অনুভব দত্ত, সৌম্য দত্ত৷ অনুভবের বাড়ি পূর্বমেদিনীপুর জেলার মহিষাদল থানার ঘাঘরায়৷ পিতা অমিত দত্ত মহিষাদলেরই ভূমিপুত্র পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মা মৃদুলা চট্টোপাধ্যায় দত্ত হুগলী জেলার চন্দননগরের মেয়ে৷ বর্ধমানে মামার বাড়ীতে জন্ম সৌম্য দত্ত’র৷ ছোটবেলায়  বাবা-মা কে ধরে আমেরিকায় চলে আসেন৷

হিটলারের পথে!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে ১৯৩৩ সালে ২৬শে জুলাই জার্র্মনীর একটি ষ্টেডিয়ামের নাম রাখা হয় অ্যাডলফ-হিটলার কাম্ফবান৷ নাম ছিল স্টুটগার্ট ফুটবল স্টেডিয়াম৷ স্টুটগার্ট সরে হিটলার স্থান নিল হিটলারের জীবদশাতেই৷

২০২১ সালের গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী গুজরাটের মোতেরায় সর্দার বল্লভভাই পটেলের নামাঙ্কিত স্টেডিয়াম সর্দারকে সরিয়ে নাম হলো নরেন্দ্রমোদি স্টেডিয়াম৷ প্রধানমন্ত্রীর নামে স্টেডিয়াম,উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি৷ তবে তিনি একা নন,স্টেডিয়ামের দুই প্রান্তের নাম প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভরতার সহায়ক আম্বানি এণ্ড আদানি এণ্ড৷

রাজনীতির রং বদল নয়---অর্থনীতির ভোল বদল চাই মানবতার আর্থিক  মুক্তির পথ প্রাউট

রাজ্যে বিধানসভা ভোট সামনে৷ পরিবর্তনের আবাজ তুলে কেন্দ্রের শাসকদল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভোটযুদ্ধের রণ দামামা বাজিয়ে দিয়েছে৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন--- আর কত পরিবর্তন দেখবো৷ দেশতো উচ্ছন্নে গেল! দেশের হতদরিদ্র অবহেলিত মানুষগুলোর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন তো হচ্ছে না৷ প্রতিশ্রুতির বস্তা নিয়ে রাজ্যে একঝাঁক পরিযায়ী নেতার আগমন হয়েছে৷ প্রভাত খাঁ প্রশ্ণ করেন --- ভোটের পর এই নেতারা রাজ্যে থাকবেন তো? রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্ণের উত্তরে তিনি বলেন দিল্লীতে তো পরিবর্তন হলো৷ জনগণ কি পেল!

২১শের শহীদ স্মরণে ‘আমরা বাঙালী’

মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী উর্দু সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বুলেটে ঢাকার রাজপথে লুটিয়ে পড়েছিলেন পাঁচ তরুণ---সফিউর, রফিক, বরকত, সালাম, জববর৷ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার সেই আন্দোলনই পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানের অবলুপ্তি ঘটিয়ে স্বাধীন বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে৷ তাই প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারী এপার-ওপার দুই বাঙলার মানুষই শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি ভাষা দিবস পালন করে৷১৯৯৯ সালে রাষ্ট্র সংঘ এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে৷

শ্রদ্ধায় স্মরণে সমচ্ছ্বসিত সত্যশিবানন্দ

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত নোতুন পৃথিবী পত্রিকার সঙ্গে নাড়ীর যোগ ছিন্ন করে ইহ জগতের কর্ম সমাপন করে সত্যলোকে পাড়ি দিলেন৷ দীর্ঘ ৫৮ বছর তিনি আনন্দমার্গের সঙ্গে জড়িত৷ ১৯৬৩ সালে শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি আনন্দমার্গে যোগ দেন৷ তাঁর দীর্ঘ সংঘ জীবনের অধিকাংশ সময় নোতুন পৃথিবীর সম্পাদকের কাজে যুক্ত ছিলেন৷ মাঝে কয়েক বছর জলপাইগুড়ি জেলা থেকে প্রকাশিত ‘সারকথা’ পরবর্তীকালে ‘আলোর পথের নিশানা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন৷ কয়েক বছর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ছিলেন৷ পরে আবার নোতুন পৃথিবী পত্রিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷  আমৃত্যু তিনি সেই সম্পাদকের দায়িত্বেই ছিলেন৷

আত্মনির্ভরতার অসার বুলি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এখন শুধু আত্মনির্ভর দেশ গড়ার আহ্বান৷ কিন্তু তিনি দেশকে আত্মনির্ভর করার উপায় নিয়ে একটি বাক্যও বলেননি৷ বরং অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ আর্থিক বছরের বাজেট সংসদে পেশ করে আত্মনির্ভরতার  বিপরীত পথে চলার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে ব্যাপকভাবে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ এর অর্থ দেশের সমস্ত সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিপতিদের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যাবে৷

একুশের বার্র্ত্ত আমাদের শপথে আবদ্ধ করে

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ এক স্মরণীয় ও বরনীয় দিন৷ একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের ভাষাগত মূল্যবোধের এক জাগ্রত প্রহরী৷ একুশ আমাদের চেতনার রঙে রাঙানো একটি দিন, একুশ জাগরণের একটি দিন৷ একুশের কোন সীমাবদ্ধতা নেই৷ একুশ অমর ও অক্ষয়৷

ইতিহাসের সরণী বেয়ে ও প্রকৃতির চিরায়ত আবর্ত্তনের পথ ধরে একুশ যখন আমাদের চিত্ত আর চেতনার আকাশে আত্মপ্রকাশ করে তখন আমরা প্রাণিত ও রোমাঞ্চিত হই৷