August 2021

রাজনীতির কর্কট ব্যাধি

একর্ষি

ভারতীয় রাজনীতি জটিল কর্কটব্যাধিতে আক্রান্ত৷ তবে এর ভাব-গতিক বোঝার আগে ‘রাজনীতি’ কথাটির ‘পদ পরিচয়’ নেওয়া যাক৷ পাশ্চাত্ত্য পণ্ডিতেরা যা ই বলুননা কেন ভারতীয় জীবনদর্শন তথা  প্রাণধর্ম এবং আদর্শ মানবসমাজ ও তার দর্শন অনুসারে রাজনীতি হ’ল নীতির রাজা’৷ অর্থাৎ রাজনীতি হ’ল মানব সমাজের বা রাষ্ট্রের সেই শ্রেষ্ঠ নীতি বা অতুলনীয় দিক নির্দেশনা যা বাস্তবতায় বিশ্বস্ত, ব্যবহারিক, বৈজ্ঞানিক মনন-পোষিত ও মানুষের সার্বিক কল্যাণে (ভৌতিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক) প্রয়োগভৌমিক৷ ‘রাজনীতি’ শব্দটি একটি সমাজবদ্ধ পদ৷ নীতির রাজা  রাজনীতি৷ বাংলা ব্যাকরণে তৎপুরুষ সমাসে ‘শ্রেষ্ঠ’ অর্থে ‘রাজা’ পদটি ব্যাসবাক্যের শেষেরে দিকে বসে৷ অর্থ

স্নায়ুরোগ–মস্তিষ্ক, বিকৃতি–স্মরণ শক্তি, ৰৃদ্ধি–মানসিক রোগ

ব্রাহ্মী–Bacopa monierri; Centella asiatica ঃ

ব্রাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ৰর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ব্রাহ্মীঘৃত (অথবা ব্রাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

পেটের অসুখে থানকুনি ঃ থানকুনি পাতার রস চীনী সহ খেলে পেটের অসুখে ভাল ফল দেয়৷

নারী কি মুক্তি–মোক্ষ পেতে পারে?

সম্পতি আমাকে একটি দুরূহ সমস্যার সম্মুখীন হ’তে হয়েছিল৷ সমস্যাটা বা প্রশ্ণটা হয়তো কিছুটা দুরূহ কিন্তু উত্তরটা খুবই সরল৷ প্রশ্ণ ছিল, মহিলারা মুক্তি–মোক্ষের অধিকারী কি না৷

কিছুদিন আগে তোমাদের বলেছিলুম যে তন্ত্রে বলা হয়েছে, ‘‘দেহভৃৎ মুক্তো ভবতি নাত্র সংশয়ঃ’’৷ আত্মজ্ঞান লাভের নূ্যনতম যোগ্যতা হ’ল এই যে সাধককে মানুষের শরীর পেতে হবে৷ এটাই হ’ল তার নূ্যনতম যোগ্যতা৷ কৈ, এখানে তো উল্লেখ করা হয়নি যে সে সাধক নারী বা পুরুষ হবে৷ এর থেকে এটাই পরিষ্কার যে নারী–পুরুষ উভয়েই মুক্তি–মোক্ষ লাভের সমান অধিকারী৷ 

কবিতা

সুকুমার রায়

তুমি থাক যতই দূরে

যাব আমি পথটি ধরে,

ঝড়-বাদল আসুক যত

মানিনা বাধা নিয়েছি শপথ,

নামের বলে ছন্দে তালে

আনন্দে ভেসে চলব দোলে৷

 

ৰাৰা এসেছিলে কতকাল পরে

প্রাণের টানে সন্তানের ঘরে

আনন্দ ঝরে প্রভাতের কোলে

আঁধারের কত ব্যথা গেল চলে

অনাদি হতে আছ মনের গহনে

অনন্ত মহিমা তোমার কেবা জানে৷৷

জন্মদিন

সুকুমার রায়

সেদিন বৈশাখের শুভদিনে

সেজেছিল ধরা আপন মনে

অরুণের উদয় নবীন বেশে

রঞ্জিত সে প্রভা মুক্ত কেশে

আকাশ বাতাস নন্দিত ভোরে

পাখীরা গেয়েছিল মধুর সুরে

পূর্ণচাঁদের আলোক সজ্জায়

অনুপম শোভা ধরণীর গায়

ফুটেছিল ফুল নিবেদিত মনে

প্রীতিমাখা সুগন্ধ ভাসে পবনে

এসেছিলে তুমি সে শুভক্ষণে

সত্য সনাতন সংকল্প সাধনে৷৷

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আকাশে মেঘ জমতে দেখলে আমরা মনে করি বুঝি বৃষ্টি হবে৷ কিন্তু মেঘ ছাড়াও বৃষ্টির আরো পূর্ব লক্ষণ আছে৷

আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা বলে গেছেন, পিপঁড়েদের যদি দেখা যায়, হঠাৎ খাবার মুখে নিয়ে ওপরের দিকে উঠতে তবে বুঝতে হবে শিগ্রীই বৃষ্টি হবে৷ বৃষ্টি হবার আগে ব্যাঙ ডাকে তা আমরা প্রায় সবাই জানি৷ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ালরা অনেক আগেই টের পেয়ে নিরাপদ জায়গায় ছুটতে থাকে৷ অনুরূপভাবে বেজি আর সাপও যার যার আস্তানার দিকে দৌড়তে থাকে৷ শরভ নামে এক ধরণের হরিণ বৃষ্টির আগে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়৷

মানালী ভ্রমণ

আশীষ দত্ত রায়

এই যে হিমালয় বাস৷ কি করব? কতকটা আমার স্বভাব দোষ, কতকটা অদৃষ্টলিপি! হিমালয়ের দুর্নিবার আকর্ষণ ও রাজধানীর দুর্ধর্ষ গ্রীষ্মের হাত থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষার জৈব তাগিদ-এই দুয়ে মিলে আমায় ঘর ছাড়া করল৷ জুন মাসের অগ্ণুত্তপ্ত তেজা রাজধানীর তীব্র তাপমাত্রার আওতা ছাড়িয়ে রওনা হয়ে পড়লাম৷ ১৭ ঘন্টা লাগল বশিষ্ঠ (মানালীতে) পৌছাতে৷ আঃ, কী বিপুল বৈষম্য আবহাওয়ায়৷ কোথায় অগ্ণিতপ্ত গৃহবাস ও তার কুটিল ভয়াল কটাক্ষ, আর কোথায় এই সবুজ  পাহাড় ঘেরা এই মৃদু মন্থর সমীরণ! কিন্তু এই মধুন্ধি হিমানী--- সৌভাগ্য ভোগ করবার বরাত কি সহজ নাকি?

চর

চর ধাতুর অর্থ খেতে খেতে চলা৷ গোরু খেতে খেতে চলে৷ তাই আমরা বলি ‘‘গোরু চরছে’’৷ কিন্তু ‘মানুষ চলছে’৷ তোমরা যদি কখনো প্রকাশ্যে বা লুকিয়ে চানাচুর-ৰাদাম খেতে খেতে চল সেই অবস্থায় তোমরাও কিন্তু চরছ, লোকে জানুক বা না জানুক৷

সভ্যতার আদিযুগে মানুষের আজকালকার মত সকালের জলখাবার দুপুরের খাবার বিকেলের জলখাবার ও রাত্রির খাবার কোনও নির্দিষ্ট সময় ছিল না৷ ভোজ্য খাবারের কোনও নিশ্চিততাও ছিল না৷ তাই অনেক সময় তারা রাস্তায় খাদ্য সংগ্রহ করতে পারলে চলতে চলতেও খেত৷ তাই আজকের মানুষের তুলনায় সেকালের মানুষ বেশী চরত৷ সম্ভবতঃ সেই জন্যেই বেদে ‘চরৈবেতি’, ‘চরৈবেতি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে৷

বাঙলার অনূধর্ব-২৩ দলের শিবিরের দায়িত্বে লক্ষীরতন

ঠিক প্রশিক্ষক হিসেবে নয়, বরং তরুণ ক্রিকেটারদের পথ প্রদর্শক হতে চান লক্ষীরতন শুক্লা৷ বাঙলার অনূধর্ব-২৩ দলের দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন লক্ষীরতন শুক্লা৷ গত ২৬শে জুলাই  ট্রেনিংএ আসা ৬০ জন তরুণ ক্রিকেটারকে নেটমাধ্যম থেকে দুরে থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি৷ কড়া হাতে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চাইছেন লক্ষী৷ তাই সপ্তাহের প্রথম দিনই তিনি দিলেন তিনটি নির্দেশ৷

তিনি বলেন ‘ আমি ছেলেদের বলেছি নেটমাধ্যম থেকে কিছু পোষ্ট না করতে৷ দলে শৃঙ্খলা মেনে চলাটা খুব জরুরি৷ যে সমস্ত ক্রিকেটারের চুল বড় রয়েছে তাদের সেই চুল কাটতে বলেছি৷ আর দলের মধ্যে একাত্মবোধ বাড়াতে সবাইকে বাংলা শিখতে বলেছি৷’’

হাবাসের হাত ধরে কলকাতায় পা রাখলেন জনি কাউকো

আগামী ১৮ই আগষ্ট এ. এফ.সি  কাপ অভিযান শুরু করবে মোহনবাগান৷ তারপর শুরু হবে আই.এস.এল-এর প্রস্তুতি৷ সেই জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ বিদেশী প্রশিক্ষক বেছে নিয়েছেন স্প্যানিশ প্রশিক্ষক৷

আগষ্টে এএফসি কাপ শুরু হতে চলেছে বলে সেই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করার জন্য গত সোমবার সকালে কলকাতায় এলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ও তাঁর সঙ্গে কলকাতায় পা রাখলেন ফিনল্যাণ্ডের হয়ে এবার ইউরো কাপ খেলা জনি কাউকো৷ তাঁদের হাতে দুর্গা মূর্তি তুলে দিয়ে স্বাগত জানায় একাধিক মোহনবাগান সমর্থক৷ সবুজ-মেরুনের জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না সেটা স্পষ্ট করে দিলেন কাউকো৷