August 2022

অর্থনৈতিক শোষণ চরমে  - প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শনই পাথেয়

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৫ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু-পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিংহভাগের মালিক৷

বাতরোগ

রোগের লক্ষণ ঃ রক্তে অম্লদোষ ৰেড়ে গেলে বাত রোগের সৃষ্টি হয়৷ এখানে বাতরোগ বলতে বিশেষ করে গ্রন্থিবাতের ( গেঁটে বাত) কথাই ৰলা হচ্ছে৷

ঔষধ ঃ এই বাতরোগ কোন ঔষধের বহিঃপ্রয়োগে খুব ভাল ভাবে সারে না৷ তবে সাময়িক ভাবে উপশম হয়৷ বাতরোগে মালিশ জাতীয় বস্তুর মধ্যে যেগুলি উত্তম মানের তাদের অনেকেরই উপাদান হ’ল ধুতুরা ফল৷ কণ্টকযুক্ত ধুতুরা ফল খাদ্য হিসেবে কথঞ্চিৎ বিষাক্ত হলেও বহিঃপ্রয়োগে ভাল ফল দেয়৷ তবে কৃষ্ণ ধুতরোর ফলেতে এই গুণ একটু বেশী৷

প্রাচীনকালে নারীর স্থান

(মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর শব্দ চয়নিকা–২৬ খণ্ড গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে ‘নারীর মর্যাদা’ বিষয়ক অনেক কিছুই বলেছেন৷ ওই গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ সংকলিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে৷ –সম্পাদক)

মানুষের দায়

কৌশিক খাটুয়া

জঙ্গল কেটে সাফ করে গড়ি

নগরের পত্তন,

অচেতনভাবে আহ্বান জানাই

মরুভূমির জাগরণ৷

অনাবৃষ্টির করাল গ্রাসে

মাটি ফেটে যায় ক্ষরায়,

তরুলতা বন শুকাইয়া যায়

সবুজক্ষেত্র হারায়৷

বায়ু দুষণের প্রাদুর্ভাবে

হারায় পরাণ  বায়ু

জীব নরকুল অকালে তাদের

হারায় পরমায়ু৷

একটি গাছ একটি প্রাণ,

সে গাছ লাগিয়ে হও সুমহান৷

যে গাছ মোদের দেয় ফুল, ফল,

পক্ষী নীড় ও ছায়া,

সেই তরুতলে ভরে দিও জলে

এটি মানুষের দায়৷

কৃতী সংবর্ধনা

গ্রাম ত্রিপুরার মধ্যবিত্ত ঘরের ছাত্রছাত্রাদের কাছে এক উজ্বল দৃষ্টান্ত তৈরী করল জয়তী দেবনাথ৷ রাজধানী শহর আগরতলা থেকে বহু দূরে সাব্রুমের এক গ্রামের সাধারণ স্কুল হরিনা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়৷ সেই স্কুলের ছাত্রী জয়তী দেবনাথ  এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে প্রথম স্থানাধিকারীর থেকে মাত্র এক নম্বর কম পেয়ে৷ সাধারণের ধারণা থাকে পরীক্ষা ভাল ফল করতে হলে শহরের নামী দামী স্কুলে পড়তে হবে৷ জয়তী সেই ধারণাকে নস্যাৎ করে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও দেখালো ঐকান্তিক ইচ্ছা ও অধ্যাবসায় থাকলে গ্রামের সাধারণ স্কুল থেকেও ভাল ফল করা যায়৷

ইতিহাসে ঢাকা -  ঢাকাই মসলিন

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাঙলার অতীত গৌরবের অন্যতম সাক্ষী ঢাকাই মসলিন৷ সূক্ষ্ম সূত্রশিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন এই মসলিন৷ মোগল বাদশাহদের পাটরানী বেগম থেকে শুরু করে ইয়ূরোপের সম্রাজ্ঞীরা পর্য্যন্ত এই মসলিন শাড়ী পরবার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে থাকতেন৷

মাতৃসমা

বাংলাভাষায় শুধু ‘ণ’ (নঁ) নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও চন্দ্রৰিন্দুর ব্যবহার খুবই সীমিত তথা পরিমিত৷ জনসাধারণের মধ্যে চন্দ্রৰিন্দুর ব্যবহার কম থাকায় মানুষের থেকে ভূতের তফাৎ ৰোঝাবার জন্যে ভূতের মুখে বেশী চন্দ্রৰিন্দুযুক্ত ভাষা ব্যৰহার করা হয়৷ তফাৎ ৰোঝাবার জন্যে এত বেশী চন্দ্রৰিন্দুর ব্যবহার করা হয় যা অস্বাভাবিক......যা ঠিক ফরাসী ভাষায় উল্টো৷ ফরাসী ভাষায় চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহারে অতি প্রাবল্য৷

ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন শুরু

সোমবার থেকে দলঘটনের কাজ শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল৷ প্রথম দিনই দুই বিদেশি ফুটবলারকে কার্যত চূড়ান্ত করে ফেলল তারা৷ সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই দু’জনের সই হয়ে যাবে৷ দু’জনেরই দীর্ঘদিন আইএসএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ ফলে নতুন দলে এসে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না৷

সুত্রের খবর ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে চলেছেন জামাইকার দের্শন ব্রাউন৷ ইষ্টবেঙ্গল ও ইমামি চুক্তি সই হয়ে গেলেই ব্রাউনের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলবে ইষ্টবেঙ্গল৷ লাল-হলুদের আক্রমণভাগকে শক্তিশালী করতেই ব্রাউনকে আনা হচ্ছে৷ প্রথম দু’টি মরসুমে লাল-হলুদের গোল করার লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ব্রাউন এলে সেই অভাব মিটতে পারে৷

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাদের সঙ্গে খেলতে হবে রোহিতদের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৬দল নিশ্চিত হয়ে গেল৷ আগেই আটটি দলের নাম জানিয়ে দিয়েছিল আইসিসি৷ তাদের দু’টি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল৷ এ বার আরও আটটি দল নিশ্চিত হয়ে গেল৷ তাদের মধ্যে মূল পর্বে খেলবে চারটি দল৷ যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে তাদের জায়গা করে নিতে হবে মূল পর্বে৷

এই আটটি দলকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করে হয়েছে৷ গ্রুপ এ -তে রয়েছে নামিবিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি  ও নেদারল্যাণ্ডস৷ গ্রুপ বি-তে রয়েছে আয়ারল্যাণ্ড, স্কটল্যাণ্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ে৷ প্রতিটি দলে নিজের গ্রুপের বাকি দলগুলির সঙ্গে খেলবে৷ সেখান থেকে দু’টি করে চারটি দল মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে৷

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে : ত্রিপুরার উন্নয়ন

ত্রিপুরায় দুই প্রকারের ধান হয়– আউশ আর বোরো চাষ৷ অসমের দুটি প্রধান নদী উপত্যকা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র আর বরাক উপত্যকা৷ বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ ব্লকে বাঁশের মান খুব ভাল, একে কাগজ শিল্পে ব্যবহার করা উচিত৷ মিষ্টি আলু আর সুগার বিটের চাষও এ এলাকায় হতে পারে৷ এখানে বছরে চারটি ফসল হওয়া উচিত৷ আনারস থেকে পরিধানের জন্যে কৃত্রিম তন্তু, ওষুধ, জ্যাম–জেলি প্রস্তুত করা উচিত৷ কলাগাছ ও কলাগাছের পাতা ইত্যাদিকে কাজে লাগানো উচিত আর কলাগাছ পুড়িয়ে সোডিয়াম আর সোডিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করে নিয়ে সাবান শিল্পে ব্যবহূত হওয়া উচিত৷ অসম আর ত্রিপুরায় কাঁটাল খুব ভাল হয়, এর সঙ্গে মধু আর প্রাকৃতিক প্যারাফিনে