বিদ্বেষ-বিষ নয় সৌভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় করার বার্র্ত দিন
শিখদের বীরত্বের কাহিনী নিয়ে বাঙালী কবি রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করলেন ‘বন্দী বীর’---
‘‘পঞ্চনদীর তীরে
বেনী পাকাইয়া শিরে
দেখিতে দেখিতে গুরুর মন্ত্রে জাগিয়া উঠেছে শিখ---
নির্মম নির্ভীক৷’’
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
শিখদের বীরত্বের কাহিনী নিয়ে বাঙালী কবি রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করলেন ‘বন্দী বীর’---
‘‘পঞ্চনদীর তীরে
বেনী পাকাইয়া শিরে
দেখিতে দেখিতে গুরুর মন্ত্রে জাগিয়া উঠেছে শিখ---
নির্মম নির্ভীক৷’’
জন্মলগ্ণ হতে জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত মানুষ গণিতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত আছে৷ আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতে গণিত তথা সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই অপরিসীম গুরুত্বের কথা ভেবেই বোধ হয় বলা হয়েছে–‘ত্ত্ত্রব্ধড়ন্দ্বপ্প্ত্রব্ ন্ব্দ ব্ধড়ন্দ্ব ত্বব্ভন্দ্বন্দ্বু প্সন্দ্র প্তপ্ত ব্দব্ভত্ব্ন্দন্দ্বন্তুব্ধ্’ গ্রীক দার্শনিক পীথাগোরাস ববলেছিলেন–‘বিশ্বের আদি উপাদান হ’ল সংখ্যা’৷ দার্শনিক প্লেটো ববলেছিলেন–‘ঈশ্বর একজন মহৎ জ্যামিতি বেত্তা৷’ এই জগৎটা মনে হয় যেন সংখ্যার একটি লীলাক্ষেত্র৷ গণিত হ’ল সভ্যতার মেরুদণ্ড৷ কিন্তু যে গণিত সভ্যতার মেরুদণ্ড স্বরূপ সেই গণিত শাস্ত্র যেন সাধারণ মানুষের কাছে সাহারা মরুভূমির ব
বিশ্বেপপগ্য কৃষি অঞ্চলগুলির মধ্যে বাঙলার কৃষিক্ষেত্রগুলি অন্যতম৷ বাঙলা তথা ভারতের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসে কৃষি থেকে৷ আজও দেশের সিংহভাগ মানুষ রুজি-রোজগারের জন্যে কৃষির সঙ্গে যুক্ত৷ প্রাচীনকালে এদেশের রাজারা কৃষির উন্নতির জন্যে চিন্তাভাবনা করতেন ও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতেন৷ ব্রিটিশ শাসকরা সর্বাধিক রাজস্ব আদায় সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করলেও কৃষির উন্নতির জন্যে কিছু করেননি৷ এ নিয়ে স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে কর্ষক আন্দোলনও কম হয়নি৷ স্বাধীনোত্তর কালে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপন, সেচ ব্যবস্থার প্রচলন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার, উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার, জমিদারি প্রথার বিলোপ, বর্গা আইন প্রচলন, আধুনিক প্রযুক্তির ব
আমার এক ছাত্র আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, স্যার!! কিছু মানুষ আছে যারা ছোঁয়াচে , তাদের ঘরে যদি আমরা যাই আমাদের সামনেই কি কি করে, এতে আমরা অপমান অনুভব করি৷ এমনটা কেন? সত্যি তো প্রশ্নগুলো খুব সুন্দর৷ আসলে কিছু মানুষ আছে যারা শুচিতার অর্থই জানে না ভালো করে৷ যারা বাহ্যিক শৌচ পালন করে তারা জানে না আভ্যন্তরীণ শৌচও আছে ও সেই শৌচও পালন করা উচিত৷
বাবরি মসজিদ ধবংস যখন হয়েছিল তখনের পরিস্থিতি আর আজকের অবস্থা অন্যরকম৷ বর্তমান বিজেপি দল কেন্দ্রে সরকার ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিচার ব্যবস্থা, একশ্রেণীর মিডিয়া, আমলা সরকারের ইচ্ছেধীন, হাতের পুতুল৷ যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তারা অনেক সংগ্রাম করে অসময়ে বিজেপি দলটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিল৷ তাঁরা আজ বিজেপিতে অপাংতেয়৷
খবরের কাগজে গতানুগতিক খবরের আড়ালে কিছু অনুপ্রেরণামূলক খবর মাঝে মধ্যেই বেরোয় যেগুলো আমার মত অনেকের মনেই বেশ আশার সঞ্চার করে৷ এমনই একটি খবর বেরিয়েছিল ১৭ই সেপ্ঢেম্বর ‘‘একটি বহুল প্রচারিত’’ সংবাদপত্রের (পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম পাতায়) ১৬ নং পৃষ্ঠায়৷ ‘চাকরি ছেড়ে জৈব কেঁচো সার তৈরি করে নজর কেড়েছেন কাঁথির সুনন্দন---এই শিরোনামে খবরটিতে আমার চোখ আটকে গেল৷ খবরটি পড়ে জানতে পারলাম চাকরির এই দুর্মূল্য বাজারে বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের প্রত্যন্ত চণ্ডীভেটি গ্রামের বছর চল্লিশের সুনন্দন শাসমল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ তাঁর এই প্রচেষ্টাকে প্রথমেই সাধুবাদ জানাই৷ যথেষ্ট মনের জোর না থাকলে
নোট বাতিল থেকে জি.এস.টি, নাগরিক আইন থেকে কৃষি আইন একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী কার্যের ফলে মোদী ম্যাজিক উধাও৷ একান্ত অনুগত ছাড়া কথার জাদুতে সব মানুষকে বেশীদিন ভুলিয়ে রাখা যায় না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষানীতি,শিক্ষানীতি সবক্ষেত্রেই বাঙলার প্রতি বঞ্চনা ও উপেক্ষার ছাপ স্পষ্ট৷ সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির পরীক্ষায় গুজরাটী ভাষা স্থান পায় অথচ বাংলা ভাষা পায় না৷ বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে বাঙালীর৷ মোদির মহিনী মায়া আর কাজ দেবে না৷ এমত অবস্থায় ২০২১শে বাঙলা দখলের আশা ছেড়ে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ তবে বঙ্গীয় ক্যাডারকুল ও রাজ্য নেতৃত্বকে চাঙ্গা রাখতে কথা-বার্র্তয় সে কথা প্রকাশ করছে না, বরং বা
বর্তমানে বাঙলার বাঙালীরা একেবারে খাদের কিনারায় এসে গেছে, পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে৷ এর পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক সামাজিক আর্থিক কারণ ও সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র৷ এগুলির কারণ খঁুজে বের না করতে পারলে তথাকথিত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে বাঘের পিঠে সওয়ার হতে হবে৷ দুর্বল হবে গণতন্ত্রের ভিত্তি৷ আজ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও ধর্মীয় ফ্যাসীবাদী আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে কারা শত্রু কারা মিত্র৷ আর একাজ করতে হবে মানব সমাজের গভীরের মারণ অসুখকে দূরীভূত করার জন্যে৷
১৯৬১ সালের জুলাই মাসে রাঁচীতে মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রাউট প্রসঙ্গে যে প্রবচন দিয়েছিলেন, সেই প্রবচনে তিনি বহু সমস্যার সমাধান এর কথা, বলে গিয়েছেন৷ যেমন--- শ্রমিক সমস্যার কথা, ভূমি সংস্কারের কথা পণপথার সমাধান, বিশ্বরাষ্ট্র গড়ার পথ, লিপি ও সংসৃকতি কেমন হবে, পরিবার পরিকল্পনা, জন্ম-নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রসায়নাগার জাতক প্রভৃতি সম্পর্কে বহুবিধ সমস্যার সমাধান এই প্রাউটের প্রবচনে বলেছেন৷
আজকের আলোচ্য বিষয় হ’ল---রসায়নাগারে-জাতক বা রসায়নাগার -শিশুদের নিয়ে শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের অভিমত৷
কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ভোটাভুটিতে পরাজয় জেনেই সংসদের উচ্চকক্ষে কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল অসৎ উপায়ে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে পাস করিয়ে নিল বিরোধী পক্ষকে কোন প্রকারের আলোচনা করার সুযোগ না দিয়ে৷ এভাবে ধাপ্পা দিয়ে একতরফাভাবে কৃষি ও কর্ষকদের বিরুদ্ধে যে বিল পাস করিয়ে নিল তাহা ব্রিটিশ আমলের নীলচাষের কথা মনে করিয়ে দিল৷