প্রবন্ধ

গান্ধী, নেহেরু, ব্রিটিশরা একযোগে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সুভাষ বসুকে কংগ্রেস থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন

মানস মল্লিক

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের জন্য জেলে৷ সেই সময় কংগ্রেসের গয়া অধিবেশন চলছে৷ সভাপতি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ৷ সেই অধিবেশনে দেশবন্ধু বললেন, ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন ফ্রণ্ট খোলা হবে৷ সেই ফ্রণ্ট হবে আইনসভার ভেতরে৷ ভোটে জিতে ভেতর থেকে সরকারকে অচল করে দেওয়াটাই হবে নতুন কৌশল৷

কিন্তু গান্ধী গোষ্ঠী ভোট বয়কট, অধিবেশন সভা বয়কটের চিল চিৎকার জুড়ে দেশবন্ধুকেই বয়কট করে দিলেন গয়া অধিবেশন থেকে৷

পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ক্রিয়াগত অভিব্যক্তি

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

অতীতে পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক প্রয়োগ হয়নি৷ পৃথিবীতে এই প্রথম মানুষের জন্যে ব্যবহারিক জগতে বিভিন্ন কাজে ও আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্যে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা  (মাইক্রোবাইটাম একটি ল্যাটিন শব্দ, এর বহুবচনে হবে মাইক্রোবাইটা) প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটার ব্যাপক প্রয়োগ ও ব্যবহার সম্পর্কে পৃথিবীর বুকে বিস্তারিতভাবে বলেছেন--- মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার৷ শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- মাইক্রোবাইটাম হ’ল সুস্থ সমাজ গড়ার চাবিকাঠি মাইক্রোবাইটামেই নিহিত রয়েছে৷

বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে কী করে ?

আচার্য্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আজ  আমরা দেখছি হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব’৷  পৃথিবী ধবংসকারী পারমাণবিক মারণাস্ত্রের পাহাড় তৈরী হচ্ছে৷

রাঢ়ের ওপর শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকারের অবদান

অধ্যাপক চণ্ডীচরণ  মুড়া

১৯ নবেম্বর ২০১৭ আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের  রেনেসাঁ ইউনিভার্র্সল-এর আহ্বানে  পুরুলিয়ার  আনন্দনগরে  গিয়েছিলাম ‘রাঢ়’ নিয়ে বলতে৷ আমার বলবার  বিষয় ছিল ‘‘রাঢ়ের ওপর  শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের অবদান ’’৷ সহবক্তা ছিলেন  উত্তরপাড়া স্বামী নিঃসম্বলানন্দ গালর্স কলেজের অধ্যাপক  ও লেখক শুভমানস ঘোষ মহাশয় (বিষয়ঃ ‘‘সাহিত্য ও দায়িত্ব’’), সিধু-কানু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক লক্ষ্মীরাম  গোপ মহাশয় (বিষয়: ‘‘নব্যমানবতাবাদ শিক্ষা’’), সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন সঙ্ঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সুবক্তা ও পাণ্ডিত্যের অধিকারী এই বিদগ্দ আচার্য শ্রী সরকারের অর্

চাই নোতুন নেতা, নোতুন পরিকল্পনা

অরুণাভ গুপ্ত

জনগণের  যাঁরা প্রতিনিধি তাঁদের নীতিবাদী  হতেই হবে৷ জনগণের  প্রতিনিধি রূপ আইনসভায় গিয়ে জনগণের  স্বার্থে আইন পাশ করবেন, জনগণের সেবা করবেন--- এই কারণেই তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্র্বচিত  করা হয়েছে৷ এই কাজের  জন্যে  জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্সরূপে সংগৃহীত অর্থ থেকে  তাঁদের বিপুল অংকের বেতন তথা ভাতা দেওয়া  হয়৷ রাজার মত সুযোগ সুবিধা তাঁরা ভোগ করেন৷

স্বামীজীর ভাবশিষ্য নেতাজীর দর্শন চিন্তা

সুধাংশু গঙ্গোপাধ্যায়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

১৯/২০ বছর বয়সেই নেতাজী শঙ্করাচার্যের অদ্বৈত মায়াবাদে ভীষণ ভাবে বিশ্বাসী হয়ে পড়লেন৷ তাঁর যুক্তিবাদী ভাবুক মনটি মায়াবাদের দৃঢ়ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে Ignatius Loyola–র কিছু কিছু বক্তব্যে আকর্ষণ বোধ করতে থাকে৷ এই নবতর আকর্ষণের মূলে ছিলো এক Jesuit father–এ সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা৷ পাদ্রী ভদ্রলোক ছিলেন মস্ত পণ্ডিত৷ কিন্তু তা সত্বেও অসাধারণ তীক্ষ্ণধী যুবক সুভাষের সঙ্গে তর্ক জালে জড়াতে জড়াতে একদিন তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন্ - ‘‘I admit that Shankara's position is logically the soundest – but to those who cannot live up to it, we offer the next best.’’

ভারতবর্ষের জনগণের ‘অচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ণে এফ.আর.ডি.আই কি বৃহত্তম আঘাত?

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমানে সংবাদপত্র ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা চর্চিত বিষয়ের নাম এফ. আর. ডি.

অসমে বাঙালী নির্র্যতনের বিরুদ্ধে বাঙালী জনগোষ্ঠী রুখে দাঁড়াক

প্রভাত খাঁ

 বর্তমানে ভারতের ভাগ্যবিধাতা হয়ে যাঁরা কেন্দ্রে বসেছে, তাঁদের চিন্তা ভাবনার মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রতি পদে পদে  অপরিণামদর্শিতার ছাপ৷ আশ্চর্য হতে হয় যখন  কানে আসে একটা কথা --- ‘‘যারা ওপার থেকে এসেছে তাদের ওপারে তাড়ানো হবে’’৷  ওপার মানে পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ)৷ এই পূর্ব পাকিস্তান কারা জন্ম দিয়েছিল?

আনন্দমার্গের  সমাজশাস্ত্রে নারীর স্থান

সুশীলা দেবী

সমাজ সম্পর্কে আনন্দমার্গ দর্শনের প্রণেতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছেন–‘‘নীতিবাদের স্ফূরণ থেকে বিশ্বমানবত্বে প্রতিষ্ঠা–এ দুয়ের মাঝখানে রয়েছে যেটুকু অবকাশ তাকে অতিক্রম করার যে মিলিত প্রয়াস তারই নাম সামাজিক প্রগতি, আর যারা মিলেমিশে চেষ্টা করে এই অবসরটুকু জয় করবার প্রয়াসে রত হয়েছে তাদের নাম একটা সমাজ৷’’ সমাজ  সম্পর্কে এই স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় ইতোপূর্বে মানুষ পায়নি৷ উপরিউক্ত সংজ্ঞা থেকেই ধারণা করা যায়, আনন্দমার্গের দর্শনশাস্ত্র, ধর্মশাস্ত্র ও সমাজশাস্ত্রের চিন্তাধারা প্রচলিত সমস্ত প্রকার দর্শন ও শাস্ত্রের তুলনায় উন্নত, স্বতন্ত্র ও বিপ্লবধর্মী, সর্বপ্রকার সংকীর্ণতামুক্ত উদার ও সার্বভৌম পথের

স্বামীজীর ভাবশিষ্য নেতাজীর দর্শন চিন্তা

এগার বছরের ছেলেটি৷ র্যাভেনশ কলেজিয়েট সুক্লের ছাত্র৷ ভারি সুন্দর দেখতে৷ টানা টানা চোখ৷ একমাথা কালো চুল৷ পুষ্টল গোলগাল মিষ্টি মুখখানা৷ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ভালবাসতে ইচ্ছে করে৷ কিন্তু যে বয়সের যা   তার ভীষণ ব্যতিক্রম এই ছেলেটির স্বভাবে৷ কোথায় সারাদিন খেলা–ধুলো নিয়ে মেতে থাকবে তা’ নয় – লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছেলেটি – সকলের সঙ্গ এড়িয়ে – একাকী বসে বসে কী সব ভাবতেই যেন ভালাবাসে৷ ভাসা ভাসা চোখের প্রসারিত দৃষ্টি মেলে সে যখন বসে থাকে – দেখে মনে হয় – সে কিছুই যেন দেখছে না, শুধু ভাবছে আর ভাবছে   আবার কখনো মনে হয় কী যেন খুঁজছে অথবা ঢুকতে চাইছে কোনো গভীরতর ভাবনার অন্তরঙ্গ প্রদেশে৷