December 2019

প্রাউটের দৃষ্টিতে বিশ্বায়নই একমাত্র পথ

প্রভাত খাঁ

মানুষই পারে স্রষ্টার সৃষ্টিকে সার্থক করতে  কিন্তু সেই কাজটি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে৷ এই মহান কর্মের বাস্তবায়নের বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিপূর্ণ পথ নির্দ্দেশনা দিয়েছেন প্রাউট  দর্শনের  প্রবক্তা  শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার৷

আঞ্চলিকতার  পথ ধরে  বিশ্বায়নের পথে এগুতে  হবে ঐক্যবদ্ধভাবে মানবসমাজকে৷

প্রথমেই বলতে বাধ্য হচ্ছি এই যে বিশ্বায়ন এটা হলো এক মহান প্রচেষ্টা যেখানে  সকলে এক হয়ে চলার প্রয়াসে রত থাকবে৷

বাঙালী মারের ওপর মাথা তুলে দাঁড়াবেই

মনোজ দেব

গত ১৬ই নভেম্বর কলকাতা রাণী রাসমণি রোডে আমরা বাঙালীর এক সমাবেশে দলের অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন---এন আর সি বাঙালী হত্যার রাজনৈতিক খেলা৷ খেলা তো বটেই! শুধু এন আর সি নয়, বাহাত্তর বছর ধরে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে নানা অছিলায় বাঙালী হত্যার খেলা চলছে৷ কিন্তু এই খেলার শেষ কোথায়? বাঙালী কবে চিনবে এই বাঙালী বধের খলনায়কদেব!

দুয়ারীণে এ্যামার্ট মহিলা শাখার মেডিকেল ক্যাম্প

২৬শে নভেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী ব্লকে দুয়ারীণ আনন্দমার্গ স্কুলে দুঃস্থ মানুষদের চিকিৎসার জন্যে একটি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়৷ ক্যাম্পটির আয়োজন করেন এ্যামার্ট মহিলা শাখারপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা ও দুয়ারীণ আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ মৈত্রী আচার্যা৷ ক্যাম্পে ১০২ জন স্থানীয় মানুষের চিকিৎসা করানো হয় ও বিনামূল্যে ঔষধও দেওয়া হয়৷

পতিরামে মেডিকেল ক্যাম্প

২৭শে নভেম্বর দক্ষিণ  দিনাজপুর জেলার পতিরামে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টীমের মহিলা শাখা একটি দাতব্য চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করে৷ শিবিরটি পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা৷ তিনি ১৫৫ জন রোাগীর চিকিৎসা করেন ও বিনামূল্যে ঔষধ দেন৷ তাঁকে সাহায্য করেন বালুরঘাট আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা৷

সেবাদল মহিলা শাখার শিক্ষা শিবির

আগামী ১৯শে ডিসেম্বর থেকে ২৩শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আনন্দমার্গ সেবাদলের মহিলা শাখার উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে নদীয়া জেলার শিমুরালি আনন্দমার্গ স্কুলে৷ পাঁচদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শিবিরে মহিলাদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মীক বিকাশের জন্যে  বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে৷

সেবাদল মহিলা শাখার দিল্লী সেক্টরের সচিব অবধূতিকা আনন্দ রূপাতীতা আচার্যা জানান মহিলাদের বাদ দিয়ে সমাজের প্রগতি সম্ভব নয়৷ তাই সমাজের সার্বিক প্রগতিতে মহিলা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক আছে৷ সেই কাজে যাতে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসে তাদের অনুপ্রাণিত করতেই এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে৷

অসমে ডিটেশন ক্যাম্পে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত

অসমে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে  আরও একজন বাঙালী বিদেশী তকমা নিয়ে  অমানবিক আচরনের শিকার হয়ে মারা গেলেন৷ গত এক মাসের মধ্যে অসমের  ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি  তিনজন বাঙালী মারা গেলেন৷  একের পর এক মৃত্যু দেখেও  রাষ্ট্রের কোন হেল-দোল নেই৷

গত ১২ই অক্টোবর মারা যান দুলাল চন্দ্র পাল, এরপর ২৪ শে অক্টোবর ফালু দাস  নামে আরও  একজন মারা যান৷ গত ২৩শে নভেম্বর গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি নিখিল বর্মন  জি, এস,সি এইচ  এ চিকিৎসা  চলাকালিন মারা যান৷  

তিনি গোয়ালপাড়ার  দুধৈনর গ্রামের বাসিন্দা  ছিলেন৷ ক্যাম্পের অমানবিক  পরিবেশে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷  গত ৪ঠা  অক্টোবর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷

১২ দফা দাবী নিয়ে ত্রিপুরায় আন্দোলনে   ‘আমরা বাঙালী

ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অপশাসন, এন.আর.সির নামে বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১২ দফা দাবী নিয়ে ত্রিপুরার জেলায় জেলায় গণ অবস্থান ও সমাবেশের  কর্মসূচী নিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’৷

আগামী ২রা ডিসেম্বর  রাজ্যের ৮টি জেলাতেই গণবস্থান করবে ‘আমরা বাঙালী’৷ ১৪ই ডিসেম্বর আগরতলায় জনসভা,১৫ই ডিসেম্বর রাজ্য সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানেই আগামী দিনের আন্দোলনের  কর্মসূচী নেওয়া হবে৷

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যের আঁশ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় Dietary fibre বা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ বহু সমীক্ষার পর দেখা গেছে, খাদ্যের আঁশ দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, পাকস্থলীতে বেশীক্ষণ থাকে, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমায়, ওজন ও রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ এই কারণে প্রাচীন সমাজে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিক পরিমাণে আঁশ ও স্বল্প পরিমাণে সহজ শর্করা দিয়ে চিকিৎসা করা হতো৷

পুর/নগর

ভারত ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বহুজনপদের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুর’, ‘নগর’ ইত্যাদি শব্দ যোগ করে৷  ছোট শহরকে সংস্কৃতে বলা হ’ত ‘পুর’ (প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি, ‘শহর’ শব্দটা কিন্তু ফার্সী), আর বড় বড় শহরকে বলা হত ‘নগর’৷ উভয়ের মধ্যে তফাৎ ছিল এই যে নগরের চারিদিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকত, সংস্কৃতে যাকে বলা হ’ত ‘নগরবেষ্টনীঁ’৷ এই নগরবেষ্টনীর মধ্যে যাঁরা বাস করতেন তাঁদের বলা হ’ত ‘নাগরিক’৷ আজকাল ‘নাগরিক’ শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে যে অর্থে ইংরেজী ‘সিটিজেন’ কথাটি ব্যবহার করা হচ্ছে তার সঙ্গে প্রাচীন ‘নাগরিক’ শব্দের  কোন সম্পর্ক নেই কেননা ‘নাগরিক’ মানে নগরের বাসিন্দা, অন্যদিকে ‘সিটিজেন’ বলতে বোঝায় দেশের যে কোন অধিবাসী–তিনি