March 2019

আগামী ৫ই মার্চ দধীচি দিবস

আগামী ৫ই মার্চ দধীচি দিবস৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গের নির্মীয়মান প্রধান কার্যালয় আনন্দনগরের ওপর সিপিআই ও সিপিএমের গুণ্ডারা মিলিতভাবে আক্রমণ চালিয়ে আনন্দমার্গের পাঁচ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী ও সর্বক্ষণের কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল৷ তারা সেদিন আনন্দমার্গকে ধবংস করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু আজ সেই সিপিআই, সিপিএম প্রায় অস্তিত্বহীন৷ অথচ আনন্দমার্গের বিজয়রথ সারা পৃথিবী জুড়ে এগিয়ে চলেছে৷ সেদিন পাপশক্তির আক্রমণে যাঁরা ‘দধীচি’ হয়েছিলেন তাঁদের ও পরবর্তীকালেও আনন্দমার্গের মহান আদর্শের প্রতিষ্ঠাকল্পে যাঁরা ‘দধীচি’ হয়েছেন তাঁদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্যে ও তাঁদের আত্মত্যাগে প্রেরণা নিয়ে নিপীড়ি

অমর একুশে---একরাশ লজ্জা

‘‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী’’

স্থানীয় ঐতিহাসিক একটি দিন কিন্তু কাদের জন্যে এই দিনটা?---ওই ওপারের৷ কারা রক্ত দিল? --- ওই ওপারের৷ কেন রক্ত দিল?--- মাতৃভাষা  মর্যাদা রক্ষার জন্যে৷ কাদের মাতৃভাষা? ওই ওপারের, কী সেই ভাষা--- বাংলা ভাষা৷

সবই তো ওপারেব, তাহলে এপারে এত আবেগ কেন!

১২ মিরাজ যুদ্ধবিমান ২০০০ হামলা

কশ্মীরে ভারতীয় আধাসেনাবাহিনীর ৪৯জন জওয়ান শহীদ হওয়ার ১২দিন পর ভারত পুলওয়ামা হামলার বদলা নিল৷ গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার, ভোর রাতে ভারতীয়  বায়ুসেনার  ১২টি  মিরাজ  ২০০০ যুদ্ধবিমান পাক অধিকৃত কশ্মীর  পেরিয়ে  পাকিস্তানের সীমায় ঢুকে জঙ্গী সংঘটন  জইশ-ই-মহম্মদের  একটি বড় ঘাঁটির  ওপর  বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে৷ এরফলে ওই জঙ্গী সংঘটনের  ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে সুর নরম পাকিস্তানের

পুলওয়ামার হামলা ও ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বিশ্বে একঘরে হয়ে পড়েছে৷ এমনকি তার দীর্ঘদিনের বন্ধু চীনও সেভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি৷ তাই পাকিস্তানের শাসক ও সেনাবাহিনী সুর নরম করতে বাধ্য হচ্ছে৷ পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাই৷ ভারত এখনও কোনও জবাব দেয়নি৷

দধীচি দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

তাহারা যুগে যুগে আসে

বিধাতার নির্দেশে

সত্য, ধর্ম প্রতিষ্ঠা লাগি

পরার্থে সর্বস্ব ত্যাগি’

মৃত্যুসাথে করে আলিঙ্গন৷

সশ্রদ্ধ চিত্তে তাহাদের করি’ স্মরণ

নিতে হবে সবে কঠিন শপথ

জগৎ কল্যাণে দধীচি-ব্রত৷

মহান আদর্শের জন্যে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেন তাঁদেরই বলা হয় দধীচি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

পুরাণে দধীচি ঋষির কাহিনী রয়েছে৷ এখানে বলা প্রয়োজন, প্রাচীনকালে ৪ ধরণের পুস্তক রচনা করা হ’ত৷ কাব্য, পুরকথা বা ইতিকথা, ইতিহাস ও পুরাণ৷ কাব্য হ’ল ছন্দ, উপমাদি সংযোগে রসসমৃদ্ধ আকর্ষণীয় রচনা৷ ‘বাক্যং রসাত্মক কাব্যম্’৷

ভারত আমার ভারতবর্ষ

মন্ত্র আনন্দ

ভারত নামটা নিয়েই রয়েছে বিতর্ক, কেউ কেউ বলে ভরত নামে কোন রাজার নাম থেকে ভারত নামটা হয়েছে৷ এটা সম্ভব নয়, কারণ ভরত নামে যদি কোন রাজা থেকেও থাকে তিনি ছিলেন ভারতের রাজা ৷ তাই তার নাম থেকে ভারত নাম হয়েছে,এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ ভারত নাম প্রসঙ্গে দার্শনিক ঋষি শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের কথাটাই যুক্তিযুক্ত ‘ভারত’ শব্দটি তৈরী হয়েছে ---‘ভর্’ ধাতু থেকে ‘ভার’ এসেছে যার মানে যে বা যিনি ভরণ পোষণ করেন বা যেখানে ভরণ-পোষণের পূর্ণ সুযোগ রয়েছে৷ আর ‘ত’ এসেছে ‘তন্’ ধাতু থেকে যার মানে যেখানে মানসিক বিস্তারের সমস্ত সুবিধা রয়েছে--- সেই স্থান৷

‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে গত ২১শে ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন স্থানে মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন

কলকাতা ঃ ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারী ঊর্দু সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যে বর্তমান বাঙলাদেশের (পূর্ব বাংলা) পাঁচ তরুণ প্রাণ দিয়েছিলেন৷ তাঁদের সংগ্রামের ফলে বাংলা ভাষা আজ বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠ সুমধুর ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ও রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক এই ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মান্যতা লাভ করেছে৷

ত্রিপুরা আমরা বাঙালী রাজ্য কমিটির বিশেষ আলোচনা সভা

আগরতলা ঃ কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায়ের উপস্থিতিতেরাজ্য কার্যালয়ে রাজ্য কমিটির সব সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা হয়৷ উক্ত আলোচনা সভায় আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী  নির্বাচন যথশীঘ্র সম্ভব ঠিক করার জন্যে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ তাছাড়া ত্রিপুরার যে সমস্ত ব্লক ও পঞ্চায়েতে কমিটি নেই, সেগুলিতে কমিটি গড়ার জন্যে বিশেষ জোর দেওয়া হয়৷

আজকের জটিল অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান কোন পথে?

অরুণাভ সেনগুপ্ত

‘‘বল বল বল সবে শত বীণা বেণু রবে

ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে৷

ধর্মে মহান হবে, কর্মে মহান হবে,

নব দিনমণি উদিবে আবার

পুরাতন এ পূরবে৷’’

ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশের পদানত ছিল, যখন পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্যে দেখা দেয় দেশজুড়ে উত্তাল আন্দোলন৷ সেই সময়কার স্বাধীনতাকামী বীর বিপ্লবীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিধবনিত হয়েছিল এই কবিতাটিতে৷ তাদের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করলুম৷ কিন্তু তাঁদের আশা আকঙ্ক্ষা আজও পূর্ণ হয়েছে কি? দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়--- আদৌ হয়নি৷ কেন হল না? আজ তা বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে!