November 2021

স্মৃতির অন্তরালে জনৈক বঙ্গ মহিলা’’

কণিকা দেবনাথ

                                ‘‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে

                                                আসে নাই কেহ অবনী পরে,

                                সকলের তরে সকলে আমরা

                                                প্রত্যেকে আমরা পরের তরে৷’’

মায়েরই তো খাচ্ছি

কিছু মানুষ আছে যাদের কুকার্য ধরা পড়বার ভয়ে তারা তাদের সেই কুকার্যের সমর্থনে যুক্তি খোঁজে৷ তারা ‘খল’ পর্যায়ভুক্ত৷

আমি একজন চাটুজ্জে–গিণ্ণীকে জানতুম৷ তিনি দুর্গা পূজার সময় প্রায়ই পূজামণ্ডপে তো থাকতেনই, যেখানে ভোগ রান্না হত সেখানেও তাঁকে খুব বেশী ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত৷ একবার তিনি শাড়ীর নীচে লুকিয়ে কী যেন একটা নিয়ে যাবার সময় স্বেচ্ছাসেবকের হাতে ধরা পড়লেন৷ স্বেচ্ছাসেবকদের সাহসই হল না তাঁর জিনিসটা তল্লাসী করার৷ তারা পূজা কমিটির সেক্রেটারী জনৈক ঘোষ মশায়কে ডাকলেন৷

ঘোষ মশায় আমাকে বললেন–কী করা যায় বলুন তো

‘না তাকাইঁ’

রাঢ়ের মানুষ একদিকে  যেমন দার্শনিক চিন্তা করেছে, অন্যদিকে তেমনি হালকা মেজাজে হাসি–তামাসা–নৃত্য–গী উচ্ছল হয়ে উঠেছে৷ রাঢ়ের মানুষ মজলিশী, মিশুক ও খোসমেজাজী৷ দারিদ্র্যভারে জীর্ণ হলেও সে মানুষকে ডেকে খাওয়ায়–খাওয়ায় তা–ই যা সে নিজে খায়–ভাত, কলাইয়ের ডাল (রাঢ়ী বাংলায় ‘বিরি’), বড়ি–পোস্ত আর কুমড়োর তরকারি (রাঢ়ী বাংলায় ‘ডিঙ্লা’)৷ তার আচরণে–ব্যবহারে কোনো দারিদ্র্যগত সংকোচ নেই৷ বিনা কষ্টেই সে স্পষ্ট কথা বলে থাকে৷ রাঢ়ের মানুষের সরলতার একটি নিদর্শন ঃ

সাফ কাপের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করলেন ইগর স্তিমাচ

গত মঙ্গলবার থেকে থেকে মল দ্বীপে পৌঁচেছেন সুনীলরা৷ তার আগে গত সোমবার বেঙ্গালুরুতে মিলিত হয়েছে বাকি ফুটবলাররা৷ স্তিমাচ-সহ সহকারী কোচেরা গত মঙ্গলবারই সরাসরি মলদ্বীপে পৌঁছে গেছেন তারা৷ সাফ কাপের জন্য মোট ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন ইগর স্তিমাচ৷  আর এই ২৩ জনের দল থেকে শেষমেষ বাদই পড়লেন প্রণয় হালদার৷ সাফ কাপের প্রস্তুতি শিবিরে প্রণয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেওয়া হয়৷

আনন্দনগরে ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত ১লা সেপ্ঢেম্বর আনন্দনগরে শুরু হয় অনুধর্ব ১৫ বছর কীর্ত্তানন্দ অবধূত স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা  আনন্দনগরের সংলগ্ণ বিভিন্ন গ্রামের মোট আটটি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে৷ ১লা সেপ্ঢেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন ডামরুঘুটু এস. এস .এ.সি ও আনন্দনগর পি.পি. হোস্টেল  ফুটবল দল৷ ২৬শে সেপ্ঢেম্বর মধ্যআনন্দনগর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুল মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় আনন্দনগর এস. এস .এ.সি ও ছকুডি গ্রাম ফুটবল দলের মধ্যে৷৷ ফাইনালে বিজয়ী হয় আনন্দনগর এস এস এসি ক্লাব৷ তারা ২-০ গোলে পরাজিত করে ছকুডি গ্রাম ফুটবল দলকে৷

কয়লায় টান-শিল্পে সংকট

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী রাজকুমার সিংহ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন---অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ শেষের দিকে আসায় বিভিন্ন কলকারখানায় এখন পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হয়েছে৷ ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে৷ তাই বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ায় এখন কয়লায় টান পড়েছে৷ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়  বিদ্যুতের  সংকট এখনও দেশে দেখা দেয়নি৷

আনন্দমার্গের সেমিনার

প্রথম ডায়োসিস স্তরের  সেমিনার শেষ হওয়ার পর এখন দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন ডিট ও ব্লক স্তরের সেমিনার চলছে৷ গত ৩রা অক্টোবর নৈহাটি আনন্দমার্গ স্কুলে নৈহাটি  ও কাকিনাড়া ব্লকের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক  অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ৷ আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল জীবের পরমাগতি, শূদ্র বিপ্লব ও  সদ্‌বিপ্র সমাজ, জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন পুনর্জাগরণ ও সম্যক জীবন৷

শুধু কর্ষক আন্দোলন নয়-চাই সার্বিক শোষণ বিরোধী আন্দোলন

কর্ষক হত্যার নিন্দা করে প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন যেভাবে  উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে কর্ষক হত্যা হয়েছে তা বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশকে বিশ্বের চোখে হেয় করে দিয়েছে৷ কর্ষক আইন পুঁজিপতির স্বার্থরক্ষার্থে তাই এই আইন বাতিল হওয়া প্রয়োজন৷ তবে শুধু আইন বাতিল করলেই সার্বিক কল্যাণ হবে না৷

তাই শুধু বিক্ষিপ্তভাবে কর্ষক আন্দোলন নয়,  সারা ভারতে আজ প্রয়োজন অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন৷ তাতে শুধু কর্ষক নয়, সমস্ত শোষিত নিপীড়িত মানুষ বাঁচার পথ পাবে৷

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টীমের ত্রাণ

সাম্প্রতিক বন্যা বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টীমের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দুর্গত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত জানান, প্রায় দু’হাজার পরিবারকে খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হয়৷ নিয়মিতভাবে এই ত্রাণকার্য চলছে৷

রেল হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ‘আমরা বাঙালী’

গত ৩রা অক্টোবর রেলের হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ‘আমরা বাঙালী’ উঃ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ নৈহাটি স্টেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংঘটনিক সচিব শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা না করে কারও জীবিকার ওপর হস্তক্ষেপ করা অমানবিক কাজ৷ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এই অমানবিক কাজই করছে বিশেষ করে বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলে৷ এই স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে যারা হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করে, যাদের উপার্জনের ওপর এক একটি পরিবারের ৫-৭ জন  নির্ভর করে আছে হঠাৎ করে তাদের উচ্ছেদ করলে তাদের রুজি রোজগার বন্ধ হলে সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হবে তার জন্য দায়ী থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার ও রেল কর্ত্তৃপক