November 2020

সবকা সাথ ! সবকা বিকাশ!

শ্লোগান ছিল সবকা সাথ ! সবকা বিকাশ ! দলীয় গণমাধ্যম ও অনুগত অনুগামী ছাড়া বিকাশের লক্ষণ  আর কারও চোখে পড়ে না৷ করোনা ও লকডাউন পর্বে কয়েককোটি মানুষ কর্মহীন ও কপর্দকহীন হলেও প্রধানমন্ত্রীর ব্যষ্টিগত সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ একশ্রেণির শিল্পপতিও ফুলে ফেঁপে উঠেছে৷ অতিমারী ও লকডাউনের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও ধনকুবের ও চৌকিদারের সম্পদবৃদ্ধি ও বিকাশ অব্যাহত৷

ক্ষুধার রাজ্যে ‘গুরুতর’ ভারত

সরকার ও তার অনুগত গণমাধ্যম যতই  ‘আচ্ছে দিনের ’ প্রচার করুক বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা ও স্বেচ্ছসেবী সংস্থাগুলো সমীক্ষা- প্রতিবেদন ভারত সরকারের ব্যার্থতার ছবিটা স্পষ্ট করে তুলে সম্প্রতি ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্স’-এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়৷ ক্ষুধা নিবারণে ভারতের অবস্থা খুবই দুর্দশাগ্রস্ত৷ যেসব দেশ ক্ষুধা নিবারণে  একেবারে নীচের সারীতে আছে ওই প্রতিবেদনে তাদেরকে ‘গুরুতর’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে৷ ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে৷

কোভিড -১৯ এর কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলছে মহাপ্রয়াণ দিবস উ পলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন

২১শে অক্টোবর মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস৷ ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার সময় কলকাতাস্থিত মার্গগুরুভবন ‘মধুকোরকে’ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা শোক বিহ্বল হয়ে পড়েন৷ সব দেশ থেকেই আনন্দমার্গীরা তাঁদের পরমারাধ্য গুরুকে দেখার জন্যে ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্যে কলকাতা আসতে থাকেন৷ তখন সারা বিশ্বের আনন্দমার্গের অনুগামীদের কথা ভেবে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মার্গগুরুদেবের পাঞ্চভৌতিক দেহকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখেন৷ আর এই কয়দিন ধরেই সমবেত আনন্দমার্গীরা অবিরাম ‘বাবানাম কেবলম্’ সিদ্ধ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে থাক

‘আমরা বাঙালী’র ডাকে বিক্ষোভে উত্তাল  মালিডহর  অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক

মেঘালয়ে বাঙালী নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’র অসম মেঘালয় সীমান্ত মালিডহর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে৷ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক৷ ‘আমরা বাঙালী’র ডাকা এই বিক্ষোভ সমাবেশে, ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা ছিলই, বিভিন্ন গণসংঘটনও ‘আমরা বাঙালী’র ডাকা এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়৷ দুপুর ১২ টা থেকে অপরাহ্ণ তিনটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে৷ সহস্রাধিক মানুষের জমায়েতে ৬নং জাতীয় সড়ক কার্যত কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে৷

খণ্ডজীবন ও পূর্ণজীবন

কিছুদিন আগে ‘মানসাধ্যাত্মিক সাধনার স্তরবিন্যাস’ পুস্তকে বলা হয়েছে যে মানুষের অগ্রগতির চারটে স্তর রয়েছে–যতমান, ব্যতিরেক, একেন্দ্রিয় ও বশীকার৷ এই চারটে স্তরের ভেতর দিয়ে মানুষকে এগিয়ে চলতে হয়৷ এ সম্বন্ধে যা বক্তব্য তা ওই বইয়ে স্পষ্ট ভাষায় লিখে দিয়েছি৷ এখন, মানুষের জীবনটা কী রকম কোথা থেকে তার শুরু, কোথায় বা তার শেষ?

মহাসংকল্প দিবস

আমাদের আস্তিত্বিক সম্ভাবনার সবটাই অণুচৈতন্য থেকে উৎসারিত৷ ভৌতিক স্তরে তা’ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে কাজ করে৷ মানসিক স্তরে তা’ চিত্তবৃত্তির মাধ্যমে কাজ করে আর আধ্যত্মিক স্তরে তা মানসাধ্যাত্মিক পদ্ধতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে এগিয়ে চলে৷ এ সমস্ত কিছু মিলেই তৈরী করছে জীবের আস্তিত্বিক প্রাণিনতা৷

এখন প্রশ্ণ হচ্ছে, এই যে আস্তিত্বিক প্রাণিনতা এর উৎসটা কী এটা কী ভাবপ্রবণতা(sentiment), যুক্তি(logic), লক্ষ্য(desideratum), অথবা কর্মৈষণা(actional faculty)?

একটি ঐতিহাসিক তথ্য

মাধব বসাক

(এক সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের ব্যতিক্রমী একমাত্র সাক্ষাৎকার৷ লেখক কর্তৃক সংগৃহীত ও ইংরেজী থেকে বাংলায় অনূদিত৷)

পশু পক্ষীদের গণিতে দক্ষতা

সমর ভৌমিক

‘‘আমি আজ কানাই মাস্টার পোড়ো মোর বিড়াল ছানাটি৷’’ আমরা অনেকেই জানি,  এই কবিতাটি কোন্ কবির রচনা৷ কবিতাটি লিখেছেন – বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ কবি এখানে নিজেই কানাই মাস্টার হয়েছেন৷ কবির এখানে পড়ুয়া ছাত্র হ’ল বিড়ালছানা৷ কিন্তু সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে – পড়ুয়া হিসাবে না পড়িয়ে, পড়ুয়া ছাত্র হিসাবে বিড়াল ছানাকে কানাই মাস্টার সেজে শিক্ষা দান করার কথা কবি ভাবলেন কেন? তাহলে কি সত্য সত্যই পশুপক্ষীদের বাস্তবে শিক্ষা দান করা যেতে পারে? সম্ভবতঃ পশু পক্ষীদের শিক্ষাদানের ইঙ্গিত কবির মনে উদ্ভাসিত হয়েছে৷ কিন্তু কিভাবে এই পশুপাখিদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে? পশু পক্ষীদের কি প্রথম ভাগের অ, আ, .......