রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

পণপ্রথা আজও একটি সামাজিক ব্যাধি

কণিকা দেবনাথ

পত্রপত্রিকায় চোখ দিলেই দেখা যায় কন্যা সন্তান হয়ে জন্মানোর দুর্বিষহ যন্ত্রণার ছবি৷ একবিংশ শতাব্দীর দুদশক পার করেও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারী অভিশাপমুক্ত হলো না৷ অবশ্য তথাকথিত অভিজাত বা  হাই সোসাইটির আধুনিক কন্যার কথা আলাদা৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজে কন্যা সন্তান জন্ম দিলে নারীকে আজও নানা অত্যাচার ও নির্যাতন ভোগ করতে হয়৷

সমাজের নারীর প্রতি এই বৈষম্য মূলক আচরণের অন্যতম কারণ হলো পণপ্রথা৷ আজও সমাজে অনেক ছেলেই শ্বশুর বাড়ির টাকায় বড়লোক হওয়ার স্বপ্ণ দেখে, তাই কন্যা বিবাহ যোগ্যা হলেই দুশ্চিন্তায় পিতা মাতার ঘুম ছুটে যায়৷

শিক্ষাব্যবস্থা ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মহাবিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রো বাইটাম তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম হ’ল মিত্র স্বভাবের মাইক্রোবাইটাম৷ অর্থাৎ এই মাইক্রোবাইটাম মিত্র বা বন্ধুর মত  মানব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম প্রতিসঞ্চর ধারায় সৃষ্ট হওয়ায় এরা মানবজীবনের জাগতিক স্তর ও মানসিক স্তরে থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রেরণা বা উৎসাহ যোগায়৷ বিশেষ ক’রে  এরা শুভবুদ্ধি ও বিবেকের জাগরন্ ঘটায় এবং অপরপক্ষে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের অশুভ কর্মতৎপরতাকে প্রতিহত করে৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম সবসময়ে শুভ  কর্মে লিপ্ত থাকার উৎসাহ প্রদান করে এবং  উদার মনবৃত্তি তৈরীতে উৎসাহ বা প্রেরনা যোগায়৷

ফাগুয়া, হোলি ও দোলযাত্রার তাৎপর্য

বিশেষ প্রতিনিধি

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড় ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

রবীন্দ্রনাথের নোবেল আজও অধরা! এ যে শতাব্দীর লজ্জা

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক অবিস্মরণীয় অবিসংবাদিত নাম৷ যিনি চির স্মরণীয় ও চির বরণীয়৷ রবীন্দ্রনাথ কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক, ছান্দসিক সমবায় নীতির পথিকৃত৷ সর্বোপরি তিনি মানব মৈত্রীর ঋষি৷ এ কথায় কোন বিশেষণই তাঁর পক্ষে যথেষ্ট নয়৷ ৮০ বছরের বৃত্তে দাঁড়িয়ে তিনি হাজার বছরের কাজ করেছিলেন৷ আমরা গর্বিত ও ধন্য এই ভেবে তিনি বাঙলার ভূমিপুত্র৷ আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও সৌভাগ্যবান এই কারণে আমরা রবীন্দ্রনাথের দেশে জন্মগ্রহণ করেছি৷

প্রজাতন্ত্রের সত্তর বছর পেরিয়ে...

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পরিশেষে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু বাঙালী পরিবার ভারতে প্রবেশ করেন, যাদের অনেকেই পরে আর নবগঠিত রাষ্ট্র ‘বাঙলাদেশ’-এ ফিরে যাননি৷

মানব ইতিহাসে শিবের অবদান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

ঐতিহাসিক শিব

শিব প্রকৃতপক্ষে কাল্পনিক দেবতা নয়৷ আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে হিমালয় অঞ্চলে (কৈলাস) এই মহামানব শিব জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ ধর্ম, নৃত্য-গীত, চিকিৎসা, সমাজব্যবস্থা---তৎকালীন সমাজের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে শিব মানুষকে যথাার্থ পথ প্রদর্শন করে মানব সমাজের আদি গুরু রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন৷

আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে শিবের অবদান

শিবই আধ্যাত্মিক সাধনা বিজ্ঞান ও তন্ত্র শাস্ত্রের রচয়িতা৷ বেদ মূলত তাত্ত্বিক৷ এর ৯৫ শতাংশ তত্ত্ব৷ এতে বৈবহারিক সাধনা পদ্ধতি অতি সামান্য৷, বলা চলে পাঁচ শতাংশ মাত্র৷ তাও বেশীরভাগ কেবল প্রার্থনামূলক৷

ছুটিয়াছে জাতি প্রেম মৃত্যুর সন্ধানে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কয়েকদিন এক ভয়ঙ্কর বর্বরতার সাক্ষাৎদ্রষ্টা হয়ে থাকল দেশের রাজধানী শহর৷ তথাকথিত ধর্মের নামাবলী গায়ে একদল পাষণ্ড হিংসার উৎসবে মেতে উঠল৷ মানুষের রক্তের অকাল হোলি দেখল শহরবাসী৷ এই হিংসার উস্কানীদাতা লজ্জা-শরমহীন একদল দেশনেতা(!) কণ্ঠে যাদের হুঙ্কার ধবনি---‘গোলি মারো শা....’৷ এই দেশনেতারাই দেশের কর্ণধার৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন সাক্ষীগোপাল হয়ে থাকল৷ একই হুঙ্কার কলকাতাবাসীকেও শুনিয়ে গেল দেশের রক্ষক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর সভাতেও আবাজ উঠল---’গোলি মারো.....’৷ শাহজী শুনে উচ্ছ্বসিত হলেন, বাঙলা তাহলে দখলে আসছে! আশ্বাস দিলেন সোনার বাঙলার৷ গোলির বন্যায় সোনার বাঙলা---বাঙালী উদ্বেলিত!

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ তিনি বহু প্রচলিত বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ

ইয়ূথ/ইয়ূনিয়ন/ইয়ূনিটি......

ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যা ও বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত

এইচ এন মাহাত

একদা দেশটির নাম ছিল ভারবর্ষ৷ হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী দালালদের দৌলতে ভারতের স্বাধীনতার নামে যে রাষ্ট্র আমরা পেলাম তার নাম হলো শুধুমাত্র ভারত৷ এই ভারতের স্বাধীনতার জন্যে সব থেকে বেশী রক্ত দিয়েছে বাঙালী, আর আজ সেই বাঙালী জাতিকেই ৭০ বছর পর প্রমাণ দিতে হবে তাঁরা কী ভারতীয়?