প্রবন্ধ

ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালী আর কতদিন বলির বকরা হয়ে থাকবে

মনোজ দেব

মানুষ আজ অমানুষে পরিণত হচ্ছে৷ হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থ লোভ মানুষকে বিবর্তনের বিপরীত পথে নিয়ে চলেছে৷ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপি নানা নামে পরিচিত৷ মানুষের পরিচয় সে ভুলে যায়, মানব ধর্মের অনুশীলন সে করে না৷ দলীয় স্বার্থরক্ষা করা আর অর্থ উপার্জন তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান৷ ক্ষমতার দখল নিতে সে উন্মত্ত, উন্মাদ৷ তাই তো এত হিংসা, এত রেসারেসি! কেউ একবারও ভাবে না কে কাকে মারছে? কে কার রক্তে হাত রাঙাচ্ছে?

মহান প্রাউটিষ্টদের জগৎকল্যাণে কিছু করনীয় কাজ

প্রভাত খাঁ

নব্য মানবতাবাদী মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এক কল্যাণধর্মী বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ আদর্শভিত্তিক এক মানব সমাজ গড়ে তুলতে যার আশ্রয়ে গড়ে উঠবে আনন্দ পরিবার৷ যেখানে কেউ শোষিত ও নিপীড়িত হবে না৷ কারণ এই বসুন্ধরার মালিক হলেন সেই বিশ্বশ্রষ্ঠা পরমপুরুষ৷ তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকার আছে প্রতিটি মানুষের৷ আর এই সমৃদ্ধশালী পৃথিবীর সব কিছু ভোগ করার অধিকার আছে সব মানুষের জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে৷ এই পৃথিবীটা কারোর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়৷ এই মহান ধারণাটা অদ্যাবধি কোন শাসকেরই মাথায় নেই নিছকরকম অজ্ঞানতা বশতঃই৷ বর্তমান নানা রং-এর শাসকদের দৃষ্টিতে না কি বাতুলতা৷ আর এটা তখনই গড়ে উঠবে

আর্থিক বিকাশ হোক সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বর্তমান অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন--- ‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে৷’’ তাই প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান৷ বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ সর্বজীব ও সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে অর্থনীতিকে বিকশিত করতে হবে৷

গণিত-গণিত খেলা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

খেলা আর খেলা৷ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই রয়েছে একটা না একটা খেলাতে৷ কেউবা ক্রিকেট খেলায় মেতেছে, কেউবা ফুটবল খেলায় মেতেছে৷ আবার, বিপুল অর্থব্যয়ে চার-পাঁচ বছর অস্তর বিশ্বকাপ অথবা অলিম্পিক খেলায় মেতে চিত্তবিনোদনের স্রোতে সকলে ভেসে চলি৷ আর চলছে, পৃথিবীব্যাপী রাজনীতিবিদদের চরম... ধবংসাত্মক, খেলা৷ এদিকে স্কুল-কলেজগুলিতে চলছে নানান ধরনেব Indoor-outdoor প্রভৃতি games.

বিশ্ব উষ্ণায়ন

নাতাশা ইসলাম

পৃথিবী ক্রমশ তেতে উঠছে৷ এই উত্তপ্ত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা–অসংখ্য পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছপালা ও সর্বোপরি মানুষ৷ যে মানুষ আজকের এই সংকটজনক পরিস্থিতির জন্যে অনেকটাই দায়ী৷ বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস৷ বায়ূ মণ্ডলের প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি হল–জলীয়বাষ্প, কার্বন–ডাই–ক্সাইড (ড্রত্থ২), নাইট্রাস অক্লাইড (ত্ত্ব২ত্থ), মিথেন (ড্রণ্ড্র২) ও ওজন (ত্থ৩), আর আছে ক্লোরিন যুক্ত কয়েকটি গ্যাস–পার ফ্লুরোকার্বন্স্ (ত্নণ্ঠড্রত্র), হাইড্রো ফ্লুরোকার্বন (ণ্ড্রণ্ঠড্রত্র) ও সালফার হেক্সাফ্লুরাইড (ত্রণ্ঠ৬), মন্ড্রিল প্রোটোকল৷ ১৯৮৭–এর সিদ্ধান্তে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন–এর্ ব্যবহ

কেউ কথা রাখেনি

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

দেখতে দেখতে ৪২ বছর পার হয়ে গেল৷ কেন্দ্রে ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন দুই দলের সরকার কেউই কথা রাখেনি৷ যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বা টেলিভিশনের পর্দায় পশ্চিম বঙ্গে সিপিএমের সন্ত্রাস ও গণহত্যার প্রসঙ্গ তুলে বাজার গরম করে তারা কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন গণহত্যার বিচার করে দোষীদের সাজা দেওয়ার এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা করল না৷ ১৯৮২ সালের ৩০ শে এপ্রিল কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৭ জন আনন্দ মার্গী সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল৷ রড দিয়ে পিটিয়ে ও পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে সিপিএমের হার্মাদরা মার্গের সন্ন্যাসীদের হত্যা করেছিল৷ ভেবেছিল এভাবেই আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘকে শেষ করে দেবে৷ আনন্দ

গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটিত হোক

প্রভাত খাঁ

সেই ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তারিখটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো৷ আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও গৃহী ভক্তবৃন্দ সেই বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে যে তরতাজা লাল গোলাপের মত সুন্দর ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী নৃশংসভাবে দিবালোকে কলকাতার রাজপথে নিহত হলেন তাঁদের বিদেহী আত্মাকে স্মরণ করতে ও হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করতে সমবেত হবেন আগামী ৩০ শে এপ্রিল বিজন সেতুতে তাপ দগ্ধ দ্বিপ্রহরে৷ দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪২ বছর৷ অদ্যাবধি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা করলেন না৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই

বহু ভাষা কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিতে বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষ একের নির্বুদ্ধিতায় ভেঙে পড়তে পারে

প্রবীর সরকার

ভারতবর্ষ কোন একটি ভাষাভিত্তিক কোন একটি ধর্মমতের জনগোষ্ঠীর দেশ নয়৷ নানা ভাষাভাষি কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির বৈচিত্রময় সমাবেশ ভারতবর্ষে৷ এই বৈচিত্রের বৈশিষ্ট্যকে ধবংস করে একের দোহাই দিয়ে কোন একটি ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কেউ যদি ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় তার পরিণতি ভালো হবে না৷ চোখের সামনেই দৃষ্টান্ত আছে বাঙলাদেশ৷ একই ধর্মমতের মানুষ হয়েও শুধুমাত্র ভাষা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষা করতে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরী করেছে৷ ইয়ূরোপ ও আরব দেশগুলির দিকে তাকালেও দেখা যাবে একই ভাষা বা ধর্মমতের জনগোষ্ঠীগুলো একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারে নি৷ আজ ভারতবর্ষের কর্ণধাররা যদি এর থেকে শিক্ষা

বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা চক্রের উপর মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্ক সমূহের প্রভাব

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মহাকাশের জ্যোতিষ্কদের উৎপত্তি সম্পর্কে বলেছেন---নিহারিকা Nebula) থেকে তারা জগৎ বা ছায়াপথ Galaxy) তৈরী হয়েছে৷ আমরা যে তারা জগৎ বা ব্রহ্মাণ্ড Galaxy) এর মধ্যে বাস করি, তা মোটামুটি দশহাজার কোটি (১০,০০০ কোটি) নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে৷ এই বিপুল সংখ্যক নক্ষত্র বা তারাদের কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহটি ঘুরে চলেছে৷ আমরা হ’লাম এই পৃথিবী গ্রহের  বাসিন্দা৷ আমাদের ব্রহ্মাণ্ড Galaxy)-টির কেন্দ্র হ’তে ৩৩০০০ আলোকবর্ষ দূরে আমরা হ’লাম ওর শহর তলীর বাসিন্দা৷ মহাকাশের বুকে এরূপ অগণিত ব্রহ্মাণ্ড সমূহকে নিয়ে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব Universe)৷

ধনীর সেবাদাস সরকার কালো সোনার ভাণ্ডার তুলে দিল ধনকুবেরের হাতে

প্রভাত খাঁ

এই সম্পদে পরিপূর্ণ বসুন্ধরার মালিক প্রধানতঃ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ৫ বছরের জন্য যাঁরা জনগণের বোটে নির্বাচিত হয়ে দেশসেবা  করার জন্য আসেন তাঁরা৷ সেই সম্পদ লুঠ পাট করার জন্য আসেন না তাকে রক্ষা করার জন্যই আসেন৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা হলো এই বিরাট দেশের দলতান্ত্রিক শাসকগণ দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে যেকটি এসেছে সেই কটির সবগুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও স্বৈরাচারী শাসক৷ বিশেষ করে পর পর দুই এর অধিক বার শাসনে থেকে!