April 2019

ইয়ূরোপে আনন্দমার্গ

জার্মানির ব্রাউন্স উইগ সিটিতে গত ২৩ ও ২৪শে মার্চ এক ‘যোগ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়৷ এই যোগ উৎসবে বার্লিন সেক্টর (ইয়ূরোপ)-এর আনন্দমার্গের প্রচারক আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত ‘মনের শান্তির চাবিকাঠি যোগ’-এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ অন্যান্য আনন্দমার্গীদের সঙ্গে এখানে ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনাও করেন৷ আচার্য প্রবুদ্ধানন্দজীর বক্তব্য শুণে অনেকেই আনন্দমার্গের যোগ সাধনা শিখেছেন৷

গরীবের প্রতিনিধি ঃ সম্পত্তি ৬৮৩ কোটি টাকা

বিদায়ী লোকসভার ৫২১ জন সাংসদের  দায়ের করা হলফনামা থেকে এ.ডি.আর (এ্যাসোসিয়েশন ফর  ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস্) সমীক্ষা  করে জানিয়েছে, এই ৫২১ জন সাংসদের  ৮৩ শতাংশ  অর্থাৎ  ৪৩০ জনই কোটিপতি৷ এরমধ্যে  বিজেপি’র কোটিপতি  সাংসদের  সংখ্যা ২২৭ জন, কংগ্রেসের  ৩৭ জন, আর ২৯ জন  এ.ডি.এম কে-র৷ এদের মধ্যে  ৩২ জন সাংসদ  তাদের  হলফনামায়  জানিয়েছেন, তাদের সম্পদের  পরিমাণ-৫০ কোটি টাকারও বেশি৷ মাত্র ২৯ জন সাংসদের সম্পত্তির  পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার কম৷

‘ফসলের  ন্যায্যমূল্য  না পেয়ে আত্মঘাতী

বলাগড়ের (হুগলি) সিজা-কামালপুর  পঞ্চায়েতের  গৌরিণই গ্রামের  পেঁয়াজচাষী  সুমন্ত  ঘোষ (৩১) গত ২৭শে মার্চ হতাশ  হয়ে  আত্মহত্যা করেছেন৷ তিনি  নিজের ৫বিঘা জমি ও আরও  কয়েক বিঘা জমি লিজে নিয়ে পিঁয়াজ চাষ করেছিলেন৷ কিন্তু  বাজারে পেঁয়াজের দাম নেই৷  ৫০কেজি বস্তার পেঁয়াজের দাম মিলছে  মাত্র ১০০ টাকা৷ চাষীদের  কথায় পেঁয়াজ  মাঠ থেকে  আনার খরচও পোষাচ্ছে না৷ বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ফলনও ভাল নয়৷  এই পরিস্থিতিতে  চাষের এই বিপুল ক্ষতি  কী করে সামাল দেবেন, কী করে ঋণ শোধ হবে--- এই ভেবে  ভেবে  শেষ পর্যন্ত  চাষে আগাছা মারার  যে ওষুধ কেনা ছিল ওই ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন৷ বিষ খাওয়ার পর  তাঁকে তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা কল্যাণী জও

বাংলাকে যে ভালোবাসে না,  বাংলার  সাংসদ হওয়ার  তাঁর অধিকার আছে কি?

প্রাক্তন আই.পি.এস ভারতী ঘোষ  ঘাটাল থেকে  লোকসভায়  প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন৷ তাঁর মতে পার্লামেন্ট হ’ল  ইংরেজী বলতে পারা শিক্ষিত  লোকের  জায়গা৷ সেখানে  বিদায়ী সাংসদ দেব ঘাটাল  মাষ্টার প্ল্যান নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ  করে বাংলাতে তাঁর বক্তব্য  রাখায় ভারতী ঘোষ তাঁকে বাংলায় কথা বলার জন্যে পরিহাস করেছেন৷

রাজ্যে হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরুদ্ধে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ মিছিল

কলকাতা ঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরুদ্ধে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে গত ২৫শে মার্চ শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে বেলা তিনটায় একটি প্রতিবাদ মিছিল আমহার্ষ্ট ষ্ট্রীট, বহুবাজার ষ্ট্রীট, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ষ্ট্রীট হয়ে ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়৷ এই প্রতিবাদ সভায় ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের উপস্থিত বক্তারা পশ্চিমবাঙলায় হিন্দী ভাষার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের তীব্র  প্রতিবাদ করেন৷ বক্তারা বলেন, প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে স্কুল-কলেজে বাংলা ভাষায় পঠন-পাঠন স্থানীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে দিয়েছে৷ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পূর্ণ নীরব, শুধু তাই নয়,

বাঙালী মহিলা সমাজের  কেন্দ্রীয় সম্মেলন

গত ৩০ ও ৩১শে মার্চ বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার  নন্দীকেশ্বরী যাত্রীনিবাসে বাঙালী মহিলা সমাজের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন  জেলা থেকে বাঙালী মহিলা সমাজের  প্রায় ৩০০ জন প্রতিনিধি  এই সম্মেলনে  যোগদান  করেন৷ ২ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে তারা বাঙালী মহিলাদের বিভিন্ন  সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন ও সর্বত্র বাঙালী মহিলা সমাজের  সংঘটনকে বাড়িয়ে তোলার জন্যে বিভিন্ন  পদক্ষেপ নিয়ে  আলোচনা  করেন৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দিয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রাবণী বসাক৷

বাঙালী মহিলা সমাজের  নেত্রী  সাগরিকা পাল বলেন, তাঁদের দাবী ঃ---

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, চৌকিদারি ও দেশভক্তি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় উৎসব  লোকসভার সাধারণ নির্বাচন সমুপস্থিত৷ ভারতের নির্র্বচন কমিশন পরিচালিত দীর্ঘতম বোট (ভোট) প্রক্রিয়ার (১১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত সাত দফা) শুভারম্ভ হয়ে গেছে যার পরিসমাপ্তি ঘটবে ২৩শে মে ২০১৯ তারিখে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে৷ ভারতবর্ষের আকাশে বাতাসে এখন শুধুই বোটের (ভোটের) গন্ধ, সাধারণ নাগরিকদের বোট প্রার্থীগণের সততা সম্পর্কে বিষম ধন্দ আর রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের সিংহনাদ, আর্তনাদ, বাদ-বিসম্বাদ ও অকথা-কুকথার দ্বন্দ্ব৷ পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে-গঞ্জে,শহরে-নগরে দোরে দোরে, পথে-ঘাটে করজোড়ে দণ্ডায়মান ও ভ্রাম্যমান  বোট প্রার্থীর দল, যাঁরা অন্যান্য সময়ে সাধা

মানব ধর্ম

বৃক্ষলতার কিছু বিশেষ গুণ আছে৷ যেমন, মাটির নীচে থেকে রস টেনে নেওয়া৷ মানুষ নিতে পারে না৷ জন্তু–জানোয়াররাও নিতে পারে না৷ কিন্তু বৃক্ষলতারা মাটির থেকে রস টেনে নিতে পারে৷ বাতাস থেকেও এরা কিছু খাদ্য নেয়৷ যদিও জীবজন্তু, মানুষও কিছুটা তা করে, কিন্তু উদ্ভিদের মত অতটা নয়৷ একে আমরা বলতে পারি উদ্ভিদ–ধর্ম৷ বৃক্ষলতা পায়ের সাহায্যে খাদ্যগ্রহণ করে৷ তোমরা জান কি না?

অর্থনৈতিক গণতন্ত্র

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ‘জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার’ঙ্গ কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে গণতন্ত্র হ’ল ‘মবোক্রেসী’, কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার নিয়ন্ত্রিত হয় ‘মব–সাইকোলজি’ (জনতা–মনস্তত্ত্ব)–র দ্বারা।

যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবেই গণতন্ত্র সার্থক হবে, নচেৎ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের শাসনের মানে দাঁড়াবে ‘বোকার দ্বারা, বোকার জন্যে, বোকার শাসন’*।

বিজেপি’র বাঙালী বিদ্বেষী চরিত্র

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে প্রথম নির্বাচনী সভা থেকে বীর বিক্রমে ঘোষণা করলেন---এবার ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে এন.আর.সি. লাগু করবেন ও খুঁজে খুঁজে বিদেশী তাড়াবেন৷ অসমে নরেন্দ্র মোদীও এন.আর.সি.-র পক্ষে বলে গেলেন৷ তার সঙ্গে সঙ্গে বললেন---হিন্দু শরণার্থীদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হবে৷ অসমে এন আর সি লাগু করে ৪০ লক্ষ মানুষকে বিদেশী তক্মা দিয়ে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তার প্রায় ৫০ শতাংশ বাঙালী হিন্দু, আর বাকী ৫০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান প্রভৃতি৷