প্রবন্ধ

ক্ষুদ্ধ জঙ্গলমহল, বিক্ষোভ রাঁচীতে, ভারতে রেশন ব্যবস্থার পক্ষে সাধারণ মানুষ

মিহির কুমার দত্ত

খাদ্য সাথী প্রকল্পে অত্যন্ত নিম্নমানের চাল  দেওয়া নিয়ে জঙ্গলমহল ক্ষুদ্ধ৷ সামনে পঞ্চায়েত ভোট থাকায় এই খবরে রাজ্যসরকার ভীষণ চিন্তায় আছে৷ মানুষ রেশন ডিলারদের  বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, খাদ্যসাথী প্রকল্পের চাল রাজ্যসরকার নিজের পয়সা দিয়ে কেনে৷ সুতরাং সেই চালের গুণগত মান নিয়ে কোনও প্রশ্ণ থাকার কথা নয়৷ কিন্তু রেশন ডিলাররা বলছে, তাদের কাছে সরকারের থেকেই নিম্নমানের চাল আসছে৷ ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুরে রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে৷ নদীয়াতেও একই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে৷ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম  আন্দোলনের আগে  সেদিন নিজেরাই  মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে

‘‘নির্ভয়ে ছুটিতে হবে সত্যেরে করিয়া ধ্রুবতারা’’

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

প্রতি ২৫শে বৈশাখ আমরা মহাসমারোহে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করি৷ কিন্তু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শকে বোঝবার চেষ্টা করি কি? মনে হয়, এ ব্যাপারে আমরা ততটা উৎসাহী নই৷ কিন্তু এই জীবনাদর্শই তো সবেলচয়ে বড় কথা এই জীবনাদর্শই তো তাঁকে সমস্ত কাজে প্রেরণা জুগিয়েছিল৷...... আসুন আজ তাঁর একটি কবিতার আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শকে বুঝতে চেষ্টা করি৷

আলোচ্য কবিতাটির নাম ‘এবার ফিরাও মোরে৷’ আমার মনে হয় এই কবিতার মধ্যে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের অন্তরসত্তা ও তার মর্মবাণী৷ রবীন্দ্রনাথের সমস্ত কাব্য–সাহিত্য কর্মধারার এইটাই মর্মকথা৷

গণতন্ত্র না সদ্বিপ্রতন্ত্র ?

সুকুমার সরকার

সাধারণ একটি পঞ্চায়েৎ  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  পশ্চিমবঙ্গে যে প্রহসনের  রঙ্গমঞ্চ শুরু হয়েছে  তাতে করে স্পষ্ট, এই ধরণের  গণতন্ত্র একুশ শতকের রাজ্য রাজনীতিতে  অচল৷ যতই আমরা গর্ব করে বলি না কেন, বিশ্বের প্রথম প্রজাতন্ত্র ভারতবর্ষের লিচ্ছবি প্রজাতন্ত্র৷ কিংবা ভারতের  বর্তমান  গণতন্ত্র বিশ্বের  অন্যতম  বৃহৎ গণতন্ত্র --- আসলে  এটা ধাপ্পাতন্ত্র৷

শারীরিক সুস্থতায় পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্ত শরীরের জন্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক মহাপ্রাজ্ঞ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---প্রাণের উৎস হ’ল মাইক্রোবাইটাম৷ এই মাইক্রোবাইটাম তিন প্রকারের হয়৷ এরা হ’ল (১) পজেটিব মাইক্রোবাইটাম বা মিত্র মাইক্রোবাইটাম৷ (২) নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম বা এনিমি মাইক্রোবাইটাম৷ (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম৷ এই তিন প্রকার মাইক্রোবাইটামের মধ্যে পজেটিব মাইক্রোবাইটামকে কোনও মানুষ কিংবা কোন মহাপুরুষ এমনকি কোনও সাধক বা অতি মানবও তৈরী করতে পারে না৷ শুধুমাত্র পরমপুরুষ তথা সদ্গুরুই এই মাইক্রোবাইটাম তৈরী করতে পারে৷ পরমপুরুষ সৃষ্ট মাইক্রোবাইটাম মানব মনে

‘জন্ম তিথিতে নূতনের স্রোতে নূতনের আলো যেন পাই’

অরুণাভ সরকার

গত ২৯শে এপ্রিল আনন্দপূর্ণিমা উৎসব অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এখানে উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ ৯৭তম জন্মতিথি৷ আর এই কারণে, বৈশাখী পূর্ণিমার এই পুণ্যতিথিটি আনন্দমার্গের অনুগামীদের কাছে ‘আনন্দপূর্ণিমা’ রূপে পরিচিত৷ মানবসমাজে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অবদান কী–তা আমাদের জানতে হবে৷ তবে আমরা এই আনন্দপূর্ণিমা উৎসবের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারব৷

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ ঃ মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাঙলা ও বাঙালী’ পুস্তকের ‘বাঙলার নববর্ষ’ প্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে, নিজেদের অস্তিত্বকে কীভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ্ছল করে তুলবে, তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে৷’’ সত্যি তো বাঙালী জনগোষ্ঠী কত প্রাচীন৷ এর এক উজ্জ্বল ঐতিহাসিকতা রয়েছে, অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যবান বাঙালী---নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ রীতি, লিপি, নিজস্ব পোষাক ও পোষাক পড়ার পদ্ধতি, নিজস্ব দায়াধিকার ব্যবস্থা,

কুৎসিত  দলবাজিতে গণতন্ত্রের এমন দুর্দশা চরম লজ্জার!

প্রভাত খাঁ

বিশাল জনবহুল ভারতে যে শাসন ব্যবস্থা চলছে সেটির  যে  কি হাল সে কথা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যগুলোতে  যাঁরা শাসনে আছেন  তাঁরা  হাড়ে হাড়ে  টের পাচ্ছেন৷ ভাঁড়ে মা ভবানী৷  বলতে দ্বিধা নেই  দীর্ঘ ৭১ বছরের গণতন্ত্র যে কীভাবে চলছে  সেটা ভালোভাবে  উপলদ্ধি করছেন  কোটি কোটি  হতভাগ্য জনগণ৷  করের বোঝা, চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, চরম বেকার সমস্যা, প্রশাসনিক  ব্যর্থতার কারণে৷ এটা আত্ম অভিমানী কেন্দ্র ও রাজ্য গুলো মানতে চাননা৷  কারণটা হলো তাঁদের  মারাত্মক  অহংবোধ যেটা  সর্বনাশ  নামিয়ে  এনেছে সমগ্র রাষ্ট্রে৷

শতাব্দীরপৈশাচিকতম্ ঘটনা

সত্যসন্ধ দেব

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ তখন সবেমাত্র আকাশ আলো করে পূর্ব দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, আনন্দমার্গের আসা–যাওয়ার পথের ধারে ওৎ পেতে বসেছিল সিপিএমের হিংস্র হার্মাদ বাহিনী, ঠিক যেন হিংস্র হায়নার দল৷ আনন্দমার্গের বেশ কিছু সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কয়েকটি ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে তিলজলা আশ্রমে যাচ্ছিলেন৷ বণ্ডেল গেট ও বালিগঞ্জের বিজন সেতু দিয়েই তিলজলা আশ্রমে যাওয়ার রাস্তা৷ ওই এলাকায় যেই ট্যাক্সিগুলো পৌঁছলো অমনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্যাক্সি থেকে এক এক করে সন্ন্যাসীদের টেনে হিঁচড়ে বের করে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে, ছোরা দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে, গায়ে এ্যাসিড ও পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছিল ১৭ জন সন্ন্যাসী–সন্ন্যাস

প্রাউট ও আনন্দপূর্ণিমা 

সুকুমার সরকার

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রের অবসানের  পর আজ বড় বড় রাষ্ট্র, দেশ, মহাদেশের সৃষ্টি হয়েছে৷ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগোত্রের অবসানের  পর আজ বড় বড় রিলিজিয়নের সৃষ্টি হয়েছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘এক পৃথিবী’  ‘এক মানবধর্ম’ ‘এক মানবসমাজ’ -এর ধারণা গড়ে উঠেনি৷ ফলে পৃথিবী নামক গ্রহে  মানব প্রজাতি তার কাঙ্ক্ষিত সুখ শান্তির  মধ্য দিয়ে পরমানন্দ লাভ করতে পারেনি৷ এখনও পর্যন্ত  মানবসমাজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী-গোত্রের লড়াই থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি৷ আজকের এই একুশ শতকের পৃথিবীতে আর্থ-সামাজিক যতগুলি সমস্যা আছে তার মূলে আছে এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রচিন্তা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী-গোত্র বিভাজন৷

বার্ণ স্ট্যাণ্ডার্ডের মত কারখানাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে রাজ্য সরকার, শ্রমিক ও জনগণ সজাগ হোন

প্রভাত খাঁ

একি ধরণের গণতন্ত্র! একি ধরণের জনসেবা! কেন্দ্রীয় সরকার তো আর্থিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শ্মশানে পরিণত করার কাজে অতীতের সকল সরকারকে ছাপিয়ে গেছেন! ভারত বিখ্যাত বার্ণ স্টণ্ডার্ড কারখানাকে বন্ধের নোটিশ জারী করা হয়েছে৷ কারখানার সি এম ডি মহম্মদ আজাদ কারখানায় বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন৷ শ্রমিকগণ এই কাজে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ৷ বর্তমানে চরম আর্থিক মন্দার বাজারে শ্রমিকরা অত্যন্ত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷