December 2024

আয়ু ফুরোনোর কথা ঘোষণা করবে এ.আই-এর ঘড়ি

কথায় আছে ‘জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে’৷ বিধাতার সেই নিয়ন্ত্রণের ওপর নাকি এ বার খোদকারি করতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা৷ আয়ু ফুরোনোর কথা এ বার ঘোষণা করবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর একটি ঘড়ি৷ এআই-কে দিন দিন কী ভাবে আরও উন্নত করা যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশে চলছে নানা রকম গবেষণা৷ এই প্রযুক্তির নতুন সংযোজন হল ‘ডেথ ক্লক’৷ অর্থাৎ, এমন এক ঘড়ি, যা বলে দিতে পারে আপনার মৃত্যুর সম্ভাব্য দিনটি৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি এই বিশেষ অ্যাপে পাঁচ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পুরে দেওয়া হয়েছে৷ ডায়েট, ব্যায়াম, স্ট্রেসের পরিমাণ, ঘুম সম্পর্কে প্রদত্ত তথ্য ব্যবহার করে মৃত্যুর সম্

বর্তমান ভারতে সার্বিক শোষণ–মুক্তির আন্দোলন জরুরী

প্রবীর সরকার

বর্তমান ভারতের গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্টীয় শাসন ব্যবস্থা দীর্ঘ ৭৭ বছরে দেশের কোটি কোটি হতভাগ্য নাগরিকদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন যোগাতে, লজ্জা নিবারণের কাপড় যোগাতে, রোগে সামান্যতম ওষুধ, মাথা গোঁজার ঘর আর নূ্যনতম শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে সক্ষম হয়নি৷ প্রায় সব রাজনৈতিক দল মুখে যাই বলুক না কেন এরা প্রায় সবাই সেই ধনতন্ত্রের সেবক–পুঁজিবাদীদের সেবা দাসে পরিণত হয়েই দেশের সর্বনাশ করে চলেছে৷

সারা দেশের কিছু ধনী কৌশলে শোষণ করছে আর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় করে তুলছে৷ যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদেরই সঙ্গে হাত মিলিয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে দেশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷

পাঁশকুড়ায় মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ স্কুল

সুভাষপ্রকাশ পাল

১৯৮২ সালের সেপ্ঢেম্বর মাস৷ আনন্দমার্গ সংঘটনের প্রাণ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী কিছুদিন দেওঘর আনন্দমার্গ আশ্রমে অবস্থান করছেন৷ ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে গান দিতে শুরু করেছেন, যা প্রভাত সঙ্গীত নামে পরিচিতি লাভ করেছে৷ গান রচনা করেছেন বললাম না৷ কেননা তাঁর দেওয়া ৫০১৮টি গানের কোন ভাব আসতে তিনি গুন গুন করে গাইতেন আর তাঁর পাশে যারা সর্বক্ষণের কর্মীরা তা লিখে নিতেন, সুরটা মনে রাখতে হত, পরে গুরুদেবকে তা শুনিয়ে প্রয়োজনে ভুল শুধরে নিয়ে সেগুলির স্বরলিপি তৈরী করা হত৷ ওই সময় কোলকাতা থেকে প্রতিদিনই কোন না কোন মার্গী বা সন্ন্যাসীকে গুরুদেবের কাছে যেতে হত৷ সঙ্গে নিয়ে যেতে হত গুরুর জন্য আনন্দনগর থেকে আনীত বিশুদ্ধ পান

কুম্ভীরাশ্রু নয়, সত্যিকারের প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন!

সুকুমার সরকার

গত ৫ই আগষ্ট ২০২৪, বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করার আগে-পরে বাংলাদেশে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রধান আঁচ এসে পড়েছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর৷ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের নেতা-মন্ত্রীদের ওপরও আঘাত এসেছে৷ কিন্তু তা রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয়৷ কিন্তু হিন্দুদের ওপর যে আঘাত এসেছে তা বিরুদ্ধ ধর্মমতীয় সেন্টিমেন্ট থেকে৷ এটা বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম সেন্টিমেন্টের ধর্মমতীয় সহজাত প্রবৃত্তি বললে ভুল হবে না৷

বঙ্গীয় নোতুন প্রজন্মের বুদ্ধির মুক্তির অপেক্ষায় আমরা

সঞ্জীব বিশ্বাস

সংসদীয় গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রে লোকসভাই হচ্ছে দেশের আয়না স্বরূপ৷ কারণ এই প্রতিষ্ঠানেই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজ্যগুলির উন্নতি–বনতির খতিয়ান পাওয়া যায়৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় লোকসভা নামক প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আর এই প্রতিষ্ঠানেই সাংসদরা নিজ নিজ রাজ্যের দাবী সনদ পেশ ও তা আদায়ের কাজটি করে থাকেন৷ কিন্তু লজ্জার বিষয় এই যে, দেশের সংসদীয় আবহে বঙ্গজ সাংসদরা কোনদিনই লোকসভার যথাযথ ব্যবহার করতে পারেননি৷ তাই প্রশ্ণ আসছে দেশের অনেক রাজ্যের সাংসদরা (রাজ্যের) দাবী আদায়ে সমর্থ হলেও বঙ্গজরা তা পারছেন না কেন পরিবর্তে দর্শক হিসাবে লোকসভার কার্যক্রম অবলোকন করা ছাড়া বিশেষ কোন ভূমিকায় তাদের উপস্থিতি অ

প্রতিযোগিতার আদলে শৈশব এখন প্রতিযোগিতাময়

বিশ্বদেব মুখার্জী

বিকেলের মাঠ একাকি৷ সবুজ ঘাসের ইশারায় সাড়া না দিয়ে টিউশন আরো কত কি৷ সঙ্গী মোবাইল৷ সারাদিন টিকটক, ফ্রি ফায়ার আর রিল৷ শিশুদের এমন বৈকল্য পীড়া দেয় সংবেদনশীল মনে৷ তাই তো আন্তর্জাতিক এক সংস্থা বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন গল্প শুনতে ও শোনাতেRAWA অর্থাৎRenaissance Artists And Writers Association সংস্থার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার কর্মকর্তা ও বিচারকমণ্ডলী কেশপুর চক্রের পাটনা বাহাদুরনগর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন৷

শীর্ষ আদালতের রায় --- সংবিধানের ভিত্তিভূমি সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষতা

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের দলতান্ত্রিক সরকারগুলি ৭৭বছর ধরে চলেছে নিছক দলীয় স্বার্থেই তারা গরিব জনগণের জন্য তিলমাত্র ভাবে না৷ কারণ এরা ধণতন্ত্রের ধনীদের নিয়েই তাদের কারবার৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদিজী তো ঘোষণাই করেছেন যে নাকি কয়েক কোটি মহিলাকে লক্ষপতি থেকে কোটিপতি করবেন৷ আর তৃতীয়বারে সর্বদাই তিনি এমনভাব দেখাচ্ছেন যে তিনি হলেন সবচেয়ে উপযুক্ত একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের ভাগ্যবিধাতা!

আত্মপরিচয়ে জেগে উঠুক বাঙালী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এই ধর্মান্ধতা, অসার ধর্মীয় মতবাদের দোহাই দিয়ে এই উন্মত্ততা আর যাই হোক কোনো পক্ষেরই কোন কল্যাণ করবে না৷ শুধুমাত্র ক্ষমতালোভি লুম্পেন পলিটিশিয়ান ও আত্ম সর্বস্ব ফ্যাসিস্ট শোষক ধনুকুবেরদের স্বার্থসিদ্ধি করবে৷

‘কেউ শেখে ঠেকে কেউ শেখে দেখে৷’ তথাকথিত ধর্মীয় মতবাদে উন্মত্ত বাঙালী দেখেও শেখেনা ঠেকেও শেখেনা৷ ৪৬ এর ক্ষত সাতাত্তর বছর ধরে বহে বেড়াচ্ছে লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল বাঙালী৷ তবু তার বোধোদয় হলো না৷ দাঙ্গা করে মরেছে বাঙালী, স্বার্থসিদ্ধি করেছে কিছু পশ্চিমি ধান্দাবাজ পলিটিশিয়ান, দাঙ্গাবাজ ধর্মব্যবসায়ী ও ফ্যাসিস্ট শোষক দেশীয় পুঁজিপতি৷

সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহতা

মানুষ যে জাতপাত ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায় সেটা কি স্বাভাবিক, না কৃত্রিম স্বাভাবিক বিভাজন কোষ বিভাজনের মত – একটা কোষ যেমন দু’টো কোষে বিভাজিত হয়৷ কৃত্রিম বিভাজন এরকম নয়৷ কাজেই, মানুষের জাতি ও সম্প্রদায়গত ভেদকে কী বলা যাবে–স্বাভাবিক বিভাজন, না কৃত্রিম বিভক্তিকরণ বৈরী শক্তিগুলির মধ্যে কিছু দল আছে যেগুলো বিচ্ছিন্নতার মতাদর্শে চালিত হয় ও কিছু লোকও আছে যারা এই সব বিভেদকামী দলগুলির দ্বারা চালিত হয়৷ এই সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব হবে কীভাবে আমরা এই সব যুুযুধান দলগুলিকে একটা অচল সেকেলে ভাবাদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা থেকে নিবৃত্ত করতে পারব যা দেশকে খণ্ড বিখণ্ড করে দিতে পারে কী করা উচিত আমাদের স্বল্প