প্রবন্ধ

শ্রাবণী পূর্ণিমা ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য–বহন করে চলেছে৷ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছিলেন, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতেই সদাশিব তাঁর ধর্মোপদেশ দান শুরু করেছিলেন৷ এই কারণেই শিবভক্তদের মধ্যে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷ মার্গগুরুদেব তাঁর আদর্শ তথা দর্শনের ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণও এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে করেছিলেন৷

এছাড়া, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথির সঙ্গে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে৷

গঙ্গায় জনপ্লাবন, নেতৃত্বে রবীন্দ্রনাথ- রাখীর বাঁধনে ধরা পড়িল বঙ্গসমাজ

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবিকাকা একদিন বলিলেন, রাখীবন্ধন উৎসব করিতে হইবে৷ আমাদের সবার হস্তে রাখী পরাইতে হইবে৷ উৎসবের মন্ত্র অনুষ্ঠান সব জোগাড় করা আবশ্যক৷ ছিলেন ক্ষেত্রমোহন কথক ঠাকুর, রোজ কথকতা করিতেন আমাদের বাড়িতে৷ কৃষ্ণবর্ণ পৃথুল তিলভাণ্ডেশ্বরের ন্যায় চেহারা৷ তাহাকেই ধরা হইল, রাখীবন্ধন উৎসবের একটা অনুষ্ঠান বাতলাইয়া দিতে হইবে৷ তিনি খুব খুশী ও উৎসাহী হইয়া উঠিলেন৷

অমিত শাহের ‘হিম্মত’ দেখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মনোবল বৃদ্ধি

মনোতোষ কুমার মণ্ডল

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবরে প্রকাশ বিগত ৩১শে অগাষ্ট রাজ্যসভায় অমিত শাহ বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করলেন---‘‘আপকে পাস হিম্মত নহী থা--- হামারা হেয়....’’ (তোমাদের সাহস ছিল না --- আমাদের আছে)৷ বক্তব্যটি প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে৷ গত ৩০শে জুলাই দ্বিতীয় এন.আর.সি ড্রাফট্ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে চল্লিশ লক্ষ জনগণের নাম বাদ গেছে৷ এই খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশার্থে তিনি খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশনার্থে তিনি মিডিয়ার সম্মুখে নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন ভার

শব্দ অমৃত

জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহে  লিখেছিলুম শব্দ  দূষণ নিয়ে,  এখন লিখছি  উল্টো কথা৷  বিজ্ঞান-বুদ্ধিতে মেজে ঘষে শব্দের  সুর  তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে  অনেক  দেহ-মানসিক ব্যধি থেকে  মানুষ মুক্তি  পাচ্ছে৷  শব্দ বিজ্ঞানীদের  মতে  সুর-তরঙ্গের  নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ, কেন্দ্রীয় নার্র্ভস সিস্টেমের  শক্তিক্ষেত্রকে প্রভাবিত  করে৷ সঙ্গীতের  তাল মিনিটে ষাট  বা তার কম হলে  টেনশন  কমায়, সত্তরের বেশি  হলে টেনশন বাড়ায়৷ যে কোনো  পুরাতন  বা নোতুন অসুখ, যন্ত্রণা ইত্যাদি  থেকে মুক্তি  পেতে পজিটিব মাইক্রোবাইটামের  সংখ্যা বাড়াতে  পরিপূরক  হিসেবে  ভারতীয় রাগ রাগিনীর  সাহায্য নেওয়া হচ্ছে৷ ভৈরবী, ভীমপল্লশ্রী আহেরি ভৈরব, বসন্ত বিহার, বাগেশ্রী, আ

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই হলো বরাক উপত্যকায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর একমাত্র বাঁচার পথ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা এদেশের শিক্ষিত ব্যষ্টিগণ মনে হয় ভুলেই গেছেন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত৷ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দোল্লা যখন মাত্র ১৮ বছরের তরুণ তাঁকে সরিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এর সঙ্গে নাটক করে বিশ্বাসঘাতক সিপাহ সালার মিরজাফর সিংহাসন দখল করেন৷ আর বন্দী নবাব সিরাজকে নামাজে রত অবস্থায় মোহম্মদী বেগকে দিয়ে পৃষ্ঠ দেশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করানো হয় মিরজাফরের পুত্র মিরনকে দিয়ে৷ যাঁর মৃত্যু ঘটে বজ্রাঘাতে ! সেই যে বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা সেটাই একনাগাড়ে চলে আসছে এই হতভাগ্য বাংলায় অদ্যাবধি৷

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা

গৌতমচন্দ্র চন্দ্র

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী যুবক প্রতিভা৷ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান সমকালে জনমানসে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল৷ দেশ প্রেম আর বাঙালী চারণ কবিরা তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে গান গেয়ে দেশ প্রেমের বার্তা গ্রামে ও গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিতেন৷ ফাঁসির পরবর্তী কালে পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে যথেষ্ট ভাবাবেগ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল যা এককথায় অকল্পনীয় ছিল৷Khudiram Bose

শব্দ দূষণের ক্ষমতা

জিজ্ঞাসু

শহুরে জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্য---যান্ত্রিক জীবন, দেহ-মানসিক অজ্ঞতা, মনোযোগ আকর্ষণ করার অহংমন্যতা, জেদাজেদির প্রতিযোগিতা, অন্যকে আচমকা ভয় দেখিয়ে হীরো হবার প্রবণতা৷ আর, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুভ্যাসগ্রস্ত মানুষেরা মানসিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগেন৷ এজন্য সমাজের বিরুদ্ধে একটা গোপন ঘৃণা ও প্রতিহিংসার ইচ্ছা তাদের মনের গভীরে থাকেই৷ রাত দিনের যে কোনো সময় খেলা বা পূজো বা যে কোনো ধর্মীয় উৎসবের বাহানা দেখিয়ে প্রচণ্ড আওয়াজের ডি জে সাউন্ড সিস্টেম অথবা মধ্যরাতে ঢাকের বাজনা বা ভয়ংকর শব্দ বাজী ফাটিয়ে ওরা সেই প্রতিশোধ ন্যায়৷ আর ওই কাজের সাথে যুক্ত থাকা মানুষগুলি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে ওই বিশেষ সময়ে কম বা বেশি , শব্

অসমে বাঙালী বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন

সত্যসন্ধ দেব

গত ৩০শে জুলাই অসমে নাগরিকপঞ্জীর (এন.আর.সি) চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হল৷ তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়েছে৷ আবার আবেদন নিবেদনের জটিল প্রক্রিয়ায় সুযোগের কথা বলা  হলেও তারপরেও যে লক্ষ লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ পড়বে তাতে কারুর কোনো সন্দেহ নেই অর্থাৎ এককথায় তারা সরাসরি বিদেশী বলে চিহ্ণিত হবে৷  তাদের এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই! বাঙলাদেশও তাদের নিতে অস্বীকার করেছে৷ অগত্যা ডিটেনশন ক্যাম্প নামক নরকের যন্ত্রণা তাদের ভোগ করতে হবে৷ অসমের  জেলা-কারাগারগুলির এগুলি হলো বর্ধিত অংশ৷

দেশভাগের বিনিময়ে  স্বাধীনতাপ্রাপ্তি নামক  বিষবৃক্ষের একটি বিষাক্ত ফল এন.আর.সি.

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতের স্বাধীনতা লাভের সাতদশক পরেও  সুপ্রাচীন বাঙালী জনগোষ্ঠীর ভাগ্যাকাশে নোতুন ক’রে কালো মেঘের ঘনঘটা,  আবার একবার  উদ্বাস্তু হওয়ার অশনি সংকেত--- যার প্রেক্ষাপট রচনা করেছে অসমের ‘‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জী’’ বা এন.আর.সি৷ ভারতের স্বাধীনতার ৭১তম  বর্ষপূর্ত্তির প্রাক্কালে ৩০শে জুলাই ২০১৮  প্রকাশিত হল অসমের  চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জী  বা এন.আর.সি-র খসড়া যেখানে বাদ পড়েছে ৪০,০৭,৭০৭ জনের নাম  যার বৃহদংশই বাঙালী৷  সরকারী আমলা শ্রীযুক্ত প্রতীক  হাজেলার নেতৃত্বাধীন  এন.আর.সি কর্তৃপক্ষের  বয়ান অনুযায়ী---পূর্র্ণঙ্গ নাগরিকপঞ্জী আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে  প্রকাশিত হবে ও  তার আগে বাদ যাওয়া নামগুলি অন্তর্ভূক্ত