প্রবন্ধ

তিরিশে এপ্রিলের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষের সার্বিক কল্যাণে কেউ এগিয়ে এসেছে তখনই স্বার্থান্বেষী কায়েমী শক্তি তার বিরুদ্ধাচরণ করেছে ও ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে  বৃহত্তর স্বার্থের বলিদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে৷ গৌতম বুদ্ধ, যীশুখ্রীষ্ট, সক্রেটিস, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, নেতাজী সুভাষচন্দ্র সকলকেই ভিন্ন ভিন্ন পরিসরে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে প্রবলের অত্যাচারে দুর্বল যখন চরম উৎপীড়িত, সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক শক্তির কশাঘাতে পরাধীন রাষ্ট্রগুলির মানুষজনের ওপর নির্যাতনের বিভীষিকা, একদিকে বৈশ্যতান্ত্রিক পুঁজিবাদের শোষণ আর অপরদিকে জড়বাদের জোড়া ফলায় সাধারণ মানুষের প্রা

মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সব ভাষা জানতেন

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী (বাবা) যে পৃথিবীর সব ভাষাই জানেন এ বিষয়ে আনন্দমার্গীদের কোনও সন্দেহই ছিল না৷ কেননা ভ্রমণের সময়, জেনারেল দর্শনে ও মার্গীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মাঝে মধ্যে বাবা বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন শব্দ, তার ব্যুৎপত্তি প্রভৃতি বিষয়ে অনর্গল বলে যেতেন৷ এমনকি ভাষাগুলির উৎপত্তি, ধ্বনিগত পরিবর্ত্তন প্রভৃতি সম্বন্ধে সহজ করে’ মার্গীদের বলতেন৷ বাবা বলতেন–সংস্কৃত ভাষা অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা৷ এর শব্দ ভাণ্ডার পাঁচ লক্ষেরও বেশী৷ ইংরাজীর শব্দভাণ্ডার সংস্কৃতের থেকে কম৷ ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সবচেয়ে বেশী৷ এতে এক                                                                     

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট

অরুণাভ সরকার

আজ সর্বত্র বিশেষ করে সামাজিক–অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজ করছে এক চরম অনিশ্চততা ও নৈরাশ্য৷ অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষা–এ সব মানুষেরন্যুনতম চাহিদা৷ কিন্তু কী করে এই ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে মানুষ বেঁচে থাকবে–এইটাই অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের কাছে সব চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে৷ যদিও শুধু বেঁচে থাকাটাই মানুষের কাছে বড় কথা নয়, তার মানসিক ও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়েই মানুষ তার জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়, কিন্তু সবচেয়ে গোড়ার কথা যে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ তারই যখন ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তখন মানুষ অন্য চিন্তা আর কী করে করবে৷

অন্য পৃথিবী সম্ভব

জিজ্ঞাসু
  • যদি দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির সুশাশন চাও
  • যদি চুরি-ডাকাতি উগ্রবাদ মুক্ত সমাজ চাও
  • যদি প্রয়োজনের খাদ্য, পেয় ওষুধে ভেজাল মুক্তি চাও
  • যদি সমৃদ্ধি, সুরক্ষা, শান্তির এক শোষণমুক্ত পৃথিবী চাও

তবে নোতুন মানুষ চাই যাঁরা জাগতিক বুদ্ধির পরিসরকে যুক্তি, বুদ্ধি দ্বারা ক্রমশঃ বিস্তারিত করবেন, প্রাণীন অসহায়ে আন্তরিক সেবা ও সমস্ত অপ্রাণীন সত্তার সাথেও সচেতন ব্যবহারে নিজের মনকে শুচিশুদ্ধ ভয়মুক্ত একাগ্র করবেন, সাথে সাথে ওই স্থির বিন্দুস্থ মানসিক শক্তিকে সাধনার মাধ্যমে বিস্তারিত চেতনায় রূপান্তরিত করে মানুষটি হয়ে যাবে বিশ্বরূপ৷ এমন মানুষের নেতৃত্বেই স্বপ্ণ পূরণের অন্য

সম্বোধনের ভাষা কী হবে---‘তুই’, ‘তুমি’ না ‘আপনি’

সুকুমার সরকার

বর্তমান বিশ্বে যতগুলি জীবিত ভাষা আছে, বাংলাভাষা তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ভাষা৷ আর এই প্রাধান্যের কারণঃ---

১)   এই ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা

২) এই ভাষার গ্রহণীয় মানসিকতা

৩) এই ভাষার সমৃদ্ধ শব্দভান্ডার

৪) এই ভাষায় ললিত-মধুর গীতিধর্মীতা

৫) এই ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিখ্যাতকবি প্রতিভারজন্ম

৬) এই ভাষা আন্তর্জাতিকমাতৃভাষারমর্যাদা পাওয়া,

৭) এই ভাষা পৃথিবীর বৃহত্তম পঞ্চম জনগোষ্ঠীরমানুষেরমুখের ভাষা৷

বাংলা নববর্ষে সকলের শুভ হোক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

দুরন্ত কালবৈশাখী চৈত্রের চিতাভস্ম উড়িয়ে বর্ষণেরঅঝোর ধারায় গ্রীষ্মের দাবদাহে জর্জরিত প্রকৃতিতে স্নিগ্দ পরশ ও শীতলতা আনে৷ একইভাবে নববর্ষও মানুষের মনের কোণে জমে থাকা পুরোনো বছরের গ্লানি, হতাশা, অশান্তিকে দূরে নিয়ে নবশক্তির সঞ্চার করে৷ ফেলে আসা বছরের সাফল্যগুলি মানুষকে দেয় নোতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার উদ্যম ও প্রেরণা আরভুল-ত্রুটি-অসাফল্যের লক্ষণ গুলোকে বিশ্লেষণ করে দুর্বলতার কারণগুলির সংশোধনের মাধ্যমে মানুষ গ্রহণ করেস ম্মুখ পানে অগ্রসরণের সংকল্প৷এই সংকল্পই রচনা করে নোতুন মাইল ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর ৷ তাই নববর্ষের শুভ সূচনার দিনটিকে মানুষ বরণ করে মঙ্গলময়ের চরণে প্রার্থনা ও ভক্তিরসের পবিত্রতায়৷ বর

দাদাঠাকুরের চিঠি - সাধনা

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না? বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি? না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷

বিশ্ব উষ্ণায়ন

নাতাশা ইসলাম

পৃথিবী ক্রমশ তেতে উঠছে৷ এই উত্তপ্ত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা–অসংখ্য পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছপালা ও সর্বোপরি মানুষ৷ যে মানুষ আজকের এই সংকটজনক পরিস্থিতির জন্যে অনেকটাই দায়ী বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস৷ বায়ূ মণ্ডলের প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি হল–জলীয়বাষ্প, কার্বন–ডাই–ক্সাইড •CO2—, নাইট্রাস অক্লাইড •N2O—, মিথেন •CH2— ও ওজন •O3—, আর আছে ক্লোরিন যুক্ত কয়েকটি গ্যাস–পার ফ্লুরোকার্বন্স্ •PFCS—, হাইড্রো ফ্লুরোকার্বন •HFCS— ও সালফার হেক্সাফ্লুরাইড •SF6—, মন্ড্রিল প্রোটোকল৷ ১৯৮৭–এর সিদ্ধান্তে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন–এর্ ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায় ও বিকল্প হিসাবে এই গ্যাসগুলি ব্যবহ

আগামী লোকসভা নির্বাচনে  মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দেশীয় পুঁজিবাদ  বনাম বিদেশী পুঁজিবাদ

 সুকুমার সরকার

গান্ধি-নেহেরুর কংগ্রেস ছিল মিশ্র অর্থনীতির৷ পুঁজিবাদ, সাম্যবাদ ও আধ্যাত্মিকতার মিশেল৷ সে ধারা ইন্দিরা গান্ধি পর্যন্ত বজায় ছিল৷ রাজিব গান্ধির সময় থেকে সেই ধারা বদলাতে  শুরু৷ সাম্যবাদের  জায়গা দখল করে দেশীয় পুঁজিবাদ, আর আধ্যাত্মিকতার জায়গা দখল করে সাম্প্রদায়িকতা৷

এসো হে বৈশাখ

রীণা চট্টোপাধ্যায়

কালের পরিক্রমায় আসছে নববর্ষ, আসছে পয়লা বৈশাখ৷ শুভ নববর্ষ ১৪২২৷ বিদায়ী বছরের বিষাদঘন অনুভূতি থাক, ‘মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক’, প্রাণের পয়লা বৈশাখ৷ নববর্ষের প্রথম প্রভাতে সূর্যের অনাবিল রশ্মি ছড়িয়ে পড়বে শ্যামল বাংলার স্নিগ্ধ বুকে, পাখির কলকাকলিতে উদ্ভাসিত হব নতুন সকাল, আনন্দে উদ্বেলিত হবে পশ্চিম বাংলা, ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা, অসম সহ দেশের বিভিন্ন অংশের বাংলাভাষী৷