September 2023

শ্রাবণী পূর্ণিমা

কৌশিক খাটুয়া

লোকের বিশ্বাস এলাকার ত্রাস

দস্যু কালী ডাকাত,

শ্রাবণী পূর্ণিমার সন্ধ্যাবেলায়

কার সাথে সাক্ষাৎ!

 

যার সান্নিধ্যে পুণর্জনম

হারায়ে অতীত ছন্দ,

সোনার কাঠির পরশ ধন্য

হল সে কালিকানন্দ৷

 

তিনি মনোহর স্বভাব সুন্দর

অজানা তো নাই কিছু,

চুপিসারে কালী লুঠে নিতে চায়

চলে তার পিছু পিছু৷

 

পূর্বাকাশে রূপালী চন্দ্র

অলক্ষ্যে যায় হেসে,

‘কালীচরণ’ নামে প্রাণ ঢালা প্রেমে

কে ডাকিল ভালোবেসে৷

 

নদী বহে যায় কুলু কুলু রবে

যেথা কোলাহল হীন নির্জন

পুরুষ, কিন্তু মানুষ নয়

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

প্রথম মহিলা যাত্রী হলে বাসের দিন খারাপ যাবে, দুর্ঘটনা্য ঘটতে পারে--- এমন কুসংস্কার থেকে বাসের এক যাত্রী প্রথম মহিলা বলে তাকে থামানো হলো৷ ঘটনাটি ঘটেছে উড়িষ্যায়৷

আজকাল মেয়েরা তো  গাড়ী চালায়, পরিবহন দপ্তর এমন পরিসংখ্যানতো কখনো প্রকাশ করেননি যে মহিলা-চালিত গাড়ী তুলনায় বেশি দুঘর্টনা ঘটায়৷

হাতের লেখা সুন্দর করবার কৌশল

বিশ্বজিৎ পাত্র

লেখাপড়া এই শব্দটিতে আমরা সবাই খুব পরিচিত৷ এই ভাষাটির আধুনিক স্রষ্টা বাঙলা ভাষার রূপকার পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়৷ আমরা কথা বলতে পারতাম কিন্তু সেই কথা লিপিবদ্ধ করতে পারতাম না৷ আকুলি বিকুলি মনে হন্যে হয়েছে বাঙালী৷ বাংলা ছিলো অন্ধকারে৷ অ,আ,ক,খ বর্ণপরিচয় এর আলোয় বাংলাকে উজ্বল করলেন মহাপুরুষ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর৷

আনন্দনগরে ফুটবল প্রতিযোগিতা

জেলা ফুটবল লীগ ঃ গত ২৮শে  আগষ্ট,২৩ মানুভূম (পুরুলিয়া) জেলা ফুটবল লীগ,২০২৩-২৪ ‘বি’ ব্লকের ডিভিশনের ‘কে’ গ্রুপে (এস.এস.এ.সি) আনন্দনগর বনাম সুপুরডি আদিবাসী ক্লাবের ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় পুরুলিয়ার সিমুলিয়া মাঠে৷ আনন্দনগর ১-০ গোলে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়৷

কৌষিকী নৃত্য প্রসঙ্গে

১৯৭৮ সালে ৬ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবর্তক ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই নৃত্যের প্রবর্তন করেন সংস্কৃত কোষ শব্দ থেকে কৌষিকী শব্দের উৎপত্তি মানবমন পঞ্চকোষাত্মক সেগুলো হচ্ছে কামময় কোষ, মনোময় কোষ, অতিমানস কোষ, বিজ্ঞানময় কোষ ও হিরন্ময় কোষ,মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতি তথা আত্মিক প্রগতির অর্থ হল এই পঞ্চকোষের উন্নত অবস্থা যে অবস্থায় মন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তু জগতের দিকে না ছুটে  অতীন্দ্রিয় আনন্দলোকের দিকে চলতে থাকে৷ সসীম জগতে থেকেও অসীমের সঙ্গে একটা সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়াস চালায়৷ সসীম ও অসীমের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে এই প্রয়াসকে বলা

কেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস!

মনোজ দেব

পশ্চিমবঙ্গ দিবসের তারিখ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে৷ রাজভবনের পাল মহাশয় ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দিবস সেরে নিয়েছেন৷ নবান্নের কর্র্তব্যষ্টিরা তারিখ ঠিক করতে গুণীজনদের নিয়ে বৈঠক সেরে নিয়েছেন৷

অমৃতকালের অলীক অসার বুলি নয় - জনগণের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে

বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছে গ্রাম শহর৷ কর্মসংস্থান কমছে৷ গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি৷ প্রধানমন্ত্রীর অমৃতকাল অলীক অসার বুলিতে পরিণত হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রীও বুঝে গেছেন তাঁর অমৃতকালের অসারতা৷ তাই তিনি আচ্ছা দিনকে ২৫ বছর পিছিয়ে নিয়ে গেছেন৷ কৃষিপ্রধান ভারতবর্ষের অর্থনীতি গ্রাম নির্ভর৷ কিন্তু সেই গ্রামীন অর্থনীতিও ধুঁকছে৷ এই অবস্থায় ১০০দিনের কাজ গ্রামের গরিব মানুষের হাতে কিছুটা অর্থ যোগাত৷ সেখানেও বরাদ্দ কাটছাঁট করা হচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মত অবিজেপি শাসিত রাজ্যেরতো প্রাপ্য অর্থই দিচ্ছে না৷ একদিকে গ্রামীন ভারতে কর্মসংস্থান কমছে৷ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ

আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে কৌষিকী দিবস পালন

গত ৬ই সেপ্ঢেম্বর,২৩ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলকাতার কেন্দ্রীয় আশ্রম সহ বিশ্বের সর্বত্রবিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে কৌষিকী নৃত্য দিবস পালন করা হয়৷ প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্যনীয় ১৯৭৮ সালে ৬ই সেপ্ঢেম্বর মার্গ গুরুদেব  কৌষিকী নৃত্যের প্রবর্তন করেন৷ মূলত এই নৃত্য নারীদের জন্য হলেও পুরুষরাও এই নৃত্য অভ্যাস করতে পারে৷ এই নৃত্য নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে শরীর সুস্থ থাকে ও মানসিক বিকাশ লাভ করে৷

জনগণকে সজাগ হতেই হবে

প্রবীর সরকার

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক সুসংহতি দৃঢ় ও কঠোর থাকাটা বিশেষভাবে প্রয়োজন৷ তবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা সার্থক হবে৷ কিন্তু ভারতের মতো বহুভাষাভাষীর দেশে এটারই দারুণ অভাব৷ কেন্দ্র সরকারের যেভাবে কেন্দ্রীয় শাসন পরিচালনা করা দরকার সংবিধান অনুসারে সেটা কিন্তু  প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত নড়বড়ে ও পক্ষপাতিত্বমূলক যেখানে বিরোধী দলের শাসন রাজ্যগুলিতে সেখানেই বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে কেন্দ্র ৷ কেন্দ্রে  যখন কংগ্রেস সরকার ইন্দিরার আমলে তখন পশ্চিম বাঙলায় জোট সরকার কে কতটা যে হেনস্থা করা হয়েছে সেটা দেখা গেছে দেশে জরুরী অবস্থা জারীর আগে পর্যন্ত৷ শেষে জরুরী অ

‘‘হচ্চ তদ্দিব্যমচিন্ত্যরূপ’’

মানুষের বিচারেই  ছোট-বড় তো! মানুষের মনটাই  তো ছোট ৷ সেই মন দিয়ে  সে বিচার  করে৷  সুতরাং গোড়াতেই ভেবে দেখ বিচারের  মাপকাঠি  কী রকম ? নদীর জল মাপতে গেলে  হাত দিয়েও মাপা যায় , যেমন কত হাত জল ইত্যাদি  কিন্তু সমুদ্রের চেয়েও বড়  যদি  কোন  জলাশয় থাকতো  আরও মুশকিল হত৷