এন. আর. সি.-র নামে বিদেশী তক্মা দিয়ে সর্বত্র বাঙালী বিতাড়নের বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালী ঐক্যবদ্ধ হোন
বিপন্ন বাঙালী
বিপন্ন বাঙালী
ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও বাঙলার ইতিহাসে ‘রাখী-বন্ধন’ উৎসব এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে৷ ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে যখন বাঙ্লার গভর্ণর জেনার্যাল বাঙ্লাকে দুভাগে বিভক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে বাঙ্লায় বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল৷ সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালী ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্যে সংক্লল্প গ্রহণের মাধ্যমে হিসেবে রাখীবন্ধন উৎসবের সূচনা করেছিলেন৷ তখন হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাই পরস্পর রাখী পরিয়ে বাঙালী ঐক্যের শপথ নিয়েছিলেন৷
গত ৩০শে জুলাই অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ(এন.আর.সি)-এর কারণে যে চল্লিশ লক্ষাধিক বাঙালির নাম বিদেশির খাতায় উঠল তাদের ভবিষ্যতের প্রশ্ণে গোটা বাঙালি সমাজ এখন গভীরভাবে উদ্বিগ্ণ৷ কারণ অসমে বিদেশি চিহ্ণিত হওয়া মানে তারা গোটা ভারতবর্ষেই বিদেশি মানে তারা গোটা ভারতবর্ষেই বিদেশি বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এ ধরনের মানুষদেরকে তো ভারত সরকার এদেশে স্থান দেওয়ার কথা নয়৷ তাহলে নিশ্চয়ই নাগরিক পঞ্জীকরণের পরের ধাপ হবে সেই চল্লিশ লক্ষ বিদেশি বাঙালিদেরকে অন্য কোনও দেশে ঠেলে দেওয়া৷ সেটি কোন দেশ--- পাশের বাংলাদেশ কী? নতুন করে নেবে বাংলাদেশ এই বিপুল সংখ্যক মানুষের দায়িত্ব৷ এ ব্যাপারে ভারত স
আনন্দমার্গের ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য–বহন করে চলেছে৷ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছিলেন, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতেই সদাশিব তাঁর ধর্মোপদেশ দান শুরু করেছিলেন৷ এই কারণেই শিবভক্তদের মধ্যে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷ মার্গগুরুদেব তাঁর আদর্শ তথা দর্শনের ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণও এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে করেছিলেন৷
এছাড়া, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথির সঙ্গে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে৷
রবিকাকা একদিন বলিলেন, রাখীবন্ধন উৎসব করিতে হইবে৷ আমাদের সবার হস্তে রাখী পরাইতে হইবে৷ উৎসবের মন্ত্র অনুষ্ঠান সব জোগাড় করা আবশ্যক৷ ছিলেন ক্ষেত্রমোহন কথক ঠাকুর, রোজ কথকতা করিতেন আমাদের বাড়িতে৷ কৃষ্ণবর্ণ পৃথুল তিলভাণ্ডেশ্বরের ন্যায় চেহারা৷ তাহাকেই ধরা হইল, রাখীবন্ধন উৎসবের একটা অনুষ্ঠান বাতলাইয়া দিতে হইবে৷ তিনি খুব খুশী ও উৎসাহী হইয়া উঠিলেন৷
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবরে প্রকাশ বিগত ৩১শে অগাষ্ট রাজ্যসভায় অমিত শাহ বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করলেন---‘‘আপকে পাস হিম্মত নহী থা--- হামারা হেয়....’’ (তোমাদের সাহস ছিল না --- আমাদের আছে)৷ বক্তব্যটি প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে৷ গত ৩০শে জুলাই দ্বিতীয় এন.আর.সি ড্রাফট্ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে চল্লিশ লক্ষ জনগণের নাম বাদ গেছে৷ এই খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশার্থে তিনি খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশনার্থে তিনি মিডিয়ার সম্মুখে নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন ভার
গত সপ্তাহে লিখেছিলুম শব্দ দূষণ নিয়ে, এখন লিখছি উল্টো কথা৷ বিজ্ঞান-বুদ্ধিতে মেজে ঘষে শব্দের সুর তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে অনেক দেহ-মানসিক ব্যধি থেকে মানুষ মুক্তি পাচ্ছে৷ শব্দ বিজ্ঞানীদের মতে সুর-তরঙ্গের নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ, কেন্দ্রীয় নার্র্ভস সিস্টেমের শক্তিক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে৷ সঙ্গীতের তাল মিনিটে ষাট বা তার কম হলে টেনশন কমায়, সত্তরের বেশি হলে টেনশন বাড়ায়৷ যে কোনো পুরাতন বা নোতুন অসুখ, যন্ত্রণা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পজিটিব মাইক্রোবাইটামের সংখ্যা বাড়াতে পরিপূরক হিসেবে ভারতীয় রাগ রাগিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে৷ ভৈরবী, ভীমপল্লশ্রী আহেরি ভৈরব, বসন্ত বিহার, বাগেশ্রী, আ
অত্যন্ত দুঃখের কথা এদেশের শিক্ষিত ব্যষ্টিগণ মনে হয় ভুলেই গেছেন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত৷ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দোল্লা যখন মাত্র ১৮ বছরের তরুণ তাঁকে সরিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এর সঙ্গে নাটক করে বিশ্বাসঘাতক সিপাহ সালার মিরজাফর সিংহাসন দখল করেন৷ আর বন্দী নবাব সিরাজকে নামাজে রত অবস্থায় মোহম্মদী বেগকে দিয়ে পৃষ্ঠ দেশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করানো হয় মিরজাফরের পুত্র মিরনকে দিয়ে৷ যাঁর মৃত্যু ঘটে বজ্রাঘাতে ! সেই যে বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা সেটাই একনাগাড়ে চলে আসছে এই হতভাগ্য বাংলায় অদ্যাবধি৷
‘‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী৷৷’’
শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী যুবক প্রতিভা৷ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান সমকালে জনমানসে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল৷ দেশ প্রেম আর বাঙালী চারণ কবিরা তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে গান গেয়ে দেশ প্রেমের বার্তা গ্রামে ও গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিতেন৷ ফাঁসির পরবর্তী কালে পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে যথেষ্ট ভাবাবেগ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল যা এককথায় অকল্পনীয় ছিল৷