March 2021

গোলমরিচ

গোলমরিচকে প্রাচীনকালে কথ্য সংস্কৃতে ৰলা হত ‘‘কটূৰীজম’’৷ গোলমরিচের আদিবাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া গোলমরিচের অতি প্রিয়৷ হাওয়াতে–মাটিতে–জলে একটু নোনতা ভাব থাকলে তো সোণায় সোহাগা৷ মোটামুটি বিচারে ধরে নেওয়া যেতে পারে নারকোল, পান, চৈ, গোলমরিচ কতকটা একই ধরনের আবহাওয়া চায়৷ এই জন্যে আমরা দেখতে পাই অনেক ক্ষেত্রে লোকে গোলমরিচের লতা নারকোল গাছের ওপর তুলে দেয়৷ গোলমরিচ ভারত তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি অন্যতম ফসল ও যথেষ্ট গুণযুক্ত একটি মশলা৷ গোলমরিচ একটি সংরক্ষণযোগ্য ৰীজ ঙ্মশুকিয়ে রাখা যায় দীর্ঘদিনৰ৷ দক্ষিণ ৰাংলা, পূর্ব ৰাংলা ও উত্তর ৰাংলার আবহাওয়া নারকোল, চৈ ও গোলমরিচ–তিনেরই উপযোগী৷ পূর

দধীচি দিবস

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

দধীচি  দধীচি  দধীচি  দধীচি

দধীচি ---পঞ্চবীর,

মার্চের আজ পঞ্চম দিনে

শ্রদ্ধায় নতশির৷

মানব সেবার মহান যজ্ঞে

তোমরা হয়েছ সমিধ্‌,

ধর্মসংস্থাপনার্থে

রক্ত-সিক্ত শহীদ৷

নরাধম যত দানবের দল

নৃশংস নির্মম,

কেড়ে নিয়েছিল কল্যাণ কাজে

 সকল উদ্যম৷

তোমাদের সেই প্রাণের প্রদীপ

আজও অনির্বাণ,

সেই আনন্দনগর যে আজ

মোদের তীর্থস্থান৷

প্রপঞ্চময় জগতে তোমরা

পঞ্চপ্রদীপ সম,

গুরুর চরণে জীবনাঞ্জলি---

তোমাদের নম নম৷

 

মৃত্যুদূত

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

(অতিমারী করোনার পটভূমিকায়)

ভেবেছিনু মনে নোতুন বছর হবে

শান্তি, প্রগতি আর সমৃদ্ধির,

কেটে যাবে আনন্দ, হাসি আর কলতানে

 হবে না কোথাও কোন প্রাণসংহার৷

 

হঠাৎ মৃত্যুদূতের মতো আমাদের

সভ্যতার অন্দরে এল করোনা ভাইরাস,

বাড়তে লাগল ভয়, শঙ্কা আর-

নিরন্তর ত্রাস৷

 

সারা বিশ্বে শুরু হল

মৃত্যুর মহোৎসব-

আকাশে উড়ন্ত শকুন

আর নিচে অগণিত শব৷

 

আজ কেবলই মনে হচ্ছে

এ যেন সভ্যতার সঙ্কটকাল

বিপন্ন মানুষ সাগ্রহে প্রহর গোণে

কবে আসবে নোতুন সকাল৷

নারী

শর্মিলা রীত

সমাজের চোখে আমরা -

শুধুই কি দলিত এক নারী!

দুচোখ ভরা স্বপ্ণকে তাই ভাঙতে কি পারি?

সমাজ বলে ও যে নারী....

ও তো ঘরকোন্নায় পটু,

বাইরে যাওয়া, চাকরি করা  লাগে বড্ড দৃষ্টি কটু৷

নারী মানেই বয়স যখন মাত্র উনিশ -কুড়ি...

প্রতিবেশীর উঁকিঝুঁকি আর কটুক্তি-

ও কি! ও যে নারী...

বিয়ে হবে কবে?

হচ্ছে তো বুড়ি৷

আমি বলি তুমি নারী তুমি আদিকালের সৃষ্টি,

তুমি পারো কুসংস্কার, ভাঙতে কুদৃষ্টি৷৷

এগিয়ে চল হাজার আলো নিয়ে অঙ্গীকার ...

ভ্রান্ত ধারণা মুছে দিয়ে দূর কর অন্ধকার৷

নারী জননী-জগধারিনী....

মাতৃভাষা দিবস

জয়তী দেবনাথ

২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ যে ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষিতে  এই দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘ মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে, ইতিহাসে  এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল৷

স্মৃতির অন্তরালে--- ‘‘বাড়ী আমার ভাঙন-ধরা অজয় নদীর বাঁকে’’

কণিকা দেবনাথ

‘‘কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাঙলার  গ্রামের তুলসী মঞ্চ, সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল শঙ্খের কথা মনে পড়ে৷’’ পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

গ্রাম্যজীবনের সহজ সরল নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকে কবিতার বিষয় ছিল৷ ১৮৮৬ সালের ১লা মার্চ অবিভক্ত বাঙলার বর্ধমানের কোগ্রামে মামার বাড়ীতে জন্ম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের৷ কবির পৈতৃক বাড়ী ছিল বর্ধমান জেলারই বৈষ্ণবতীর্থ খ্যাত শ্রীখণ্ড গ্রামে৷ তাই হয়তো তাঁর কবিতার মধ্যে পল্লী বাঙলার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে বৈষ্ণব ভাবধারা যুক্ত হয়ে কবিতার ভাব ও ভাষাকে  আলাদা মাধুর্য দিয়েছে৷

স্মৃতির অন্তরালে--- ‘‘বাড়ী আমার ভাঙন-ধরা অজয় নদীর বাঁকে’’

কণিকা দেবনাথ

‘‘কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাঙলার  গ্রামের তুলসী মঞ্চ, সন্ধ্যা প্রদীপ, মঙ্গল শঙ্খের কথা মনে পড়ে৷’’ পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

গ্রাম্যজীবনের সহজ সরল নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি পল্লী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকে কবিতার বিষয় ছিল৷ ১৮৮৬ সালের ১লা মার্চ অবিভক্ত বাঙলার বর্ধমানের কোগ্রামে মামার বাড়ীতে জন্ম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের৷ কবির পৈতৃক বাড়ী ছিল বর্ধমান জেলারই বৈষ্ণবতীর্থ খ্যাত শ্রীখণ্ড গ্রামে৷ তাই হয়তো তাঁর কবিতার মধ্যে পল্লী বাঙলার প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে বৈষ্ণব ভাবধারা যুক্ত হয়ে কবিতার ভাব ও ভাষাকে  আলাদা মাধুর্য দিয়েছে৷

বিনা টিকিটে গঙ্গাস্নান

প্রাচীনকালের মানুষ যাঁদের গঙ্গা–যমুনার উপর খুব শ্রদ্ধা–ভক্তি ছিল তাঁরা ভাবতেন ঈশ্বরের করুণাই  অবস্থান্তর প্রাপ্ত হয়ে      গঙ্গাধারার রূপ পরিগ্রহ করে থাকে কারো গঙ্গাস্নানের আকর্ষণ কর্ত্তব্যের প্রেরণায়, কারো বা ধর্মোন্মাদনার প্রেষণায় কেউ বা গঙ্গাস্নান করেন ডগমা বা ভাবজড়তার বশবর্ত্তী হয়ে, আর কেউ বা পুরাণের কাহিনীকে গুরুত্ব দেন ৰলে৷ সত্যিই গঙ্গা ‘‘পতিত পাবনী’’ এ কথা ঠিকই যে গঙ্গা সুবিশাল আর্যাবর্ত্তের স্তন্যদাত্রী জননী৷ এও ঠিক যে নদীর বহমান ধারায় স্নান করলে তা শরীর মনকে স্নিগ্ধ করে৷ তবে গঙ্গাস্নানে কোন বিশেষ গুণ আছে কি না তা  পণ্ডিতেরা বিচার করে দেখতে পারেন৷ তবে আপাতঃদৃষ্টিতে তেমন গুণ আছে ৰলে ম

দ্বিতীয় ডিভিশনের এন.সি চট্টোপাধ্যায় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায়  ক্লাবে- ক্লাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ম্যাচে গত সোমবার হাওড়া ইয়ূনিয়নের  বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জিতেছে ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক ক্লাব৷ প্রথমে ১৫৬ রানে টার্গেট দেয় হাওড়া৷ এই দলের দীপক সাউ নামে একটি ব্যাটসম্যান একাই ১০৪ রান করেন, জবাবে  ন্যাশনাল এসি ক্লাব মাত্র ১৫.৩ ওভারেই সব রান করে দেয় ও ম্যাচে জয় লাভ করে৷ এই দলের আকাশ শীল নামে একজন ব্যাটসম্যান একাই ১০২ রান করেন৷

আনন্দনগরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আনন্দনগরে গুরুকুলের পরিচালনায় স্কুল-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ডিটস্তরের৷ গত ৩রা ফেব্রুয়ারী দক্ষিণ প্রত্যন্ত আনন্দনগরের সি ডিটের আন্ত-প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ পূর্ব প্রত্যন্ত আনন্দনগর বি-ডিটের ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় টাটুয়াড়ায় ৪ঠা ফেব্রুয়ারী গুরুকুলের পরিচালনায়৷

গত ১০ই ফেব্রুয়ারী এ ডিটের (উত্তর প্রত্যন্ত আনন্দনগর) ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়৷ ১১হ ফেব্রুয়ারী ডি-ডিট-এর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় গুড়িডিতে৷