November 2020

পঞ্জাব, হিন্দোস্তাঁ ও বঙ্গাল (বাঙলা) সুবা

পাঠান–মোগল যুগে আগ্রা প্রদেশ ও অযোধ্যা প্রদেশের মিলিত নাম ছিল হিন্দোস্তান বা হিন্দোস্তাঁ (প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি যে ‘স্তান’ বা ‘স্তাঁ’ শব্দটি ফার্সী যার সংস্কৃত প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘স্থান’৷ উর্দ্দুতে এই ফার্সী রীতি অনুসরণ করা হয়৷

‘‘সারে জাঁহাঁসে আচ্ছা হিন্দোস্তাঁ হমারা

হম বুলবুলেঁ হেঁ ইসকী যহ্ গুলিস্তাঁ হমারা’’

রোমা, কাহিরা, কলিকাতা ইত্যাদি

ইতিহাস–প্রসিদ্ধ নগরী ছিল ‘রোমা’ Roma৷ তাকে ভুল করে ‘রোম’ বলার সার্থকতা কোথায়? প্রপার নাউনকে এভাবে পরিবর্তন করা কি যুক্তিসঙ্গত? প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ও পরবর্তীকালে আরবী ভাষায় যে শহরটিকে চিরকালই ‘কাহিরা’ বলে আসা হয়েছে তাকে ‘কাইরো’ বলব কোন যুক্তিতে? যে দেশটিতে আরবীতে ‘ফিলিস্তিন’ বলা হত ও হিব্রুতে বলা হয় ‘প্যালেষ্টাইন’ তাকে না হয় আমরা নিজেদের সুবিধামত যে কোন একটি নামেই ডাকতে পারি৷ কিন্তু যে শহরটি কলিচূণ ও কাতার দড়ির ব্যবসা উপলক্ষ্যে ‘কলিকাতা’ নাম পেয়েছিল তাকে তাড়াতাড়িতে বলতে গিয়ে কথ্য ভাষায় না হয় কলকাতা–ই বললুম, কিন্তু ইংরেজীতে ‘ক্যালকাটা’ Calcutta বলব কোন যুক্তিতে?

কাশ-বালিকা

জয়তী দেবনাথ

 

কাশ-বালিকা, কাশ-বালিকা

                                কে-গো, তুমি বলো৷

মোদের সাথে লুকোচুরি,

                                কেন এমন খেলো?

 

তোমার ছোঁয়ায় মাতলো ভূবন,

                                ওগো  মায়াবিনী৷

কাশ বালিকা তুমি কি শুধুই

                                রূপকথারই  রাণী?

 

তোমার রূপে  মুগ্দ  শরৎ

                                উঠলো এমন মেতে

ভরছে পবন সুরভীতে,

                                সে-কি বিপুলানন্দে!

 

কাশ বনের ওই শোভা দেখি,

কীর্ত্তন

রবীন্দ্রনাথ সেন

বাউলে ভরা এই রাঢ়ের ভূমিতে

কীর্তন জন্ম নিল তারই প্রেরণাতে৷

বাউল আশ্রয়ী এই রাঢ়ীয় কীর্ত্তনে

ভাব মাধুর্য্যে ভরা ঈশ্বরীয় গানে৷

কানের ভিতর দিয়া মরমে সে পশে

আকুল করে প্রাণ কোন্ সে আবেশে৷

মাটির কবি জয়দেব চণ্ডীদাস ঠাকুর

নোতুন মূর্চ্ছনায় বেঁধেছিল কীর্ত্তনের সুর৷

সেই সুর ভেসে চলে গ্রাম হতে গ্রামে

‘তোমারে ধরিতে চাই তোমার কীর্ত্তন নামে’৷

মহাপ্রভু এলেন যেদিন রাাভূমি ’পরে

অপূর্ব এই বাউল কীর্ত্তন স্পর্শ করে তারে৷

স্বতঃ প্রবৃত্ত নিমাই ঠাকুর গেলেন বলে

কীর্ত্তন করিব আমি, ‘রাঢ়ী সুরে রাঢ়ী বোলে৷’

 

এক (One)–এর তাৎপর্য্য

শ্রীসমরেন্দ্র নাথ ভৌমিক

গণিত শাস্ত্রে ১–এর ভূমিকা অত্যন্ত গভীর তাৎপর্য্য পূর্ণ ভূমিকা৷ কোষই হ’ল যেমন জীব দেহের একক (Unit) তেমনি সমস্ত গাণিতিক সংখ্যার একক হ’ল এক One৷ আবার জলের উপাদান যেমন হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন, ঠিক তেমনি সমস্ত গাণিতিক সংখ্যার (Numerical Quantity) উপাদানও বলা যায়, ২ হ’ল দুটি ১–এর সমবায় অর্থাৎ দুটি ১ যোগ করে (1+1)=2  করা হয়েছে৷ সুতরাং দেখা যাচ্ছে ২ নামক সংখ্যাটির অস্তি ১–এর অস্তিত্ত্বের উপর নির্ভরশীল৷ এমনিভাবেই  তিনটি ১–এর সমবায় হ’ল ‘তিন’৷ অর্থাৎ যাকে আমরা ২বল্ছি আসলে তার মূল উপাদান হ’ল ‘‘এক’’৷ এইভাবে দেখা যায় যে,  ২০০, ৫০০, ১০০০ প্রভৃতি  যত বড় সংখ্যাই হোক না কেন, তার একক বা মূল উপাদান কিন্তু ‘এক’৷

মণ্ডামোহন

যে সকল অন্তর্নিহিত দুর্বলতা মানুষের ক্ষতিসাধন করে সেগুলিকে রিপু বলা হয়৷ আর জীবের এই অন্তর্নিহিত দুর্বলতা বা রিপুর সুযোগ নিয়ে বাইরে থেকে যে বন্ধন এসে জেঁকে বসে’ মানুষকে জড়িয়ে ধরে ........ আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরে ...... জগদ্দল পাথরের মত বুকে চেপে বসে সেগুলিকে বলা হয় পাশ৷ রিপু ছয়টি – কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য্য৷ আর এই রিপুগুলি থাকার ফলে যে পাশগুলি (পাশ মানে বন্ধনরজ্জু) মানুষকে বন্ধন করে তারা হ’ল সংখ্যায় আট৷

                ‘‘ঘৃণা–শঙ্কা–ভয়ং–লজ্

                                জুগুপ্সা চেতি পঞ্চমী

                কুলং–শীলঞ্চ–মানঞ্চ্

যেমন দ্যাবা তেমনি দেবী৷

তা যাই হোক আসল কথায় আসা যাক৷ তখন আমাদের শহরে বেগুনের দর এক পয়সা পসুরী  – দু’আনায় মণ অর্থাৎ এক পয়সায় পাঁচ সের৷ মণ্ডামোহন মুখুজ্জে জনৈক কুজরাকে  ( বিহারের যারা তরকারী বেচে তাদের বলা হয় কুজরা আর যারা তরকারী উৎপাদন করে তাদের বলা হয় কোইরী৷ কোইরীরা ধর্মে হিন্দু আর কুজরারা মুসলমান৷ আমাদের ওখানকার কুজরাদের মাতৃভাষা অঙ্গিকা৷ তাদের নাম হত মহারাজ কুজরা, শনিচারা কুজরা, এতবারী কুজরা ইত্যাদি) এক পয়সার বেগুন দিতে বলল, কুজরা পাঁচ সের বেগুন দিয়ে আট–দশটা বেগুন ফাউ দিয়ে দিল৷ মণ্ডামোহন বললে, – ‘তোর ফাউয়ের বেগুনেই আমার চলবে৷  বেগুন কিনতে আর হবে না৷ আমার পয়সাটা ফেরৎ দে৷’

কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় বলে যোগ্য দাম পাননি --- জানালেন সেরিনা

টেনিস জগতের সেরা তারকা সেরিনা বরাবরই নিজের খেলার প্রতিভার মাধ্যমে দর্শকদের মন কেড়েছেন৷ কিন্তু একটা দুঃখ তার মনে চিরদিনই ছিল কিন্তু সেটি কোনদিন তিনি প্রকাশ করতে পারেননি৷ তিনি যেহেতু কৃষ্ণাঙ্গ তাই তার সাথে বহু অপমানজনক ঘটনা ঘটেছে যা তিনি সকলকে জানান নি৷ খেলার জগতে যোগ্যদামও পাননি৷ এই বিষয়ে সেরিনা জানিয়েছেন--- কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা হিসেবে আমি গর্বিত৷ ‘‘মহিলা ও কৃষ্ণাঙ্গদের দেখিয়ে দিতে হবে প্রতিবাদের ভাষা তাঁদেরও আছে৷’’

বার্সেলোনায় সুখে  আছে কি মেসি!

সাম্প্রতিককালে বার্সেলোনায় আদৌ কি মেসি সুখে আছেন তা নিয়ে প্রশ্ণ উঠছে বার বার! একটি সংবাদপত্রে মেসি বলেন--- ‘‘অনেক বিষয়ে নানান মতের অমিল ঘটছে ব্যাপারটা এবার শেষ করতে চাই৷ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ ক্লাবের সেরাটা কিন্তু এখনও আসেনি৷’’ পরে মেসি আরও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন---‘‘যদি ভুল করে থাকি, তা হলে তার দায়ও নিচ্ছি৷ সবই ঘটেছে বার্সেলোনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ইচ্ছা থেকে৷ ক্লাবের সদস্য ও ভক্তদের একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম, যদি সেই কথায় কারও খারাপ লাগে , তাহলে বলব যে ক্লাবের ভালোর জন্যই সে সব বলেছিলাম ৷’’