প্রবন্ধ

প্রাউটের দৃষ্টিতে গ্রামোন্নয়ন

একর্ষি

‘‘বাণিজ্যে  বসতি লক্ষ্মী’’–এই প্রবাদ বাক্যটি দিয়েই মূল প্রসঙ্গে আসা যাক৷ ভারতীয় ‘‘দেব–দেবী ভাবনায় ‘লক্ষ্মী’ হ’ল ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী৷ কিন্তু যেখানেই ‘ধন’ সেখানেই অর্থের কেন্দ্রীকরণ৷ অর্থ এক জায়গায় সঞ্চিত অথবা এক বা মুষ্টিমেয় মানুষের কুক্ষীগত না হলে ধন সৃষ্টি হয় না৷ পুঁজিপতি হওয়া যায় না৷ অতিরিক্ত ধন বা পুঁজি কেন্দ্রীকরণ হলেই বঞ্চনা শোষণের ক্ষেত্র তৈরী হয়৷ আবার বাণিজ্যে ধনাগম মানেই মুনাফামুখী অর্থনৈতিক ক্রিয়া–কলাপ৷ সর্বাধিক মুনাফা যেখানে লক্ষ্য, সেখানে শোষণ–বঞ্চনার ক্ষেত্র তৈরী হয়৷ কেননা জনস্বার্থ এক্ষেত্রে  উপেক্ষিতই থেকে যায়৷ কাজেই মানুষের সর্বাধিক কল্যাণ কাম্য হলে অর্থ–মুনাফার কেন্দ্রীয়কর

পুঁজিবাদ নয়, মার্কসবাদ নয়, চাই নোতুন আদর্শ

প্রবীর  সরকার 

শুভ নববর্ষ৷ সবাইকে আন্তর্জাতিক নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই৷ ২০১৭ সাল পেরিয়ে ২০১৮ সালে পা দিলুম৷ আমরা কোথায় আছি? পেছনের দিকে তাকিয়ে আমরা কী দেখছি? একদিকে এক শ্রেণীর ধনিক ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর বিপুল বিলাসিতা, পাশাপাশি জনসাধারণের বৃহদংশের চরম দারিদ্র্য ও বেকারত্ব৷ দুর্নীতিতে সারা দেশ ভরে গেছে৷ গরীব মানুষের টাকা লুঠে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধির মুখোসধারী এক শ্রেণীর ভদ্র লুঠেরা৷ অথচ এঁরাই সমাজে নেতা বলে পরিচিত৷ তারপর মেয়েদের ওপর জঘণ্য নারকীয় অত্যাচার–যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না৷ মনে হয় মানুষ এখন তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে বিবেক বিচারবুদ্ধিহীন পশুতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে৷

সভ্যতার সঙ্কট ও তার প্রতিকার

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

সবাই সুখ চায়, শান্তি চায়৷ কিন্তু বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি সুখ বা শান্তির জন্যে অনুকূল নয়৷ অর্থ দিয়ে মানুষ কত কি করছে৷ সুখ শান্তি সে তো অর্থকরী ফসল নয় যে অর্থ দিয়ে তা কিনবে৷ তা মানুষের কর্মের পরিণতি৷ বর্তমান এ জটিল পরিস্থিতিতে এককভাবে শান্তি রক্ষা করাও সম্ভব নয়৷ তাই সামূহিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চাই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা৷ আর তারই জন্যে প্রয়োজন কুসংস্কার মুক্ত বৃহদাদর্শ৷ ‘‘যত মত তত পথ’’ হলে এখন আর চলবে না৷ সর্বধর্ম সমন্বয়ও আর কাজে লাগছে না৷ তাই চাই সংগ্রামী জীবন, বলিষ্ঠ মন, কর্মতৎপর,  সৎসাহসী গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ৷ কী তাঁদের কাজ?

নূতন  বছরের  প্রত্যাশা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

কালের আবর্তনে আবার একটা বছর অতিক্রান্ত৷ আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০১৭-র অবসানে  ২০১৮ সনের আগমন৷ ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ একটি বছর  হাসি-কান্নার সংমিশ্রনে প্রভাবিত করেছে মানুষের ব্যষ্টিগত জীবন কখনো সাফল্যের রশ্মিচ্ছটায় আবার কখনো ব্যর্থতার নিকষ আঁধারে৷  নববর্ষের নূতন স্পর্শে মানুষ জেগে ওঠে নবশক্তি সঞ্চারে --- নোতুন লক্ষ্যকে সামনে রেখে৷ অতীতের  সাফল্য তাকে  নূতন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলতে প্রেরণা দেয় আর ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা ফেলে আসা দিন গুলোর ভুল ত্রুটি শুধরে  নিজেকে গুছিয়ে নিতে শেখায়৷  আগামী দিনের স্বপ্ণ আ র আশা মানুষের চালিকাশক্তি৷  এই শক্তিই ব্যষ্টিজীবন ও সমাজ জীবনে  নব উদ্দীপনার উন্মেষ ঘটা

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

সৌমিত্র পাল

পূর্ব প্রকাশিতের পর

যোগাসন অভ্যাসকারীদের কিছু কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে---

১) কারো কথা শুনে কিংবা বই পড়ে নিজে নিজে আসন অভ্যাস করবেন না৷  এটা ঠিক অভিজ্ঞ  চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শক্তিশালী ঔষধ সেবন করার মতই অনুচিত৷ ভুল আসন শরীরে কুপ্রভাব ফেলবেই৷

২) তাড়াহুড়ো করে আসন অভ্যাস একেবারেই অনুচিত৷ এতে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে রক্তসঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটে৷

৩) আসন করার পর  অঙ্গ সংবাহন (Massage of whole body) অবশ্যই করবেন৷

৪) আসন অভ্যাসের পর অভ্যাসকারীকে অবশ্যই আরাম বোধ করতে হবে, ক্লান্তি নয়৷

ভারতের ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়

একর্ষি

বিশ্বাসঘাতকতা ভারতের ইতিহাসকে বারবার কলঙ্কিত করেছে---

৩২৭ খ্রীঃ পূঃ- ম্যাসিডন রাজ আলেকজান্ডার  এর ভারত অভিযানে তক্ষশীলার রাজা অস্তি কেবল বশ্যতা স্বীকারই করেননি, গ্রীক বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন, আর সেনা ও পরামর্শ দিয়ে গ্রীক বাহিনীকে নানাভাবে ভারতীয় ভূখন্ড দখলে সাহায্য করেন৷ বর্র্ণবতীর  রাজা শশী গুপ্ত প্রমুখ অনেক রাজাই আলেকজান্ডারকে নানাভাবে সাহায্য করে বশ্যতা স্বীকার করে৷’’ ভারতের ইতিহাসে দেশদ্রোহির এটাই ছিল প্রথম উদাহরণ৷’’ ড. রমেশচন্দ্র  মজুমদার৷

গণতন্ত্রের স্বার্থে ভারত সরকার এফ.আর.ডি.আই. বিল আইনে পরিণত করা থেকে বিরত থাকুন

প্রবীর সরকার

এবার বিজেপি সরকার লোকসভায় ‘‘এফ.আর.ডি . আই নামে আর্থিক বিল আনছে যে কালা কানুন গরিবের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাঙ্কগুলি নিয়ে নিতে পারে গ্রাহকদের সম্মতি ব্যতীতা৷  এই কথা বলা হচ্ছে এই কারণে তা হলো ছোট ছোট আমানতকারীরা এই কালা কানুনে নিঃস্ব হয়ে যাবেন৷  গত১৯৬১ সালের  আর্থিক সংস্থান বিষয়ে একটি আইন করা হয় যে আইনে ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের কিছুটা নিরাপত্তা ছিল গচ্ছিত টাকার ব্যাপারে তাতে  এক লক্ষ  টাকার ইনসোরেন্স গ্যারান্টি ছিল৷ এই বিল পাশ হলে তার আর থাকব না৷

শোষণের ছলাকলা ও ভোগসর্বস্ব জীবনচর্যা

মানব সভ্যতা আজ এক চরম সংকট মুহূর্ত্তে এসে উপনীত হয়েছে৷ মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,  সামাজিক অবিচার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত  অমনোবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতির নামে বেলেল্লাপনা, ধর্মীয় মৌলবাদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য,  অসহ্য দারিদ্র্য,  লাগাতার অনাহার,--- এককথায সার্বিক অবক্ষয় মানব সমাজের গতিকে রুদ্ধ করেছে ৷ অজগরের মতো সমগ্র মানব সমাজকে  আষ্টে -পিষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে৷ হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী,  সারা বিশ্বজুড়ে তাই যুদ্ধের এত রণহুঙ্কার, স্বার্থের  এত সংঘাত, মানবরূপী দানবদের  এত আস্ফালন !