ভাটপাড়া বাংলার লজ্জা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

উত্তর ২৪ পরগণার শিল্প শহর ভাটপাড়া৷ একসময় এই ভাটপাড়া ছিল বাঙালী সংসৃকত পণ্ডিতদের বাসগৃহ৷ ভাটপাড়া তখনও শিল্প শহর হিসেবে গড়ে ওঠেনি৷ বহু সংসৃকত পণ্ডিত বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে এখানে বাস করতেন৷ ভাটপাড়ার নিকটেই নৈহাটী, সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মস্থান৷ নৈহাটীর পরের ষ্টেশনই হালিশহর৷ এই হালিশহরেই ছিল সাধক রামপ্রসাদের বাসগৃহ৷ বাংলার গর্বের এই অঞ্চল এখন কদর্য রাজনীতির আঁতুর ঘর৷ বাংলার সেই গৌরব আজ বিলীন হয়েছে৷ শিল্পের হাত ধরে এই স্থান দখল করে বসে ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা৷ ক্রমে তারাই এখানে আধিপত্য বিস্তার করে৷ বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থ চিন্তা না করে সব নেতারাই রাজনৈতিক স্বার্থে যে যখন ক্ষমতায় এসেছে এই বহিরাগতদেরই তোষণ করেছে৷ সেই সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও কাঁচা পয়সার জোরে ভাটপাড়া এখন বহিরাগত মাফিয়াদের রাজত্বে পরিণত হয়েছে৷ স্বার্থের হিসাব কষে এরা গিরগিটির মত রাজনৈতিক রং পরিবর্তন করে৷ বিবেকহীন, আদর্শবোধ লুপ্ত দ্বিপদ দানবের দাপট চলছে ভাটপাড়ায়৷ দিনে-দুপুরে বোমা, গুলি চলছে, অসহায় মানুষ নির্বিকারে মরছে৷

প্রশাসন নিষ্ক্রিয়! ব্যর্থ! না-কি রাজনীতির অন্য হিসাব কষে পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শক৷ মাফিয়া গুণ্ডাদের গায়ে রাজনীতির যে রঙের জামাই থাক পুলিশ প্রশাসন তাদের দমন করতে পারছে না---এটা বিশ্বাস করা কষ্টসাধ্য৷ কোথাও একটা রাজনীতির অন্য খেলা চলছে৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে, তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে দিল্লী ও রাজ্যের সরকার উভয়েই কদর্য রাজনীতির হিসাব কষে চলছে৷ বাংলার গর্ব ধুলুণ্ঠিত করে রাজনীতির রঙবাজী অবাধে চলছে৷ একদা বাংলার গর্ব ভাটপাড়া আজ বাঙালীর কাছে একরাশ লজ্জার৷ বাঙালী এই রঙবাজী আর কতদিন সহ্য করবে?