প্রবন্ধ

প্রাউট-এক যুগান্তকারী সামাজিক-অর্থনৈতিক  দর্শন

মনোজ কুমার সরকার

‘‘যদা যদাহি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম৷৷

পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম৷

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে৷৷’’

এদেশের গণতন্ত্রই তো দুর্নীতির ক্যান্সারে  আক্রান্ত,লোকপাল লোকায়ুক্ত আইন  কি  সমাধান?

মুশাফির

ভারত বিরাট দেশ৷ এদেশের মানুষের  অদ্যাবধি কতটা  দুঃখ  দূর হয়েছে সেটা জনগণের  প্রতিনিধিরা  আন্তরিকতার  সঙ্গে  সমীক্ষা  না করে  ঘন ঘন নানা বিষয়ের  বিল এনে  আইনের ঘর পূর্ণ করেই চলেছেন৷  যেমন লোকপাল  বিল এদ্দিন পরে বাস্তবায়িত  হতে চলেছে৷  এটার  চিন্তা আসে সেই ১৯৬৮ সালে৷ ১৯৬৯ সালে তা পাকা  হয় কিন্তু পড়ে  থাকে  বহু বছর৷ এর মধ্যে ১৯৭৫  সালে  দেশের জরুরী  অবস্থার জারি  হয় ইন্দিরার  আসলে  তখন  গণতন্ত্রটাই  প্রায়  খতম  হয়ে যায়৷ এর বহু বছর পর  কংগ্রেসের  আমলে  কয়েকটি ধারার সংশোধন হয়৷ এতে  বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী  বিলের  বাহিরে থাকবে৷ আন্নাহাজারে  সমাজকর্মী  এর বিরোধিত

এই কুৎসিত কদর্য রাজনীতি এবার বন্ধ হোক

মন্ত্র আনন্দ

নির্বাচনী প্রচার এবার এত কুৎসিত কদর্য রূপ নিয়েছে, মিথ্যাচার, রকবাজী ভাষা, ব্যষ্টি কুৎসায় এত নীচ-হীন মানসিকতার পর্যায়ে পৌঁছেছে ...... এক শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম ও তথাকথিত সোস্যাল মিডিয়ার মানসিক বিকারগ্রস্ত দ্বিপদ জীবের সৌজন্যে৷ ভারতে ব্যষ্টি আক্রমণে এই কুংসিত মিথ্যাচারের আমদানী করে মূলত উত্তর ও পশ্চিম ভারতের নেতারা স্বাধীনতার আগেই সুভাষ চন্দ্রের বিরুদ্ধে৷

স্বপ্ণে মোড়া নির্বাচন

মিহির কুমার দত্ত

সারাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেল উৎসব৷ বোট বোট উৎসব৷ সারা বৎসর ধরেই নানান উৎসবে মেতে থাকে মানুষ৷ কিন্তু এই বোট উৎসব আসে নিয়ম করে পাঁচবৎসর পর পর৷ যদিও ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত বা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার তৈরী করার জন্যে প্রায়ই মানুষ বোট নিয়ে ভাবে অথবা বোটে সরাসরি নিজ ভূমিকা পালন করে৷ এই ২০১৯ সালে ভারতবর্ষের সংসদীয় রাজনীতির ১৭তম বোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷

স্বপ্ণ দিয়ে মোড়া

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, চৌকিদারি ও দেশভক্তি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় উৎসব  লোকসভার সাধারণ নির্বাচন সমুপস্থিত৷ ভারতের নির্র্বচন কমিশন পরিচালিত দীর্ঘতম বোট (ভোট) প্রক্রিয়ার (১১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত সাত দফা) শুভারম্ভ হয়ে গেছে যার পরিসমাপ্তি ঘটবে ২৩শে মে ২০১৯ তারিখে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে৷ ভারতবর্ষের আকাশে বাতাসে এখন শুধুই বোটের (ভোটের) গন্ধ, সাধারণ নাগরিকদের বোট প্রার্থীগণের সততা সম্পর্কে বিষম ধন্দ আর রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের সিংহনাদ, আর্তনাদ, বাদ-বিসম্বাদ ও অকথা-কুকথার দ্বন্দ্ব৷ পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে-গঞ্জে,শহরে-নগরে দোরে দোরে, পথে-ঘাটে করজোড়ে দণ্ডায়মান ও ভ্রাম্যমান  বোট প্রার্থীর দল, যাঁরা অন্যান্য সময়ে সাধা

অনিদ্রা থেকে বাঁচবার উপায়

ডাক্তারবাবু

 

মানসিক টেনশন থেকে অনিদ্রা রোগ জন্মায়৷ ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন৷ উপকার পাবে.

  • ব্রাহ্মী শাক ১০ গ্রাম ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ হ’লে নামিয়ে ছেঁকে নিয়মিত খেলে অনিদ্রা রোগ সেরে যাবে৷
  • শুষণি শাক ২৫ গ্রাম ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ২ কাপ হ’লে ওই জল ছেঁকে ১ কাপ দুধ দিয়ে নিয়মিত সন্ধ্যেবেলা খাওয়া উচিত৷ এটি অনিদ্রা রোগে বিশেষ ফলপ্রদ৷
  • ঘুম কম হ’লে ভাত খাবার পর ১ গ্লাস দুধ খেলে ভাল ঘুম হয়৷
  • মাথায় ভাল করে নারকেল তেল মেখে ঠাণ্ডা জলে স্নান করা উচিত৷

অমানবিকতার নিদর্শন ও অধিকার আদায়ের লড়াই

বীরেশ্বর মাইতি

সর্বভারতীয় একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত --- ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সর্বাধিক৷ আগুনের মতো হু হু করে বাড়ছে দেশে বেকার উচ্চশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা৷ কেন্দ্র রাজ্য কোন সরকারই বেকারত্ব সমাধানের জন্য এগিয়ে আসছে না৷ আমাদের রাজ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে কখনো কখনো কিছু কিছু সমাধান বাতলে দেন৷ যেমন ধরুন চপ শিল্প বা তেলে ভাজা শিল্প৷ আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে বেকার যুবকদের চাকরি দাবীতে আন্দোলন করতে হয়৷ যে আন্দোলন পুলিশের লাঠির আঘাতে শেষ হয়ে যায়, শুরু হয় অবদমন৷ যে দেশ চাকরীর নিয়োগ এর পরীক্ষায় সীমাহীন দুর্নীতি স্বজন পোষণ বেআইনি অর্থ আদান-প্রদান এসব অনায়াসে ঘটতে পারে৷

লোকপাল নিয়োগে প্রশাসন প্রকৃতই দুর্নীতিমুক্ত হবে কি?

অরুণাভ সরকার

আন্না হাজারের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে ভারতের লোকপাল নিয়োগ হ’ল৷ ভারতের প্রথম লোকপাল চেয়ারম্যান হলেন সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বাঙালী বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ৷

লোকপাল আইনে কী আছে? লোকপাল নিয়োগে কি সত্যই কেন্দ্রীয় প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত হবে? প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সমস্ত মন্ত্রী ও আমলাদের পুরোপুরি দুর্নীতি বন্ধ হবে?

রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের ন্যক্কারজনক লড়াই

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭১ বছর হলো আমরা নাকি স্বাধীন হয়েছি৷ ছেলেবেলায় কবিতায় পড়েছি ‘‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা!’’ সত্যই কি আমাদের দেশে দরিদ্র জনসাধারণ বর্তমানে সবাই দুবেলা দু’মুঠো অন্ন পায়? সমীক্ষায় বলা হয় আজও এদেশে জনগণের জীবন জীবিকার মান অন্য দেশের চেয়ে অনেক নীচে পড়ে আছে! কিন্তু বেশ কিছু ধনী ও রাজনীতির ব্যবসাদারগণ অর্থাৎ দলীয় রাজনীতিকে যারা একধরণের কারবার হিসাবে গ্রহণ করেছে তারা এ দল সে দল করে, দল ভাঙ্গাভাঙ্গি করে নিজেদের ব্যষ্টিজীবনে ও দলীয় ভাবে ক্যাডাররা আখের গুছিয়ে নিচ্ছে৷ হতভাগ্য সাধারণ মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরে পড়ে আছে !