প্রবন্ধ

ক্ষুদার্থ ভারতে জোর-জবরদস্তিমূলক নীতির বদল ও এর যথার্থ সমাধান

শ্রী রঞ্জিত বিশ্বাস

ভাত দেবার মুরোদ নাই কিল মারার গোঁসাই’---ঠিক এমনই নিদারুণ শাসন ব্যবস্থা চলছে বর্তমান ভারতে৷ একদিকে কর্মচারীদের ছাঁটাই, কর্মসংস্থান বন্ধ, সারা বিশ্বের মধ্যে বেকারত্বের দিক থেকে ভারতের শীর্ষ স্থান লাভ৷ ক্ষুধার্ত ভারত হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে ১০২ নম্বরে স্থান পাওয়া এবং সর্বোপরি বর্তমানে যে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক মন্দা ভারতে নেমে এসেছে সেই দিশাহীন পরিস্থিতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে যে জবরদস্তিমূলক নীতির ফরমান ভারত সরকার চালু করছে তা এই দেশের অন্তিম যাত্রাকেই ত্বরান্বিত করছে তাতে কোন ধরণের সন্দেহ নেই৷

নীতিহীন রাজনীতির আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

 গত ২৬শে নভেম্বর সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবস পালিত হয়৷ ১৯৪৯ সালের ২৬ শে নবেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ভারতের সংবিধান পরিষদ কর্তৃক আমাদের  এই সংবিধান গৃহীত হয়েছিল৷ আর ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী  এই সংবিধানকে  কার্যকরী করা হয়েছিল৷ তাই প্রতিবছর ২৬ শে নভেম্বর দিনটিকে আমাদের দেশে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷ এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রদত্ত ভাষণে  রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ  বলেন,  আমাদের সকলের উচিত, বিশেষ করে বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে যারা রয়েছেন, জনপ্রতিনিধি  ও সাধারণ  নাগরিক সকলেরই উচিত  সংবিধানের নৈতিকতার দিকটা মেনে চলা৷

১২ দফা দাবী নিয়ে ত্রিপুরায় আন্দোলনে   ‘আমরা বাঙালী

ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অপশাসন, এন.আর.সির নামে বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১২ দফা দাবী নিয়ে ত্রিপুরার জেলায় জেলায় গণ অবস্থান ও সমাবেশের  কর্মসূচী নিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’৷

আগামী ২রা ডিসেম্বর  রাজ্যের ৮টি জেলাতেই গণবস্থান করবে ‘আমরা বাঙালী’৷ ১৪ই ডিসেম্বর আগরতলায় জনসভা,১৫ই ডিসেম্বর রাজ্য সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানেই আগামী দিনের আন্দোলনের  কর্মসূচী নেওয়া হবে৷

বাঙালী মারের ওপর মাথা তুলে দাঁড়াবেই

মনোজ দেব

গত ১৬ই নভেম্বর কলকাতা রাণী রাসমণি রোডে আমরা বাঙালীর এক সমাবেশে দলের অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন---এন আর সি বাঙালী হত্যার রাজনৈতিক খেলা৷ খেলা তো বটেই! শুধু এন আর সি নয়, বাহাত্তর বছর ধরে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নানা অছিলায় বাঙালী হত্যার খেলা চলছে৷ কিন্তু এই খেলার শেষ কোথায়? বাঙালী কবে চিনবে এই বাঙালী বধের খলনায়কদেব!

প্রাউটের দৃষ্টিতে বিশ্বায়নই একমাত্র পথ

প্রভাত খাঁ

মানুষই পারে স্রষ্টার সৃষ্টিকে সার্থক করতে  কিন্তু সেই কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে৷ এই মহান কর্মের বাস্তবায়নের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিপূর্ণ পথ নির্দ্দেশনা দিয়েছেন প্রাউট  দর্শনের  প্রবক্তা  শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

আঞ্চলিকতার  পথ ধরে  বিশ্বায়নের পথে এগুতে  হবে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসমাজকে৷

প্রথমেই বলতে বাধ্য হচ্ছি এই যে বিশ্বায়ন এটা হলো এক মহান প্রচেষ্টা যেখানে  সকলে এক হয়ে চলার প্রয়াসে রত থাকবে৷

গণতন্ত্রের বেদীতে ফ্যাসিষ্ট সাপের ছোবল

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মহারাষ্ট্রে নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাবলী ভারতীয় রাজনীতির কুশীলবদের নীতিহীন রাজনীতির স্বরূপটা আর একবার নগ্ণ করে দিল৷ গণতন্ত্রকে পদদলিত করে, জনমতকে উপেক্ষা করে শক্তিমদের যে সাংঘাতিক চেহারা নির্লজ্জ নেতারা দেশবাসীকে দেখাল তা কোনও সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের নেতাদের পক্ষে শোভন নয়৷

নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতারা এন সি পি নেতা অজিত পাওয়ারকে নির্বাচনের পর জেলে ঢোকাবার হুমকী দিয়েছিল৷ অজিত পাওয়ার তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন৷ ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়৷ নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোটবদ্ধ ছিল৷

আন্দোলনে বাঙালী ঃ একটি প্রতিবেদন

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ১৬ই নবেম্বর ২০১৯ কলিকাতার বুকে বাঙালী জনগোষ্ঠীর এক বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল৷ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সংগ্রাম-আন্দোলনের পীঠস্থান কলিকাতায় এই বাঙালী সমাবেশ মূলতঃ বাঙলা ও বাঙালীর আত্মমর্যাদা রক্ষার সমাবেশ, বাঙলা ও বাঙালীর অবদমন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার সমাবেশ৷ আমরা সকলেই জানি, অসমে এন.আর.সি.-র নামে প্রায় ঊণিশ লক্ষ বাঙালীকে বে-নাগরিক, ডি-ভোটার করে দেশছাড়া করার এক সুগভীর চক্রান্ত চলেছে৷ আর যদি তাদের দেশছাড়া করা সম্ভব না হয় তবে ডিটেনশন ক্যাম্প নামক সরকারী জেলখানা বা কষাইখানায় বন্দী করে, সমস্ত নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, অত্যাচার নির্যাতন ও মানসিক যন্ত্রণায় বিদ্ধ

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এন.আর.সির সংকীর্ণতা রুখে বিশ্বৈকতার জাগরণে এগিয়ে চলো

প্রভাত খাঁ

আমাদের অতিপ্রিয় পৃথিবীর অপর নামই হলো বসুন্ধরা৷ তিনি সবদিক থেকে সম্পদ ও ঐশ্বর্য্যশালিনী৷ মহান স্রষ্টার এই যে সৃষ্ট বিশ্ব তা তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর সৃষ্টিকে সব দিক থেকে পরিপূর্ণ করে তুলতেই৷ আর তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্টতম জীব হলো মানুষ৷ সেই মানুষ এই বসুন্ধরাকে একদিকে যেমন ভোগ করবে তার পাশাপাশি তাকে রক্ষা করবে যাতে অন্যান্য তাঁর সৃষ্ট জীবজন্তু গাছপালাও এই পৃথিবীর বুকে সুরক্ষিত হয়ে সকলকে সেবা দিয়ে যেতে পারে৷

এন আর সি ঃ সমস্ত বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ হোন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত ১৬ই নবেম্বর ধর্মতলায় এন আর সি-র নামে কেন্দ্রের বাঙালী বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’র প্রতিবাদ সভায় অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর সহ বাঙালীস্তানের অর্থাৎ সমস্ত বাঙালী অধূ্যষিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা তাদের তীব্র বিক্ষোভ প্রকাশ করলেন৷ প্রতিটি বক্তাই যুক্তি ও তথ্য সহকারে তুলে ধরলেন, এই এন আর সি আসলে বাঙালী বিরোধী এক গভীর ও সুদীর্ঘ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ৷ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে চলেছেন, এন আর সি আসলে বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্ণিত করে তাদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া৷ এই বলে তাঁরা এন আর সি-র পক্ষে জনমত তৈরী করতে চাইছেন৷ কিন্তু বাস্তবে অসমে এন আর সির নামে কি হচ্ছে একটু নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা যাক