January 2025

মহান ব্যক্তিদের অধিকারী বাবা সাহেব আম্বেদকরের স্মরণে

প্রভাত খাঁ

আমরা আজ বয়েসে কিছুটা প্রবীন তাই দেখা যাচ্ছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ যা আমাদের সত্যিই লজ্জিত করে৷ পবিত্র লোকসভায় বেশ কিছুটা আত্মহংকারীর মতো সংসদের মর্যাদাহানি করে কাজ করেন নিছক পদের লোভে ক্ষমতার মোহে৷ সংসদে আসার আগে নির্র্বচনে জয়ী হতে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এরা সহজেই ভুলে যায়৷ সংসদে বসে সেকথা মনে করার প্রয়োজন বোধ করেন না৷

প্রভু ক্ষমা কর তারে

কৌশিক খাটুয়া

আমি এ’ যুগের যিশু---

বিশ্বপিতার কোলে হাস্যরত

এক অপাপবিদ্ধ শিশু৷

যদি বিশ্ববাসী উচ্চঃস্বরে

দুষে মোরে নিরবধি,

আমারে চিনিতে না পেরে

ক্রশবিদ্ধ করে যদি,

তবু বলে যেতে চাই

ক্ষমা কর প্রভু, ক্ষমা কর আজ তারে,

শরীরে মননে আঘাত হানিল যারা

 নির্মম অবিচারে৷

চিনিতে পারেনি আমি কোন জন

চিনিতে চায়নি তার হৃদয় মনন,

তাই অনায়াসে অকারণে দুষে

কার মঙ্গল আনে?

 অপূরণীয় ভুল, নাই সমতুল

আজ এরা নাহি জানে৷

যেদিন জানিবে সময় ফুরাবে

অনুতাপে মন প্রতিবিধানে

সত্যের অপমানে!

হৃদিরেখা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

নাম গোত্র পরিচয়হীন

তুমি এক হৃদিরেখা

চলেছো সবে  মাধুরী বিলায়ে

দিয়ে ক্ষণিক দেখা৷

কার আদেশে আসিয়া ভবে

গড়ে তোল সংসার

নিঃশেষে প্রাণ বিলিয়ে চলো

মানে সবে তাই হার৷

কলা কৃষ্টি নৃত্যগীতে

হরষিত করি সবে

জাগাও তুমি চেতনা মনে

আসিয়া  এ ভবে৷

ভাবতরঙ্গে বহিয়া চিতে

শোনাও মাধুরী সুর

মদালসারূপে জাগিয়ে প্রাণে

আনো সমাজ ভোর৷

ঘনঘোর যত সরিয়া গিয়াছে

এল’ চাঁদনী রাত

রূপালী-রঙে সাজালে সবে

নহে আর অশ্রুপাত৷

নদের নিমাই ভাবস্রোতে মেতে

বাঁচালো মানবতা

বিদায়-২০২৪

পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করার আয়োজন চলছে৷ বর্ষশেষের বিদায়লগ্ণ ঘনিয়ে এসেছে৷ নতুনবর্ষকে বরণ করতে সবে নবসাজে  সেজে উঠেছে৷ পিছনের দিকে ফিরে তাকাবার সময় নেই৷ যা গেছে তা যাক্‌৷ কিন্তু যাক বললেই কি ছেড়ে আসা যায়! নতুনের আকর্ষণ যত শক্তিশালীই হোক পশ্চাতের বন্ধনটাও দুর্বল খুব নয়৷ বেশীরভাগ মানুষের এই দুইয়ের পাকে পড়ে জীবনের অনেকটা সময়ই বৃথা চলে যায়৷ বাজে কাজে, বাজে কথায়, বাজে ভাবনায় আমাদের জীবনের বেশীর ভাগ সময় পার করে দিই৷ সময় তো  একটি মানসিক পরিমাপ, পল-অনুপল, সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা দিন, সপ্তাহ মাস বছর যুগ-সময়ের হিসাব রাখা যায়, সময়কে ধরে রাখা যায় না---

‘‘দিন যায় ক্ষণ যায়

ফ্যাসিষ্ট শোষণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে  প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বই আর্থিক মুক্তির অমোঘ বিধান

ধনকুবেরদের নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রব্যবস্থা সমাজের সর্বস্তরে শোষণের জাল বিস্তার করেছে৷ পুঁজিবাদী শোষণ ফ্যাসিষ্ট রূপ ধারণ করেছে৷ পুঁজিবাদী শোষনে বিশ্বজুড়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক---জীবনের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক অবক্ষয় শুরু হয়েছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের নাভিঃশ্বাস উঠেছে৷ রাজনৈতিক গুণ্ডামী, গণতন্ত্রের নামে ভণ্ডামী, শোষণ ও সন্ত্রাসের জালে পড়ে মানুষের প্রাণবায়ু নিঃশেষ হতে চলেছে৷ কথাগুলি বলেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বর্ধমান বোরহাটে সংস্থার ষান্মাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরে৷ তিনি আরও বলেন---একমাত্র প্রগতিশীল উপযো

২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর আনন্দনগরে আনন্দমার্গের বিশাল ধর্মমহাসম্মেলন

আনন্দনগরে আগামী ২৯, ৩০, ৩১শে ডিসেম্বর– তিন দিন ধরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দমার্গীরা দলে দলে আসছেন এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যে৷ বহির্ভারতের বিভিন্ন দেশ থেকেও আনন্দমার্গীরা এই মহামিলন কেন্দ্রে অনেকেই ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন ও অনেকে আসছেন৷ দেশে বিদেশে আনন্দমার্গের প্রচার ও সমাজসেবার কাজে রত আনন্দমার্গের অবধূত, অবধূতিকা, ব্রহ্মচারী, ব্রহ্মচারিণীরা এই উপলক্ষ্যে কয়েকদিন আগেই আনন্দনগরে এসে গেছেন৷

পরলোকে মহামায়া পাল

গত ১৯শে ডিসেম্বর ত্রিপুরার ধলাই জেলার কুলাই বাজারের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী মহামায়া পাল পরলোকে গমন করেন৷ তাঁর মৃত্যুতে আত্মীয় পরিজন ও মার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ শ্রীমতি পাল অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও আদর্শমার্গী ছিলেন৷ সবরকম প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে মার্গের কাজ করে যেতেন৷ বেশ কিছুদিন তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন৷ তাঁর একমাত্র পুত্র মার্গের সর্বত্যাগী কর্মী ছিলেন৷

পরলোকে আচার্য বিশ্বত্বরানন্দ অবধূত

গত ২০শে ডিসেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের একনিষ্ট সর্বত্যাগী কর্মী আচার্য বিশ্বত্বরানন্দ অবধূত পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুর সময় তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন৷ তিনি দুর্ঘটনাবশতঃ ফুটন্ত জলে পুড়ে গুরুতর আহত হয়ে কলিকাতার হেলথ্‌ পয়েন্ট হাসপাতালে ভর্ত্তি ছিলেন তিনি গত ২০ ডিসেম্বর অপরাহ্ণ ৩টা ৪০মিনিটে তিনি পরলোক গমন করেন৷

প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টার বিস্ফোরক মন্তব্য জি.এস.টি ব্যবস্থা গরীবের নাভিশ্বাস তুলছে

২০১৭ সালের ১লা জুলাই মধ্যরাতে জি.এস.টি (গুডস্‌ অ্যাণ্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স) চালু করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কর কাঠামো সরলীকরণ করতেই জি.এস.টি চালু হলো৷ শুরু থেকেই অবশ্য তড়িঘড়ি জি.এস.টি চালু করা নিয়ে বণিক মহলের এক অংশ ও বিরোধী দলগুলি সমালোচনা করেছিলেন৷ জি.এস.টি নিয়ে বিতর্ক চলছেই বিভিন্ন স্তরে করের হার নিয়ে৷ তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী দলের সরকারের বঞ্চনার অভিযোগও আছে৷ এরই মধ্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে পপকর্ণের উপর জি.এস.টি চালু নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষনা করেছেন নোনতা পপকর্ণে পাঁচ শতাংশ, প্যাকেট ও লেবেলিং করা পপকর্ণে বার শতাংশ ও ক্যারামেল পপকর্ণে

আনন্দমার্গ পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ২০ ডিসেম্বর,২০২৪, শুক্রবার,বেলা ১১-০০ ঘটিকায় কলিকাতার মুকুন্দপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সুধাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান তিলজলা আশ্রমের কেন্দ্রীয় জাগৃতিতে আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷গত ১৫ই ডিসেম্বর সুধাকর বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷মৃত্যুমকালে সুধাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর৷ শ্রাদ্ধকর্তা ,পুত্র, শ্রী বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য শুভধ্যাানন্দ অবধুত৷শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে স্মৃতিচারণ করেন আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধুত, অবধুতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা, কলিকাতার ভুক্তিপ্রধান শ্রীমতী সুনন্দা সাহা ও শ্রীজ্যোতিবিকা