প্রবন্ধ

প্রত্যেক নাগরিককে স্বনির্ভর করাই হল গণতন্ত্রের লক্ষ্য

প্রভাত খাঁ

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ সাত দফা নির্বাচনের ইতোমধ্যে চার দফা শেষ হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গেও শান্তিতে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে৷ কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ছাড়া জনগণের জীবন যাপনের মান উন্নয়নের কোন বার্র্ত নেই৷ তাই এই আলোচনার বিষয় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লক্ষ্য কি হবে৷ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাকে সামাল দিতে দারিদ্র্য সীমার নীচে যারা বাস করছে আর নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের যে দারুণ অর্থনৈতিক দুরবস্থা তাকে মানিয়ে নিয়ে দিন যাপন করাটা দিন দিন অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে মূলতঃ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ও সমাজের সহানু

ভারতের প্রাচীন গণিতবিদ্ ভাস্কর আচার্য্য ও দাবা খেলার মজার গাণিতিক কাহিনী

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

পৃথিবীতে সর্বপ্রথম গণিত শাস্ত্রের চর্চা শুরু হয়েছিল ভারতবর্ষ হতেই৷ মিশর, ব্যাবিলন, মেসোপটেমিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে প্রাচীন কাল থেকে গণিতের অনুশীলন চললেও কালের গণনায় ভারতবর্ষই ছিল গণিত শাস্ত্রের অনুশীলনে পথিকৃৎ, তথা গণিতের সূতিকাগৃহ৷ ভারতে আর্যঋষিরা অধ্যাত্ম শাস্ত্রের সহিত গণিত শাস্ত্রেরও গভীর আলোচনা বা চর্চা করতেন ৷ আজ থেকে আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে মহর্ষি কপিল মুনি, কপিল পাহাড়ের গুহায় অধ্যাত্ম সাধনা করতেন ও সেই সঙ্গে গণিত শাস্ত্রের চর্চাও করতেন৷ এমনই এক গণিতবিদ্ হলেন – ভাস্কর আচার্য্য Bhaskaracharya ৷ ভাস্কর আচার্য্য ছিলেন একজন ভারতীয় গণিতবিদ্ ও জ্যোতির্বিদ৷ সম্ভবতঃ ১১১৪ খ্রীষ্টাব্দ

নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে হবে

প্রবীর সরকার

ভারত যুক্তরাষ্ট্র নামটি বড়ই গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ কয়েকটি রাজ্যযুক্ত হয়েই ভারত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ আর এই দেশের শাসক বিশেষ করে কেন্দ্রে অবস্থান করছে একটি সরকার যে সরকার গড়ে উঠেছে রাজ্যগুলির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা৷ যাদের বলা হয় এমপি৷ নানা দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি সেখানে বর্ত্তমান৷ তাঁরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি৷ তাঁরা পদমর্যাদায় সবাই সমান৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দল শাসক হয়ে শাসন করে আর সংখ্যা লঘিষ্ঠরা বিরোধী ভূমিকায় থেকে দেশের শাসন কাজ চলে৷ তাই গণতন্ত্রে শাসক বিরোধী দলের দুয়েরই গুরুত্ব আছে৷ দেশের গণপরিষদ সৃষ্ট সংবিধ

আর্থিক মুক্তির পথ প্রাউটের প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

প্রভাত খাঁ

আজ সমস্যাসংকূল পৃথিবীর বুকে সকল সমস্যা সমাধানের যে পথটি অনুসরণ করা ও তাকে স্মরণ করে চলার বিশেষ প্রয়োজন হয়েছে, তা হ’ল মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সর্বানুসূ্যত দর্শনের পথ৷ তিনি বলেছেন, ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্র নিয়ে এক সঙ্গে চলাই হ’ল ধর্ম৷ এক সঙ্গে চলতে হলে সংঘবদ্ধভাবে চলতে হবে৷ মানুষ কুসংস্কার, অজ্ঞানতাবশতঃ, ধর্মান্ধতা জাত-পাতের ভিত্তিতে টুকরো টুকরো হয়ে বিরোধ করছে৷ সেই সব বন্ধ করে এক হয়ে কৃষ্টি, ভাষা, সংস্কৃতির ঐক্যসূত্রে একত্রিত হয়ে সকল প্রকার শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই মানুষ৷ আপেক্ষিক জগতে বৈচিত্র্যের মধ্যে যে ঐক্য বিদ্যমান সেটা হ’ল মানবিক মূল্যবোধ৷এ

বিপন্ন সমাজে রবীন্দ্র ভাবনা

পত্রিকা প্রিতিনিধি

আমরা প্রতি বছরের মত এবারেও খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি–সিরিয়্যালে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শক

বানভাসি মানুষের কান্না কতকাল?

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

এখন প্রকৃতির রাজ্যে চলছে নীরস গ্রীষ্মের দাপট ও রাজ্যপাট৷ সারা দেশে চলছে মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহ৷ তাপপ্রবাহের মাত্রা কোথাও ৪০ আবার কোথাও বা ৪২৷ এই অসহনীয় তাপ প্রবাহের কবলে পড়ে মানুষ, পশুপাখি ও বৃক্ষলতা সকলেই ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলছে৷ তবে এটা প্রকৃতির আবর্ত্তনের পথ ধরে গ্রীষ্মের পর বর্ষা প্রকৃতির দরবারে আত্মপ্রকাশ করবে৷ এই বর্ষা ও তার প্রেক্ষাপটে সর্বানাশা প্লাবন-এটাই আমার নিবন্ধের বিষয়৷

ব্যক্তিত্ব : ব্যক্তি মানবের আসল পরিচিতিv

লীনা দাস

ব্যক্তিত্ব হল প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে গড়ে ওঠা নৈতিক, চারিত্রিক ও সামাজিক মূল্যবোধ যা তার জন্মকালীন পরিবেশ, বংশগতির ধারা ও পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে পাওয়া! এই হল ব্যক্তিত্বের লৌকিক সংজ্ঞা৷ এই সংজ্ঞা অনুযায়ী লৌকিক দৃষ্টিতে যার সম্ভ্রম আছে বলে মনে হয় তাকে লোকে বিশেষ মর্যাদা বা শ্রদ্ধার চোখে দেখে থাকে, সে-ই ব্যক্তিত্বের অধিকারী বলে প্রতিভাত হয়৷

স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে আরও কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

লোকসভা, বিধানসভা বা রাজ্যসভা নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন৷ সেই দায়িত্ব তারা যে পালন করে থাকে এ বিষয়ে দেশবাসী অবগত আছেন৷ কমিশনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচনে বোটারদের voter)সচিত্র পরিচয়পত্রের ব্যবহার৷ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এই সংস্থাকে আরও কিছু নতুন বিষয় সংযোজন করে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ দেশবাসী যেন কখনই ভাববার সুযোগ না পায় যে এই কমিশন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গুলি হেলনে চলে !

রাজনীতি সেবা না চাকরি

শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল

দিন কয়েক আগে ফেসবুকের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে একটা বিষয় নজরে এল৷ বয়স্ক লোকেদের আড্ডার আসরে এক ব্যক্তি আমজনতার উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্ণ ছুঁড়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন--- রাজনীতি সেবা না চাকরি? যদি সেবা হয় তাহলে বেতন, পেনশন কেন? আর যদি চাকরি হয় তাহলে পরীক্ষা বা শিক্ষা-দীক্ষা নেই কেন? তবে সত্যি কথা বলতে---এটা অনেকেরই মনের কথা, অনেকে মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারেন নি৷ আর উনি সাহস করে সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ণটি উত্থাপিত করেছেন, রবিঠাকুরের কথায় বলতে হয়---‘মন্ত্রী কহে---আমারো ছিল মনে কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে,

বৃহত্তম সংখ্যার অনুসন্ধান

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

মানুষ তার প্রয়োজনের তাড়নাতেই এক সময় ১ হ’তে ৯ পর্যন্ত এই অঙ্কগুলি (Digits) আবিষ্কার করেছিল৷ এরপর বেশ কিছুদিন এই অঙ্কগুলিকে নিয়ে যে অসংখ্য সংখ্যা (Number) তৈরী করা যায়, এমন কথা কল্পনা করতে শেখেনি৷ তারপর কালক্রমে, শূন্য (Zero)–এর অস্তিত্বের কথা যখন কল্পনায় এসেছিল, তখনই অসংখ্য সংখ্যা তৈরী হ’তে শুরু করল দুরন্ত গতিতে৷ শুরু হ’ল দুই অঙ্ক–বিশিষ্ট, তিন–চার অঙ্ক, প্রভৃতি অসংখ্য সংখ্যা বিশিষ্ট সংখ্যা গঠনের চিন্তা–ভাবনা৷ প্রথমেই আবিষ্কার হ’ল স্বাভাবিক সংখ্যার অর্থাৎ ১ হ’তে ১০০ পর্যন্ত এই স্বাভাবিক সংখ্যাগুলি৷ এরপর হাজার, অযুত, লক্ষ, কোটি স্থানীয় সংখ্যাগুলিকে আবিষ্কার করল৷ এখানেই সংখ্যা তৈরী সমাপ্ত হ’ল ন