সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
বাঙলা মায়ের যে সব বীর সন্তান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে অমর হয়েছেন তাঁদেরই একজন বিপ্লবী সন্তোষ কুমার মিত্র তথা সন্তোষ মিত্র, হিজলী বন্দীশালায় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের গুলিতে নিহত হয়ে যিনি শহীদ হয়েছেন৷
জন্ম ১৯০০ সালের ১৫ আগষ্ট মধ্য কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে৷ ছাত্র হিসাবে ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী৷ ১৯১৫ সালে হিন্দু স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন৷ ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন দর্শন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে৷ তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র৷ কলেজে তাঁর সহপাঠী ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু৷ ১৯২১-২২সালে এম.এ.ও এল.এল.বি পাস করেন৷
মনে রাখতে হবে সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সমাজে কিছু আদর্শবান মানুষ যাঁরা সমাজসেবী ও মানবতাবাদী মানুষ গড়ে যখন ওঠেন৷ পৃথিবীতে যে সীমিত সম্পদ আছে তাকে সুষ্ঠুভাবে সকলের মধ্যে বন্টন করে সকলের মুখে আনন্দের হাসি ফোটাতে পারে৷ তাই প্রতিটি সমাজে তেমন লোকের প্রয়োজন৷
আজকে সারা দেশজুড়ে, শুধু দেশ নয়, সমগ্র মানবসমাজ জুড়েই দেখা দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর সাংস্কৃতিক অবক্ষয়৷ সংস্কৃতি কী মানব মনের সামূহিক অভিব্যক্তির মধ্যে যে পরিশীলিত ভাব তা–ই হ’ল তার সংস্কৃতি৷ মনুষ্যেতর জীবের চিন্তাধারা তার দেহগত সুখকে অতিক্রম করতে পারে না৷ খাওয়া, ঘুমানো ও সংখ্যাবৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোন ভাবনা তাদের মধ্যে নেই৷ মানুষের মনের অধিকতর সূক্ষ্ম ও মাধুর্যপূর্ণ অভিব্যক্তিই তাকে মনুষ্যত্বের শিরোপা পরিয়েছে৷ এটাই মানবীয় সংস্কৃতি৷ যদিও অভিব্যক্তির ধরণ ধারণ দেশ–কাল–পাত্রে কিছুটা ভিন্নতা প্রাপ্ত হয়, তাহলেও ভেতরের মূল ভাবটুকু এক৷ সাধারণভাবে একেই বলব মনুষত্ব বা মানবিকতা৷ তাই প্রাউট–প্রবক্তা বলেছেন, মানু
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ফাঁসী চাই’....রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল, ডাক্তারবাবুদের কর্মবিরতি হাজারো মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু মুখে ঠেলে ফেললেও তাঁরা অনড় !
বর্তমানে সেই বিশ্বকবির--- মহামানবের তীরে যে শক, হুন, দল পাঠান মোগল, এক দেহে লীন হয়েছিল সেই ভারতবর্ষকে পরবর্ত্তীকালে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সমুদ্র পারের ইংরেজ ও আমেরিকা মিলিতভাবেই খণ্ড খণ্ড করে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারত যুক্ত রাষ্ট্র ও পাকিস্তান তৈরী করে, আজ তারাই আবার সেই ষড়যন্ত্র করে কিছুটা রং বদলিয়ে সেই আমেরিকা ও পাকিস্তান মিলিতভাবে আওয়ামীলীগের বাংলাদেশে ইসলামীক জঙ্গী ও বি.এন.পিকে মদৎ দিয়ে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরীর দিকে এগুচ্ছে৷ অন্যদিকে ভারতযুক্ত রাষ্ট্র-এর কেন্দ্রীয় হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বর্তমান মিলিজুলি সরকার এর প্রধান মোদিজী এগুচ্ছেন ভারত যুক্ত রাষ্ট্রে কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র
লোকসভা ও বিধানসভায় যে সব প্রতিনিধি বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে গেছেন তাঁরা নিজ নিজ এলাকার অভাব---অভিযোগগুলিকে আলোচনার জন্যে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করেন না শুধু দলীয় স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে দলাদলির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদপত্র ও টিভিতে সেগুলিকে ধামাচাপা দিতে হৈ চৈ করে ওয়েলে নেমে হট্টগোল করে লোকসভা ও বিধানসভার নির্দিষ্ট দিনগুলি নষ্ট করেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন৷ নির্বাচনের পর তো ভোটারদের সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনও যোগাযোগই থাকে না৷ পশ্চিমবঙ্গের কথাই যদি বলা হয় তাহলে বলতেই হয় এ রাজ্যে শাসক দল কেন্দ্রীয় সরকারের অনুগত না হওয়ায়, বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার রা
‘সুদূর বৈদিক যুগ থেকেই শুরু হইয়াছে তৎকালীন অঙ্গ, বঙ্গ কলিঙ্গ ও প্রাগজ্যোতিষপুরের ওপর তথাকথিত আর্যদের অত্যাচার ও অবিচার৷ মহারাজা শশাঙ্কের সময় পর্যন্ত অবশ্য বাঙলা আর্যদের কাছে নতি স্বীকার করে নাই৷ কিন্তু বাঙলার চিরকালীন দুর্ভাগ্যই হইল একই সময়ে সে বীর প্রশবিনী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের স্তন্যদাত্রীও৷ মহারাজা শশাঙ্কের সময়েও এর ব্যতিক্রম হয় নাই৷ তাই আর্যদের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল রণনীতির দ্বারা নয়, কূটনীতির দ্বারা বাঙলাকে পরাজিত করা৷ কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাঙলা এমনকি পাঠান মোঘল যুগেও বশ্যতা স্বীকার করে নাই৷ তার প্রমাণ বারো ভূঁইয়া৷
বেলগাছিয়া থেকে দমদম৷ বাড়ি বাড়ি সাইকেল চালিয়ে ঘুরছেন এক ডাক্তার৷ মাথায় একটা টুপি আর সাইকেলে ঝোলানো ক্যামবিসের ব্যাগ৷ বেশিরভাগ রোগীই গরীব৷ পথ্য কেনারই পয়সা নেই আবার ডাক্তারের ফিস ! তাই রোগী দেখার সাথে সাথে প্রয়োজনে রোগীদের পথ্য কেনার পয়সাও দিচ্ছেন সেই ডাক্তারবাবু৷ শুনলে আশ্চর্য হবেন সেই ডাক্তারবাবু ততদিনে বিলেত ফেরৎ৷ ভাবতে অবাক লাগে আজ একজন সাধারণ এমবিবিএস ডাক্তারেরও যখন গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করায় অনীহা তখন বিলেতের ডিগ্রি নিয়েও এই ডাক্তার স্বেচ্ছায় অস্বাস্থ্যকর গ্রামকেই তাঁর কর্মস্থল বেছে নিয়েছিলেন..