নেতাজী অন্তর্ধান রহস্য বিতর্কে বসু পরিবারের সদস্য

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে নূতন করে বিতর্ক দানা বাঁধলো বসু পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বসুর এক পত্রে৷ জাপানের রেনকোজি মন্দির থেকে চিতাভস্ম এনে নেতাজীর পারলৌকিক ক্রিয়া করার জন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বিজেপিতে যোগদানকারী চন্দ্র কুমার বসু৷ নেতাজী সুভাষচন্দ্রের অসাম্প্রদায়িক আদর্শের কথা সর্বজন বিদিত৷ সেই পরিবারের সদস্য বিজেপি নেতা হঠাৎ করে নেতাজীর শ্রাদ্ধ করতে চাইছেন কেন? আসলে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বাঙলায় তিনি বিজেপির জন্যে দৃষ্টান্তমূলক কিছু করতে পারেন নি৷ তাই এই মুহূর্তে বিজেপিতে তাঁর কোন কদর নেই৷ তাই প্রচারের আলোয় আসতে ভারতীয় রাজনীতির  চিরকালীন বিতর্কিত বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছেন৷

এ বিষয়ে মক্ষম প্রশ্ণ তুলেছেন নেতাজী বিষয়ে গবেষক ইতিহাসবিদ চন্দ্রচূড় ঘোষ৷ প্রথমেই তিনি তোপ দেগেছেন চন্দ্রবসুকে৷ চন্দ্রচূড় ঘোষ বলেন---রাজনৈতিক অভিসন্ধি ও  সংকীর্ণ ব্যষ্টিস্বার্থে চন্দ্র বসু এই চিঠি লিখেছেন৷ চন্দ্রচূড়ের কথায়---এতদিন পরে কিসের ভিত্তিতে চন্দ্রবাবু তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত হলেন৷ বসু  পরিবারের আর এক সদস্য জয়ন্তী রক্ষিত চন্দ্র বসুর বক্তব্যের বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ণ তুলেছেন৷

চন্দ্রচূড় ঘোষের প্রশ্ণ---মনোজ মুখার্জী কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা কেন মানা হয়নি৷ তাইওয়ান সরকার  দুর্ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন৷ তা সত্ত্বেও দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে অনড় কেন চন্দ্রবাবু? বেসরকারী বিশেষজ্ঞদের মত উড়িয়ে দিয়ে কেন শুধু সরকারী বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়া হয়েছে৷ এমনি একগুচ্ছ প্রশ্ণ তুলে চন্দ্রচূড় ঘোষ বলেন--- নেতাজী সংক্রান্ত গোপন ফাইল প্রকাশের ছ’বছর পরে চন্দ্র বসু কি এমন প্রমাণ পেলেন যে তাহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছে? চিতাভস্ম এনে নেতাজীর  পারলৌকিক ক্রিয়া করার আগে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট করা চন্দ্র বসুর নৈতিক দায়িত্ব৷ জয়ন্তী রক্ষিত কটাক্ষ করে বলেন---স্বার্থসিদ্ধি বললে শুণতে খারাপ  লাগে৷ ও তো আমাদের পরিবারের একজন৷ তবে শুণেছি বিজেপিতে পাত্তা পায় না৷ নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে যে কটা ফাইল প্রকাশ করেছেন তা প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকেই নেহেরুর চিঠি দেখেছেন বসু পরিবারের সদস্যরা৷ সেই চিঠিতেও নেতাজীর মৃত্যুর কোন প্রমাণ নেই৷